কোরান সূরা বাকারাহ্ আয়াত 195 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Baqarah ayat 195 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা বাকারাহ্ আয়াত 195 আরবি পাঠে(Baqarah).
  
   

﴿وَأَنفِقُوا فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَلَا تُلْقُوا بِأَيْدِيكُمْ إِلَى التَّهْلُكَةِ ۛ وَأَحْسِنُوا ۛ إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ الْمُحْسِنِينَ﴾
[ البقرة: 195]

আর ব্যয় কর আল্লাহর পথে, তবে নিজের জীবনকে ধ্বংসের সম্মুখীন করো না। আর মানুষের প্রতি অনুগ্রহ কর। আল্লাহ অনুগ্রহকারীদেরকে ভালবাসেন। [সূরা বাকারাহ্: 195]

Surah Al-Baqarah in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Baqarah ayat 195


আর আল্লাহ্‌র রাস্তায় খরচ করো, আর তোমাদের নিজহাতে তোমাদের ধ্বংসের মধ্যে ফেলো না, বরং ভালো করো, নিঃসন্দেহ আল্লাহ্ মঙ্গলকারীদের ভালোবাসেন।


Tafsir Mokhtasar Bangla


১৯৫. আর তোমরা নিজেদের সম্পদ আল্লাহর আনুগত্য তথা জিহাদ ও অনুরূপ ক্ষেত্রে ব্যয় করো। কখনো নিজেদেরকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিয়ো না। অর্থাৎ তোমরা জিহাদ ও জিহাদের পথে সম্পদ ব্যয় করা পরিত্যাগ করো না। এমনিভাবে তোমরা নিজেদেরকে এমন কাজে ঠেলে দিয়ো না যা তোমাদের ধ্বংসের কারণ হবে। তোমরা সুন্দরভাবে নিজেদের ইবাদাত, লেনদেন ও কাজকর্ম চালিয়ে যাও। নিশ্চয়ই আল্লাহ তা‘আলা প্রতিটি ক্ষেত্রে সৎকর্মশীলদেরকেই পছন্দ করেন। তাই তিনি তাদেরকে বেশি সাওয়াব ও সত্যের দিশা দিবেন।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


তোমরা আল্লাহর পথে ব্যয় কর এবং ( ব্যয় না করে ) নিজেরা নিজেদের সর্বনাশ করো না।[১] আর তোমরা সৎকর্ম কর, নিশ্চয়ই আল্লাহ সৎকর্মশীলদেরকে ভালবাসেন। [১] কারো নিকট এর অর্থ হল, ( আল্লাহর পথে ) ব্যয় না করা। কেউ বলেছেন, জিহাদ না করা। আবার কেউ বলেছেন, অব্যাহতভাবে পাপ করা। আর এ সবগুলোই ধ্বংস ডেকে আনে। যদি জিহাদ ত্যাগ কর অথবা জিহাদে সম্পদ ব্যয় করা থেকে বিরত থাকো, তাহলে শত্রুরা শক্তিশালী হবে এবং তোমরা হবে দুর্বল, ফলে ধ্বংস হতে হবে।

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


আর তোমরা আল্লাহ্‌র পথে ব্যয় কর [] এবং স্বহস্তে নিজেদেরকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিও না []। আর তোমরা ইহ্‌সান কর [] , নিশ্চয় আল্লাহ্‌ মুহসীনদের ভালবাসেন। [] এই আয়াত থেকে ফোকাহশাস্ত্রবিদ আলেমগণ এ সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন যে, মুসলিমদের উপর ফরয যাকাত ব্যতীত আরও এমনকিছু দায়-দায়িত্ব ও ব্যয় খাত রয়েছে, যেগুলো ফরয। কিন্তু সেগুলো স্থায়ী কোন খাত নয় কিংবা সেগুলোর জন্য কোন নির্ধারিত নেসাব বা পরিমাণ নেই। বরং যখন যতটুকু প্রয়োজন তখন ততটুকুই খরচ করা প্রত্যেক মুসলিমের উপর ফরয। আর যদি প্রয়োজন না হয়, তবে কিছুই ফরয নয়। জিহাদে অর্থ ব্যয়ও এই পর্যায়ভুক্ত। [ মা'আরিফুল কুরআন ] [] এ আয়াতে স্বেচ্ছায় নিজেকে ধ্বংসের মুখে নিক্ষেপ করতে নিষেধ করা হয়েছে। এখন প্রশ্ন হলো যে, ‘ধ্বংসের মুখে নিক্ষেপ করা’ বলতে এক্ষেত্রে কি বোঝানো হয়েছে? এ প্রসঙ্গে মুফাসসিরগণের অভিমত বিভিন্ন প্রকার। ১.আবু আইয়ুব আনসারী রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, এই আয়াত আমাদের সম্পর্কেই নাযিল হয়েছে। আমরা এর ব্যাখ্যা উত্তমরূপেই জানি। কথা হলো এই যে, আল্লাহ্ তা'আলা ইসলামকে যখন বিজয়ী ও সুপ্রতিষ্ঠিত করলেন, তখন আমাদের মধ্যে আলোচনা হলো যে, এখন আর জিহাদ কি প্রয়োজন? এখন আমরা আপন গৃহে অবস্থান করে বিষয়-সম্পত্তির দেখা-শোনা করি। এ প্রসঙ্গেই এ আয়াতটি নাযিল হল। [ আবু দাউদ: ২৫১২, তিরমিযী: ২৯৭২ ] এতে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে যে, ‘ধ্বংসের দ্বারা এখানে জিহাদ পরিত্যাগ করাকেই বোঝানো হয়েছে। এর দ্বারা প্রমাণিত হচ্ছে যে, জিহাদ পরিত্যাগ করা মুসলিমদের জন্য ধ্বংসেরই কারণ। সে জন্যই আবু আইয়ুব আনসারী রাদিয়াল্লাহু আনহু সারা জীবনই জিহাদ করে গেছেন। শেষ পর্যন্ত ইস্তাম্বুলে শহীদ হয়ে সেখানেই সমাহিত হয়েছেন। আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু, হুযায়ফা রাদিয়াল্লাহু আনহু, কাতাদাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু এবং মুজাহিদ ও যাহহাক রাহিমাহুমুল্লাহ প্রমূখ তাফসীর শাস্ত্রের ইমামগণের কাছ থেকেও এরূপই বর্ণিত হয়েছে। ২.বারা ইবনে আযেব ও নুমান ইবনে বশীর রাদিয়াল্লাহু আনহুমা বলেছেন, পাপের কারণে আল্লাহ্‌র রহমত ও মাগফেরাত থেকে নিরাশ হওয়াও নিজ হাতে নিজেকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেয়ার নামান্তর। [ মাজমাউয যাওয়ায়িদ: ৬/৩১৭ ] এ জন্যই মাগফেরাত সম্পর্কে নিরাশ হওয়া হারাম। ইমাম জাসসাস রাহিমাহুল্লাহ-এর ভাষ্য অনুযায়ী উপরোক্ত দুটি অর্থই এ আয়াত থেকে গ্রহণ করা যেতে পারে। [] এ বাক্যে প্রত্যেক কাজই সুন্দর সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন করার জন্য উৎসাহ দান করা হয়েছে। সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে কাজ করাকে কুরআন ‘ইহসান’ শব্দের দ্বারা প্রকাশ করেছেন। ইহসান দু'রকমঃ [] ইবাদাতে ইহসান ও [] দৈনন্দিন কাজকর্ম, পারিবারিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে ইহসান। ‘ইবাদাতের ইহসান সম্পর্কে স্বয়ং রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম ‘হাদীসে জিবরাঈল’-এ ব্যাখ্যা দিয়েছেন যে, এমনভাবে ইবাদাত কর, যেন তুমি আল্লাহ্‌কে দেখছ। আর যদি সে পর্যায় পর্যন্ত পৌছতে না পার, তবে এ বিশ্বাস রাখা অপরিহার্য যে, স্বয়ং আল্লাহ্‌ তোমাকে দেখছেন। [ মুসলিমঃ ৮ ] এছাড়া দৈনন্দিন কাজকর্ম এবং পারিবারিক ও সামাজিক ব্যাপারে ইহসানের ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে মুআয ইবনে জাবাল রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণিত মুসনাদে আহমাদের এক হাদীসে রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ‘তোমরা নিজেদের জন্য যা কিছু পছন্দ কর, অন্যান্য লোকদের জন্যেও তা পছন্দ করো। আর যা তোমরা নিজেদের জন্য পছন্দ কর না, অন্যের জন্যেও তা পছন্দ করবে না। [ মুসনাদে আহমাদঃ ৫/২৪৭ ]

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


হযরত হুযাইফা ( রাঃ ) বলেন যে, আল্লাহ তা'আলার পথে ব্যয়কারীদের সম্বন্ধে এই আয়াতটি অবতীর্ণ হয় ( সহীহ বুখারী )। মনীষীগণও এই আয়াতের তাফসীরে একথাই বলেছেন। হযরত আবু ইমরান ( রঃ ) বর্ণনা করেন যে, মুহাজিরগণের একব্যক্তি কনস্টান্টিনোপলের যুদ্ধে কাফিরদের সৈন্য বাহিনীর উপর বীরত্বপূর্ণ আক্রমণ চালান এবং তাদের ব্যুহ ভেদ করে শত্রু সৈন্যদের মধ্যে ঢুকে পড়েন। তখন কতকগুলো লোক পরস্পর বলাবলি করে, দেখ! এই ব্যক্তি স্বীয় হস্তদ্বয় ধ্বংসের মধ্যে নিক্ষেপ করছে।' হযরত আবু আইউব ( রঃ ) একথা শুনে বলেনঃ “ এই আয়াতের সঠিক ভাবার্থ আমরাই ভাল জানি । জেনে রেখো যে, এই আয়াতটি আমাদের সম্বন্ধেই অবতীর্ণ হয়। আমরা রাসূলুল্লাহ ( সঃ )-এর সাহচর্যে থেকেছি, তার সাথে যুদ্ধ জিহাদেও অংশগ্রহণ করেছি এবং সদা তার সাহায্যের কাজেই থেকেছি। অবশেষে ইসলাম বিজয়ীর বেশে প্রকাশিত হয় এবং মুসলমানেরা জয় লাভ করে। তখন আমরা আনসারগণ একদা একত্রিত হয়ে এই পরামর্শ করি যে, মহান আল্লাহ তাঁর নবীর ( সঃ ) সাহচর্যের মাধ্যমে আমাদেরকে সম্মানিত করেছেন। আমরা তাঁর সেবার কার্যে নিযুক্ত থেকেছি এবং তার সাথে যুদ্ধে যোগদান করেছি। এখন আল্লাহর ফলে ইসলাম বিস্তারলাভ করেছে, মুসলমানগণ বিজয়ী হয়েছেন এবং যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটেছে। এতদিন ধরে না আমরা আমাদের সন্তানাদির খবরা-খবর নিতে পেরেছি, না মাল-ধন, জমি-জমা ও বাগ-বাগিচার দেখাশুনা করতে পেরেছি। সুতরাং এখন আমাদের পারিবারিক ব্যাপারে মনোযোগ দেয়া উচিত। তখন এই আয়াতটি অবতীর্ণ হয়। সুতরাং জিহাদ ছেড়ে দিয়ে ছেলে-মেয়ে ও ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রতি মনোযোগ দেয়া যেন নিজের হাতে নিজেকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেয়ারই শামিল। ( সুনান-ই-আবু দাউদ, তিরমিযী, সুনান-ই-নাসায়ী ইত্যাদি )। অন্য একটি বর্ণনায় রয়েছে যে, কনস্টান্টিনোপলের যুদ্ধের সময় মিশরীয়দের নেতা ছিলেন হযরত উকবা বিন আমের এবং সিরীয়দের নেতা ছিলেন হযরত ইয়াযীদ বিন ফুযালাহ বিন উবাইদ। হযরত বারা' বিন আযীব ( রাঃ ) কে এক ব্যক্তি জিজ্ঞেস করেনঃ যদি আমি একাকী শত্রু সারির মধ্যে ঢুকে পড়ি এবং তথায় শত্রু পরিবেষ্টিত হয়ে পড়ি ও নিহত হয়ে যাই তবে কি এই আয়াত অনুসারে আমি নিজের জীবনকে নিজেই ধ্বংসকারীরূপে পরিগণিত হবো: তিনি উত্তরে বলেনঃ না না; আল্লাহ তা'আলা স্বীয় নবীকে ( সঃ ) বলেনঃ ( আরবি )অর্থাৎ ( হে নবী সঃ! ) তুমি আল্লাহর পথে যুদ্ধ কর, তুমি শুধু তোমার জীবনেরই মালিক; সুতরাং শুধুমাত্র তোমার জীবনকেই কষ্ট দেয়া হবে ।' বরং ঐ আয়াতটি তো তাদেরই ব্যাপারে অবতীর্ণ হয়েছিল যারা আল্লাহ তাআলার পথে খরচ করা হতে বিরত রয়েছিল ( তাফসীর-ই-ইবনে মিরদুওয়াই ইত্যাদি )। জামেউত্ তিরমিযীর অন্য একটি বর্ণনায় এটুকু বেশীও রয়েছে যে, মানুষের পাপের উপর পাপ কাজ করে যাওয়া এবং তওবা না করাই হচ্ছে নিজের হাতে নিজেকে ধ্বংস করা। মুসনাদ-ই-ইবনে আবি হাতিমের মধ্যে রয়েছে যে, মুসলমানগণ দামেস্ক অবরোধ করেন। ইদিশনাওআহ্' নামক গোত্রের এক ব্যক্তি বীরত্ব দেখিয়ে শত্রুদের মধ্যে ঢুকে পড়ে এবং তাদের ব্যুহ ভেদ করে ভিতরে চলে যায়। জনগণ তাকে খারাপ মনে করে এবং হযরত আমর বিন আল আসের ( রাঃ ) নিকট অভিযোগ পেশ করে। হযরত আমর ( রাঃ ) তাকে ডেকে নেন এবং বলেনঃ কুরআন মাজীদের মধ্যে রয়েছে-‘নিজেদের জীবনকে ধ্বংসের মধ্যে নিক্ষেপ করো না।' হযরত ইবনে আব্বাস ( রাঃ ) বলেন ‘যুদ্ধের মধ্যে এইরূপ বীরত্ব দেখানো জীবনকে ধ্বংসের মধ্যে নিক্ষেপ করা নয় বরং আল্লাহর পথে মাল খরচ না করাই হচ্ছে ধ্বংসের মধ্যে পতিত হওয়া হযরত যহ্হাক বিন আবু জাবিরাহ ( রঃ )বলেন যে, আনসারগণ নিজেদের ধন-মাল আল্লাহ তাআলার পথে খরচ করতে থাকতেন। কিন্তু এই বছর দুর্ভিক্ষ হওয়ায় তারা খরচ হতে বিরত থাকেন। তখন এই আয়াত অবতীর্ণ হয়। হযরত ইমাম হাসান বসরী ( রঃ ) বলেন যে, এর ভাবার্থ হচ্ছে কার্পণ্য করা। হযরত নুমান বিন বাশীর ( রঃ ) বলেন যে, পাপীদের আল্লাহর দয়া হতে নিরাশ হওয়াই হচ্ছে ধ্বংস হওয়া। আর মুফাসসিরগণও বলেন যে, পাপ করার পর ক্ষমা হতে নিরাশ হয়ে গিয়ে পুনরায় পাপ কার্যে লিপ্ত হয়ে পড়াই হচ্ছে স্বীয় হস্তগুলোকে ধ্বংস করা।( আরবি ) শব্দের ভাবার্থ আল্লাহর শাস্তিও বর্ণনা করা হয়েছে। হযরত কারাযী। ( রঃ ) প্রভৃতি মনীষী হতে বর্ণিত আছে যে, জনগণ রাসূলুল্লাহ ( স )-এর সাথে যুদ্ধে যেতো এবং সাথে কোন খরচ নিয়ে যেতো না। তখন হয় তারা ক্ষুধায় মারা যাবে না হয় তাদের বোঝা অন্যদের ঘাড়ে চেপে বসবে। তাই এই আয়াতে তাদেরকে বলা হচ্ছে-আল্লাহ তাআলা তোমাদেরকে যা কিছু দিয়েছেন। তা হতে তাঁর পথে খরচ কর এবং তোমরা নিজেদেরকে ধ্বংসের মুখে নিক্ষেপ করো না। যে ক্ষুধা পিপাসায় বা পায়ে হেঁটে হেঁটে মরে যাবে। এর সাথে সাথে যাদের কাছে কিছু রয়েছে তাদেরকেও নির্দেশ দেয়া হচ্ছে, তোমরা মানুষের হিতসাধন করতে থাকো তাহলে আল্লাহ তা'আলা তোমাদেরকে ভালবাসবেন। তোমরা পুণ্যের প্রত্যেক কাজে খরচ করতে থাকো। বিশেষ করে যুদ্ধের সময় আল্লাহর পথে খরচ করা হতে বিরত থেকো না, এটা প্রকৃতপক্ষে তোমাদেরই ধ্বংস টেনে আনবে। সুতরাং হিতসাধন করা হচ্ছে বড় রকমের আনুগত্য যার নির্দেশ এখানে হচ্ছে যে, হিতসাধনকারীগণ আল্লাহ তা'আলার বন্ধু।

সূরা বাকারাহ্ আয়াত 195 সূরা

وأنفقوا في سبيل الله ولا تلقوا بأيديكم إلى التهلكة وأحسنوا إن الله يحب المحسنين

سورة: البقرة - آية: ( 195 )  - جزء: ( 2 )  -  صفحة: ( 30 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. নভোমন্ডল ও ভূ-মন্ডলের রাজত্ব আল্লাহরই। যেদিন কেয়ামত সংঘটিত হবে, সেদিন মিথ্যাপন্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
  2. আল্লাহর সান্নিধ্যেই তোমাদেরকে ফিরে যেতে হবে। আর তিনি সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান।
  3. তোমরা কি কামতৃপ্তির জন্য নারীদেরকে ছেড়ে পুরুষে উপগত হবে? তোমরা তো এক বর্বর সম্প্রদায়।
  4. আমি শপথ করি কেয়ামত দিবসের,
  5. যদি তারা ঈমান আনত এবং খোদাভীরু হত, তবে আল্লাহর কাছ থেকে উত্তম প্রতিদান পেত। যদি
  6. আমি আপনার পূর্বে পূর্ববর্তী সম্প্রদায়ের মধ্যে রসূল প্রেরণ করেছি।
  7. আল্লাহ সম্মানিত গৃহ কাবাকে মানুষের স্থীতিশীলতার কারণ করেছেন এবং সম্মানিত মাসসমূকে, হারাম কোরবানীর জন্তুকে ও
  8. তখন তাদের ভোগ বিলাস তা তাদের কি কোন উপকারে আসবে?
  9. ফেরাউনের সাঙ্গ-পাঙ্গরা বলতে লাগল, নিশ্চয় লোকটি বিজ্ঞ-যাদুকর।
  10. নভোমন্ডলে ও ভূ-মন্ডলে তাঁরই গৌরব। তিনি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা বাকারাহ্ ডাউনলোড করুন:

সূরা Baqarah mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Baqarah শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Sunday, May 19, 2024

لا تنسنا من دعوة صالحة بظهر الغيب