কোরান সূরা ফুরকান আয়াত 2 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Furqan ayat 2 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা ফুরকান আয়াত 2 আরবি পাঠে(Furqan).
  
   

﴿الَّذِي لَهُ مُلْكُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَلَمْ يَتَّخِذْ وَلَدًا وَلَمْ يَكُن لَّهُ شَرِيكٌ فِي الْمُلْكِ وَخَلَقَ كُلَّ شَيْءٍ فَقَدَّرَهُ تَقْدِيرًا﴾
[ الفرقان: 2]

তিনি হলেন যাঁর রয়েছে নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের রাজত্ব। তিনি কোন সন্তান গ্রহণ করেননি। রাজত্বে তাঁর কোন অংশীদার নেই। তিনি প্রত্যেক বস্তু সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর তাকে শোধিত করেছেন পরিমিতভাবে। [সূরা ফুরকান: 2]

Surah Al-Furqan in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Furqan ayat 2


তিনিই -- মহাকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর সার্বভৌমত্ব তাঁরই, আর তিনি কোনো সন্তান গ্রহণ করেন নি, আর সেই সাম্রাজ্যে তাঁর কোনো শরিকও নেই, আর তিনিই সব-কিছু সৃষ্টি করেছেন, তারপর তাকে বিশেষ পরিমাপে পরিমিত রূপ দিয়েছেন।


Tafsir Mokhtasar Bangla


২. কেবল তাঁর জন্যই আকাশ ও জমিনের মালিকানা। তিনি কোন সন্তান গ্রহণ করেননি। না তাঁর ক্ষমতায় কোন শরীক রয়েছে। তিনি সকল কিছু সৃষ্টি করেছেন। তিনি তাঁর জ্ঞান ও প্রজ্ঞা অনুযায়ী প্রত্যেক সৃষ্টির যথাযোগ্য নিজস্ব পরিমাপ নির্ধারণ করেছেন।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর সার্বভৌমত্ব তাঁরই।[১] তিনি কোন সন্তান গ্রহণ করেননি;[২] সার্বভৌম ক্ষমতায় তাঁর কোন অংশী নেই।[৩] তিনি সমস্ত কিছু সৃষ্টি করেছেন এবং প্রত্যেককে যথোচিত আকৃতি দান করেছেন।[৪] [১] এটি তাঁর প্রথম গুণ। অর্থাৎ সৃষ্টি জগতে একমাত্র আধিপত্য তাঁর, অন্য কারো নয়। [২] এখানে খ্রিষ্টান ও ইয়াহুদীদের এবং আরবের সেই লোকদের বিশ্বাস খন্ডন করা হয়েছে, যারা ফিরিশতাদেরকে আল্লাহর কন্যা মনে করত। [৩] এখানে মূর্তিপূজক মুশরিক ও ( ভাল-মন্দ, আলো-অন্ধকারের স্রষ্টাস্বরূপ ) দুই আল্লাহতে বিশ্বাসীদের বিশ্বাস খন্ডন করা হয়েছে। [৪] প্রত্যেক বস্তুর স্রষ্টা একমাত্র তিনিই এবং তিনি নিজ জ্ঞান ও ইচ্ছানুসারে নিজের সৃষ্টিকে প্রত্যেক সেই জিনিস দান করেছেন যা তার অবস্থার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। অথবা প্রত্যেকের জীবিকা ও মৃত্যু আগে থেকেই নির্ধারিত করে রেখেছেন।

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


যিনি আসমানসমূহ যমীনের সার্বভৌমত্বের অধিকারী; তিনি কোন সন্তান গ্রহণ করেননি; সার্বভৌমত্বে তাঁর কোন শরীক নেই। তিনি সবকিছু সৃষ্টি করেছেন অতঃপর তা নির্ধারণ করেছেন যথাযথ অনুপাতে।

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


১-২ নং আয়াতের তাফসীর আল্লাহ তা'আলা স্বীয় রহমত বা করুণার বর্ণনা দিচ্ছেন যাতে তার মর্যাদা ও শ্রেষ্ঠত্ব জনগণের উপর প্রকাশিত হয়। তাঁর এই করুণা এই যে, তিনি তার পবিত্র কালাম কুরআন কারীমকে স্বীয় বান্দা হযরত মুহাম্মাদ মুস্তফা ( সঃ )-এর উপর অবতীর্ণ করেছেন।সূরায়ে কাহাফের শুরুতেও আল্লাহ তা'আলা স্বীয় প্রশংসা এই বিশেষণ দ্বারাই বর্ণনা করেছেন। এখানে তিনি নিজের সত্তাকে কল্যাণময় বলে বর্ণনা করেছেন।এখানে মহান আল্লাহ ( আরবিক্রিয়া ব্যবহার করেছেন। এর দ্বারা বার বার বেশী বেশী করে অবতীর্ণ হওয়া প্রমাণিত হয়। যেমন তিনি অন্য জায়গায় বলেছেনঃ (আরবি )অর্থাৎ “ যে কিতাব তিনি অবতীর্ণ করেছেন তাঁর রাসূল ( সঃ )-এর উপর এবং যে কিতাব অবতীর্ণ করা হয়েছে ইতিপূর্বে ।( ৪: ১৩৬ ) সুতরাং পূর্ববর্তী কিতাবগুলোকে ( আরবি ) এবং এই শেষ কিতাবকে ( কুরআনকে ) ( আরবি ) দ্বারা বর্ণনা করেছেন। এটা এ কারণেই যে, পূর্ববর্তী কিতাবগুলো এক সাথেই অবতীর্ণ হয়েছিল। আর কুরআন কারীম প্রয়োজন অনুপাতে অল্প অল্প করে অবতীর্ণ হতে থাকে। কখনো কয়েকটি আয়াত, কখনো কয়েকটি সূরা এবং কখনো কিছু আহকাম অবতীর্ণ হতে থাকে। এতে বড় এক নিপুণতা এই ছিল যে, লোকের উপর ওর প্রতি আমল কঠিন ও কষ্টকর না হয়। তারা যেন ওগুলো ভালভাবে মনে রাখতে পারে। আর মেনে নেয়ার জন্যে যেন তাদের অন্তর খুলে যায়। যেমন আল্লাহ তা'আলা এই সূরার মধ্যেই বলেনঃ “ কাফিররা বলে- সমগ্র কুরআন তার নিকট একবারে অবতীর্ণ হলো না কেন? এভাবেই অবতীর্ণ করেছি তোমার হৃদয়কে ওটা দ্বারা মযবুত করবার জন্যে এবং ক্রমে ক্রমে স্পষ্টভাবে আবৃত্তি । করেছি। তারা তোমার নিকট এমন কোন সমস্যা উপস্থিত করেনি যার সঠিক সমাধান ও সুন্দর ব্যাখ্যা আমি তোমাকে দান করিনি।” এখানে এই আয়াতে এর নাম ফুরকান রাখার কারণ এই যে, এটা সত্য ও মিথ্যা এবং হিদায়াত ও গুমরাহীর মধ্যে পার্থক্যকারী। এর দ্বারা ভাল ও মন্দ এবং হালাল ও হারামের মধ্যে পার্থক্য নিরূপিত হয়।কুরআন কারীমের এই পবিত্র বিশেষণ বর্ণনা করার পর যার উপর কুরআন অবতীর্ণ করা হয়েছে তাঁর পবিত্র গুণাবলীর বর্ণনা দেয়া হয়েছে যে, তিনি বিশিষ্টভাবে তাঁরই ইবাদতে লেগে থাকেন। তিনি আল্লাহর বিশিষ্ট বান্দা। এটাই হলো সবচেয়ে বড় গুণ। এজন্যেই বড় বড় নিয়ামতের বর্ণনার সময় রাসূলুল্লাহ ( সঃ )-এর এই বিশেষণেরই বর্ণনা দেয়া হয়েছে। যেমন মিরাজ সম্পৰ্কীয় ঘটনায় তিনি বলেনঃ ( আরবি )অর্থাৎ “ পবিত্র ও মহিমময় তিনি যিনি তাঁর বান্দাকে রজনীযোগে ভ্রমণ করিয়েছিলেন ।( ১৭: ১ ) অন্য জায়গায় দু'আর স্থলে বলেনঃ ( আরবি ) অর্থাৎ “ এবং যখন আল্লাহর বান্দা ( হযরত মুহাম্মাদ সঃ ) ইবাদতের জন্যে দাড়িয়ে যায় ।( ৭২: ১৯ ) এই বিশেষণই কুরআন কারীমের অবতরণ এবং নবী ( সঃ )-এর নিকট বুযর্গ ফেরেশতার আগমনের মর্যাদার বর্ণনার সময় বর্ণিত হয়েছে।এরপর ঘোষিত হচ্ছেঃ এই পবিত্র গ্রন্থ মুহাম্মাদ ( সঃ )-এর উপর অবতীর্ণ করেছেন যাতে তিনি বিশ্বজগতের জন্যে সতর্ককারী হতে পারেন। এটা এমন একটি কিতাব যা সরাসরি হিকমত ও হিদায়াতে পূর্ণ। এই কিতাব বিশ্লেষিত মর্যাদা সম্পন্ন, স্পষ্টভাবে বর্ণিত ও সুদৃঢ়। বাতিল এর আশে পাশেও আসতে পারে না। এটা বিজ্ঞানময় ও প্রশংসিত আল্লাহর নিকট হতে অবতারিত। রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) সারা দুনিয়ায় এর প্রচার চালিয়ে যান। তিনি প্রত্যেক লাল ও সাদাকে এবং দূরের ও কাছের লোকেদেরকে আল্লাহর শাস্তি হতে ভয় প্রদর্শন করেন। যারাই আকাশের নীচে ও পৃথিবীর উপরে রয়েছে তাদের সবারই তিনি রাসূল। যেমন স্বয়ং রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বলেনঃ “ আমি সমস্ত লাল ও সাদা মানুষের নিকট রাসূলরূপে প্রেরিত হয়েছি ।” তিনি আরো বলেনঃ “ আমাকে এমন পাঁচটি জিনিস দেয়া হয়েছে যেগুলো আমার পূর্বে কোন নবীকে দেয়া হয়নি । ওগুলোর মধ্যে একটি এই যে, আমার পূর্ববর্তী এক একজন নবী নিজ নিজ কওমের নিকট প্রেরিত হতেন। কিন্তু আমি সারা দুনিয়ার জন্যে প্রেরিত হয়েছি। স্বয়ং কুরআন কারীমে ঘোষিত হয়েছেঃ( আরবি )অর্থাৎ “ হে নবী ( সঃ )! তুমি বলে দাও- হে লোক সকল! নিশ্চয়ই আমি তোমাদের সবারই নিকট আল্লাহর রাসূল রূপে প্রেরিত হয়েছি ।( ৭: ১৫৮ ) অর্থাৎ আমাকে রাসূলরূপে প্রেরণকারী এবং আমার উপর পবিত্র কিতাব অবতীর্ণকারী হলেন ঐ আল্লাহ যিনি আসমান ও যমীনের একক মালিক। তিনি যখন কোন কাজের ইচ্ছা করেন তখন শুধু বলেন- হও, আর তখনই তা হয়ে যায়। তিনিই মারেন, তিনিই জীবিত রাখেন। তাঁর কোন সন্তান নেই, কোন অংশীদার নেই। সবকিছুই তাঁরই সৃষ্ট। সবাই তাঁরই অধীনে লালিত পালিত। সবারই সৃষ্টিকর্তা, অধিকর্তা, রূযীদাতা, মা'বুদ এবং প্রতিপালক তিনিই। তিনিই প্রত্যেককে পরিমিত করেছেন যথাযথ অনুপাতে।

সূরা ফুরকান আয়াত 2 সূরা

الذي له ملك السموات والأرض ولم يتخذ ولدا ولم يكن له شريك في الملك وخلق كل شيء فقدره تقديرا

سورة: الفرقان - آية: ( 2 )  - جزء: ( 18 )  -  صفحة: ( 359 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. আমাদের আল্লাহর উপর ভরসা না করার কি কারণ থাকতে পারে, অথচ তিনি আমাদেরকে আমাদের পথ
  2. তবুও ওরা একথাই বলবে যে, আমাদের দৃষ্টির বিভ্রাট ঘটানো হয়েছে না বরং আমরা যাদুগ্রস্ত হয়ে
  3. তালাকে-‘রাজঈ’ হ’ল দুবার পর্যন্ত তারপর হয় নিয়মানুযায়ী রাখবে, না হয় সহৃদয়তার সঙ্গে বর্জন করবে। আর
  4. অতঃপর কেয়ামতের দিন তিনি তাদেরকে লাঞ্ছিত করবেন এবং বলবেনঃ আমার অংশীদাররা কোথায়, যাদের ব্যাপারে তোমরা
  5. এবং তার বন্ধনের মত বন্ধন কেউ দিবে না।
  6. কাফেররাই কেবল আল্লাহর আয়াত সম্পর্কে বিতর্ক করে। কাজেই নগরীসমূহে তাদের বিচরণ যেন আপনাকে বিভ্রান্তিতে না
  7. অনুসৃতরা যখন অনুসরণকারীদের প্রতি অসন্তুষ্ট হয়ে যাবে এবং যখন আযাব প্রত্যক্ষ করবে আর বিচ্ছিন্ন হয়ে
  8. না তাদের আল্লাহ তা’আলা ব্যতীত কোন উপাস্য আছে? তারা যাকে শরীক করে, আল্লাহ তা’আলা তা
  9. তোমরা ঐ মহিলার মত হয়ো না, যে পরিশ্রমের পর কাটা সূতা টুকরো টুকরো করে ছিড়ে
  10. আর তোমরা অল্পই উপদেশ গ্রহণ কর। অনেক জনপদকে আমি ধ্বংস করে দিয়েছি। তাদের কাছে আমার

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা ফুরকান ডাউনলোড করুন:

সূরা Furqan mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Furqan শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত ফুরকান  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত ফুরকান  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত ফুরকান  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত ফুরকান  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত ফুরকান  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত ফুরকান  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত ফুরকান  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত ফুরকান  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত ফুরকান  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত ফুরকান  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত ফুরকান  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত ফুরকান  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত ফুরকান  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত ফুরকান  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত ফুরকান  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত ফুরকান  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত ফুরকান  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত ফুরকান  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত ফুরকান  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত ফুরকান  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত ফুরকান  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত ফুরকান  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত ফুরকান  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত ফুরকান  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত ফুরকান  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Thursday, August 15, 2024

Please remember us in your sincere prayers