কোরান সূরা বাকারাহ্ আয়াত 209 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Baqarah ayat 209 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা বাকারাহ্ আয়াত 209 আরবি পাঠে(Baqarah).
  
   

﴿فَإِن زَلَلْتُم مِّن بَعْدِ مَا جَاءَتْكُمُ الْبَيِّنَاتُ فَاعْلَمُوا أَنَّ اللَّهَ عَزِيزٌ حَكِيمٌ﴾
[ البقرة: 209]

অতঃপর তোমাদের মাঝে পরিস্কার নির্দেশ এসে গেছে বলে জানার পরেও যদি তোমরা পদস্খলিত হও, তাহলে নিশ্চিত জেনে রেখো, আল্লাহ, পরাক্রমশালী, বিজ্ঞ। [সূরা বাকারাহ্: 209]

Surah Al-Baqarah in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Baqarah ayat 209


কিন্তু যদি তোমরা পিছলে পড় তোমাদের কাছে স্পষ্ট প্রমাণাবলী আসবার পরেও, তবে জেনে রেখো -- নিঃসন্দেহ আল্লাহ মহাশক্তিশালী, পরমজ্ঞানী।


Tafsir Mokhtasar Bangla


২০৯. তোমাদের নিকট অবিমিশ্র ও সুস্পষ্ট প্রমাণাদি আসার পরও যদি তোমাদের পদস্খলন হয় তাহলে জেনে রাখো, নিশ্চয়ই আল্লাহ তা‘আলা তাঁর শক্তি ও সামর্থ্যে পরাক্রমশালী; তাঁর শরীয়ত রচনা ও বিশ্ব পরিচালনায় প্রজ্ঞাময়। তাই তোমরা তাঁকে সম্মান ও ভয় করে চলো।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


অতঃপর প্রকাশ্য নিদর্শন আসার পরও যদি তোমাদের পদস্খলন ঘটে, তবে জেনে রাখ যে, আল্লাহ মহা পরাক্রান্ত, প্রজ্ঞাময়।

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


অতঃপর তোমাদের কাছে সুস্পষ্ট প্রমাণাদি আসার পর যদি তোমাদের পদস্থলন ঘটে, তবে জেনে রাখ,নিশ্চয় আল্লাহ্‌ মহাপরাক্রান্ত, প্রজ্ঞাময়।

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


২০৮-২০৯ নং আয়াতের তাফসীর আল্লাহ তা'আলা তার উপরে বিশ্বাস স্থাপনকারীগণকে ও তাঁর নবীর ( সঃ ) সত্যতা স্বীকারকারীগণকে নির্দেশ দিচ্ছেন যে, তারা যেন তার সমস্ত নির্দেশ মেনে চলে। এবং সমস্ত নিষিদ্ধ জিনিস হতে বিরত থাকে ও পূর্ণ শরীয়তের উপর আমল করে। ( আরবি ) শব্দের অর্থ হচ্ছে ইসলাম। ভাবার্থ আনুগত্য ও সততাও হতে পারে। ( আরবি ) শব্দের অর্থ হচ্ছে সব কিছু’ ও ‘পরিপূর্ণ হযরত ইকরামার ( রাঃ ) উক্তি এই যে, হযরত আবদুল্লাহ বিন সালাম ( রাঃ ), হযরত আসাদ বিন উবাইদ ( রাঃ ), হযরত সালাবা ( রাঃ ) প্রভৃতি মহাপুরুষ যারা ইয়াহুদী হতে মুসলমান হয়েছিলেন, রাসূলুল্লাহ ( সঃ )-এর নিকট আবেদন জানিয়েছিলেন যে, তাদেরকে যেন শনিবারের দিন উৎসবের দিন হিসেবে পালন করার ও রাত্রে তাওরাতের উপর আমল করার অনুমতি দেয়া হয়। সেই সময় এই আয়াতটি অবতীর্ণ হয়। তাঁদেরকে বলা হয়-ইসলামের নির্দেশাবলীর উপরেই আমল করতে হবে। কিন্তু এখানে হযরত আবদুল্লাহ বিন সালামের ( রাঃ ) নাম ঠিক বলে মনে হয় না। কেননা, তিনি উচ্চ স্তরের পণ্ডিত ছিলেন এবং পূর্ণ মুসলমান ছিলেন। তিনি পূর্ণরূপে অবগত ছিলেন যে, শনিবারের মর্যাদা রহিত হয়ে গেছে। এর পরিবর্তে শুক্রবার ইসলামের উৎসবের দিন হিসেবে নির্ধারিত হয়েছে। সুতরাং এটা অসম্ভব কথা যে, এরূপ অভিলাষের উপর তিনি অন্যদের সাথে হাত মেলাবেন। কোন কোন তাফসীরকারক ( আরবি ) শব্দটিকে ( আরবি ) বলেছেন। অর্থাৎ ‘তোমরা সবাই ইসলামের মধ্যে প্রবেশ কর। কিন্তু প্রথম উক্তিটি অধিকতর সঠিক। অর্থাৎ “ তোমরা সাধ্যানুসারে ইসলামের প্রত্যেক নির্দেশ মেনে চল ।' হযরত ইবনে আব্বাস ( রাঃ ) বর্ণনা করেন যে, আহলে কিতাব ইসলাম গ্রহণের পরেও তাওরাতের কতকগুলো নির্দেশ মেনে চলতো। তাদেরকেই বলা হচ্ছে-দ্বীনে মুহাম্মদীর ( সঃ ) মধ্যে পুরোপুরি এসে যাও। ওর কোন আমলই পরিত্যাগ করো না। তাওরাতের উপর শুধু ঈমান রাখাই যথেষ্ট।অতঃপর বলা হচ্ছে-‘তোমরা একমাত্র আল্লাহ তা'আলারই আনুগত্য স্বীকার কর, শয়তানের পদাংক অনুসরণ করো না। সে তো শুধুমাত্র পাপ ও অন্যায় কার্যেরই নির্দেশ দিয়ে থাকে এবং আল্লাহ তা'আলার উপর মিথ্যা অপবাদ দেয়ার কথা বলে থাকে। তার ও তার দলের ইচ্ছে এটাই যে,তোমরা দোযখবাসী হয়ে যাও। সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু'। এর পরে বলা হচ্ছে-প্রমাণাদি জেনে নেয়ার পরেও যদি তোমরা সত্য হতে সরে পড় তবে জেনে রেখো যে, আল্লাহ তাআলা প্রতিদান দেয়ার ব্যাপারে প্রবল পরাক্রান্ত। না তার থেকে কেউ পলায়ন করতে পারবে, না তার উপর কেউ প্রভাব বিস্তার করতে পারবে। তিনি তাঁর নির্দেশাবলী চালু করার ব্যাপারে মহা বিজ্ঞানময়। পাকড়াও করার কাজে তিনি মহান পরাক্রমশালী, এবং নির্দেশ জারী করার কার্যে তিনি মহা বিজ্ঞানময়। তিনি কাফিরদের উপর প্রভূতু বিস্তারকারী এবং তাদের ওজর ও প্রমাণ কর্তন করার ব্যাপারে তিনি নৈপুণ্যের অধিকারী।

সূরা বাকারাহ্ আয়াত 209 সূরা

فإن زللتم من بعد ما جاءتكم البينات فاعلموا أن الله عزيز حكيم

سورة: البقرة - آية: ( 209 )  - جزء: ( 2 )  -  صفحة: ( 32 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. এবং সমুন্নত ছাদের,
  2. আমি তো শুধু একজন সুস্পষ্ট সতর্ককারী।
  3. আল্লাহ তোমাদের জন্যে তোমাদেরই শ্রেণী থেকে জোড়া পয়দা করেছেন এবং তোমাদের যুগল থেকে তোমাদেরকে পুত্র
  4. তিনি বললেনঃ তোমরা প্রকাশ্য গোমরাহীতে আছ এবং তোমাদের বাপ-দাদারাও।
  5. তোমরা কি অনুধাবন কর না?
  6. এটা এজন্যে যে, তারা সেই বিষয়ের অনুসরণ করে, যা আল্লাহর অসন্তোষ সৃষ্টি করে এবং আল্লাহর
  7. আল্লাহ বললেনঃ নিশ্চয় আমি সে খাঞ্চা তোমাদের প্রতি অবতরণ করব। অতঃপর যে ব্যাক্তি এর পরেও
  8. মূসা বলল, হে আমার পালনকর্তা, আমি তাদের এক ব্যক্তিকে হত্যা করেছি। কাজেই আমি ভয় করছি
  9. যারা প্রাচীরের আড়াল থেকে আপনাকে উচুস্বরে ডাকে, তাদের অধিকাংশই অবুঝ।
  10. কিন্তু যারা ভয় করে নিজেদের পালনকর্তাকে তাদের জন্যে রয়েছে জান্নাত যার তলদেশে প্রবাহিত রয়েছে প্রস্রবণ।

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা বাকারাহ্ ডাউনলোড করুন:

সূরা Baqarah mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Baqarah শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Sunday, December 22, 2024

Please remember us in your sincere prayers