কোরান সূরা বনী ইসরাঈল আয়াত 21 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Al Isra ayat 21 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা বনী ইসরাঈল আয়াত 21 আরবি পাঠে(Al Isra).
  
   

﴿انظُرْ كَيْفَ فَضَّلْنَا بَعْضَهُمْ عَلَىٰ بَعْضٍ ۚ وَلَلْآخِرَةُ أَكْبَرُ دَرَجَاتٍ وَأَكْبَرُ تَفْضِيلًا﴾
[ الإسراء: 21]

দেখুন, আমি তাদের একদলকে অপরের উপর কিভাবে শ্রেষ্ঠত্ব দান করলাম। পরকাল তো নিশ্চয়ই মর্তবায় শ্রেষ্ঠ এবং ফযীলতে শ্রেষ্ঠতম। [সূরা বনী ইসরাঈল: 21]

Surah Al-Isra in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Al Isra ayat 21


দেখ কেমন ক’রে আমরা তাদের কাউকে শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছি অন্যের উপরে। আর পরকাল নিশ্চয়ই মর্যাদার দিক দিয়ে শ্রেষ্ঠ এবং মহিমার দিক দিয়েও শ্রেষ্ঠ।


Tafsir Mokhtasar Bangla


২১. হে রাসূল! আপনি একটু চিন্তা করে দেখুন, আমি কীভাবে দুনিয়াতে তাদের কাউকে রিযিক ও মর্যাদার দিক দিয়ে অন্যের উপর শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছি। বস্তুতঃ দুনিয়ার নিয়ামতের তুলনায় আখিরাতের নিয়ামতে বড় ফারাক ও মহা শ্রেষ্ঠত্ব রয়েছে। একজন মু’মিনকে সে ব্যাপারেই একান্ত আগ্রহী হতে হবে।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


লক্ষ্য কর, আমি কিভাবে তাদের এক দলকে অপরের উপর শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছি। আর নিশ্চয়ই পরকাল মর্যাদায় বৃহত্তর ও মাহাত্ম্যেও শ্রেষ্ঠতর। [১] [১] তবে দুনিয়ার এই ভোগ-সম্ভার কেউ কম পায়, কেউ বেশী। মহান আল্লাহ স্বীয় কৌশলের ভিত্তিতে এবং ভাল-মন্দের দিক বিবেচনা করে তা বণ্টন করে থাকেন। আখেরাতে কিন্তু মর্যাদার মধ্যে তফাৎ স্পষ্টরূপে বিকশিত হবে। আর তা হবে এইভাবে যে, ঈমানদাররা জান্নাতে এবং কাফেররা জাহান্নামে প্রবেশ করবে।

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


লক্ষ্য করুন, আমরা কীভাবে তাদের একদলকে অন্যের উপর শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছি, আখিরাত তো অবশ্যই মর্যাদায় মহত্তর ও শ্রেষ্ঠত্বে বৃহত্তর [] [] আর্থাৎ দেখুন, কিভাবে আমরা দুনিয়াতে মানুষকে একে অপরের উপর শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছি। তাদের মধ্যে কেউ ধনী, কেউ গরীব আবার কেউ মাঝামাঝি। অন্যদিকে কেউ সুন্দর কেউ কুৎসিত, আবার কেউ মাঝামাঝি। কেউ শক্তিশালী, কেউ দূর্বল। কেউ সুস্থ, কেউ অসুস্থ, কেউ আহমক, কেউ বুদ্ধিমান। দুনিয়াতে এ পার্থক্য মানুষের মধ্যে আছেই। এটা আল্লাহই করে দিয়েছেন। এর রহস্য মানুষের বুঝার বাইরে। [ ফাতহুল কাদীর ] কিন্তু আখেরাতের শ্রেষ্ঠত্ব ঈমানদারদেরই থাকবে। সেখানকার পার্থক্য দুনিয়ার পার্থক্যের চেয়ে বড় হয়ে দেখা দিবে। সেখানে কেউ থাকবে জাহান্নামের নীচের স্তরে, জাহান্নামের জিঞ্জির ও লোহার বেড়ির মধ্যে আবদ্ধ। আর কেউ থাকবে জান্নাতের উচুস্তরে, নেয়ামতের মধ্যে, খুশির মধ্যে। তারপর আবার জাহান্নামের লোকদেরও ভিন্ন ভিন্ন স্তর হবে। আর জান্নাতের লোকদের স্তরও বিভিন্ন হবে। তাদের কারও মর্যাদা অপরের মর্যাদার চেয়ে আসমান ও যমীনের মধ্যকার পার্থক্যের মত হবে। বরং উঁচু স্তরে যে সমস্ত জান্নাতীরা থাকবে তারাই ইল্লিয়ীনবাসীদের দেখবে, যেমন দূরের কোন নক্ষত্ৰকে আকাশের প্রান্তে কেউ দেখতে পায়। [ ইবন কাসীর ]

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


২০-২১ নং আয়াতের তাফসীর অর্থাৎ এই দুই প্রকারের লোকদেরকে আমি ( আল্লাহ ) বাড়িয়ে দিয়ে থাকি। এক প্রকার হলো তারা, যারা শুধু দুনিয়াই কামনা করে। আর দ্বিতীয় প্রকারের লোক হলো তারা, যারা পরকাল চায়। এদের যারা যেটা চায়, তার জন্যে সেটাই বৃদ্ধি করে থাকি। হে নবী ( সঃ )! এটা তোমার প্রতিপালকের বিশেষ দান। তিনি এমন দানকারী ও এমন বিচারক যিনি কখনো জুলুম করেন না। ভাগ্যবানকে সৌভাগ্যবান এবং হতভাগ্যকে তিনি দুর্ভোগ দিয়ে থাকেন। তাঁর আহকাম কেউ খণ্ডন করতে পারে না। তোমার প্রতিপালকের দান অসাধারণ। তা কারো বন্ধ করার দ্বারা বন্ধও হয় না এবং কেউ সরাবার চেষ্টা করলে তা সরেও যায় না। তাঁর দান অফুরন্ত, তা কখনো কমে যায় না।মহান আল্লাহ বলেনঃ ‘দেখো, দুনিয়ায় আমি মানুষের বিভিন্ন শ্রেণী রেখেছি। তাদের মধ্যে ধনীও আছে, ফকীরও আছে এবং মধ্যবিত্ত আছে। কেউ। বাল্যবস্থাতেই মৃত্যুবরণ করছে, কেউ পূর্ণ বার্ধক্যে উপনীত হয়ে মারা যাচ্ছে, আবার কেউ এ দুয়ের মাঝামাঝি বয়সে মারা যাচ্ছে। শ্রেণী বিভাগের দিক দিয়ে আখেরাত দুনিয়ার চেয়েও বেড়ে রয়েছে। কেউ তো শৃংখল পরিহিত হয়ে জাহান্নামের গর্তে অবস্থান করবে এবং কেউ জান্নাতে চরম সুখে কালাতিপাত। করবে। তারা তথায় বিরাট অট্টালিকায় নিয়ামত, শান্তিতে আরামের মধ্যে থাকবে। জান্নাতীদের মধ্যেও আবার শ্রেণী বিভাগ রয়েছে। এক একটি শ্রেণী ও স্তরের মধ্যে আকাশ পাতালের ব্যবধান ও তারতম্য রয়েছে। জান্নাতের মধ্যে এইরূপ একশটি শ্রেণী রয়েছে। যারা সর্বোচ্চ শ্রেণীতে অবস্থান করবে তারা ইল্লীঈনকে এমনই দেখবে যেমন তোমরা কোন উজ্জ্বল তারকাকে উচ্চাকাশে দেখে থাকো। সুতরাং আখেরাত শ্রেণী ও ফজীলতের দিক দিয়ে খুবই বড়। তিবরানীর ( রঃ ) হাদীসে রয়েছে যে, যে বান্দা দুনিয়ায় যে দরজা বা শ্রেণী বাড়াতে চাইবে এবং নিজের চাহিদা পূরণে সফলকাম হবে, সে তার আখেরাতের দরজা বা শ্রেণীর মান কমিয়ে দেবে এবং তার দুনিয়ার চাহিদায় সে কৃতকার্য হবে। ফলে তার আখেরাতের শ্রেণীর মান হ্রাস পাবে, যা দুনিয়ার তুলনায় অনেক বড়। অতঃপর রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) উপরোক্ত আয়াতটি পাঠ করেন।

সূরা বনী ইসরাঈল আয়াত 21 সূরা

انظر كيف فضلنا بعضهم على بعض وللآخرة أكبر درجات وأكبر تفضيلا

سورة: الإسراء - آية: ( 21 )  - جزء: ( 15 )  -  صفحة: ( 284 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. এবং দেয় সামান্যই ও পাষাণ হয়ে যায়।
  2. তারা সবর করত বিধায় আমি তাদের মধ্য থেকে নেতা মনোনীত করেছিলাম, যারা আমার আদেশে পথ
  3. আপনি তাকে অবজ্ঞা করলেন।
  4. সেদিন কেয়ামত সংঘটিত হবে।
  5. মূসা বললেনঃ বরং তোমরাই নিক্ষেপ কর। তাদের যাদুর প্রভাবে হঠাৎ তাঁর মনে হল, যেন তাদের
  6. তোমাদের সৃষ্টি অধিক কঠিন না আকাশের, যা তিনি নির্মাণ করেছেন?
  7. আর তাদের মধ্যে এমন কি বিষয় রয়েছে, যার ফলে আল্লাহ তাদের উপর আযাব দান করবেন
  8. আর আদ জাতির প্রতি আমি তাদের ভাই হুদকে প্রেরণ করেছি; তিনি বলেন-হে আমার জাতি, আল্লাহর
  9. হে মানব মন্ডলী, পৃথিবীর হালাল ও পবিত্র বস্তু-সামগ্রী ভক্ষন কর। আর শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো
  10. তোমাদের পালনকর্তা তিনিই, যিনি তোমাদের জন্যে সমুদ্রে জলযান চালনা করেন, যাতে তোমরা তার অনুগ্রহ অন্বেষন

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা বনী ইসরাঈল ডাউনলোড করুন:

সূরা Al Isra mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Al Isra শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত বনী ইসরাঈল  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত বনী ইসরাঈল  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত বনী ইসরাঈল  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত বনী ইসরাঈল  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত বনী ইসরাঈল  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত বনী ইসরাঈল  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত বনী ইসরাঈল  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত বনী ইসরাঈল  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত বনী ইসরাঈল  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত বনী ইসরাঈল  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত বনী ইসরাঈল  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত বনী ইসরাঈল  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত বনী ইসরাঈল  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত বনী ইসরাঈল  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত বনী ইসরাঈল  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত বনী ইসরাঈল  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত বনী ইসরাঈল  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত বনী ইসরাঈল  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত বনী ইসরাঈল  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত বনী ইসরাঈল  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত বনী ইসরাঈল  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত বনী ইসরাঈল  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত বনী ইসরাঈল  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত বনী ইসরাঈল  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত বনী ইসরাঈল  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Sunday, May 12, 2024

لا تنسنا من دعوة صالحة بظهر الغيب