কোরান সূরা লাইল আয়াত 21 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Lail ayat 21 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা লাইল আয়াত 21 আরবি পাঠে(Lail).
  
   

﴿وَلَسَوْفَ يَرْضَىٰ﴾
[ الليل: 21]

সে সত্বরই সন্তুষ্টি লাভ করবে। [সূরা লাইল: 21]

Surah Al-Layl in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Lail ayat 21


আর অচিরেই সে তো সন্তোষ লাভ করবেই।


Tafsir Mokhtasar Bangla


২১. সে অচিরেই তাঁর রবের পক্ষ থেকে সম্মানজনক প্রতিদানলাভে সন্তুষ্ট হবে।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


আর সে অচিরেই সন্তুষ্ট হবে। [১] [১] অথবা সে রাযী হয়ে যাবে। অর্থাৎ, যে ব্যক্তি এই সমস্ত গুণের অধিকারী হবে, আল্লাহ তাকে জান্নাতের নিয়ামত এবং সম্মান ও মর্যাদা দান করবেন। যার কারণে সে সন্তুষ্ট ও রাযী হয়ে যাবে। অধিকাংশ ব্যাখ্যাতাগণ বলেছেন, বরং কেউ কেউ এ ব্যাপারে 'ইজমা' ( ঐক্যমত ) বর্ণনা করেছেন যে, এই আয়াতগুলি আবু বাকর ( রাঃ )-এর শানে অবতীর্ণ হয়েছে। তবুও অর্থের দিক দিয়ে তা ব্যাপক। যে ব্যক্তি অনুরূপ উচ্চ গুণে গুণাম্বিত হবে, সেও আল্লাহর দরবারে উক্ত মর্যাদার অধিকারী হবে।

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


আর অচিরেই সে সস্তুষ্ট হবে []। [] বলা হয়েছে, শীঘ্রই আল্লাহ্ এ ব্যক্তিকে এত-কিছু দেবেন যার ফলে সে খুশী হয়ে যাবে। অর্থাৎ যে ব্যক্তি কেবলমাত্র আল্লাহ্র সস্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যেই দুনিয়াতে তার ধনসম্পদ ব্যয় করেছে এবং কষ্ট করেছে, আল্লাহ্ তা‘আলাও আখেরাতে তাকে সন্তুষ্ট করবেন এবং জান্নাতের মহা নেয়ামত তাকে দান করবেন। [ তাবারী ] এই শেষ বাক্যটি মুত্তাকীদের জন্য, বিশেষ করে আবুবকর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু-এর জন্যে একটি বিরাট সুসংবাদআল্লাহ্ তাকে সন্তুষ্ট করবেন-এ সংবাদ এখানে তাকে শোনানো হয়েছে। [ আদ্ওয়াউল বায়ান ]

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


১২-২১ নং আয়াতের তাফসীর কাতাদা ( রঃ ) বলেন যে,( আরবি ) এর ভাবার্থ হলোঃ আমার কাজ তো শুধু হালাল হারাম প্রকাশ করে দেয়া। এটাও অর্থ হয় যে, যে ব্যক্তি হিদায়াতের পথে চলেছে নিশ্চয়ই তার আল্লাহর সঙ্গে মিলন ঘটবে। মহান আল্লাহ বলেনঃ আমি তো পরলোকের ও ইহলোকের মালিক। আমি তোমাদেরকে লেলিহান অগ্নি সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়েছি।মুসনাদে আহমদে হযরত নুমান ইবনে বাশীর ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, তিনি রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) কে ভাষণে বলতে শুনেনঃ ( হে জনমণ্ডলী! ) আমি তোমাদেরকে লেলিহান অগ্নি সম্পর্কে ভয় প্রদর্শন করছি ।” তিনি একথা এতো উচ্চস্বরে বলছিলেন যে, বাজার থেকেও লোক তাঁর কথা শুনতে পাচ্ছিল। তিনি একথা বারবার বলছিলেন এমন কি তাঁর চাদর মুবারক তাঁর কাঁধ থেকে লুটিয়ে পায়ের কাছে গিয়ে পড়ে।হযরত নুমান ইবনে বাশীর ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বলেছেনঃ “ কিয়ামতের দিন যে জাহান্নামী ব্যক্তি সবচেয়ে কম শাস্তি প্রাপ্ত হবে তার পদদ্বয়ের নিচে দু'টুকরো অগ্নি স্ফুলিঙ্গ রাখা হবে, ঐ আগুনের তাপে লোকটির মগজ ফুটতে থাকবে ।( এ হাদীসটি ইমাম বুখারী (রঃ ) বর্ণনা করেছেন)সহীহ মুসলিমে হযরত নুমান ইবনে বাশীর ( রাঃ ) হতেই বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বলেছেনঃ “ যেই জাহান্নামীকে সবচেয়ে হালকা শাস্তি দেয়া হবে তার পদদ্বয়ে আগুনের এক জোড়া ফিতাযুক্ত সেণ্ডেল পরিয়ে দেয়া হবে, সেই আগুনের তাপে তার মাথার মগজ উনুনের উপরের হাঁড়ির পানির মত টগবগ করে ফুটতে থাকবে । যদিও তাকে সবচেয়ে কম শাস্তি দেয়া হবে তবুও সে মনে করবে যে, তার চেয়ে কঠিন শাস্তি আর কাউকেও দেয়া হচ্ছে না।" মহা পরাক্রমশালী আল্লাহ বলেন, তাতে প্রবেশ করবে সেই নিতান্ত যে হতভাগা। অর্থাৎ এই জাহান্নামে শুধু ঐ লোকদেরকে পরিবেষ্টিত করে শাস্তি দেয়া হবে যারা অস্বীকার করে ও মুখ ফিরিয়ে নেয়। যারা ইসলামের বিধান অনুযায়ী আমল করে না।মুসনাদে আহমদে হযরত আবু হুরাইরা ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বলেছেনঃ শুধু শকী বা বদকার লোক ছাড়া কেউ জাহান্নামে যাবে না।” জিজ্ঞেস করা হলোঃ “ শকী বা বদকার লোক কে?" উত্তরে তিনি বললেনঃ যে আনুগত্যপরায়ণ নয় এবং আল্লাহর ভয়ে যে পাপ কাজ হতে বিরত থাকে ।”মুসনাদে আহমদে হযরত আবু হুরাইরা ( রাঃ ) হতেই বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বলেছেনঃ “ আমার সকল উম্মত জান্নাতে প্রবেশ করবে, শুধু তারা প্রবেশ করবে না যারা অস্বীকার করে ।” জিজ্ঞেস করা হলোঃ আল্লাহর রাসূল ( সঃ )! অস্বীকারকারী কারা? তিনি উত্তরে বললেনঃ “যারা আমার আনুগত্য করেছে তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে, আর যারা আমার নাফরমানী করেছে তারাই অস্বীকারকারী ।”এরপর আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ আর জাহান্নাম হতে বহু দূরে রাখা হবে পরম ' মুত্তাকীকে। যে নিজেকে ও নিজের ধন সম্পদকে পবিত্র করার জন্যে, দ্বীন দুনিয়ার পবিত্রতা লাভের জন্যে নিজের ধন মালকে আল্লাহর পথে দান করে। আর সে কারো সাথে এই জন্যে সদ্ব্যবহার করে না যে, তার উপর তার অনুগ্রহ রয়েছে, বরং ঐ ক্ষেত্রেও সে পরকালে জান্নাত লাভের আশা পোষণ করে এবং সেখানে আল্লাহ তাবারাকা ওয়া তা'আলার সন্তুষ্টি ও সাক্ষাৎ লাভের আশা রাখে। এরপর আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ “ অচিরেই এই ধরনের গুণাবলীর অধিকারী ব্যক্তি সন্তোষ লাভ করবে ।” অধিকাংশ তাফসীরকারের মতে এই আয়াত হযরত আবু বকর ( রাঃ )-এর শানে নাযিল হয়। এমনকি কোন কোন তাফসীরকার বলেন যে, এ ব্যাপারে সবারই মতৈক্য রয়েছে। এতে কোন সন্দেহ নেই যে, এসবগুণ বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে হযরত আবু বকর ( রাঃ ) অবশ্যই রয়েছেন। কিন্তু এখানে সাধারণভাবে সকল উম্মতের কথা বলা হয়েছে। তবে হযরত আবু বকর ( রাঃ ) সবারই প্রথমে রয়েছেন। কেননা, তিনি ছিলেন সিদ্দীক, পরহেযগার ও দানশীল। নিজের ধন মাল তিনি মহান প্রতিপালকের আনুগত্যে এবং রাসূলুল্লাহ ( সঃ )-এর সাহায্যার্থে মন খুলে দান করতেন। প্রত্যেকের সাথে তিনি সদ্ব্যবহার করতেন। এতে পার্থিব কোন লাভ বা উপকার আশা করতেন না। কোন বিনিময় তিনি চাইতেন না। তার একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল আল্লাহর সন্তুষ্টি এবং রাসূলুল্লাহ ( সঃ )-এর আনুগত্য। ছোট হোক আর বড় হোক প্রত্যেকেরই উপর হযরত আবু বকর ( রাঃ )-এর অনুগ্রহের ছোঁয়া ছিল। শকীফ গোত্রপতি উরওয়া ইবনে মাসউদকে হুদাইবিয়ার সন্ধির সময় হযরত আবু বকর ( রাঃ ) কিছু কড়া কথা শুনিয়ে ছিলেন। এবং ধমকিয়ে ছিলেন। তখন উরওয়া বলেছিলঃ “ আমার উপর আপনার এমন কিছু অনুগ্রহ রয়েছে যার প্রতিদান দেয়া আমার পক্ষে সম্ভব নয় । যদি তা না হতো তবে আপনাকে অবশ্যই আমি জবাব দিতাম।” একজন বিশিষ্ট গোত্রপতির উপরও যখন হযরত আবু বকর ( রাঃ )-এর এমন অনুগ্রহ ছিল যে, তার সামনে তার মাথা উঁচু করে কথা বলার ক্ষমতা ছিল, তখন অন্যদের কথা আর কি বলা যাবে? এজন্যেই বলা হয়েছে যে, কারো প্রতি অনুগ্রহের বিনিময়ে পার্থিব কোন উপকার বা প্রতিদান তিনি চাইতেন না। শুধু আল্লাহর দীদার লাভই ছিল তার কাম্য।সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিমে রয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বলেছেনঃ “ যে ব্যক্তি আল্লাহর পথে জোড়া দান করবে তাকে কিয়ামতের দিন জান্নাতের রক্ষক ডাক দিয়ে বলবেনঃ “হে আল্লাহর বান্দা! এ দিকে আসুন । এই দরজা সবচেয়ে উত্তম।” তখন হযরত আবু বকর ( রাঃ ) বলেনঃ “ হে আল্লাহর রাসূল ( সঃ ) কোন ব্যক্তিকে কি সকল দরজা থেকে আহ্বান করা হবে?” উত্তরে রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বললেনঃ “হ্যাঁ, আর আমি আল্লাহর নিকট আশা রাখি যে, তুমিও হবে তাদের অন্তর্ভুক্ত ।

সূরা লাইল আয়াত 21 সূরা

ولسوف يرضى

سورة: الليل - آية: ( 21 )  - جزء: ( 30 )  -  صفحة: ( 596 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. অতঃপর সত্য সত্যই এক ভয়ংকর শব্দ তাদেরকে হতচকিত করল এবং আমি তাদেরকে বাত্যা-তাড়িত আবর্জনা সদৃশ
  2. এরপর তার পালনকর্তা তাকে মনোনীত করলেন, তার প্রতি মনোযোগী হলেন এবং তাকে সুপথে আনয়ন করলেন।
  3. অতঃপর আমি তাদের পরে মূসাকে পাঠিয়েছি নিদর্শনাবলী দিয়ে ফেরাউন ও তার সভাসদদের নিকট। বস্তুতঃ ওরা
  4. যেদিন আল্লাহ সবাইকে একত্রিত করবেন, হে জিন সম্প্রদায়, তোমরা মানুষদের মধ্যে অনেককে অনুগামী করে নিয়েছ।
  5. এখন একথা বলছ! অথচ তুমি ইতিপূর্বে না-ফরমানী করছিলে। এবং পথভ্রষ্টদেরই অন্তর্ভুক্ত ছিলে।
  6. আলিফ-লাম-মীম।
  7. খোদাভীরুদের মধ্য থেকে দু’ব্যক্তি বলল, যাদের প্রতি আল্লাহ অনুগ্রহ করেছিলেনঃ তোমরা তাদের উপর আক্রমণ করে
  8. কাফেররা বলেঃ এই প্রতিশ্রুতি কবে হবে, যদি তোমরা সত্যবাদী হও?
  9. অতঃপর আমি তাঁর আহবানে সাড়া দিলাম এবং তাঁর দুঃখকষ্ট দূর করে দিলাম এবং তাঁর পরিবরাবর্গ
  10. তারা যদি আপনার প্রতি মিথ্যারোপ করে, তাদের পূর্ববর্তীরাও মিথ্যারোপ করেছিল। তাদের কাছে তাদের রসূলগণ স্পষ্ট

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা লাইল ডাউনলোড করুন:

সূরা Lail mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Lail শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত লাইল  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত লাইল  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত লাইল  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত লাইল  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত লাইল  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত লাইল  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত লাইল  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত লাইল  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত লাইল  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত লাইল  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত লাইল  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত লাইল  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত লাইল  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত লাইল  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত লাইল  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত লাইল  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত লাইল  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত লাইল  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত লাইল  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত লাইল  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত লাইল  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত লাইল  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত লাইল  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত লাইল  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত লাইল  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Monday, November 4, 2024

Please remember us in your sincere prayers