কোরান সূরা বাকারাহ্ আয়াত 212 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Baqarah ayat 212 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা বাকারাহ্ আয়াত 212 আরবি পাঠে(Baqarah).
  
   

﴿زُيِّنَ لِلَّذِينَ كَفَرُوا الْحَيَاةُ الدُّنْيَا وَيَسْخَرُونَ مِنَ الَّذِينَ آمَنُوا ۘ وَالَّذِينَ اتَّقَوْا فَوْقَهُمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ ۗ وَاللَّهُ يَرْزُقُ مَن يَشَاءُ بِغَيْرِ حِسَابٍ﴾
[ البقرة: 212]

পার্থিব জীবনের উপর কাফেরদিগকে উম্মত্ত করে দেয়া হয়েছে। আর তারা ঈমানদারদের প্রতি লক্ষ্য করে হাসাহাসি করে। পক্ষান্তরে যারা পরহেযগার তারা সেই কাফেরদের তুলনায় কেয়ামতের দিন অত্যন্ত উচ্চমর্যাদায় থাকবে। আর আল্লাহ যাকে ইচ্ছা সীমাহীন রুযী দান করেন। [সূরা বাকারাহ্: 212]

Surah Al-Baqarah in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Baqarah ayat 212


যারা অবিশ্বাস পোষণ করে তাদের কাছে এই দুনিয়ার জীবন মনোরম ঠেকে, আর তারা মস্করা করে যারা ঈমান এনেছে তাদের। আর যারা ধর্মপরায়ণতা অবলন্বন করে তারা কিয়ামতের দিন ওদের উপরে থাকবে। আর আল্লাহ্ যাকে ইচ্ছে করেন বে-হিসাব রিযেক দান করেন।


Tafsir Mokhtasar Bangla


২১২. কাফিরদের জন্য দুনিয়ার জীবন এবং তাতে যে অস্থায়ী ভোগবিলাসের সামগ্রী রয়েছে তা খুব প্রিয় ও লোভনীয় করে দেয়া হয়েছে। তারা আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাসীদেরকে নিয়ে ঠাট্টা করে। অথচ যারা আল্লাহর বিধি-নিষেধ মেনে তাঁকে ভয় করে তারাই পরকালে মর্যাদার ক্ষেত্রে কাফিরদের অনেক উপরে অবস্থান করবে। কারণ, আল্লাহ তা‘আলা তাদেরকে আদন নামক জান্নাত দিবেন। তবে দুনিয়ায় রিযিকদানের ক্ষেত্রে আল্লাহ তা‘আলা তাঁর সৃষ্টির যাকে চান তাকে বিনা হিসাবে অপরিমিত দিয়ে থাকেন।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


সত্য প্রত্যাখ্যানকারী ( কাফের )দের জন্য পার্থিব জীবন সুশোভিত করা হয়েছে। তারা বিশ্বাসী ( মুমিন )গণকে ঠাট্টা-বিদ্রূপ করে থাকে।[১] অথচ যারা ধর্মভীরু তারা শেষ বিচারের দিন তারা তাদের ঊর্ধ্বে ( বেহেশ্তে ) থাকবে । আর আল্লাহ যাকে ইচ্ছা ( ইহ-পরকালে ) অশেষ জীবিকা দান করে থাকেন।[২] [১] যেহেতু বেশীরভাগ মুসলিমরা দরিদ্র ছিল, পার্থিব সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য ও সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত ছিল। তাই কাফেররা অর্থাৎ, মক্কার কুরাইশরা তাদেরকে নিয়ে উপহাস করত। যেমন, প্রত্যেক যুগের বিত্তশালীদের চিরাচরিত এই একই রীতি। [২] ঈমানদারদের দরিদ্রতাময় এবং বিলাসবিহীন জীবনের কারণে কাফেররা যে তাদের নিয়ে উপহাস ও বিদ্রূপ করত, সে কথা উল্লেখ করে বলা হচ্ছে যে, কিয়ামতের দিন এই দরিদ্র মানুষগুলো তাদের আল্লাহভীরুতার গুণে শীর্ষস্থান লাভ করবে। 'অশেষ জীবিকা'র সম্পর্ক আখেরাত ও দুনিয়া দু'টোরই সাথে হতে পারে। কেননা, কয়েক বছরের মধ্যেই মহান আল্লাহ এই দরিদ্র লোকদের জন্য দেশ বিজয়ের দরজা খুলে দিয়েছিলেন, যার ফলে পার্থিব ভোগসামগ্রী ও রুযীর প্রাচুর্য নেমে এসেছিল তাদের জীবনে।

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


যারা কুফুরী করে তাদের জন্য দুনিয়ার জীবন সুশোভিত করা হয়েছে এবং তারা মুমিনদের কে ঠাট্টা-বিদ্রুপ করে থাকে। আর যারা তাকওয়া অবলম্বন করে কেয়ামতের দিন তারা তাদের উর্ধ্বে থাকবে। আর আল্লাহ্‌ যাকে ইচ্ছে অপরিমিত রিযিক দান করেন।

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


২১১-২১২ নং আয়াতের তাফসীর আল্লাহ তাআলা বলেন, তোমরা দেখ, বানী ইসরাঈলকে আমি বহু মু'জিযা প্রদর্শন করেছি। হযরত মূসার ( আঃ ) হাতের লাঠি, তার হাতের ঔজ্জ্বল্য, তাদের সমুদ্রকে দ্বিখণ্ডিত করা, কঠিন গরমের সময় তাদের উপর মেঘের ছায়া দান করা, তাদের উপর মান্না’ ও ‘সালওয়া' অবতীর্ণ করা, ইত্যাদি। যার দ্বারা আমার যা ইচ্ছে করা এবং সব কিছুরই উপর ক্ষমতাবান হওয়া স্পষ্টভাবে প্রকাশ পেয়েছে। এর দ্বারা আমার নবী হযরত মূসার ( আঃ ) নবুয়াতের সত্যতা প্রমাণিত হয়েছে। কিন্তু তবু বানী ইসরাঈল আমার নিয়ামতের উপর অকৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে এবং ঈমানের পরিবর্তে কুফরীর উপরই স্থির থেকেছে। কাজেই তারা আমার কঠিন শাস্তি হতে কিরূপে রক্ষা পাবে: কুরাইশ কাফিরদের সম্বন্ধেও এই সংবাদ দেয়া হয়েছে। ইরশাদ হচ্ছে ( আরবি )অর্থাৎ তুমি কি ঐ লোকদেরকে দেখনি যারা আল্লাহর নিয়ামতকে কুফর দ্বারা পরিবর্তন করেছে এবং নিজেদের সম্প্রদায়কে ধ্বংসের ঘরে নিক্ষেপ করেছে। অর্থাৎ জাহান্নাম, যা অতি জঘন্য অবস্থান স্থল।' ( ১৪:২৮-২৯ ) অতঃপর বর্ণনা করা হচ্ছে যে, এই কাফিরেরা শুধুমাত্র ইহলৌকিক জগতের উপরই সন্তুষ্ট রয়েছে। সম্পদ জমা করা এবং আল্লাহর পথে খরচ করতে কার্পণ্য করাই তাদের স্বভাব। বরং যেসব মু'মিন এই নশ্বর জগত হতে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে এবং মহান আল্লাহর সন্তুষ্টির কাজে সম্পদ বিলিয়ে দিয়েছে তাদেরকে এরা উপহাস করে থাকে। অথচ প্রকৃতপক্ষে ভাগ্যবানতো এই মু'মিনরাই। কিয়ামতের দিন এই মুমিনদের মর্যাদা দেখে এই কাফিরদের চক্ষু খুলে যাবে। সেদিন নিজেদের দুর্ভাগ্য ও মু'মিনদের সৌভাগ্য লক্ষ্য করে তারা অনুধাবন করতে পারবে যে, কারা উচ্চ পদস্থ ও কারা নিম্ন পদস্থ।ইহকালে আল্লাহ তাআলা যাকে ধন-মাল দেয়ার ইচ্ছে করেন তাকে তিনি অপরিমিতভাবে দিয়ে থাকেন। আবার তিনি যাকে ইচ্ছে করেন এখানেও দেন এবং পরকালেও দেবেন। যেমন হাদীস শরীফে এসেছে, ( আল্লাহ তাআলা বলেন ) হে আদম সন্তান! তুমি আমার পথে খরচ কর আমি তোমাকে দিতেই থাকবো।' রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) হযরত বেলাল ( রাঃ ) কে বলেন, 'হে বেলাল ( রাঃ )! তুমি আল্লাহর পথে খরচ করতে থাকো এবং আরশের অধিকারী হতে সঙ্কীর্ণতার ভয় করো না।' কুরআন কারীমের মধ্যে রয়েছে -( আরবি ) অর্থাৎ ‘তোমরা যা কিছু খরচ করবে, আল্লাহ পাক তার প্রতিদান দেবেন( ৩৪:৩৯ ) সহীহ হাদীসে রয়েছে, সকালে দু’জন ফেরেস্তা অবতরণ করেন। একজন প্রার্থনা করেন, “ হে আল্লাহ! আপনার পথে ব্যয়কারীকে আপনি বরকত দান করুন ।' অপরজন বলেন, হে আল্লাহ! কৃপণের মাল ধ্বংস করে দিন।অন্য হাদীসে রয়েছে, মানুষ বলে-“ আমার মাল, আমার মাল । অথচ তোমার মাল তো ঐগুলোই যা তুমি খেয়ে ধ্বংস করেছে আর যা তুমি দান করে বাকী রেখেছে। অন্য যত কিছু রয়েছে সেগুলো সবই তুমি অন্যদের জন্যে ছেড়ে এখান হতে বিদায় গ্রহণ করবে।' মুসনাদ-ই-আহমাদের হাদীসে রয়েছে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বলেন, “ দুনিয়া তারই ঘর যার কোন ঘর নেই, দুনিয়া তারই মাল যার কোন মাল নেই এবং দুনিয়া শুধু ঐ ব্যক্তি সংগ্রহ করে থাকে যার বিবেক নেই ।

সূরা বাকারাহ্ আয়াত 212 সূরা

زين للذين كفروا الحياة الدنيا ويسخرون من الذين آمنوا والذين اتقوا فوقهم يوم القيامة والله يرزق من يشاء بغير حساب

سورة: البقرة - آية: ( 212 )  - جزء: ( 2 )  -  صفحة: ( 33 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. নিশ্চয় সে তার পালনকর্তার মহান নিদর্শনাবলী অবলোকন করেছে।
  2. বরং পরকাল সম্পর্কে তাদের জ্ঞান নিঃশেষ হয়ে গেছে; বরং তারা এ বিষয়ে সন্দেহ পোষন করছে
  3. লূত (আঃ) তাদেরকে আমার প্রচন্ড পাকড়াও সম্পর্কে সতর্ক করেছিল। অতঃপর তারা সতর্কবাণী সম্পর্কে বাকবিতন্ডা করেছিল।
  4. অতঃপর তারা তাদের রশি ও লাঠি নিক্ষেপ করল এবং বলল, ফেরাউনের ইযযতের কসম, আমরাই বিজয়ী
  5. আর লড়াই কর আল্লাহর ওয়াস্তে তাদের সাথে, যারা লড়াই করে তোমাদের সাথে। অবশ্য কারো প্রতি
  6. অতঃপর যদি তাকে আমার কাছে না আন, তবে আমার কাছে তোমাদের কোন বরাদ্ধ নেই এবং
  7. আল্লাহ বনী-ইসরাঈলের কাছ থেকে অঙ্গীকার নিয়েছিলেন এবং আমি তাদের মধ্য থেকে বার জন সর্দার নিযুক্ত
  8. অতঃপর সে প্রবল আঘাতে তাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ল।
  9. অতঃপর যে বিশ্বাসী অবস্থায় সৎকর্ম সম্পাদন করে, তার প্রচেষ্টা অস্বীকৃত হবে না এবং আমি তা
  10. তাদেরই জন্য প্রতিদান হলো তাদের পালনকর্তার ক্ষমা ও জান্নাত, যার তলদেশে প্রবাহিত হচ্ছে প্রস্রবণ যেখানে

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা বাকারাহ্ ডাউনলোড করুন:

সূরা Baqarah mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Baqarah শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Friday, November 22, 2024

Please remember us in your sincere prayers