কোরান সূরা হিজর আয়াত 22 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Hijr ayat 22 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা হিজর আয়াত 22 আরবি পাঠে(Hijr).
  
   

﴿وَأَرْسَلْنَا الرِّيَاحَ لَوَاقِحَ فَأَنزَلْنَا مِنَ السَّمَاءِ مَاءً فَأَسْقَيْنَاكُمُوهُ وَمَا أَنتُمْ لَهُ بِخَازِنِينَ﴾
[ الحجر: 22]

আমি বৃষ্টিগর্ভ বায়ু পরিচালনা করি অতঃপর আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করি, এরপর তোমাদেরকে তা পান করাই। বস্তুতঃ তোমাদের কাছে এর ভান্ডার নেই। [সূরা হিজর: 22]

Surah Al-Hijr in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Hijr ayat 22


আর আমরা উর্বরতা-সঞ্চারক বায়ু পাঠাই, তারপর আকাশ থেকে আমরা পানি পাঠাই, তখন তোমাদের তা পান করতে দিই, আর তোমরা তার কোষাধ্যক্ষ নও!


Tafsir Mokhtasar Bangla


২২. আর আমি বাতাস পাঠিয়ে মেঘে বৃষ্টি সঞ্চার করি। অতঃপর সেই সঞ্চারিত মেঘ থেকে বৃষ্টি বর্ষণ করি। আর সেই বৃষ্টির পানি থেকে তোমাদেরকে পান করাই। হে মানুষ! তোমরা এ পানিকে কুয়া ও নদী আকারে সংরক্ষিত করতে পারতে না। আল্লাহই এগুলোর মাধ্যমে পানি সংরক্ষণ করেছেন।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


আমি বৃষ্টিগর্ভ বায়ু প্রেরণ করি[১] অতঃপর আকাশ হতে বৃষ্টি বর্ষণ করি এবং তা তোমাদেরকে পান করাই এবং ওর ভান্ডার তোমাদের কাছে নেই। [২] [১] لواقح বৃষ্টিগর্ভ, বৃষ্টিবাহী বা ভারী বায়ু এই জন্য বলা হয়েছে, যেহেতু বায়ু বৃষ্টি ভর্তি মেঘমালাকে বহন করে। যেমন لقحة এমন গাভীন উটনীকে বলা হয়, যে তার পেটে বাচ্চা বহন করে। [২] এই বৃষ্টি যা আমি বর্ষণ করি, তাকে তোমরা জমা করে রাখতে সক্ষম নও। এটি আমারই কুদরত ও অনুগ্রহ যে আমি তাকে ঝর্ণা, কূপ ও নদী-নালার মাধ্যমে সংরক্ষণ করে থাকি। তাছাড়া আমি চাইলে পানিকে এত নীচে পৌছে দিতে পারি যে, ঝর্ণা ও কূপ হতে পানি সংগ্রহ করা অসম্ভব হয়ে যাবে। যেমন কখনও কখনও কোন কোন এলাকায় মহান আল্লাহ তাঁর কুদরতের কিছু কিছু নমুনা দেখিয়ে থাকেন। ( আল্লাহ আমাদেরকে রক্ষা করুন। )

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


আর আমরা বৃষ্টি-গর্ভ বায়ু পাঠাই, তারপর আকাশ হতে পানি নাযিল করে তা তোমাদেরকে পান করতে দেই []; অথচ তোমরা নিজেরা তা ভাণ্ডারে জমাকারী নও []। [] আলোচ্য আয়াতে প্রথমে বলা হয়েছে যে, আল্লাহর কুদরত কিভাবে সমুদ্রের পানিকে ভূ-পৃষ্ঠের সর্বত্র পৌছানোর অভিনব ব্যবস্থা সম্পন্ন করেছে। ইবন মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, তিনি বাতাস পাঠান, সেগুলো আকাশ থেকে পানি বয়ে নিয়ে যায়। তারপর মেঘের উপর দিয়ে যাওয়ার পরে সেটা এমনভাবে পড়ার মত হয় যেমন দোহানোর আগে জন্তুর দুধ পড়ার অবস্থা হয়। দাহহাক বলেন, আল্লাহ মেঘমালার উপর বায়ু পাঠান তখন সেটা এমনভাবে সেটাকে পরাগায়ণের মত করে যে, তা পানিতে পূর্ণ হয়ে যায়। [ ইবন কাসীর ] এর ব্যাখ্যা এভাবে করা যেতে পারে যে, তিনি সমুদ্রে বাষ্প সৃষ্টি করেন। বাম্পে বৃষ্টির উপকরণ বায়ু সৃষ্টি হয় এবং তা উপরে বায়ু প্রবাহিত করে একে পাহাড়সম মেঘমালার পানিভর্তি জাহাজে পরিণত করে। অতঃপর আল্লাহ তা'আলা এসব পানি পৃথিবীর সর্বত্র যেখানে দরকার পৌছে দিয়ে থাকেন। এরপর আল্লাহর পক্ষ থেকে সেখানে যতটুকু পানি দেয়ার আদেশ হয়েছে আল্লাহর ফিরিশতারা এই উড়ন্ত মেঘমালা থেকে সেখানে সে পরিমাণ পানি বর্ষণ করছে। আল্লাহ তা'আলা অন্যত্র বলেনঃ “ তিনিই আকাশ থেকে বারি বর্ষণ করেন । তাতে তোমাদের জন্য রয়েছে পানীয় এবং তা থেকে জন্মায় উদ্ভিদ যাতে তোমরা পশু চারণ করে থাক। তিনি তোমাদের জন্য তা দ্বারা জন্মান শস্য, যায়তূন, খেজুর গাছ, দ্রাক্ষা এবং সব রকমের ফল। অবশ্যই এতে চিন্তাশীল সম্প্রদায়ের জন্য রয়েছে নিদর্শন।" [ সূরা আন-নাহলঃ ১০-১১ ] “ তিনিই স্বীয় অনুগ্রহের প্রাক্কালে সুসংবাদবাহীরূপে বায়ু প্রেরণ করেন এবং আমি আকাশ হতে বিশুদ্ধ পানি বর্ষণ করি--- যা দ্বারা আমি মৃত ভূ-খণ্ডকে সঞ্জীবিত করি এবং আমার সৃষ্টির মধ্যে বহু জীবজন্তু ও মানুষকে তা পান করাই ।" [ সূরা আল-ফুরকানঃ ৪৮-৪৯ ] [] এ আয়াতের দু'টি অর্থ করা হয়ে থাকেঃ একঃ তোমরা এ পানির কোন ভান্ডারের মালিক নও যে তোমরা চাইলেই তা পাবে। এটা তো শুধু আমার পক্ষ থেকে দান করা। [ ফাতহুল কাদীর ] এ আয়াতে আল্লাহর কুদরতের ঐ ব্যবস্থার প্রতি ইঙ্গিত রয়েছে, যার সাহায্যে ভূ-পৃষ্ঠে বসবাসকারী প্রত্যেক মানুষ, জীব-জন্তু, পশু-পক্ষী ও হিংস্ৰ জানোয়ারদের জন্য প্রয়োজনানুযায়ী পানি সরবরাহের নিশ্চয়তা বিধান করা হয়েছে। এর ফলে প্রত্যেক ব্যক্তি সর্বত্র, সর্বাবস্থায় প্রয়োজন অনুযায়ী পান, গোসল ও ধৌতকরণ এবং খেত-খামার ও উদ্যান সেচের জন্য বিনামূল্যে পানি পেয়ে যায়। কুপ খনন ও পাইপ সংযোজনে কারো কিছু ব্যয় হলে তা সুবিধা অর্জনের মূল্য বৈ নয়। এক ফোটা পানির মূল্য পরিশোধ করার ক্ষমতা কারো নেই এবং কারো কাছে তা দাবীও করা হয় না। আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ “তোমরা যে পানি পান কর তা সম্পর্কে কি তোমরা চিন্তা করেছ? তোমরা কি ওটা মেঘ হতে নামিয়ে আন, না আমি ওটা বর্ষণ করি? [ সূরা আল-ওয়াকি'আহঃ ৬৮-৬৯ ] দুই, দুনিয়াতে আল্লাহ্ তা'আলা যে পানি নাযিল করান তা নাযিল করার পর তোমরা ইচ্ছে করলেই তা সংরক্ষন করে রাখতে পার না। [ ফাতহুল কাদীর ] যতক্ষন আল্লাহ্ তা'আলা সে ব্যবস্থা করে না দিবেন। কারণ তা নাযিল হওয়ার পর নষ্ট করে দেয়া, ব্যবহার উপযোগী না থাকা অসম্ভব কিছু নয়। আল্লাহ বলেন, “ আমি ইচ্ছে করলে ওটা লবণাক্ত করে দিতে পারি । তবুও কেন তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর না?” [ সূরা আল-ওয়াকি'আহঃ৭০ ] আরো বলেনঃ “ এবং আমি আকাশ থেকে বারি বর্ষণ করি পরিমিতভাবে; তারপর আমি তা মাটিতে সংরক্ষিত করি; আমি তাকে অপসারিত করতেও সক্ষম " [ সূরা আল-মুমিনূনঃ ১৮ ] আরো বলেনঃ “অথবা তার পানি ভূগর্ভে হারিয়ে যাবে এবং তুমি কখনো সেটার সন্ধান লাভে সক্ষম হবে না ।” [ সূরা আল-কাহফঃ ৪১ ] আরো বলেনঃ “বলুন, তোমরা ভেবে দেখেছ কি যদি পানি ভূগর্ভে তোমাদের নাগালের বাইরে চলে যায়, তখন কে তোমাদেরকে এনে দেবে প্রবাহমান পানি?” [ সূরা আল-মুলকঃ ৩০ ]

সূরা হিজর আয়াত 22 সূরা

وأرسلنا الرياح لواقح فأنـزلنا من السماء ماء فأسقيناكموه وما أنتم له بخازنين

سورة: الحجر - آية: ( 22 )  - جزء: ( 14 )  -  صفحة: ( 263 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. তুমি মনে করবে তারা জাগ্রত, অথচ তারা নিদ্রিত। আমি তাদেরকে পার্শ্ব পরিবর্তন করাই ডান দিকে
  2. আমি চাই যে, আমার পাপ ও তোমার পাপ তুমি নিজের মাথায় চাপিয়ে নাও। অতঃপর তুমি
  3. এই ওয়াদাপ্রাপ্ত হয়েছি আমরা এবং পূর্ব থেকেই আমাদের বাপ-দাদারা। এটা তো পূর্ববর্তীদের উপকথা বৈ কিছু
  4. আমি রসূলকে কবিতা শিক্ষা দেইনি এবং তা তার জন্যে শোভনীয়ও নয়। এটা তো এক উপদেশ
  5. সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর, যিনি আসমান ও যমীনের স্রষ্টা এবং ফেরেশতাগণকে করেছেন বার্তাবাহক-তারা দুই দুই, তিন
  6. তারা কি বলে, এটা সে মিথ্যা রচনা করেছে? বরং এটা আপনার পালনকর্তার তরফ থেকে সত্য,
  7. সে বললঃ হে আমার পালনকর্তা, আমাকে একটি নির্দশন দিন। তিনি বললেন তোমার নিদর্শন এই যে,
  8. আর ইউনুসও ছিলেন পয়গম্বরগণের একজন।
  9. রসূলের আহবানকে তোমরা তোমাদের একে অপরকে আহ্বানের মত গণ্য করো না। আল্লাহ তাদেরকে জানেন, যারা
  10. আর লড়াই কর আল্লাহর ওয়াস্তে তাদের সাথে, যারা লড়াই করে তোমাদের সাথে। অবশ্য কারো প্রতি

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা হিজর ডাউনলোড করুন:

সূরা Hijr mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Hijr শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত হিজর  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত হিজর  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত হিজর  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত হিজর  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত হিজর  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত হিজর  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত হিজর  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত হিজর  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত হিজর  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত হিজর  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত হিজর  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত হিজর  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত হিজর  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত হিজর  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত হিজর  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত হিজর  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত হিজর  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত হিজর  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত হিজর  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত হিজর  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত হিজর  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত হিজর  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত হিজর  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত হিজর  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত হিজর  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Wednesday, May 15, 2024

لا تنسنا من دعوة صالحة بظهر الغيب