কোরান সূরা মু'মিনুন আয়াত 61 তাফসীর
﴿أُولَٰئِكَ يُسَارِعُونَ فِي الْخَيْرَاتِ وَهُمْ لَهَا سَابِقُونَ﴾
[ المؤمنون: 61]
তারাই কল্যাণ দ্রুত অর্জন করে এবং তারা তাতে অগ্রগামী। [সূরা মু'মিনুন: 61]
Surah Al-Muminun in Banglaজহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Muminun ayat 61
এরাই মঙ্গল সাধনে প্রতিযোগিতা করে, আর এরাই তো এতে অগ্রগামী হয়।
Tafsir Mokhtasar Bangla
৬১. এ মহান বৈশিষ্ট্যাবলীর অধিকারীরা নেক কাজের দিকে দ্রæত ধাবিত হয় এবং সেগুলোর প্রতি তারা দ্রæতগামী। এ জন্যই তারা অন্যদের চেয়ে অগ্রসর।
Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান
তারাই দ্রুত সম্পাদন করে কল্যাণকর কাজ এবং তারাই তার প্রতি অগ্রগামী হয়।
Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স
তারাই দ্রুত সম্পাদন করে কল্যাণকর কাজ এবং তারা তাতে অগ্রগামী হয় [ ১ ]। [ ১ ] দ্রুত সৎকাজ করার অর্থ এই যে, সাধারণ লোক যেমন পার্থিব মুনাফার পেছনে দৌড়ে এবং অপরকে পেছনে ফেলে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে, তারা দ্বীনী উপকারের কাজে তেমনি সচেষ্ট হয়। তাই তারা সময়ের আগেই সেটা করার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়ে। যেমন সালাতের প্রথম ওয়াক্তে তা আদায় করে। এ কারণেই তারা অন্যদের চাইতে অগ্রগামী থাকে। অন্যদেরকে তারা পিছনে ফেলে নিজেরা এগিয়েই থাকে। [ কুরতুবী ] অথবা আয়াতের অর্থ, আর তারা হচ্ছে এমন লোক, যাদের জন্য পূর্ব থেকেই আল্লাহ্র কাছে সৌভাগ্য লেখা হয়েছে। তাই তারা ভাল কাজে তাড়াতাড়ি করে। [ তাবারী ]
Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর
৫৭-৬১ নং আয়াতের তাফসীর: মহান আল্লাহ বলেন যে, ইহসান ও ঈমানের সাথে সাথে সৎ কাজ করা এবং এরপরেও আল্লাহর ভয়ে প্রকম্পিত হওয়া মুমিনের বিশেষণ। হযরত হাসান বসরী ( রঃ ) বলেন যে, মুমিন ভাল কাজ করে এবং সাথে সাথে আল্লাহকে ভয় করতে থাকে। পক্ষান্তরে মুনাফিক খারাপ কাজ করে, আবার আল্লাহ থেকে নির্ভয় থাকে।ঘোষিত হচ্ছেঃ তারা তাদের প্রতিপালকের নিদর্শনাবলীতে ঈমান আনে। যেমন মহান আল্লাহ হযরত মারইয়াম ( আঃ )-এর গুণ বর্ণনা করতে গিয়ে বলেনঃ ( আরবী ) অর্থাৎ “ সে তার প্রতিপালকের কালেমা ও কিতাবসমূহর্কে সত্য বলে জেনেছিল ।” ( ৬৬: ১২ ) অর্থাৎ তিনি আল্লাহ তাআলার ক্ষমতা, ইচ্ছা ও শরীয়তের উপর পূর্ণ আস্থা রাখতেন। তাঁর আদিষ্ট প্রতিটি কাজকে তিনি ভালবাসতেন। আর তাঁর নিষেধকৃত প্রতিটি কাজকে তিনি অপছন্দ করতেন।আল্লাহ তা'আলার উক্তিঃ তারা তাদের প্রতিপালকের সাথে শরীক করে না বরং তাকে এক বলে বিশ্বাস করে। তারা স্বীকার করে যে, আল্লাহ সম্পূর্ণরূপে অভাবমুক্ত। তাঁর স্ত্রী ও সন্তান নেই। তিনি অতুলনীয়। তাঁর সমকক্ষ কেউই নেই। তাঁর নামে তারা দান-খয়রাত করে থাকে। কিন্তু তা ককূল হবে কি না এ ভয় তাদের অন্তরে থাকে। তাই আল্লাহর পথে খরচ করার সময় তারা ভীত-কম্পিত হয়। হযরত সাঈদ ইবনে অহাব ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, হযরত আয়েশা ( রাঃ ) জিজ্ঞেস করেনঃ “ হে আল্লাহর রাসূল ( সঃ )! যারা যা দান করার তা দান করে ভীত-কম্পিত হৃদয়ে’-এর দ্বারা কি ঐ লোকদেরকে বুঝানো হয়েছে যারা চুরি করে, ব্যভিচার করে এবং মদ্যপান করে, অতঃপর মহামহিমান্বিত আল্লাহকে ভয় করে?” উত্তরে রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বলেনঃ “হে আবু বকর ( রাঃ )-এর কন্যা! হে সিদ্দীক ( রাঃ )-এর কন্যা । না, তারা নয়; বরং যারা নামায পড়ে, রোযা রাখে এবং দান-খয়রাত করে, অথচ আল্লাহকে ভয় করে তাদেরকেই বুঝানো হয়েছে।” ( এ হাদীসটি মুসনাদে আহমাদে বর্ণিত হয়েছে। জামেউত তিরমিযী ও মুসনাদে ইবনে আবি হাতিমেও অনুরূপ বর্ণিত আছে। তাতে আছেঃ “ হে সিদ্দীক (রাঃ )-এর কন্যা! না, তারা নয়, বরং যারা নামায পড়ে, রোযা রাখে এবং দান-খয়রাত করে অথচ ওগুলো কবুল হয় কি-না এজন্যে সদা ভীত-সন্ত্রস্ত থাকে তাদেরকেই বুঝানো হয়েছে)মহামহিমান্বিত আল্লাহ বলেনঃ ‘তারাই দ্রুত সম্পাদন করে কল্যাণকর কাজ এবং তারা তাতে অগ্রগামী হয় । ( আরবী ) অন্য কিরাতে ( আরবী ) রয়েছে। অর্থাৎ তারা যা করার তা করে থাকে, কিন্তু তাদের অন্তর থাকে ভীত-সন্ত্রস্ত।বর্ণিত আছে যে, হযরত আবু আসিম ( রাঃ ) হযরত আয়েশা ( রাঃ )-এর নিকট প্রবেশ করেন। তখন তিনি তাকে মারহাবা বলে সাদর সম্ভাষণ জানান এবং বলেনঃ “ তুমি মাঝে মাঝে আমাকে দর্শন দান কর না কেন?" উত্তরে তিনি বলেনঃ “আপনি হয়তো বিরক্তিবোধ করবেন এ জন্যেই আসি না । আজকে একটি আয়াতের শব্দগুলোর বিশ্লেষণের উদ্দেশ্যেই আগমন করেছি। রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) কিভাবে এটা পড়তেন তা আমি জানতে চাই।” হযরত আয়েশা ( রাঃ ) জিজ্ঞেস করলেনঃ “ ওটা কোন আয়াত?" তিনি জবাবে বললেনঃ “আয়াতটি হলোঃ ( আরবী )উনি এভাবে পাঠ করতেন, না ( আরবী ) এভাবে পাঠ করতেন?” হযরত আয়েশা ( রাঃ ) জিজ্ঞেস করলেনঃ “এ দুটোর মধ্যে কোনটি তোমার নিকট অধিক পছন্দনীয়?” তিনি উত্তরে বললেনঃ ( আরবী ) এরূপভাবে পঠিত হয়ে থাকলে আমি যেন সারা দুনিয়াই পেয়ে যাবো, এমনকি এর চেয়েও বেশী আমি আনন্দিত হবো ।” তখন হযরত আয়েশা ( রাঃ ) বলেনঃ তুমি শুনে খুশী হও যে, আল্লাহর শপথ! আমি রাসূলুল্লাহ ( সঃ )-কে। এই আয়াতটি এভাবেই পড়তে শুনেছি। ( এটা মুসনাদে আহমাদে বর্ণিত হয়েছে। এর একজন বর্ণনাকারী হলেন ইসমাঈল ইবনে মুসলিম। তিনি দুর্বল। বর্তমানে কুরআনে যেরূপ আছে এটাই প্রসিদ্ধ সাতটি কিরআত ও জমহূরের কিরাত। অর্থের দিক দিয়েও এটাই বেশী প্রকাশমান। কেননা, তাদেরকে অগ্রগামী বলা হয়েছে। কিন্তু দ্বিতীয় কিরআতটি নিলে তারা অগ্রগামী থাকেন না। বরং মধ্যম হালকা হয়ে যান। এসব ব্যাপারে আল্লাহই বেশী ভাল জানেন )
সূরা মু'মিনুন আয়াত 61 সূরা
English | Türkçe | Indonesia |
Русский | Français | فارسی |
تفسير | Urdu | اعراب |
বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত
- আমি কিন্তু তাদের প্রতি জুলুম করি নাই বরং তারা নিজেরাই নিজের উপর অবিচার করেছে। ফলে
- আল্লাহ তাদের অন্তকরণ এবং তাদের কানসমূহ বন্ধ করে দিয়েছেন, আর তাদের চোখসমূহ পর্দায় ঢেকে দিয়েছেন।
- তিনি বললেনঃ আমার পালনকর্তা আমাকে যে সামর্থ?2470;িয়েছেন, তাই যথেষ্ট। অতএব, তোমরা আমাকে শ্রম দিয়ে সাহায্য
- তারা কি বলতে চায়ঃ সে একজন কবি আমরা তার মৃত্যু-দুর্ঘটনার প্রতীক্ষা করছি।
- তিনি আকাশ থেকে পৃথিবী পর্যন্ত সমস্ত কর্ম পরিচালনা করেন, অতঃপর তা তাঁর কাছে পৌছবে এমন
- যাদেরকে মুখ থুবড়ে পড়ে থাকা অবস্থায় জাহান্নামের দিকে একত্রিত করা হবে, তাদেরই স্থান হবে নিকৃষ্ট
- সুতরাং যে ব্যক্তি কেয়ামতে বিশ্বাস রাখে না এবং নিজ খাহেশের অনুসরণ করে, সে যেন তোমাকে
- যাতে আপনি এমন এক জাতিকে সতর্ক করেন, যাদের পূর্ব পুরুষগণকেও সতর্ক করা হয়নি। ফলে তারা
- উভয়ের মাঝখানে একটি প্রাচীর থাকবে এবং আরাফের উপরে অনেক লোক থাকবে। তারা প্রত্যেককে তার চিহ্ন
- এগুলো প্রজ্ঞাময় কিতাবের আয়াত।
বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :
সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা মু'মিনুন ডাউনলোড করুন:
সূরা Muminun mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Muminun শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
আহমেদ আল-আজমি
ইব্রাহীম আল-আখদার
বান্দার বেলাইলা
খালিদ গালিলি
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
খলিফা আল টুনাইজি
সাদ আল-গামদি
সৌদ আল-শুরাইম
সালাহ বুখাতীর
আবদ এল বাসেট
আবদুল রশিদ সুফি
আব্দুল্লাহ্ বাস্ফার
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
আলী আল-হুদায়েফি
আলী জাবের
ফারেস আব্বাদ
মাহের আলমাইকুলই
মোহাম্মদ আইয়ুব
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মাদ জিব্রীল
আল-মিনশাবি
আল হোসারি
মিশারী আল-আফসী
নাসের আল কাতামি
ইয়াসের আল-দোসারি
Please remember us in your sincere prayers