কোরান সূরা আলে-ইমরান আয়াত 22 তাফসীর
﴿أُولَٰئِكَ الَّذِينَ حَبِطَتْ أَعْمَالُهُمْ فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ وَمَا لَهُم مِّن نَّاصِرِينَ﴾
[ آل عمران: 22]
এরাই হলো সে লোক যাদের সমগ্র আমল দুনিয়া ও আখেরাত উভয়লোকেই বিনষ্ট হয়ে গেছে। পক্ষান্তরে তাদের কোন সাহায্যকারীও নেই। [সূরা আলে-ইমরান: 22]
Surah Al Imran in Banglaজহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Al Imran ayat 22
এরাই তারা যাদের সব কাজ বৃথা হবে এই দুনিয়াতে ও আখেরাতে, আর তাদের জন্য সাহায্যকারীদের কেউ থাকবে না।
Tafsir Mokhtasar Bangla
২২. যারা এ সকল বৈশিষ্ট্যের অধিকারী তাদের আমলগুলো মূলতঃ নষ্ট হয়ে গেছে। তারা দুনিয়া ও আখিরাতে তা দিয়ে আর লাভবান হতে পারবে না। কারণ, আল্লাহর উপর তাদের কোন ঈমান নেই। তাই সেদিন তাদের জন্য এমন কোন সাহায্যকারী থাকবে না যারা তাদের শাস্তিকে প্রতিরোধ করবে।
Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান
এই সব লোকের সকল আমল ইহকাল ও পরকালে নিষ্ফল হবে এবং তাদের কোন সাহায্যকারী নেই।
Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স
এসব লোক, এদের কার্যাবলী দুনিয়া ও আখিরাতে নিষ্ফল হয়েছে এবং তাদের কোন সাহায্যকারী নেই।
Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর
২১-২২ নং আয়াতের তাফসীর: এখানে কিতাবধারীদের জঘন্য কাজের নিন্দে করা হচ্ছে। তারা পাপ ও অন্যায় কাজে লিপ্ত থাকতো এবং মহান আল্লাহ স্বীয় নবীদের ( আঃ ) মাধ্যমে যেসব কথা পৌছিয়ে দিয়েছিলেন সেগুলো মিথ্যা প্রতিপন্ন করতো। শুধু তাই নয়, বরং তারা নবীদেরকে হত্যা করে ফেলতো। তাদের অবাধ্যতা এত চরমে পৌছেছিল যে, যেসব লোক তাদেরকে ন্যায়ের দিকে আহ্বান করতো তাদেরকে তারা নৃশংসভাবে হত্যা করতো। হাদীস শরীফে রয়েছে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বলেছেনঃ “ সত্যকে অস্বীকার করা ও ন্যায় পন্থীদেরকে লাঞ্ছিত করাই হচ্ছে অহংকারের শেষ সীমা ।”মুসনাদ-ই-ইবনে আবি হাতিমের মধ্যে রয়েছে যে, হযরত আবু উবাইদাহ ইবনে জাররাহ ( রাঃ ) রাসূলুল্লাহ ( সঃ )-কে জিজ্ঞেস করেনঃ হে আল্লাহ রাসূল! কিয়ামতের দিন কোন ব্যক্তির সবচেয়ে কঠিন শাস্তি হবে’? তিনি বলেনঃ ‘সেই ব্যক্তির যে কোন নবী ( আঃ )-কে হত্যা করে কিংবা এমন কোন ব্যক্তিকে হত্যা করে যে ভাল কাজের আদেশ করে ও মন্দ কাজ হতে বিরত রাখে। অতঃপর রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) উপরোক্ত আয়াতটি পাঠ করেন এবং বলেনঃ “ হে আবু উবাইদাহ ( রাঃ )! বানী ইসরাঈল দিনের প্রথমভাগে এক ঘন্টার মধ্যে তেতাল্লিশজন নবী ( আঃ )-কে হত্যা করে । অতঃপর একশ সত্তর জন ঈমানদার বানী ইসরাঈলকে হত্যা করে যারা এ কাজে বাধা দেয়ার জন্য দাঁড়িয়ে গিয়েছিল এবং তাদেরকে ভাল কাজের আদেশ করতো ও মন্দ কাজে নিষেধ করতো। তাদের সকলকে তারা দিনের শেষ ভাগে হত্যা করে। এ আয়াতে আল্লাহ তা'আলা ওদের কথাই বর্ণনা করেছেন।' হযরত ইবনে জারীর ( রঃ ) হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ ( রাঃ ) হতে বর্ণনা করেছেন যে, বানী ইসরাঈল তিনশ নবী ( আঃ )-কে দিনের প্রথম অংশে হত্যা করে। অতঃপর দিনের শেষাংশে তারা বাজারে তাদের শাক সজী বিক্রীর কাজে লেগে যায়। সুতরাং তাদের এ অবাধ্যতা, অহংকার এবং দুঙ্কার্যের কারণে আল্লাহ তা'আলা তাদেরকে ইহজগতেও লাঞ্ছিত ও অপদস্থ করেন এবং পরকালেও তাদের জন্য অপমানজনক ও যন্ত্রণাদায়ক শাস্তির ব্যবস্থা রেখেছেন। আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ “ তাদেরকে বেদনাদায়ক শাস্তির সুসংবাদ দিয়ে দাও । এদের সমস্ত কৃতকর্ম ইহকালেও ব্যর্থ হয়ে গেল এবং পরকালেও ব্যর্থ হয়ে যাবে। তাদের জন্যে কোন সাহায্যকারী ও সুপারিশকারী থাকবে না।
সূরা আলে-ইমরান আয়াত 22 সূরা
English | Türkçe | Indonesia |
Русский | Français | فارسی |
تفسير | Urdu | اعراب |
বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত
- তাদের কাছে এমন সংবাদ এসে গেছে, যাতে সাবধানবাণী রয়েছে।
- এবং তাকে তার ধারণাতীত জায়গা থেকে রিযিক দেবেন। যে ব্যক্তি আল্লাহর উপর ভরসা করে তার
- ইউসুফ বললেনঃ এটা এজন্য, যাতে আযীয জেনে নেয় যে, আমি গোপনে তার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করিনি।
- তোমরা যদি মীমাংসা কামনা কর, তাহলে তোমাদের নিকট মীমাংসা পৌছে গেছে। আর যদি তোমরা প্রত্যাবর্তন
- যখন আমি তোমাদের কাছ থেকে অঙ্গীকার নিলাম যে, তোমরা পরস্পর খুনাখুনি করবে না এবং নিজেদেরকে
- আর যে কেউ আল্লাহর হুকুম এবং তাঁর রসূলের হুকুম মান্য করবে, তাহলে যাঁদের প্রতি আল্লাহ
- সেখানে প্রত্যেকে যাচাই করে নিতে পারবে যা কিছু সে ইতিপূর্বে করেছিল এবং আল্লাহর প্রতি প্রত্যাবর্তন
- তারা উভয়ে ছুটে দরজার দিকে গেল এবং মহিলা ইউসুফের জামা পিছন দিক থেকে ছিঁড়ে ফেলল।
- অতঃপর আমি পরিমিত আকারে সৃষ্টি করেছি, আমি কত সক্ষম স্রষ্টা?
- যখন আল্লাহ বলবেনঃ হে ঈসা ইবনে মরিয়ম, তোমার প্রতি ও তোমার মাতার প্রতি আমার অনুগ্রহ
বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :
সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা আলে-ইমরান ডাউনলোড করুন:
সূরা Al Imran mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Al Imran শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
আহমেদ আল-আজমি
ইব্রাহীম আল-আখদার
বান্দার বেলাইলা
খালিদ গালিলি
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
খলিফা আল টুনাইজি
সাদ আল-গামদি
সৌদ আল-শুরাইম
সালাহ বুখাতীর
আবদ এল বাসেট
আবদুল রশিদ সুফি
আব্দুল্লাহ্ বাস্ফার
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
আলী আল-হুদায়েফি
আলী জাবের
ফারেস আব্বাদ
মাহের আলমাইকুলই
মোহাম্মদ আইয়ুব
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মাদ জিব্রীল
আল-মিনশাবি
আল হোসারি
মিশারী আল-আফসী
নাসের আল কাতামি
ইয়াসের আল-দোসারি
Please remember us in your sincere prayers