কোরান সূরা আ'রাফ আয়াত 23 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Araf ayat 23 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা আ'রাফ আয়াত 23 আরবি পাঠে(Araf).
  
   

﴿قَالَا رَبَّنَا ظَلَمْنَا أَنفُسَنَا وَإِن لَّمْ تَغْفِرْ لَنَا وَتَرْحَمْنَا لَنَكُونَنَّ مِنَ الْخَاسِرِينَ﴾
[ الأعراف: 23]

তারা উভয়ে বললঃ হে আমাদের পালনকর্তা আমরা নিজেদের প্রতি জুলম করেছি। যদি আপনি আমাদেরকে ক্ষমা না করেন এবং আমাদের প্রতি অনুগ্রহ না করেন, তবে আমরা অবশ্যই অবশ্যই ধ্বংস হয়ে যাব। [সূরা আ'রাফ: 23]

Surah Al-Araf in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Araf ayat 23


তারা বললে -- ''আমাদের প্রভু! আমরা আমাদের নিজেদের প্রতি অন্যায় করেছি, আর যদি তুমি আমাদের পরিত্রাণ না করো ও আমাদের তুমি দয়া করো তাহলে আমরা নিশ্চয়ই ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবো।’’


Tafsir Mokhtasar Bangla


২৩. আদম ও হাওয়া বললেন: হে আমাদের প্রতিপালক! সত্যিই আমরা নিষিদ্ধ গাছের ফল খেয়ে নিজেদের উপর যুলুম করেছি। তাই আপনি যদি আমাদের গুনাহগুলো ক্ষমা ও আমাদের প্রতি দয়া না করেন তাহলে আমরা অবশ্যই দুনিয়া ও আখিরাতের সমূহ সুবিধা হারিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবো।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


তারা বলল, ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা নিজেদের প্রতি অন্যায় করেছি। যদি তুমি আমাদেরকে ক্ষমা না কর, তাহলে অবশ্যই আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হব।’ [১] [১] তওবা ও ক্ষমা প্রার্থনার এ হল সেই বাক্যসমূহ, যা আদম ( আঃ ) বরকতময় মহান আল্লাহর কাছ থেকে শেখেন। যেমন সূরা বাক্বারার ২:৩৭ নং আয়াতে এ কথা স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে। ( উক্ত আয়াতের টীকা দ্রঃ ) শয়তান আল্লাহর অবাধ্যতা করল এবং তারপর সে কেবল এর উপর অটলই থাকেনি, বরং এটাকে বৈধ ও সাব্যস্ত করার জন্য জ্ঞান ও অনুমানভিত্তিক দলীলসমূহ পেশ করতে লাগল। ফলে সে আল্লাহর সান্নিধ্য থেকে বিতাড়িত এবং চিরদিনকার জন্য অভিশপ্ত গণ্য হল। পক্ষান্তরে আদম ( আঃ ) স্বীয় ভুলের জন্য অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহর দরবারে তওবা ও ক্ষমা প্রার্থনা করার প্রতি যত্নবান হলেন। ফলে তিনি আল্লাহর রহমত ও তাঁর ক্ষমা লাভের যোগ্য গণ্য হলেন। এইভাবে দু'টি পথের পরিচয় স্পষ্ট হয়ে গেল। শয়তানের পথের এবং আল্লাহওয়ালাদের পথেরও। পাপ করে অহংকার প্রদর্শন করা, তার উপর অটল থাকা এবং তাকে সঠিক সাব্যস্ত করার জন্য দলীলাদির স্তূপ খাড়া করা ইত্যাদি হল শয়তানী পথ। আর পাপ করার পর অনুতাপে দগ্ধ হয়ে আল্লাহ-সমীপে নত হয়ে যাওয়া এবং তওবা ও ক্ষমা চাওয়ায় সচেষ্ট হওয়া ইত্যাদি হল আল্লাহর বান্দাদের পথ। اللَّهُمَّ! اجْعَلْنَا مِنْهُمْ।

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


তারা বলল, ‘হে আমাদের রব ! আমারা নিজেদের প্রতি যুলুম করছি। আর যদি আপনি আমাদেরকে ক্ষমা না করেন এবং দয়া না করেন, তবে অবশ্যই আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হব []।’ [] কাতাদা বলেন, তারা দু’জন নিজেদের লজ্জাস্থান পরস্পর দেখতে পেত না। কিন্তু অপরাধের পর সেটা প্রকাশ হয়ে পড়ল। তখন আদম আলাইহিস সালাম বললেন, হে রব! যদি আমি তাওবা করি এবং ক্ষমা চাই তাহলে কি হবে আমাকে জানান? আল্লাহ বললেন, তাহলে আমি তোমাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবো। কিন্তু ইবলীস ক্ষমা চাইলো না, বরং সে অবকাশ চাইল। ফলে আল্লাহ প্রত্যেককে তার প্রার্থিত বিষয় দান করলেন। [ আত-তাফসীরুস সহীহ ]

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


২২-২৩ নং আয়াতের তাফসীর: হযরত উবাই ইবনে কা'ব ( রাঃ ) বলেন যে, হযরত আদম ( আঃ ) খেজুরবৃক্ষের ন্যায় দীর্ঘাকৃতির লোক ছিলেন। তার মাথার চুল ছিল ঘন ও লম্বা। যখন তিনি ভুল করে বসলেন তখন তার দেহাবরণ খুলে গেল। এর পূর্বে তিনি স্বীয় গুপ্তাঙ্গের প্রতি লক্ষ্য করতেন না। এখন তিনি ব্যাকুল হয়ে জান্নাতের মধ্যে এদিক ওদিক ফিরতে লাগলেন। জান্নাতের এক গাছের সঙ্গে তার মাথার চুল জড়িয়ে পড়লো। তিনি বলতে লাগলেনঃ হে গাছ! আমাকে ছেড়ে দাও! গাছ বলে উঠলোঃ “ আমি আপনাকে ছাড়বো না ।” তখন মহামহিমান্বিত আল্লাহ তাকে ডাক দিয়ে বললেনঃ “ তুমি কি আমার নিকট থেকে পালিয়ে যাচ্ছ?” আদম ( আঃ ) উত্তরে বললেনঃ “হে আমার প্রভু! আমি আপনার কাছে লজ্জা বোধ করছি । কেননা, আমার দেহাবরণ খুলে গেছে।”হযরত ইবনে আব্বাস ( রাঃ ) বলেন যে, আদম ( আঃ )-কে যে গাছের ফল খেতে নিষেধ করা হয়েছিল তা ছিল গমের শীষ। যখন আদম ( আঃ ) ও হাওয়া ( আঃ ) ওটা খেয়ে ফেলেন তখন তাদের গুপ্তাঙ্গ প্রকাশিত হয়ে পড়ে। এখন তারা গাছের পাতা দ্বারা দেহ আবৃত করতে থাকেন এবং একটিকে অপরটির সাথে জোড়া দিয়ে শরীরের উপর লাগাতে থাকেন। আল্লাহ তাআলা তাঁদের সম্বোধন করে বলেনঃ “ হে আদম ( আঃ )! আমি তোমাদেরকে জান্নাত দান করেছিলাম এবং তথাকার সব জিনিসই তোমাদের জন্যে বৈধ করে দিয়েছিলাম । একমাত্র একটি গাছ তোমাদের জন্যে অবৈধ করেছিলাম এবং ওর ফল খেতে নিষেধ করেছিলাম, এটা কি সত্য নয়?” আদম ( আঃ ) উত্তরে বলেনঃ “ হে আমার প্রতিপালক! হ্যা এটা সত্য বটে, তবে আপনার মর্যাদার শপথ! আমার এটা ধারণাও ছিল না যে, আপনার নামে কসম খেয়ে কেউ মিথ্যা কথা বলতে পারে!” যেমন মহান আল্লাহ বলেনঃ ( আরবী ) অর্থাৎ “আমি কসম খেয়ে বলছি যে আমি তোমাদের শুভাকাংখী ।( ৭:২১ )। এরপর আল্লাহ তাআলা আদম ( আঃ )-কে বলেনঃ “ আমিও স্বীয় মর্যাদার শপথ করে বলছি যে, আমি তোমাদেরকে যমীনে পাঠিয়ে দেবো । সেখানে তোমাদেরকে পরিশ্রম করতে হবে ও বিপদ আপদে পড়তে হবে এবং সেখানে তোমরা কোন শান্তি পাবে না।” অতঃপর আল্লাহ পাক বলেনঃ “ তোমরা জান্নাত থেকে বেরিয়ে নীচে নেমে যাও । জান্নাতে তোমরা সর্বপ্রকারের নিয়ামত ভোগ করছিলে, কিন্তু এখন খাদ্য ও পানীয়ের কোন সুস্বাদু নিয়ামত তোমরা প্রাপ্ত হবে না।” মহান আল্লাহ দুনিয়ায় আদম ( আঃ )-এর লোহার উপকারিতা সম্পর্কে শিক্ষা দান করলেন এবং তাঁকে কৃষিকার্য শিক্ষা দিলেন। হযরত আদম ( আঃ ) কৃষিকার্য শুরু করে দিলেন। ক্ষেতে পানি সেচন করলেন। শস্য পেকে উঠলে তিনি তা কেটে নিলেন এবং ওটা মাড়াই করে দানা বের করলেন। তারপর তা পেষণ করলেন এবং ওটা ঠাসলেন। এরপর রুটি পাকিয়ে তা খেয়ে নিলেন। যে কষ্ট তাদের ভাগ্যে লিখা ছিল তা আল্লাহ পাকের ইচ্ছা অনুযায়ীই লিখিত হয়েছিল। হযরত ইবনে আব্বাস ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, হযরত আদম ( আঃ ) জান্নাতের ডুমুরের পাতাকে পোশাকের আকারে দেহে জড়িয়েছিলেন। অহাব। ইবনে মুনাব্বাহ্ বলেন যে, হযরত আদম ( আঃ ) হযরত হাওয়া ( আঃ )-এর নূরানী পোশাক ছিল, ফলে একে অপরকে উলঙ্গরূপে দেখতে পেতেন না। যখন তাদের উলঙ্গরূপ প্রকাশ পেয়ে গেল তখন তা আবৃত করার খেয়াল তাদের অন্তরে প্রকৃতিগতভাবে জেগে উঠলো। হযরত কাতাদা ( রঃ ) বলেন যে, হযরত আদম ( আঃ ) বলেছিলেন-“ হে আমার প্রতিপালক! আমার তাওবা ও ক্ষমাপ্রার্থনা করার কোন উপায় আছে কি?” উত্তরে আল্লাহ পাক বলেনঃ হ্যাঁ, আছে । ঐ অবস্থায় আমি তোমাদেরকে পুনরায় জান্নাতে প্রবিষ্ট করবো। কিন্তু ইবলীস তাওবার অনুমতি চাওয়ার পরিবর্তে কিয়ামত পর্যন্ত বেঁচে থাকার অনুমতি চাইলো। আল্লাহ তা'আলার পক্ষ থেকে দু'জনকেই তাদের প্রার্থিত জিনিস দান করা হলো।হযরত ইবনে আব্বাস ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, যখন হযরত আদম ( আঃ ) গম খেয়ে নিলেন তখন আল্লাহ তা'আলা তাঁকে বললেনঃ “ আমি তোমাকে এ গাছ থেকে নিষেধ করা সত্ত্বেও তুমি এর ফল খেলে কেন?” তখন তিনি জবাবে বললেনঃ “হাওয়া আমাকে এটা খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিল ।আল্লাহ পাক তখন বললেনঃ “ আমি হাওয়াকে এ শাস্তি দিলাম যে, গর্ভবতী থাকা অবস্থায় সে ব্যথা ও কষ্ট পাবে এবং সন্তান প্রসবের সময়ও তাকে কষ্ট দেয়া হবে ।” এ কথা শুনে হযরত হাওয়া ( আঃ ) কাঁদতে লাগলেন। আল্লাহ তা'আলা আরও বললেনঃ “ যখন তুমি সন্তান প্রসব করবে তখন তুমি ও তোমার সন্তান উভয়েই কাঁদবে । হযরত আদম ( আঃ ) তাঁর প্রতিপালকের নিকট থেকে ক্ষমা চাওয়ার জন্যে যে কথাগুলো শিখেছিলেন তা হচ্ছে নিম্নরূপঃ( আরবী ) অর্থাৎ “ হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা নিজেদের প্রতি অন্যায় করেছি, আপনি যদি আমাদের ক্ষমা না করেন, তবে আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে পড়বো ।

সূরা আ'রাফ আয়াত 23 সূরা

قالا ربنا ظلمنا أنفسنا وإن لم تغفر لنا وترحمنا لنكونن من الخاسرين

سورة: الأعراف - آية: ( 23 )  - جزء: ( 8 )  -  صفحة: ( 153 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. যে জনপদ আপনাকে বহিস্কার করেছে, তদপেক্ষা কত শক্তিশালী জনপদকে আমি ধ্বংস করেছি, অতঃপর তাদেরকে সাহায্য
  2. বেদুইনরা কুফর ও মোনাফেকীতে অত্যন্ত কঠোর হয়ে থাকে এবং এরা সেসব নীতি-কানুন না শেখারই যোগ্য
  3. তোমরা অবগত হয়েছ প্রথম সৃষ্টি সম্পর্কে, তবে তোমরা অনুধাবন কর না কেন?
  4. এবং দর্শকদের জন্যে জাহান্নাম প্রকাশ করা হবে,
  5. তারা কি মনে করে যে, আমি তাদেরকে ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি দিয়ে যাচ্ছি।
  6. যেদিন কাফেরদেরকে জাহান্নামের সামনে পেশ করা হবে, সেদিন বলা হবে, এটা কি সত্য নয়? তারা
  7. অতঃপর আমি তাকে জননীর কাছে ফিরিয়ে দিলাম, যাতে তার চক্ষু জুড়ায় এবং তিনি দুঃখ না
  8. আর যে, হতভাগা, সে তা উপেক্ষা করবে,
  9. তারা বলল ু তুমি তো জানই, তোমার কন্যাদের নিয়ে আমাদের কোন গরজ নেই। আর আমরা
  10. ইতিপূর্বে তোমাদের কাছে ইউসুফ সুস্পষ্ট প্রামাণাদিসহ আগমন করেছিল, অতঃপর তোমরা তার আনীত বিষয়ে সন্দেহই পোষণ

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা আ'রাফ ডাউনলোড করুন:

সূরা Araf mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Araf শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত আ'রাফ  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত আ'রাফ  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত আ'রাফ  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত আ'রাফ  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত আ'রাফ  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত আ'রাফ  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত আ'রাফ  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত আ'রাফ  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত আ'রাফ  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত আ'রাফ  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত আ'রাফ  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত আ'রাফ  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত আ'রাফ  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত আ'রাফ  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত আ'রাফ  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত আ'রাফ  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত আ'রাফ  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত আ'রাফ  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত আ'রাফ  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত আ'রাফ  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত আ'রাফ  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত আ'রাফ  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত আ'রাফ  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত আ'রাফ  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত আ'রাফ  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Sunday, December 22, 2024

Please remember us in your sincere prayers