কোরান সূরা হা-মীম আস-সাজদা আয়াত 24 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Fussilat ayat 24 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা হা-মীম আস-সাজদা আয়াত 24 আরবি পাঠে(Fussilat).
  
   

﴿فَإِن يَصْبِرُوا فَالنَّارُ مَثْوًى لَّهُمْ ۖ وَإِن يَسْتَعْتِبُوا فَمَا هُم مِّنَ الْمُعْتَبِينَ﴾
[ فصلت: 24]

অতঃপর যদি তারা সবর করে, তবুও জাহান্নামই তাদের আবাসস্থল। আর যদি তারা ওযরখাহী করে, তবে তাদের ওযর কবুল করা হবে না। [সূরা হা-মীম আস-সাজদা: 24]

Surah Fussilat in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Fussilat ayat 24


কাজেই তারা যদি অধ্যবসায় করে তাহলে আগুনই হবে তাদের অবস্থানস্থল, আর যদি তারা সদয়তা চায় তাহলে তারা নুগ্রহপ্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে না।


Tafsir Mokhtasar Bangla


২৪. অতএব, যাদের বিপক্ষে তাদের কান, চোখ ও ত্বক সাক্ষ্য প্রদান করেছে তারা যদি ধৈর্য ধারণ করে তো করলো। নচেৎ তারা যদি শাস্তি থেকে মুক্ত হতে চায় কিংবা আল্লাহর সন্তুষ্টি কামনা করে তবে তারা তা অর্জন করতে পারবে না। আর না তারা আদৗ জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


এখন ওরা ধৈর্যশীল হলেও জাহান্নামই হবে ওদের আবাস এবং ওরা ক্ষমাপ্রার্থী হলেও ক্ষমাপ্রাপ্ত হবে না। [১] [১] এর আর একটি অর্থ এও করা হয়েছে যে, যদি তারা মানাতে ( সন্তুষ্ট করতে ) চায়, যাতে তারা জান্নাতে যেতে পারে, তবে ( আল্লাহর ) সন্তুষ্টি তারা কখনও লাভ করতে পারবে না। ( আয়সারুত্ তাফাসীর, ফাতহুল ক্বাদীর ) কেউ কেউ এর অর্থ করেছেন, তারা পুনরায় দুনিয়াতে ফিরে যাওয়ার আকাঙ্ক্ষা করবে, যা মঞ্জুর করা হবে না। ( তফসীর ত্বাবারী ) অর্থাৎ, তাদের চিরস্থায়ী ঠিকানা হল জাহান্নাম, তাতে ধৈর্য ধারণ করলে ( তবুও রহম করা হবে না। যেমন, দুনিয়াতে কোন কোন সময় ধৈর্য ধারণকারীদের প্রতি মায়া-মমতা আসে ) অথবা অন্য কোনভাবে সেখান থেকে বের হওয়ার প্রচেষ্টা করলেও, তাদেরকে ব্যর্থই হতে হবে।

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


অতঃপর যদি তারা ধৈর্য ধারণ করে তবে আগুনই হবে তাদের আবাস। আর যদি তারা সস্তুষ্টি বিধান করতে চায় তবে তারা সন্তুষ্টিপ্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে না।

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


১৯-২৪ নং আয়াতের তাফসীর: আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ এই মুশরিকদেরকে বলে দাও- কিয়ামতের দিন তাদেরকে জাহান্নাম অভিমুখে সমবেত করা হবে এবং জাহান্নামের রক্ষক তাদেরকে একত্রিত করবেন। যেমন আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ ( আরবী ) অর্থাৎ “ আমি অপরাধীদেরকে জাহান্নামের দিকে কঠিন পিপাসার্ত অবস্থায় হাঁকিয়ে নিয়ে যাবো ।( ১৯:৮৬ ) তাদেরকে জাহান্নামের ধারে দাঁড় করিয়ে দেয়া হবে এবং তাদের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ, দেহ, কর্ণ, চক্ষু এবং ত্বক তাদের আমলগুলোর সাক্ষ্য প্রদান করবে। তাদের পূর্বের ও পরের সমস্ত দোষ প্রকাশিত হয়ে পড়বে। দেহের প্রতিটি অঙ্গ বলে উঠবেঃ “ সে আমার দ্বারা এই গুনাহ করেছে ।” তখন সে নিজের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলোকে ভৎসনা করে বলবেঃ “ কেন তোমরা আমার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য প্রদান করছো?” তারা উত্তরে বলবেঃ “আমরা আল্লাহ তাআলার নির্দেশ পালন করছি মাত্র । তিনি আমাদেরকে কথা বলার শক্তি দান করেছেন। সুতরাং আমরা সত্য সত্য কথা শুনিয়ে দিয়েছি। তিনিই তোমাদেরকে প্রথমে সৃষ্টিকারী। তিনিই সবকিছুকে বাকশক্তি দান করেছেন। সৃষ্টিকর্তার বিরুদ্ধাচরণ এবং তার হুকুমের অবাধ্যাচরণ কে করতে পারে?হযরত আনাস ইবনে মালিক ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, একদা রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) হেসে উঠেন। অতঃপর তিনি বললেনঃ “ আমি কেন হাসলাম তা তোমরা আমাকে জিজ্ঞেস করলে না যে?” সাহাবীগণ ( রাঃ ) তখন বললেনঃ “হে আল্লাহর রাসূল ( সঃ )! আপনি হাসলেন কেন?" উত্তরে তিনি বললেন, কিয়ামতের দিন বান্দার তার প্রতিপালকের সাথে ঝগড়ার কথা মনে করে আমি বিস্ময়বোধ করছি । বান্দা বলবেঃ “ হে আমার প্রতিপালক! আপনি কি আমার সঙ্গে অঙ্গীকার করেননি যে, আপনি আমার উপর যুলুম করবেন না?আল্লাহ তা'আলা জবাবে বলবেনঃ “হ্যা ( অবশ্যই করেছিলাম )” সে বলবেঃ “ আমি তো আমার আমলের উপর আমার নিজের ছাড়া আর কারো সাক্ষ্য কবুল করবে না । তখন আল্লাহ তাআলা বলবেনঃ “ আমি এবং আমার সম্মানিত ফেরেশতারা কি সাক্ষ্য দেয়ার জন্যে যথেষ্ট নই?" কিন্তু সে বারবার তার একথাই বলতে থাকবে । তখন আল্লাহ তা'আলা সমস্ত জ্জতের জন্যে তার মুখে মোহর লাগিয়ে দিবেন এবং তার। দেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলোকে বলা হবেঃ “ সে যা কিছু করেছে তার সাক্ষ্য তোমরা প্রদান কর ।” তারা তখন পরিষ্কারভাবে সত্য সাক্ষ্য দিয়ে দিবে। সে তখন। তাদেরকে তিরস্কার করে বলবেঃ “ আমি তো তোমাদেরকেই রক্ষা করার জন্যে তর্ক করছিলাম ।( এ হাদীসটি হাফিয আবু বকর আল বাযযায় (রঃ ) বর্ণনা করেছেন। ইমাম মুসলিম ( রঃ ) ও ইমাম নাসাঈ ( রঃ ) এটা তাখরীজ করেছেন) হযরত আবূ মূসা আশআরী ( রাঃ ) বলেনঃ “ কাফির এবং মুনাফিকদেরকে হিসাবের জন্যে ডাক দেয়া হবে । তিনি তাদের প্রত্যেকের সামনে তার কৃতকর্ম পেশ করবেন। তাদের প্রত্যেক ব্যক্তি শপথ করে করে নিজের কৃতকর্ম অস্বীকার করবে এবং বলবেঃ “ হে আমার প্রতিপালক! আপনার ফেরেশতারা এমন কিছু লিখে রেখেছেন যা আমি কখনো করিনি । ফেরেশতারা বলবেনঃ “ তুমি কি অমুক দিন অমুক জায়গায় অমুক আমল করনি?” সে উত্তরে বলবেঃ “হে আমার প্রতিপালক! আপনার মর্যাদার শপথ! আমি এ কাজ কখনো করিনি ।” অতঃপর তার মুখে মোহর লাগিয়ে দেয়া হবে এবং দেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলো তার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য প্রদান করবে। সর্বপ্রথম তার ডান উরু কথা বলবে।” ( এটা ইমাম ইবনে আবি হাতিম (রঃ ) বর্ণনা করেছেন)হযরত আবু সাঈদ খুদরী ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, নবী ( সঃ ) বলেছেনঃ “ কিয়ামতের দিন কাফিরের সামনে তার কৃত মন্দ আমলগুলো পেশ করা হবে । সে তখন ওগুলো অস্বীকার করবে এবং তর্ক-বিতর্ক শুরু করে দিবে। তখন আল্লাহ তা'আলা বলবেনঃ “ এই যে তোমার প্রতিবেশীরা তোমার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিচ্ছে?” সে বলবেঃ “তারা মিথ্যা বলছে ।” মহান আল্লাহ বলবেনঃ “ এই যে এরা তোমার পরিবারবর্গ, এরা সাক্ষ্য দিচ্ছে? সে উত্তর দিবেঃ “এরাও সবাই মিথ্যাবাদী ।আল্লাহ তা'আলা তখন তাদেরকে শপথ করাবেন। তখন তারা শপথ করবে। তথাপি সে অস্বীকারই করবে। আল্লাহ তাআলা তখন তাদেরকে নীরব করবেন এবং স্বয়ং তার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলো তার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দান করবে এবং তাদেরকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।” ( এ হাদীসটি হাফিয আবুল ইয়ালা (রঃ ) বর্ণনা করেছেন)বর্ণিত আছে যে, হযরত ইবনে আব্বাস ( রাঃ ) ইবনুল আরাক ( রঃ )-কে বলেনঃ “ কিয়ামতের দিন একটি সময় তো এমন হবে যে, কাউকেও কথা বলার অনুমতি দেয়া হবে না এবং কোন ওযর-আপত্তিও শুনা হবে না । অতঃপর যখন কথা বলার অনুমতি দেয়া হবে তখন বান্দা ঝগড়া ও তর্ক-বিতর্ক করতে শুরু করবে এবং স্বীয় কৃতকর্মকে অস্বীকার করে বসবে। তারা মিথ্যা শপথ করবে। অবশেষে তাদের মুখে মোহর লাগিয়ে দেয়া হবে। সুতরাং তাদের মুখ বন্ধ হয়ে যাবে। তখন তাদের ত্বক, চক্ষু, হাত, পা ইত্যাদি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলো তাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য প্রদান করবে। অতঃপর তাদের মুখ খুলে দেয়া হবে। তখন তারা তাদের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলোকে তাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেয়ার কারণে তিরস্কার করবে। তারা তখন বলবেঃ আল্লাহ, যিনি সবকিছুকে বাকশক্তি দিয়েছেন তিনি । আমাদেরকেও বাকশক্তি দিয়েছেন। তিনি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন প্রথমবার এবং তাঁর নিকট তোমরা প্রত্যাবর্তিত হবে।' তখন মুখও স্বীকার করে নিবে।” ( এটা ইমাম ইবনে আবি হাতিম (রঃ ) বর্ণনা করেছেন)হযরত রাফে আবুল হাসান ( রঃ ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন যে, স্বীয় কৃতকর্ম অস্বীকার করার কারণে তার জিহ্বা এতো মোটা করে দেয়া হবে যে, ওটা একটা কথাও বলতে পারবে না। তখন দেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলোকে সাক্ষ্য দিতে বলা হবে। তারা প্রত্যেকেই তখন নিজ নিজ আমলের কথা বলে দিবে। কর্ণ, চক্ষু, ত্বক, লজ্জাস্থান, হাত, পা ইত্যাদি সবাই সাক্ষ্য দিবে। ( এটাও ইমাম ইবনে আবি হাতিম (রঃ ) বর্ণনা করেছেন)এর অনুরূপ আরো বহু হাদীস ও আসার সূরায়ে ইয়াসীনের নিম্নের আয়াতের তাফসীরে বর্ণিত হয়েছে। সুতরাং এখানে পুনরাবৃত্তি নিষ্প্রয়োজন। আয়াতটি হলোঃ ( আরবী ) অর্থাৎ “ আমি আজ তাদের মুখ মোহর করে দিবো, তাদের হস্ত কথা বলবে আমার সাথে এবং তাদের চরণ সাক্ষ্য দিবে তাদের কৃতকর্মের ।( ৩৬:৬৫ )।হযরত জাবির ইবনে আবদিল্লাহ ( রাঃ ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, যখন আমরা সমুদ্রের হিজরত হতে ফিরে আসি তখন রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) একদা আমাদেরকে বললেনঃ “ তোমরা হাবশা দেশে ( আবিসিনিয়ায় ) বিস্ময়কর ঘটনা কিছু দেখে থাকলে বর্ণনা কর ।” তখন একজন যুবক বললোঃ “ একদা আমরা সেখানে বসে আছি এমন সময় তাদের আলেমদের একজন বৃদ্ধা মহিলা মাথায় একটি কলসি নিয়ে আমাদের পার্শ্ব দিয়ে গমন করে । তাদের একজন যুবক তাকে ধাক্কা দেয়। ফলে সে পড়ে যায় এবং কলসিটি ভেঙ্গে যায়। তখন ঐ বৃদ্ধা মহিলাটি উঠে ঐ যুবকটির দিকে দৃষ্টিপাত করে বললোঃ “ ওরে প্রতারক! তুই এর পরিণাম তখনই জানতে পারবি যখন আল্লাহ তাআলা স্বীয় কুরসীর উপর সমাসীন হবেন এবং তার বান্দাদেরকে একত্রিত করবেন । ঐ সময় তাদের হাত, পা তাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য প্রদান করবে এবং প্রত্যেকের প্রত্যেকটি আমল প্রকাশিত হয়ে পড়বে। ঐদিন তোর এবং আমার মধ্যে ফায়সালা হয়ে যাবে।” একথা শুনে রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বললেনঃ “ বৃদ্ধা মহিলাটি সত্য কথাই বলেছে, আল্লাহ তা'আলা ঐ সম্প্রদায়কে কিভাবে পবিত্র করবেন যাদের দুর্বলদের প্রতিশোধ সবলদের হতে গ্রহণ না করবেন?” ( এ হাদীসটি ইমাম ইবনে হাতিম (রঃ ) বর্ণনা করেছেন । এটা এই সনদে গারীব)ইবনে আবিদ দুনিয়া ( রঃ ) এই রিওয়াইয়াতটিই অন্য সনদে বর্ণনা করেছেন। যখন বান্দা স্বীয় অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলোকে তাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দানের কারণে ভসনা। করবে তখন তারা উত্তর দিতে গিয়ে এ কথাও বলবেঃ “ তোমাদের আমলগুলো আসলে গোপন ছিল না । আল্লাহ তা'আলার দৃষ্টির সামনে তোমরা কুফরী ও অবাধ্যাচরণের কাজে লিপ্ত থাকতে এবং কিছুই পরোয়া করতে না। কেননা, তোমরা মনে করতে যে, তোমাদের বহু কাজ আল্লাহর নিকট গোপন থাকছে। এই মিথ্যা ধারণাই তোমাদেরকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিয়েছে। তাই আজ তোমরা ধ্বংস হয়ে গেছে।” হযরত আবদুল্লাহ ( রাঃ ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ “ একদা আমি কাবা শরীফের পর্দার আড়ালে লুকিয়ে ছিলাম । এমতাবস্থায় তথায় তিনজন লোক আসলো, যাদের পেট ছিল বড় এবং জ্ঞান ছিল কম। তাদের একজন বললোঃ “ আচ্ছা বলতো, আমরা যে কথা বলছি তা কি আল্লাহ শুনতে পাচ্ছেন?” দ্বিতীয়জন বললোঃ “আমরা উচ্চস্বরে কথা বললে তিনি শুনতে পান এবং নিম্ন স্বরে কথা বললে তিনি শুনতে পান না ।” তৃতীয় জন বললোঃ “ তিনি কিছু শুনতে পেলে সবই শুনতে পান ।” আমি এসে রাসূলুল্লাহ ( সঃ )-এর নিকট ঘটনাটি বর্ণনা করলাম। তখন আল্লাহ তা'আলা নিম্নের আয়াতগুলো অবতীর্ণ করেনঃ ( আরবী ) অর্থাৎ “ তোমরা কিছু গোপন করতে না এই বিশ্বাসে যে, তোমাদের কর্ণ, চক্ষু এবং ত্বক তোমাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিবে না ..........
ফলে তোমরা হয়েছে ক্ষগ্রিস্ত ।
( এ হাদীসটি ইমাম আহমাদ (রঃ ), ইমাম মুসলিম ( রঃ ) ও ইমাম তিরমিযী ( রঃ ) বর্ণনা করেছেন)হযরত বাহ্য ইবনে হাকীম ( রাঃ ) হতে বর্ণিত, তিনি তাঁর পিতা হতে এবং তিনি তাঁর দাদা হতে বর্ণনা করেছেন যে, নবী ( সঃ ) বলেছেনঃ “ কিয়ামতের দিন তোমাদেরকে এমন অবস্থায় আহ্বান করা হবে যে, তোমাদের মুখের উপর মোহর মারা থাকবে । তোমাদের মধ্যে কারো আমল সর্বপ্রথম যে ( অঙ্গ ) প্রকাশ করবে তা হবে তার উরু ও স্কন্ধ।” ( এ হাদীসটি আবদুর রাযযাক (রঃ ) বর্ণনা করেছেন)মা’মার ( রঃ ) বলেন যে, হযরত হাসান ( রঃ ) ( আরবী ) পাঠ করার পরে বলেন যে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বলেছেন, আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ “ আমার বান্দা আমার সম্পর্কে যে ধারণা পোষণ করে, আমি তার সাথে ঐ ব্যবহারই করে থাকি । আর যখন সে আমাকে ডাকে আমি তখন তার সাথেই থাকি।” হযরত হাসান ( রঃ ) এটুকু বলার পর কিছুক্ষণ চিন্তা করে আবার বলতে শুরু করেনঃ আল্লাহ সম্পর্কে যে ব্যক্তি যে ধরিণা করে তার আমলও ঐরূপই হয়ে থাকে। মুমিন আল্লাহর প্রতি ভাল ধারণা রাখে বলে তার আমলও ভাল হয়ে থাকে। পক্ষান্তরে কাফির ও মুনাফিক আল্লাহর প্রতি মন্দ ধারণা পোষণ করে বলে তার আমলও মন্দ হয়। অতঃপর তিনি বলেন যে, আল্লাহ তাবারাকা ওয়া তা'আলা বলেনঃ ( আরবী ) অর্থাৎ “ তোমরা কিছু গোপন করতে না এই বিশ্বাসে যে, তোমাদের কর্ণ, চক্ষু এবং ত্বক তোমাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিবে না ........
তোমাদের প্রতিপালক সম্বন্ধে তোমাদের এই ধারণাই তোমাদের ধ্বংস এনেছে ।
ফলে তোমরা ধ্বংস হয়েছে।”হযরত জাবির ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বলেছেনঃ “ তোমাদের কেউ যেন এই অবস্থা ছাড়া মৃত্যু বরণ না করে যে, আল্লাহর প্রতি তার ধারণা ভাল রয়েছে । কারণ যে সম্প্রদায় আল্লাহর প্রতি মন্দ ধারণা রেখেছে ( আরবী ) আল্লাহ তাদেরকে ধ্বংস করে দিয়েছেন।” অতঃপর তিনি ...
( আরবী )-এ আয়াতটিই তিলাওয়াত করেন। ( এ হাদীসটি ইমাম আহমাদ (রঃ ) বর্ণনা করেছেন)এরপর প্রবল প্রতাপান্বিত আল্লাহ বলেনঃ এখন তারা ধৈর্যধারণ করলেও জাহান্নামই হবে তাদের আবাস এবং তারা অনুগ্রহ চাইলেও তারা অনুগ্রহ প্রাপ্ত হবে না। অর্থাৎ জাহান্নামীদের জাহান্নামের মধ্যে ধৈর্যধারণ করা বা না করা সমান। তাদের কোন ওযর-আপত্তিও গ্রহণ করা হবে না এবং তাদের পাপও ক্ষমা করা হবে না। তাদের জন্যে দুনিয়ায় পুনরায় প্রত্যাবর্তনের পথও বন্ধ। এটা আল্লাহ তা'আলার নিম্নের উক্তির মতঃ ( আরবী ) অর্থাৎ “ তারা বলবে- হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের উপর আমাদের । দুর্ভাগ্য ছেয়ে গেছে, নিশ্চয়ই আমরা ছিলাম বিভ্রান্ত। হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে এর থেকে বের করে নিন, যদি আমরা পুনরায় এ কাজই করি তবে তো আমরা অবশ্যই যালিম হবো। আল্লাহ তা'আলা উত্তরে বলবেনঃ তোমরা এর মধ্যেই পড়ে থাকো এবং আমার সাথে কথা বলে না।”( ২৩:১০৬-১০৮ )

সূরা হা-মীম আস-সাজদা আয়াত 24 সূরা

فإن يصبروا فالنار مثوى لهم وإن يستعتبوا فما هم من المعتبين

سورة: فصلت - آية: ( 24 )  - جزء: ( 24 )  -  صفحة: ( 479 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. নিশ্চয় সে তার পালনকর্তার মহান নিদর্শনাবলী অবলোকন করেছে।
  2. বরং তোমরা তো তাঁকেই ডাকবে। অতঃপর যে বিপদের জন্যে তাঁকে ডাকবে, তিনি ইচ্ছা করলে তা
  3. আমি সত্যসহ এ কোরআন নাযিল করেছি এবং সত্য সহ এটা নাযিল হয়েছে। আমি তো আপনাকে
  4. নভোমন্ডলে ও ভুমন্ডলে যা কিছু আছে, সব তাঁরই। সবাই তাঁর আজ্ঞাবহ।
  5. আর সমস্ত মুমিনের অভিযানে বের হওয়া সঙ্গত নয়। তাই তাদের প্রত্যেক দলের একটি অংশ কেন
  6. আর নিজেদের শপথের জন্য আল্লাহর নামকে লক্ষ্যবস্তু বানিও না মানুষের সাথে কোন আচার আচরণ থেকে
  7. আমি ইচ্ছা করলে তাদেরকে স্ব স্ব স্থানে আকার বিকৃত করতে পারতাম, ফলে তারা আগেও চলতে
  8. এরপর বলেছেঃ এতো লোক পরস্পরায় প্রাপ্ত জাদু বৈ নয়,
  9. কাফেরগণ, তোমরা কিছুদিন খেয়ে নাও এবং ভোগ করে নাও। তোমরা তো অপরাধী।
  10. আদ সম্প্রদায়ের কাছে প্রেরণ করেছি তাদের ভাই হুদকে। সে বললঃ হে আমার সম্প্রদায়, তোমরা আল্লাহর

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা হা-মীম আস-সাজদা ডাউনলোড করুন:

সূরা Fussilat mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Fussilat শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত হা-মীম আস-সাজদা  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত হা-মীম আস-সাজদা  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত হা-মীম আস-সাজদা  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত হা-মীম আস-সাজদা  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত হা-মীম আস-সাজদা  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত হা-মীম আস-সাজদা  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত হা-মীম আস-সাজদা  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত হা-মীম আস-সাজদা  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত হা-মীম আস-সাজদা  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত হা-মীম আস-সাজদা  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত হা-মীম আস-সাজদা  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত হা-মীম আস-সাজদা  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত হা-মীম আস-সাজদা  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত হা-মীম আস-সাজদা  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত হা-মীম আস-সাজদা  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত হা-মীম আস-সাজদা  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত হা-মীম আস-সাজদা  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত হা-মীম আস-সাজদা  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত হা-মীম আস-সাজদা  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত হা-মীম আস-সাজদা  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত হা-মীম আস-সাজদা  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত হা-মীম আস-সাজদা  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত হা-মীম আস-সাজদা  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত হা-মীম আস-সাজদা  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত হা-মীম আস-সাজদা  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Tuesday, July 16, 2024

Please remember us in your sincere prayers