কোরান সূরা জিন আয়াত 24 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Jinn ayat 24 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা জিন আয়াত 24 আরবি পাঠে(Jinn).
  
   

﴿حَتَّىٰ إِذَا رَأَوْا مَا يُوعَدُونَ فَسَيَعْلَمُونَ مَنْ أَضْعَفُ نَاصِرًا وَأَقَلُّ عَدَدًا﴾
[ الجن: 24]

এমনকি যখন তারা প্রতিশ্রুত শাস্তি দেখতে পাবে, তখন তারা জানতে পারবে, কার সাহায্যকারী দূর্বল এবং কার সংখ্যা কম। [সূরা জিন: 24]

Surah Al-Jinn in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Jinn ayat 24


যে পর্যন্ত না তারা দেখতে পায় যা তাদের ওয়াদা করা হয়েছিল, তখন তারা সঙ্গে-সঙ্গে জানতে পারবে কে সাহায্যলাভের ক্ষেত্রে দুর্বলতর, আর সংখ্যার দিক দিয়ে অল্প।


Tafsir Mokhtasar Bangla


২৪. আর কাফিররা তাদের কুফরীর উপর অটল থাকবে। অবশেষে যখন তারা কিয়ামত দিবসে দুনিয়াতে কৃত আযাবের অঙ্গীকারের বাস্তব চিত্র প্রত্যক্ষ করবে তখন তারা অবশ্যই জানবে, কে সর্বাপেক্ষা দুর্বল এবং কে সর্বাপেক্ষা নিঃসঙ্গ।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


এমনকি যখন তারা তাদের প্রতিশ্রুত ( শাস্তি ) প্রত্যক্ষ করবে,[১] তখন তারা জানতে পারবে, কে সাহায্যকারী হিসাবে দুর্বল এবং কে সংখ্যায় অল্প। [২] [১] অথবা এর অর্থ হল, এরা নবী করীম ( সাঃ ) এবং মু'মিনদের সাথে শত্রুতা ও নিজেদের কুফরীর উপর অব্যাহত থাকবে দুনিয়াতে বা আখেরাতে সেই আযাব দেখা পর্যন্ত, যার অঙ্গীকার তাদের সাথে করা হয়েছে। [২] অর্থাৎ, সেদিন তারা জানতে পারবে যে, মু'মিনদের সাহায্যকারী দুর্বল, না মুশরিকদের? আর তওহীদবাদীদের সংখ্যা কম, না গায়রুল্লাহর পূজারীদের? অর্থাৎ, তখন তো মুশরিকদের মোটেই কোন সাহায্যকারী থাকবে না এবং আল্লাহর অসংখ্য সৈন্যের সামনে মুশরিকদের সংখ্যা হবে আটাতে লবণ বরাবর।

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


অবশেষে যখন তারা যা প্রতিশ্রুত তা প্রত্যক্ষ করবে, তখন তারা জানতে পারবে কে সাহায্যকারী হিসেবে অধিকতর দুর্বল এবং সংখ্যায় স্বল্প।

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


১৮-২৪ নং আয়াতের তাফসীর আল্লাহ তা’আলা স্বীয় বান্দাদেরকে নির্দেশ দিচ্ছেন যে, তারা যেন তাঁর ইবাদতের জায়গাকে শিরক হতে পবিত্র রাখে, সেখানে যেন অন্য কাউকেও না ডাকে। কাউকেও যেন আল্লাহর ইবাদত ও আনুগত্যে শরীক না করে। ইয়াহূদ ও খৃষ্টানরা তাদের গীর্জা ও মন্দিরে গিয়ে আল্লাহর সাথে অন্যদেরকে শরীক করতো। তাই এই উম্মতকে নির্দেশ দেয়া হচ্ছে যে, তারা যেন এরূপ না করে, বরং নবী ( সঃ ) এবং উম্মত সবাই যেন একত্ববাদী হয়ে থাকে।হযরত ইবনে আব্বাস ( রাঃ ) বলেন যে, এই আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার সময় শুধু মসজিদে আকসা ও মসজিদে হারামই বিদ্যমান ছিল। হযরত আ’মাশ ( রঃ ) এই আয়াতের তাফসীরে এটাও বর্ণনা করেছেন যে, জ্বিনেরা রাসূলুল্লাহ ( সঃ )-এর নিকট তাঁর মসজিদে মানবের সাথে নামায পড়ার অনুমতি প্রার্থনা করে। সুতরাং তাদেরকে যেন বলা হচ্ছেঃ তোমরা নামায পড়তে পার, কিন্তু তাদের সাথে মিশ্রিত হয়ে যেয়ো না।হযরত সাঈদ ইবনে জুবায়ের ( রঃ ) বলেন যে, জ্বিনের রাসূলুল্লাহ ( সঃ )-এর নিকট আরয করলোঃ “ হে আল্লাহর রাসূল ( সঃ )! আমরা তো দূর দূরান্তে থাকি, সুতরাং আপনার মসজিদে নামায পড়তে আসতে পারি কি করে?” উত্তরে রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বললেনঃ “উদ্দেশ্য হলো নামায আদায় করা এবং আল্লাহর ইবাদতে লেগে থাকা, তা যেখানেই হোক না কেন । হযরত ইকরামা ( রঃ ) বলেন যে, এ আয়াতটি সাধারণ এটা সমস্ত মসজিদকেই অন্তর্ভুক্ত করে। হযরত সাঈদ ইবনে জুবায়ের ( রঃ ) বলেন যে, এ আয়াতটি সিজদার অঙ্গগুলোর ব্যাপারে অবতীর্ণ হয়েছে। ভাবার্থ হলোঃ যে অঙ্গগুলোর উপর তোমরা সিজদা কর ওগুলো সবই আল্লাহর। সুতরাং তোমাদের এই অঙ্গগুলোর দ্বারা অন্যদেরকে সিজদা করা হারাম। সহীহ হাদীসে হযরত ইবনে আব্বাস ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বলেছেনঃ “ সাতটি হাড়ের উপর সিজদা করতে আমি আদিষ্ট হয়েছি । ওগুলো হলোঃ কপাল, ( হাত দ্বারা ইশারা করে তিনি নাককেও কপালের অন্তর্ভুক্ত করেন ), দুই হাত, দুই হাঁটু এবং দুই পায়ের পাতা।”( আরবি )-এ আয়াতের একটি ভাবার্থ হলো এই যে, জ্বিনেরা রাসূলুল্লাহ ( সঃ )-এর মুখে যখন কুরআন পাঠ শুনলো তখন তারা এমনাবে আগে আগে বেড়ে চললো যে, যেন একে অপরের মাথার উপর দিয়ে চলে যাবে। দ্বিতীয় ভাবার্থ হলোঃ জ্বিনেরা নিজেদের সম্প্রদায়কে বললোঃ রাসূলুল্লাহ ( সঃ )-এর সাহাবীদের ( রাঃ ) তার প্রতি আনুগত্যের অবস্থা এই যে, যখন তিনি নামাযে দাঁড়িয়ে যান এবং সাহাবীগণ তাঁর পিছনে থাকেন তখন প্রথম হতে শেষ পৃর্যন্ত আনুগত্য ও অনুকরণে এমনভাবে লেগে থাকেন যে, যেন একটা বৃত্ত। তৃতীয় উক্তি এই যে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) যখন জনগণের মধ্যে একত্ববাদ ঘোষণা করেন তখন কাফিররা দাঁত কটমট হয়ে এই দ্বীন ইসলামকে মিটিয়ে দিতে এবং এর আলোকে নির্বাপিত করে দিতে চায়, কিন্তু আল্লাহ পাকের ইচ্ছা এর বিপরীত, তিনি এই দ্বীনকে সমুন্নত করতে চান ? এই তৃতীয় উক্তিটিই বেশী একাশমান। কেননা এর পরেই রয়েছেঃ তুমি বল আমি আমার প্রতিপালককেই ডাকি এবং তাঁর সঙ্গে কাউকেও শরীক করি না।।অর্থাৎ সত্যের আহ্বান ও একত্ববাদের শব্দ যখন কাফিরদের কানে পৌঁছে যার প্রতি তারা বহুদিন হতেই মনঃক্ষুন্ন ছিল তখন তারা কষ্ট প্রদানে, বিরুদ্ধাচরণে এবং অবিশ্বাসকরণে উঠে পড়ে লেগে যায়। আর সত্যকে মিটিয়ে দিতে চায় ও রাসূলুল্লাহ ( সঃ )-এর শত্রুতার উপর একতাবদ্ধ হয়। ঐ সময় রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) ঐ কাফিরদেরকে সম্বোধন করে বলেনঃ আমি আমার এক শরীকবিহীন প্রতিপালকের ইবাদতে মগ্ন রয়েছি। আমি তাঁরই আশ্রয়ে আছি। তাঁরই উপর আমি ভরসা করি। তিনিই আমার আশ্রয়দানস্থল। তোমরা কখনো আমার নিকট হতে এ আশা করো না যে, আমি অন্য কারো সামনে মাথা নত করবো এবং তার ইবাদত করবো। আমি তোমাদের মতই মানুষ। তোমাদের লাভ-ক্ষতির আমি মালিক নই। আমি তো আল্লাহর এক দাস মাত্র। আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে আমিও এক বান্দা। তোমাদেরকে হিদায়াত করা বা পথভ্রষ্ট করার ক্ষমতা আমি রাখি না। সবকিছুই আল্লাহর অধিকারভুক্ত। আমি তো শুধু একজন প্রচারক। আমি নিজেই যদি আল্লাহর অবাধ্যাচরণ করি তবে অবশ্যই তিনি আমাকে শাস্তি দিবেন এবং আমাকে বাঁচাবার কারো ক্ষমতা হবে না। আল্লাহ ছাড়া আমি কোন আশ্রয় স্থল দেখি না। আমার পদমর্যাদা শুধু প্রচারক ও রাসূল হিসেবেই রয়েছে।কারো কারো মতে ( আরবি ) শব্দের ইসতিসনা বা স্বাতন্ত্র ( আরবি )-এর সাথে রয়েছে। অর্থাৎ আমি লাভ ক্ষতি এবং হিদায়াত ও যালালাতের মালিক নই। আমি তো শুধু তাবলীগ করি ও আল্লাহর বাণী মানুষের নিকট পৌঁছিয়ে থাকি। আবার এই ইসতিসনা ( আরবি )-এর সাথেও হতে পারে। অর্থাৎ আমাকে শুধু আমার রিসালাতের পালনই আল্লাহর আযাব হতে বাঁচাতে পারে। যেমন আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ ( আরবি )অর্থাৎ “ হে রাসূল ( সঃ )! তোমার প্রতিপালকের পক্ষ হতে তোমার প্রতি যা অবতীর্ণ করা হয়েছে তা তুমি ( জনগণের কাছে ) পৌঁছিয়ে দাও, আর যদি তুমি তা না কর তাহলে তুমি তার রিসালাত পৌঁছিয়ে দিলে না, আর আল্লাহ তোমাকে লোকদের ( অনিষ্ট ) হতে রক্ষা করবেন ।( ৫:৬৭ )ইরশাদ হচ্ছেঃ যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূল ( সঃ )-কে অমান্য করে তাদের জন্যে রয়েছে জাহান্নামের অগ্নি, সেথায় তারা চিরস্থায়ী হবে। যখন এই মুশরিক দানব ও মানবরা কিয়ামতের দিন ভয়াবহ আযাব দেখতে পাবে তখন তারা বুঝতে পারবে কে সাহায্যকারীর দিক দিয়ে দুর্বল এবং কে সংখ্যায় স্বল্প। অর্থাৎ একত্ববাদে বিশ্বাসী মুমিন না তাতে অবিশ্বাসী মুশরিক। প্রকৃত ব্যাপার এই যে, ঐদিন মুশরিকদের শুধু নাম হিসেবেও কোন সাহায্যকারী থাকবে না এবং মহামহিমান্বিত আল্লাহর সেনাবাহিনীর তুলনায় তাদের সংখ্যা হবে অতি নগণ্য।

সূরা জিন আয়াত 24 সূরা

حتى إذا رأوا ما يوعدون فسيعلمون من أضعف ناصرا وأقل عددا

سورة: الجن - آية: ( 24 )  - جزء: ( 29 )  -  صفحة: ( 573 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. তারা কি এখন এ অপেক্ষায়ই আছে যে, এর বিষয়বস্তু প্রকাশিত হোক? যেদিন এর বিষয়বস্তু প্রকাশিত
  2. হে নবী! আল্লাহকে ভয় করুন এবং কাফের ও কপট বিশ্বাসীদের কথা মানবেন না। নিশ্চয় আল্লাহ
  3. আমি এ কোরআনে মানুষের জন্যে সব দৃষ্টান্তই বর্ণনা করেছি, যাতে তারা অনুধাবন করে;
  4. তথায় শুনবে না কোন অসার কথাবার্তা।
  5. তারাই উত্তরাধিকার লাভ করবে।
  6. আমি এভাবেই সৎকর্ম পরায়নদেরকে পুরস্কৃত করে থাকি।
  7. সে কখনও কৃতজ্ঞ হয়নি, তিনি তাকে যা আদেশ করেছেন, সে তা পূর্ণ করেনি।
  8. তাহলে কি আযাব সংঘটিত হয়ে যাবার পর এর প্রতি বিশ্বাস করবে? এখন স্বীকার করলে? অথচ
  9. আমি যখন মানুষের প্রতি অনুগ্রহ করি তখন সে মুখ ফিরিয়ে নেয় এবং পার্শ্ব পরিবর্তন করে।
  10. এই সে জাহান্নাম, যার ওয়াদা তোমাদেরকে দেয়া হতো।

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা জিন ডাউনলোড করুন:

সূরা Jinn mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Jinn শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত জিন  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত জিন  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত জিন  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত জিন  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত জিন  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত জিন  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত জিন  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত জিন  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত জিন  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত জিন  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত জিন  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত জিন  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত জিন  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত জিন  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত জিন  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত জিন  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত জিন  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত জিন  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত জিন  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত জিন  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত জিন  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত জিন  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত জিন  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত জিন  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত জিন  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Monday, May 20, 2024

لا تنسنا من دعوة صالحة بظهر الغيب