কোরান সূরা রূম আয়াত 25 তাফসীর
﴿وَمِنْ آيَاتِهِ أَن تَقُومَ السَّمَاءُ وَالْأَرْضُ بِأَمْرِهِ ۚ ثُمَّ إِذَا دَعَاكُمْ دَعْوَةً مِّنَ الْأَرْضِ إِذَا أَنتُمْ تَخْرُجُونَ﴾
[ الروم: 25]
তাঁর অন্যতম নিদর্শন এই যে, তাঁরই আদেশে আকাশ ও পৃথিবী প্রতিষ্ঠিত আছে। অতঃপর যখন তিনি মৃত্তিকা থেকে উঠার জন্যে তোমাদের ডাক দেবেন, তখন তোমরা উঠে আসবে। [সূরা রূম: 25]
Surah Ar-Rum in Banglaজহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Rum ayat 25
আর তাঁর নিদর্শনগুলোর মধ্যে হচ্ছে যে আকাশ ও পৃথিবী অটুট রয়েছে তাঁরই আদেশে। তারপর তিনি যখন তোমাদের এক ডাক দিয়ে ডাকেন, মাটি থেকে, তখন তোমরা বেরিয়ে আসছ।
Tafsir Mokhtasar Bangla
২৫. তাঁর ক্ষমতা ও একত্ববাদের উপর বড় ধরণের প্রমাণবহনকারী বিষয়াদির মধ্যে রয়েছে যে, তাঁর নির্দেশে আসমান-যমীন পড়ে যাওয়া ও বিধ্বস্ত হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পায়। অতঃপর যখন তিনি যমীন থেকে উঠে আসার আহŸান জানাবেন তখন ফিরিশতার ফুৎকারের মাধ্যমে তোমরা কবর থেকে হিসাব ও প্রতিদানের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে আসবে।
Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান
এবং তাঁর নিদর্শনাবলীর মধ্যে একটি নিদর্শনঃ তাঁরই আদেশে আকাশ ও পৃথিবীর স্থিতি। অতঃপর আল্লাহ যখন তোমাদের মাটি হতে ওঠার জন্য আহবান করবেন, তখন তোমরা উঠে আসবে।[১] [১] অর্থাৎ, যখন কিয়ামত সংঘটিত হবে, তখন আকাশ ও পৃথিবীর সকল নিয়ম-শৃঙ্খল; যা বর্তমানে তাঁর আদেশে কায়েম আছে -- সব ভেঙ্গে-চুরে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে এবং সমস্ত মৃত পুনরুজ্জীবিত হয়ে কবর থেকে বের হয়ে এসে ( হাশরের মাঠে সমবেত হবে )।
Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স
আর তাঁর নিদর্শনাবলীর মধ্যে রয়েছে যে, তাঁরই আদেশে আসমান ও যমীনের স্থিতি থাকে; তারপর আল্লাহ্ যখন তোমাদেরকে যমীন থেকে উঠার জন্য একবার ডাকবেন তখনই তোমরা বেরিয়ে আসবে [ ১ ]। [ ১ ] আল্লাহর কুদরতের ষষ্ঠ নিদর্শনঃ ষষ্ঠ নিদর্শন এই যে, আকাশ ও পৃথিবী আল্লাহ তাআলারই আদেশে কায়েম আছে। এতে নেই কোন খুঁটি। [ তাবারী ] হাজার হাজার বছর সক্রিয় থাকার পরও এগুলোতে কোথাও কোন ত্রুটি দেখা দেয় না। আল্লাহ তাআলা যখন এই ব্যবস্থাপনাকে ভেঙ্গে দেয়ার আদেশ দেবেন, তখন এই মজবুত ও অটুট বস্তুগুলো নিমেষের মধ্যে ভেঙ্গে-চুরে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। আর এ যমীনের পরিবর্তে অন্য যমীন ও আসমান তৈরী হবে। অতঃপর তাঁরই আদেশে সব মৃত পুনরুজ্জীবিত হয়ে হাশরের মাঠে সমবেত হবে। [ ইবন কাসীর ]। যেমন অন্য আয়াতে বলেছেন, “ যেদিন তিনি তোমাদেরকে ডাকবেন এবং তোমরা তাঁর প্রশংসার সাথে তাঁর ডাকে সাড়া দেবে এবং তোমরা মনে করবে, তোমরা অল্পকালই অবস্থান করেছিলে ।” [ সূরা আল-ইসরা: ৫২ ] অন্য আয়াতেও এসেছে, “ অতঃপর তা তো একটিমাত্র প্রচণ্ড ধমক---আর তখনই তারা দেখবে ।” [ সূরা আস-সাফফাত: ১৯ ] আরও এসেছে, “ এ তো শুধু এক বিকট আওয়াজ, তখনই ময়দানে তাদের আবির্ভাব হবে ।” [ সূরা আন-নাযি’আত: ১৩-১৪ ] অন্যত্র বলা হয়েছে, “এটা হবে শুধু এক বিকট শব্দ; তখনই এদের সকলকে উপস্থিত করা হবে আমাদের সামনে” [ সূরা ইয়াসীন: ৫৩ ] উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু যখন কোন ব্যাপারে কঠিন শপথ করতে চাইতেন তখন বলতেন, لاَ،وَللَّذِيْ تَقُوْ مُ السَّماءُوَالأَرْضُ بِأَمْرِه অর্থাৎ শপথ তাঁর যাঁর নির্দেশে আসমান ও যমীন স্ব স্ব স্থানে প্রতিষ্ঠিত রয়েছে। [ ইবন কাসীর ]
Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর
২৪-২৫ নং আয়াতের তাফসীর আল্লাহ তা'আলার বিরাট সত্তার দলীল স্বরূপ এখানে আর একটি নিদর্শন বর্ণনা করা হয়েছে। আকাশে তাঁরই আদেশে বিদ্যুৎ চমকায়। তা দেখে মানুষ ভীত-সন্ত্রস্ত হয় যে, না জানি হয়তো বিদ্যুতের ঝটকা তাদেরকে ধ্বংস করে ফেলবে। তাই তারা কামনা করে যে, বিদ্যুৎ যেন তাদের উপর পতিত না হয়। আবার মানুষ কখনো আশান্বিত হয় যে, ভালই হয়েছে, এখন বৃষ্টি হবে এবং পানি থৈ থৈ করবে, চারদিকে পানি বয়ে চলবে ইত্যাদি ধরনের আশায় আশান্বিত হয়ে থাকে।আল্লাহ তা'আলা আকাশ হতে বৃষ্টি বর্ষণ করেন, এর ফলে যে ভূমি শুষ্ক হয়ে পড়েছিল, যাতে মোটেই রস ছিল না, ওকে তিনি পুনর্জীবিত করে তোলেন। কচি ঘাস জমিতে ঢেউ খেলে যায়। জমিতে নানাবিধ ফসল উৎপন্ন হতে শুরু করে। এতে অবশ্যই বোধশক্তি সম্পন্ন সম্প্রদায়ের জন্যে আল্লাহর অসীম শক্তির নিদর্শন রয়েছে।তাঁর আর একটি নিদর্শন এই যে, যমীন ও আসমান তাঁরই হুকুমে স্থিতিশীল রয়েছে। তিনি আকাশকে পৃথিবীর উপর ভেঙ্গে পড়তে দেন না। আসমান যমীনকে ধরে আছে এবং ওকে ধ্বংস হতে রক্ষা করছে।হযরত উমার ইবনুল খাত্তাব ( রাঃ ) যখন কোন কিছু বিশ্বাস করানোর জন্যে শপথ করতেন তখন বলতেনঃ “ সেই আল্লাহর কসম, যিনি আসমান ও যমীনকে ধারণ করে আছেন । অতঃপর কিয়ামতের দিন যমীন ও আসমানকে পরিবর্তন করে দিবেন। এ জন্যেই আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ “ অতঃপর যখন তিনি তোমাদেরকে মৃত্তিকা হতে উঠবার জন্যে একবার আহ্বান করবেন তখন তোমরা উঠে আসবে ।” যেমন মহান আল্লাহ বলেনঃ ( আরবি )অর্থাৎ “ যেই দিন তিনি তোমাদেরকে আহ্বান করবেন, অতঃপর তাঁর প্রশংসা করতঃ তোমরা সাড়া দেবে এবং তোমরা ধারণা করবে যে, অতি অল্প সময়ই তোমরা অবস্থান করেছিলে ।” ( ১৭:৫২ ) আর এক জায়গায় বলেনঃ ( আরবি )অর্থাৎ “ এটা তো শুধু এক বিকট শব্দ, তখনই ময়দানে তাদের অবির্ভাব হবে ।” ( ৭৯:১৩-১৪ ) আরো এক জায়গায় বলেনঃ ( আরবি )অর্থাৎ “ এটা তো শুধু একটা মহানাদ, তখনই তাদের সবকে হাযির করা হবে আমার সামনে ।” ( ৩৬:৫৩ )।
সূরা রূম আয়াত 25 সূরা
English | Türkçe | Indonesia |
Русский | Français | فارسی |
تفسير | Urdu | اعراب |
বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত
- এটা আল্লাহর পক্ষে কঠিন নয়।
- যিনি নিতান্ত মেহেরবান ও দয়ালু।
- অতঃপর তার চেয়ে বড় জালেম, কে হবে, যে আল্লাহর প্রতি অপবাদ আরোপ করেছে কিংবা তাঁর
- তারা বলল, তুমি তো জাদুগ্রস্তদের অন্যতম।
- মানুষকে যখন দুঃখ-কষ্ট স্পর্শ করে, তখন সে আমাকে ডাকতে শুরু করে, এরপর আমি যখন তাকে
- রাত্রির কিছু অংশে তাঁর উদ্দেশে সিজদা করুন এবং রাত্রির দীর্ঘ সময় তাঁর পবিত্রতা বর্ণনা করুন।
- এবং আপনার পালনকর্তার উদ্দেশে সবর করুন।
- তোমাদেরকে এরই প্রতিশ্রুতি দেয়া হচ্ছে বিচার দিবসের জন্যে।
- তিনিই উপাস্য নভোমন্ডলে এবং তিনিই উপাস্য ভুমন্ডলে। তিনি প্রজ্ঞাময়, সর্বজ্ঞ,
- যে সম্পর্কে তারা মতানৈক্য করে।
বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :
সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা রূম ডাউনলোড করুন:
সূরা Rum mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Rum শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
আহমেদ আল-আজমি
ইব্রাহীম আল-আখদার
বান্দার বেলাইলা
খালিদ গালিলি
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
খলিফা আল টুনাইজি
সাদ আল-গামদি
সৌদ আল-শুরাইম
সালাহ বুখাতীর
আবদ এল বাসেট
আবদুল রশিদ সুফি
আব্দুল্লাহ্ বাস্ফার
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
আলী আল-হুদায়েফি
আলী জাবের
ফারেস আব্বাদ
মাহের আলমাইকুলই
মোহাম্মদ আইয়ুব
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মাদ জিব্রীল
আল-মিনশাবি
আল হোসারি
মিশারী আল-আফসী
নাসের আল কাতামি
ইয়াসের আল-দোসারি
Please remember us in your sincere prayers