কোরান সূরা বাকারাহ্ আয়াত 254 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Baqarah ayat 254 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা বাকারাহ্ আয়াত 254 আরবি পাঠে(Baqarah).
  
   

﴿يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا أَنفِقُوا مِمَّا رَزَقْنَاكُم مِّن قَبْلِ أَن يَأْتِيَ يَوْمٌ لَّا بَيْعٌ فِيهِ وَلَا خُلَّةٌ وَلَا شَفَاعَةٌ ۗ وَالْكَافِرُونَ هُمُ الظَّالِمُونَ﴾
[ البقرة: 254]

হে ঈমানদারগণ! আমি তোমাদেরকে যে রুযী দিয়েছি, সেদিন আসার পূর্বেই তোমরা তা থেকে ব্যয় কর, যাতে না আছে বেচা-কেনা, না আছে সুপারিশ কিংবা বন্ধুত্ব। আর কাফেররাই হলো প্রকৃত যালেম। [সূরা বাকারাহ্: 254]

Surah Al-Baqarah in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Baqarah ayat 254


ওহে যারা ঈমান এনেছ! আমরা তোমাদের যা রিযেক দিয়েছি তা থেকে তোমরা খরচ করো সেই দিন আসবার আগে যে দিন দরদস্তুর করা চলবে না, বা বন্ধুত্ব থাকবে না বা সুপারিশ টিকবে না। আর অবিশ্বাসীরা -- তারাই অন্যায়কারী।


Tafsir Mokhtasar Bangla


২৫৪. হে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের অনুসারী ঈমানদারগণ! আমি তোমাদেরকে যে হরেক রকমের হালাল রিযিক দিয়েছি কিয়ামত আসার আগেই তা থেকে আল্লাহর পথে কিছুটা ব্যয় করো। সে দিন কোন ক্রয়-বিক্রয় থাকবে না। যার মাধ্যমে মানুষ কিছু লাভজনক বস্তু সংগ্রহ করতে পারে। না কোন বন্ধুত্ব থাকবে যা বিপদের সময় কাজে আসবে। না সে দিন কোন সুপারিশ চলবে যদ্বারা কেউ কোন প্রকার লাভবান হতে পারবে কিংবা ক্ষতি থেকে বাঁচতে পারবে। তবে আল্লাহ যার ব্যাপারে চাইবেন ও তার উপর সন্তুষ্ট থাকবেন শুধু তারই কাজে আসতে পারে। বস্তুতঃ কাফিররা তাদের কুফরির দরুন সত্যিই যালিম।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


হে বিশ্বাসীগণ! আমি তোমাদেরকে যে রুযী দান করেছি, তা থেকে তোমরা দান কর, সেই ( শেষ বিচারের ) দিন আসার পূর্বে, যেদিন কোন প্রকার ক্রয়-বিক্রয়, বন্ধুত্ব এবং সুপারিশ থাকবে না। [১] আর অবিশ্বাসীরাই সীমালংঘনকারী। [১] ইয়াহুদী, খ্রিষ্টান এবং কাফের ও মুশরিকরা নিজেদের ইমাম অর্থাৎ, নবী, ওলী, বুযুর্গ এবং পীর-মুরশিদ ইত্যাদিদের ব্যাপারে এই বিশ্বাস রাখত যে, আল্লাহর উপর তাঁদের এত প্রভাব যে, তাঁরা নিজেদের ব্যক্তিত্বের প্রতাপে তাঁদের অনুসারীদের ব্যাপারে যা চাইবেন আল্লাহর কাছ থেকে তা মানিয়ে নিতে পারবেন এবং মানিয়ে নিবেন। আর এটাকেই তারা শাফাআত বা সুপারিশ বলে। অর্থাৎ, প্রায় বর্তমানের অজ্ঞ মুসলিমদের মতই ছিল তাদের আকীদা ও বিশ্বাস। এদের ( বর্তমানের অজ্ঞদের ) কথা হল, আমাদের বুযুর্গরা আল্লাহর কাছে দৃঢ়প্রতিজ্ঞা নিয়ে বসে যাবেন এবং ক্ষমা করিয়েই উঠবেন। এই আয়াতে বলা হয়েছে যে, আল্লাহর নিকট এ রকম কোন সুপারিশের অস্তিত্বই নেই। এ ছাড়া 'আয়াতুল কুরসী' এবং আরো অনেক আয়াতে ও হাদীসসমূহে বলা হয়েছে যে, সেখানে ( কিয়ামতে ) এক দ্বিতীয় প্রকারের শাফাআত অবশ্যই হবে, কিন্তু এই শাফাআত কেবল তাঁরাই করতে পারবেন, যাঁদেরকে আল্লাহ অনুমতি দান করবেন। আর এই সুপারিশ কেবল সেই বান্দার জন্যই করতে পারবেন, যার জন্য মহান আল্লাহ অনুমতি দেবেন। তিনি এই অনুমতি কেবল তাওহীদবাদীর জন্যই দেবেন। আর এই সুপারিশ ফিরিশতারাও করবেন, নবী-রসূল এবং শহীদ ও সালেহীনরাও করবেন। তবে তাঁদের মধ্যেকার কোন ব্যক্তিত্বের কোন দাপ ও চাপ আল্লাহর উপর থাকবে না। বরং তাঁরাই আল্লাহর ভয়ে এতই ভীত-সন্ত্রস্ত হবেন যে, তাঁদের মুখমন্ডল বিবর্ণ হতে থাকবে। মহান আল্লাহ বলেন, তারা সুপারিশ করে কেবল তাদের জন্য, যাদের প্রতি তিনি সন্তুষ্ট এবং তারা তাঁর ভয়ে ভীত-সন্ত্রস্ত। ( সূরা আম্বিয়া ২১:২৮ আয়াত )

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


হে মুমিনগণ! আমরা যা তোমাদেরকে দিয়েছি তা থেকে তোমরা ব্যয় কর সেদিন আসার পূর্বে, যেদিন বেচা-কেনা , বন্ধুত্ব ও সুপারিশ থাকবে না, আর কাফেররাই যালিম।

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


আল্লাহ তা'আলা তাঁর বান্দাদেরকে নির্দেশ দিচ্ছেন যে, তারা যেন সুপথে নিজেদের মাল খরচ করে, তাহলে আল্লাহর নিকট তার পুণ্য জমা থাকবে। অতঃপর বলেন যে, তারা যেন তাদের জীবদ্দশাতেই কিছু দান-খয়রাত করে। কেননা কিয়ামতের দিন না ক্রয়-বিক্রয় চলবে, না পৃথিবী পরিমাণ সোনা দিয়ে জীবন রক্ষা করা যাবে না কারও বংশ, বন্ধুত্ব ও ভালবাসা কোন কাজে আসবে। যেমন অন্য জায়গায় রয়েছেঃ ( আরবি ) অর্থাৎ যখন শিঙ্গায় ফুঁ দেয়া হবে সে দিন না তাদের মধ্যে বংশ পরিচয় থাকবে, না একে অপরের অবস্থা জিজ্ঞাসাবাদ করবে।' ( ২৩:১০১ ) সেদিন সুপারিশকারীর সুপারিশ কোন কাজে আসবে না।অতঃপর আল্লাহ তা'আলা বলেন যে, কাফিরেরাই অত্যাচারী। অর্থাৎ পূর্ণ অত্যাচারী তারাই যারা কুফরের অবস্থাতেই আল্লাহ তা'আলার সাথে সাক্ষাৎ করে। হযরত আতা বিন দীনার ( রঃ ) বলেন, “ আমি মহান আল্লাহর নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি যে, তিনি কাফিরদেরকে অত্যাচারী বলেছেন কিন্তু অত্যাচারীদেরকে কাফির বলেননি ।

সূরা বাকারাহ্ আয়াত 254 সূরা

ياأيها الذين آمنوا أنفقوا مما رزقناكم من قبل أن يأتي يوم لا بيع فيه ولا خلة ولا شفاعة والكافرون هم الظالمون

سورة: البقرة - آية: ( 254 )  - جزء: ( 3 )  -  صفحة: ( 42 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. তারা তো আপনাকে হটিয়ে দিতে চাচ্ছিল যে বিষয় আমি আপনার প্রতি ওহীর মাধ্যমে যা প্রেরণ
  2. যাতে আছে, সঠিক বিষয়বস্তু।
  3. এবং তোমাদের পালনকর্তা তোমাদের জন্যে যে স্ত্রীগনকে সৃষ্টি করেছেন, তাদেরকে বর্জন কর? বরং তোমরা সীমালঙ্ঘনকারী
  4. ফেরেশতাগণ এবং রূহ আল্লাহ তা’আলার দিকে উর্ধ্বগামী হয় এমন একদিনে, যার পরিমাণ পঞ্চাশ হাজার বছর।
  5. এটা এ জন্যে যে, তারা পার্থিব জীবনকে পরকালের চাইতে প্রিয় মনে করেছে এবং আল্লাহ অবিশ্বাসীদেরকে
  6. তারা কি করে বুঝবে, অথচ তাদের কাছে এসেছিলেন স্পষ্ট বর্ণনাকারী রসূল।
  7. তারপর যখন তারা এগিয়ে যেতে লাগল সে কর্মে যা থেকে তাদের বারণ করা হয়েছিল, তখন
  8. অবশ্য ধন-সম্পদে এবং জনসম্পদে তোমাদের পরীক্ষা হবে এবং অবশ্য তোমরা শুনবে পূর্ববর্তী আহলে কিতাবদের কাছে
  9. তারা একদল পূর্ববর্তীদের মধ্য থেকে।
  10. সেখানে তারা চিরকাল থাকবে। আল্লাহর ওয়াদা যথার্থ। তিনি পরাক্রমশালী ও প্রজ্ঞাময়।

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা বাকারাহ্ ডাউনলোড করুন:

সূরা Baqarah mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Baqarah শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Thursday, November 21, 2024

Please remember us in your sincere prayers