কোরান সূরা কাহ্ফ আয়াত 26 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Kahf ayat 26 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা কাহ্ফ আয়াত 26 আরবি পাঠে(Kahf).
  
   

﴿قُلِ اللَّهُ أَعْلَمُ بِمَا لَبِثُوا ۖ لَهُ غَيْبُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ ۖ أَبْصِرْ بِهِ وَأَسْمِعْ ۚ مَا لَهُم مِّن دُونِهِ مِن وَلِيٍّ وَلَا يُشْرِكُ فِي حُكْمِهِ أَحَدًا﴾
[ الكهف: 26]

বলুনঃ তারা কতকাল অবস্থান করেছে, তা আল্লাহই ভাল জানেন। নভোমন্ডল ও ভুমন্ডলের অদৃশ্য বিষয়ের জ্ঞান তাঁরই কাছে রয়েছে। তিনি কত চমৎকার দেখেন ও শোনেন। তিনি ব্যতীত তাদের জন্য কোন সাহায্যকারী নেই। তিনি কাউকে নিজ কর্তৃত্বে শরীক করেন না। [সূরা কাহ্ফ: 26]

Surah Al-Kahf in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Kahf ayat 26


বলো -- ''আল্লাহ্ ভাল জানেন কত কাল তারা অবস্থান করেছিল। মহাকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর অজ্ঞাত সব তাঁরই। কত তীক্ষ তাঁর দৃষ্টি ও কত সজাগ কান! তাঁকে বাদ দিয়ে তাদের জন্য কোনো অভিভাবক নেই, আর তিনি কোনো একজনকেও তাঁর কর্তৃত্বের অংশী করেন না।’’


Tafsir Mokhtasar Bangla


২৬. হে রাসূল! আপনি বলে দিন: আল্লাহ তা‘আলা এ সম্পর্কে ভালোই জানেন যে, তারা নিজেদের গুহায় কতদিন অবস্থান করেছে। আর তিনি তাদের অবস্থানের সময় সম্পর্কে আমাদেরকে জানিয়ে দিয়েছেন। তাই আল্লাহর কথার পর আর কারো কথা এখানে চলবে না। আকাশ ও জমিনের সকল অদৃশ্যের সৃষ্টি ও জ্ঞান কেবল তাঁরই কাছে। কতোই না তিনি দৃষ্টিশীল! তিনি সব কিছুই দেখেন। কতোই না তিনি শ্রবণশীল! তিনি সব কিছুই শুনেন। তিনি ছাড়া তাদের কোন অভিভাবক নেই। যে তাদের ব্যাপারগুলোর অভিভাবকত্ব করবে। না তিনি তাঁর কর্তৃত্বে কাউকে শরীক করেন। তিনি কেবল একাই সকল কর্তৃত্ব করেন।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


তুমি বল, ‘তারা কত কাল ছিল, তা আল্লাহই ভাল জানেন। আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর অদৃশ্য বিষয়ের জ্ঞান তাঁরই; তিনি কত সুন্দর দ্রষ্টা ও শ্রোতা! [১] তিনি ছাড়া তাদের অন্য কোন অভিভাবক নেই; তিনি কাউকেও নিজ কর্তৃত্বের শরীক করেন না।’ [১] এটা হল আল্লাহর সবকিছু জানার ও খবর রাখার গুণেরই অধিক আলোকপাত।

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


আপনি বলুন, ‘তারা কত কাল অবস্থান করেছিল তা আল্লাহই ভালো জানেন’, আসমান ও যমীনের গায়েবের জ্ঞান তাঁরই। তিনি কত সুন্দর দ্রষ্টা ও শ্রোতা! তিনি ছাড়া তাদের আর কোন অভিভাবক নেই। তিনি কাউকেও নিজ কর্তৃত্বে শরীক করেন না।

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


২৫-২৬ নং আয়াতের তাফসীর: আল্লাহ তাআলা স্বীয় নবীকে ( সঃ ) ঐ সময়কালের খবর দিচ্ছেন, যে সময়কাল পর্যন্ত গুহাবাসীরা তাদের গুহার মধ্যে নিদ্রিত অবস্থায় অবস্থান করে ছিলেন। ঐ সময়কাল ছিল সূর্যের হিসেবে তিন শ' বছর এবং চন্দ্রের হিসেবে তিনি শ’ নয় বছর। প্রকৃতপক্ষে শামসী ও কামরী বছরের মধ্যে প্রতি একশ বছরের তিন বছরের পৃথকভাবে বর্ণনা করার পর নয় বছর আলাদাভাবে বর্ণনা করেছেন।এরপর মহান আল্লাহ স্বীয় নবীকে ( সঃ ) সম্বোধন করে বলছেনঃ “ হে বী ( সঃ )! যদি তোমাকে গুহাবাসীদের শয়নকাল সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হয় এবং তোমার এর সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান না থাকে এবং আল্লাহ তাআলাও তোমাকে তা জানিয়ে না থাকেন, তবে তুমি সামনে বেড়ে যেয়ো না এবং এরূপ স্থলে উত্তর দাওঃ এর সঠিক জ্ঞান একমাত্র আল্লাহর রয়েছে । আসমান ও যমীনের গায়েবের খবর তিনিই রাখেন। তবে তিনি যাকে জানিয়ে দেন সে জানতে পারে।”কাতাদা ( রঃ ) বলেন যে, তারা গুহায় তিন শ’ বছর ছিলেন এটা আহলে কিতাবের উক্তি। আল্লাহ তাআলা এই উক্তিটি খণ্ডন করেছেন এবং বলেছেনঃ এরপূর্ণ ও সঠিক জ্ঞান একমাত্র আল্লাহর রয়েছে। হযরত আবদুল্লাহ ( রাঃ )। হতেও এই অর্থের কিরআত বর্ণিত আছে। কিন্তু কাতাদার ( রঃ ) উক্তিটি বিবেচনাধীন। কেননা, আহলে কিতাবের মধ্যে শামসী বছরের প্রচলন রয়েছে। এবং তারা গুহাবাসীদের অবস্থানের সময়কাল তিন শ’বছর মেনে থাকে। তিন শ’ নয় বছর তাদের উক্তি নয়। যদি এটা তাদেরই উক্তি হতো, তবে আল্লাহ তাআলা একথা বলতেন না যে, তারা তিনশ’ বছর ঘুমিয়েছিল এবং আরো নয় বছর বেশী করেছিল। বাহ্যতঃ তো এটাই ঠিক মনে হচ্ছে যে, স্বয়ং আল্লাহ তাআলা এটার খবর দিচ্ছেন, কারো উক্তি তিনি বর্ণনা করছেন না। এটাই ইমাম ইবনু জারীর ( রাঃ ) গ্রহণ করেছেন। কাতাদার ( রাঃ ) রিওয়াইয়াত এবং হযরত ইবনু মাসউদের ( রঃ ) কিরআত দু'টোই ছেদ কাটা এবং অতি বিরলও বটে জমহূরের কিরআত ওটাই যা কুরআনে রয়েছে। তিনি বিরল দলীলের পক্ষপাতি নন।আল্লাহ তাআলা স্বীয় বান্দাদেরকে খুবই দেখতে রয়েছেন এবং তাদের কথাও তিনি বেশ শুনতে রয়েছেন। এই দু'টি শব্দে প্রশংসার আধিক্য রয়েছে। অর্থাৎ “ খুব বেশী শ্রোতা ও খুব বেশী দ্রষ্টা । প্রত্যেক বিদ্যমান জিনিস তিনি দেখতে রয়েছেন এবং সমস্ত কথা তিনি শুনতে রয়েছেন। কোন কাজ ও কোন কথা তার কাছে গোপন নেই। তাঁর চেয়ে বেশী কেউ শ্রবণকারীও নেই এবং দর্শনকারীও নেই। প্রত্যেকের আমল তিনি দেখতে রয়েছেন এবং প্রত্যেকের কথা তিনি শুনতে রয়েছেন। সৃষ্টির স্রষ্টা এবং হুকুমের মালিক তিনিই। কেউ তার আদেশকে প্রতিরোধ করতে পারে না। তার কোন উযীর ও সাহায্যকারী নেই। তাঁর কোন অংশীদারও নেই এবং কোন পরামর্শদাতাও নেই। তিনি এই সমূদয় অভাব হতে মুক্ত ও পবিত্র। এই সব ত্রুটি হতে তিনি সম্পূর্ণরূপে মুক্ত।

সূরা কাহ্ফ আয়াত 26 সূরা

قل الله أعلم بما لبثوا له غيب السموات والأرض أبصر به وأسمع ما لهم من دونه من ولي ولا يشرك في حكمه أحدا

سورة: الكهف - آية: ( 26 )  - جزء: ( 15 )  -  صفحة: ( 296 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. এবং এই ওহীও করা হয়েছে যে, মসজিদসমূহ আল্লাহ তা’আলাকে স্মরণ করার জন্য। অতএব, তোমরা আল্লাহ
  2. অতএব, এই যালেমদের প্রাপ্য তাই, যা ওদের অতীত সহচরদের প্রাপ্য ছিল। কাজেই ওরা যেন আমার
  3. অতএব, যে ইচ্ছা করবে, সে একে গ্রহণ করবে।
  4. কিন্তু যারা এরপর তওবা করে এবং সংশোধিত হয়, আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম মেহেরবান।
  5. হে নবী! আপনি আপনার পত্নীগণকে ও কন্যাগণকে এবং মুমিনদের স্ত্রীগণকে বলুন, তারা যেন তাদের চাদরের
  6. আর যখন আপনি তাদেরকে বলবেন, আল্লাহর নির্দেশের দিকে এসো-যা তিনি রসূলের প্রতি নাযিল করেছেন, তখন
  7. মুশরিকদের চুক্তি আল্লাহর নিকট ও তাঁর রসূলের নিকট কিরূপে বলবৎ থাকবে। তবে যাদের সাথে তোমরা
  8. ডান ও বামদিক থেকে দলে দলে।
  9. আমি নূহকে তার সম্প্রদায়ের কাছে প্রেরণ করেছিলাম। সে বলেছিলঃ হে আমার সম্প্রদায়, তোমরা আল্লাহর বন্দেগী
  10. তারা উভয়ে বললঃ হে আমাদের পালনকর্তা আমরা নিজেদের প্রতি জুলম করেছি। যদি আপনি আমাদেরকে ক্ষমা

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা কাহ্ফ ডাউনলোড করুন:

সূরা Kahf mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Kahf শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Friday, November 22, 2024

Please remember us in your sincere prayers