কোরান সূরা লুকমান আয়াত 32 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Luqman ayat 32 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা লুকমান আয়াত 32 আরবি পাঠে(Luqman).
  
   

﴿وَإِذَا غَشِيَهُم مَّوْجٌ كَالظُّلَلِ دَعَوُا اللَّهَ مُخْلِصِينَ لَهُ الدِّينَ فَلَمَّا نَجَّاهُمْ إِلَى الْبَرِّ فَمِنْهُم مُّقْتَصِدٌ ۚ وَمَا يَجْحَدُ بِآيَاتِنَا إِلَّا كُلُّ خَتَّارٍ كَفُورٍ﴾
[ لقمان: 32]

যখন তাদেরকে মেঘমালা সদৃশ তরংগ আচ্ছাদিত করে নেয়, তখন তারা খাঁটি মনে আল্লাহকে ডাকতে থাকে। অতঃপর তিনি যখন তাদেরকে স্থলভাগের দিকে উদ্ধার করে আনেন, তখন তাদের কেউ কেউ সরল পথে চলে। কেবল মিথ্যাচারী, অকৃতজ্ঞ ব্যক্তিই আমার নিদর্শনাবলী অস্বীকার করে। [সূরা লুকমান: 32]

Surah Luqman in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Luqman ayat 32


আর যখন কোনো ঢেউ তাদের ঢেকে ফেলে ঢাকনার ন্যায় তখন তারা আল্লাহ্‌কে ডাকে তাঁর প্রতি আনুগত্যে বিশুদ্ধাচিত্ত হয়ে। কিন্তু যখন তিনি তাদের উদ্ধার করেন তীরের দিকে, তখন তাদের মধ্যে কেউ কেউ মধ্যম পন্থায় থাকে। আর আমাদের নিদর্শনাবলী নিয়ে কেউ বচসা করে না প্রত্যেক বিশ্বাসঘাতক অকৃতজ্ঞ ব্যতীত।


Tafsir Mokhtasar Bangla


৩২. যখন তাদেরকে সর্বদিক থেকে পাহাড় ও মেঘমালার ন্যায় ঢেউ ঘিরে ফেলে তখন তারা আল্লাহর উদ্দেশ্যে এবাদত ও দো‘আতে একনিষ্ঠ হয়ে এককভাবে তাঁকে ডাকে। অতঃপর যখন তিনি তাদের দো‘আ কবূল করে ডুবে যাওয়া থেকে রক্ষা করে স্থলভাগে পৌঁছিয়ে দেন তখন তাদের মধ্যে কেউ ঈমান ও কুফরির মাঝপথ বেছে নেয়। ফলে তার উপর অপরিহার্য পূর্ণ শুকরিয়া আদায় করে না। আর তাদের মধ্যে কেউ আল্লাহর নি‘আমত অস্বীকার করে। বস্তুতঃ মহা অকৃতজ্ঞ ছাড়া আমার নি‘আমত কেউ অস্বীকার করে না। যেমনটি করেছে ওই ব্যক্তি যে আল্লাহকে ওয়াদা দিয়েছিল যে, আল্লাহ যদি তাকে রক্ষা করেন তবে সে অবশ্যই শুকরগুজারদের অন্তর্ভুক্ত হবে। মূলতঃ যে আল্লাহর নি‘আমতের অস্বীকারকারী সে তার উপর অনুগ্রহ প্রদর্শনকারী প্রতিপালকের শুকরিয়া আদায় করে না।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


পর্বত ( বা মেঘ )মালা সম তরঙ্গমালা যখন ওদেরকে ঢেকে নিতে চায়, তখন ওরা আল্লাহর আনুগত্যে বিশুদ্ধ-চিত্ত হয়ে তাঁকে ডাকে।[১] কিন্তু তিনি যখন ওদেরকে কূলে ভিড়িয়ে উদ্ধার করেন, তখন ওদের কেউ কেউ সরল পথে থাকে।[২] কেবল বিশ্বাসঘাতক অকৃতজ্ঞ ব্যক্তিই নিদর্শনাবলী অস্বীকার করে।[৩] [১] অর্থাৎ, যখন তাদের জলজাহাজকে মেঘ ও পাহাড়ের মত ঢেউ এসে ঘিরে নেয় এবং মৃত্যুর পঞ্জা তাদেরকে গ্রাস করে ফেলছে মনে হয়, তখন পৃথিবীর সকল উপাস্য তাদের মন থেকে মুছে যায় এবং একমাত্র আসমানী উপাস্যকে তারা ডাকতে শুরু করে, যিনি প্রকৃত ও বাস্তব উপাস্য। [২] কেউ কেউ ( مقتصدٌ ) এর অর্থ 'অঙ্গীকার পালনকারী' বলেছেন। অর্থাৎ অনেকে ঈমান, তাওহীদ ও আনুগত্যের যে অঙ্গীকার সামুদ্রিক তুফানী ঢেউয়ের সময় করেছিল তার উপর প্রতিষ্ঠিত থাকে। তাদের নিকট উক্ত বাক্যে কিছু শব্দ ঊহ্য আছে, আর তা হল, ( فمنهم مقتصدٌ ومنهم كافرٌ ) অর্থাৎ, তখন ওদের মধ্যে কেউ বিশ্বাসী হয় এবং কেউ অবিশ্বাসী হয়। ( ফাতহুল ক্বাদীর ) অন্য মুফাসসিরদের নিকট এর অর্থ হল 'মধ্যম পন্থা অবলম্বনকারী' আর তা আপত্তি স্বরূপ বলা হয়েছে। অর্থাৎ এমন সঙ্কটময় অবস্থা ও আল্লাহর এমন বৃহৎ নিদর্শন চাক্ষুষ দর্শন করে এবং পরিত্রাণরূপ আল্লাহর অনুগ্রহ পাওয়ার পরেও মানুষ এখনো আল্লাহর পরিপূর্ণ ইবাদত ও আনুগত্য করে না; বরং মধ্যবর্তী পথ অবলম্বন করে? অথচ যে পরিস্থিতির সম্মুখীন সে হয়েছিল, তাতে পরিপূর্ণ ইবাদতে রত হওয়ার কথা ছিল; মধ্যবর্তী ইবাদতে রত হওয়ার কথা নয়। ( ইবনে কাসীর ) তবে প্রথমোক্ত অর্থটিই পূর্বাপর বাগধারার সাথে অধিক সামঞ্জস্যশীল। [৩] ختاَّر এর অর্থ হল বিশ্বাসঘাতক, চুক্তি ভঙ্গকারী, كَفُوْر অকৃতজ্ঞ ব্যক্তি।

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


আর যখন তরঙ্গ তাদেরকে আচ্ছন্ন করে ছায়ার মত [], তখন তারা আল্লাহকে ডাকে তাঁর আনুগত্যে একনিষ্ঠ হয়ে। অতঃপর যখন তিনি তাদেরকে উদ্ধার করে স্থলে পৌঁছান তখন তাদের কেউ কেউ মাঝামাঝি অবস্থানে থাকে []; আর শুধু বিশ্বাসঘাতক, কাফির ব্যক্তিই আমাদের নিদর্শনাবলীকে অস্বীকার করে []। [] এখানে মেঘের ছায়া উদ্দেশ্য হতে পারে, আবার পাহাড় বা অনুরূপ বড় কিছুর ছায়াও উদ্দেশ্য হতে পারে [ কুরতুবী, মুয়াসসার ] [] অর্থাৎ তখন তাদের মধ্যে একদল মাঝামাঝি অবস্থানে থাকে, আল্লাহর সত্যিকার শোকর আদায় করে না। আর তাদের মধ্যে আরেক দল সম্পপূর্ণভাবে শির্ক ও কুফরি করে। তারা আল্লাহর নেয়ামতকে অস্বীকার করে। [ জালালাইন; সা'দী; মুয়াসসার ] আয়াতে আল্লাহ তা'আলা প্রথম দলের বর্ণনার পর দ্বিতীয় দলের বর্ণনা করেননি। কারণ, পরবর্তী বাক্য থেকে অপর দলটির অবস্থান বোঝা যাচ্ছে। [] বিশ্বাসঘাতক এমন এক ব্যক্তি যে মারাত্মক রকমের বেঈমানী করে এবং নিজের প্রতিশ্রুতি ও অংগীকার পালন করে না। [ ইবন কাসীর ]

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


৩১-৩২ নং আয়াতের তাফসীর আল্লাহ তাআলা সংবাদ দিচ্ছেনঃ আমার আদেশে সাগরে জাহাজ চলতে থাকে। যদি আমি জাহাজগুলোকে পানিতে ভাসার ও পানি কেটে চলার আদেশ না করতাম এবং ওগুলোর মধ্যে এ ক্ষমতা না রাখতাম তবে ওগুলো কেমন করে পানিতে চলতো? এর মাধ্যমে আমি মানুষের কাছে আমার শক্তির প্রমাণ পেশ করছি। দুঃখের সময় ধৈর্যধারণকারী ও সুখের সময় কৃতজ্ঞতা প্রকাশকারীরা এ থেকে বহু শিক্ষা গ্রহণ করে থাকে। যখন কাফিরদেরকে সমুদ্রের তরঙ্গমালা ঘিরে ফেলে এবং তাদের জাহাজ ডুবুডুবু অবস্থায় পতিত হয় আর পাহাড়ের ন্যায় তরঙ্গমালা জাহাজকে এধার থেকে ওধার ও ওধার থেকে এধার ঠেলে নিয়ে যায় তখন তারা শিরক ও কুফরী ভুলে যায় এবং কেঁদে কেঁদে বিশুদ্ধচিত্তে আল্লাহকে ডাকতে থাকে। যেমন আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ ( আরবি )অর্থাৎ “ সমুদ্রে যখন তোমাদেরকে বিপদ স্পর্শ করে তখন তোমরা আল্লাহ ছাড়া সবকেই ভুলে যাও ।( ১৭:৬৭ ) আর এক জায়গায় বলেনঃ ( আরবি ) অর্থাৎ “ যখন তারা নৌকায় আরোহণ করে ।( ২৯:৬৫ ) মহান আল্লাহ বলেনঃ যখন তিনি তাদেরকে উদ্ধার করে স্থলে পৌছান তখন তাদের কেউ কেউ কাফের হয়ে যায়। মুজাহিদ ( রঃ ) এই তাফসীর করেছেন। যেমন আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ ( আরবি ) অর্থাৎ “ যখন তিনি তাদেরকে উদ্ধার করে স্থলভাগে পৌছিয়ে দেন তখন তারা শিক করতে শুরু করে দেয় ।( ২৯:৬৫ ) আর ইবনে যায়েদ ( রঃ ) বলেন ( আারবি )-এর অর্থ হচ্ছে কাজে মধ্যমপন্থী। যেমন আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ ( আারবি )অর্থাৎ তাদের মধ্যে কেউ কেউ ঘোর যালিম হয়ে যায় এবং কেউ কেউ মধ্যমপন্থী থাকে।” ( ৩৫:৩২ ) এও হতে পারে যে, উভয়কেই লক্ষ্য করে বলা হয়েছে। প্রকৃত মতলব এই যে, যারা এ প্রকার বিপদের সম্মুখীন হয়েছে এবং যিনি তাদেরকে এ বিপদ থেকে রক্ষা করেছেন, তাদের উচিত ছিল পরিপূর্ণভাবে তাঁর অনুগত হওয়া ও সৎ আমলে আত্মনিয়োগ করা। আর সদা-সর্বদা সৎ আমলের প্রচেষ্টা চালানো। কিন্তু এ না করে তাদের কেউ কেউ মধ্যমপন্থী থাকে এবং কেউ কেউ পূর্ণভাবেই কুফরীর দিকে ফিরে যায়।( আারবি ) বলা হয় গাদ্দার বা বিশ্বাসঘাতককে। ( আারবি ) এর অর্থ হচ্ছে পূর্ণ বিশ্বাসঘাতকতা।( আারবি ) বলে ( আারবি ) বা অস্বীকারকারীকে, যে নিয়ামতরাশিকে অস্বীকার করে এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা ভুলে যায়।

সূরা লুকমান আয়াত 32 সূরা

وإذا غشيهم موج كالظلل دعوا الله مخلصين له الدين فلما نجاهم إلى البر فمنهم مقتصد وما يجحد بآياتنا إلا كل ختار كفور

سورة: لقمان - آية: ( 32 )  - جزء: ( 21 )  -  صفحة: ( 414 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. অতঃপর তাদের কাছে যখন আমার আযাব আসল, তখন কেন কাকুতি-মিনতি করল না ? বস্তুতঃ তাদের
  2. যদি তোমরা প্রকাশ্যে দান-খয়রাত কর, তবে তা কতইনা উত্তম। আর যদি খয়রাত গোপনে কর এবং
  3. যখন মূসা তাঁর যুবক (সঙ্গী) কে বললেনঃ দুই সমুদ্রের সঙ্গমস্থলে না পৌছা পর্যন্ত আমি আসব
  4. এবং রাত্রির, এবং তাতে যার সমাবেশ ঘটে
  5. নিশ্চয় এই মহা সাফল্য।
  6. আমার বিরুদ্ধে তাদের অভিযোগ আছে। অতএব আমি আশংকা করি যে, তারা আমাকে হত্যা করবে।
  7. তিনি বললেন, হে আমার পালনকর্তা, আমি তো নিজের উপর জুলুম করে ফেলেছি। অতএব, আমাকে ক্ষমা
  8. আমি জানি না সম্ভবতঃ বিলম্বের মধ্যে তোমাদের জন্যে একটি পরীক্ষা এবং এক সময় পর্যন্ত ভোগ
  9. সে তথায় পৌঁছে বললঃ হে ইউসুফ! হে সত্যবাদী! সাতটি মোটাতাজা গাভী-তাদেরকে খাচ্ছে সাতটি শীর্ণ গাভী
  10. তাদেরকে যখন বলা হয়, আল্লাহ যা নাযিল করেছেন, তোমরা তার অনুসরণ কর, তখন তারা বলে,

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা লুকমান ডাউনলোড করুন:

সূরা Luqman mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Luqman শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত লুকমান  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত লুকমান  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত লুকমান  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত লুকমান  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত লুকমান  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত লুকমান  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত লুকমান  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত লুকমান  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত লুকমান  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত লুকমান  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত লুকমান  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত লুকমান  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত লুকমান  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত লুকমান  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত লুকমান  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত লুকমান  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত লুকমান  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত লুকমান  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত লুকমান  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত লুকমান  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত লুকমান  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত লুকমান  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত লুকমান  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত লুকমান  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত লুকমান  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Monday, November 25, 2024

Please remember us in your sincere prayers