কোরান সূরা মুল্ক আয়াত 27 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Mulk ayat 27 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা মুল্ক আয়াত 27 আরবি পাঠে(Mulk).
  
   

﴿فَلَمَّا رَأَوْهُ زُلْفَةً سِيئَتْ وُجُوهُ الَّذِينَ كَفَرُوا وَقِيلَ هَٰذَا الَّذِي كُنتُم بِهِ تَدَّعُونَ﴾
[ الملك: 27]

যখন তারা সেই প্রতিশ্রুতিকে আসন্ন দেখবে তখন কাফেরদের মুখমন্ডল মলিন হয়ে পড়বে এবং বলা হবেঃ এটাই তো তোমরা চাইতে। [সূরা মুল্ক: 27]

Surah Al-Mulk in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Mulk ayat 27


তারপর তারা যখন এটি আসন্ন দেখতে পাবে তখন যারা অবিশ্বাস করেছিল তাদের চেহারা হবে মলিন, আর বলা হবে -- ''এটিই তাই যা তোমরা ডেকে আনছিলে।’’


Tafsir Mokhtasar Bangla


২৭. যখন তাদের উপর অঙ্গীকার বাস্তবায়িত হবে এবং তারা চাক্ষুষ শাস্তিকে তাদের নিকটবর্তী দেখতে পাবে যা হবে কিয়ামত দিবসে তখন আল্লাহর সাথে কুফরীকারীদের চেহারা পরিবর্তন হয়ে কালো বর্ণ ধারণ করবে এবং তাদেরকে বলা হবে, এটিই তোমরা দুনিয়াতে কামনা করতে এবং এর জন্য তাড়াহুড়া করতে।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


যখন ওটা[১] আসন্ন দেখবে তখন অবিশ্বাসীদের মুখমন্ডল মলিন হয়ে যাবে[২] এবং বলা হবে, ‘এটাই তো সেই জিনিস, যা তোমরা দাবি করছিলে।’ [৩] [১] رَأَوْهُ এর মধ্যে هُ সর্বনাম ( ওটা ) থেকে অধিকাংশ মুফাসসিরগণ 'প্রতিশ্রুতি' ( কিয়ামতের আযাব )এর প্রতি ইঙ্গিত বুঝিয়েছেন।[২] অর্থাৎ, লাঞ্ছনা, ভয়াবহতা এবং আতঙ্কের কারণে তাদের মুখমন্ডল মলিন হয়ে যাবে। এ কথাকে অন্যত্র মুখমন্ডল কালো হয়ে যাবে বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। ( সূরা আলে ইমরান ৩:১০৬ আয়াত ) [৩] অর্থাৎ, এই আযাব যা তোমরা দেখতে পাচ্ছ, তা তো সেই আযাবই, যা তোমরা পৃথিবীতে দ্রুত দেখতে চাচ্ছিলে। যেমন, সূরা স্বাদের ৩৮:১৬ নং আয়াতে এবং সূরা আনফালের ৮:৩২ নং আয়াতে উল্লেখ হয়েছে।

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


অতঃপর তারা যখন তা আসন্ন দেখবে তখন কাফিরদের চেহারা ম্লান হয়ে পড়বে এবং বলা হবে, ‘এটাই হল তা, যা তোমরা দাবী করেছিলে।’

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


২০-২৭ নং আয়াতের তাফসীর আল্লাহ তা'আলা মুশরিকদের বিশ্বাসকে খণ্ডন করছেন যারা ধারণা করতো যে, তারা যে বুযুর্গদের ইবাদত করছে তারা তাদেরকে সাহায্য করতে পারে এবং তাদেরকে আহার্য দান করতে তারা সক্ষম। তাই আল্লাহ পাক বলেনঃ আল্লাহ ছাড়া না কেউ সাহায্য করতে পারে, না আহার্য দান করতে পারে। কাফিরদের বিশ্বাস প্রতারণা ছাড়া কিছুই নয়। তারা বিভ্রান্তির মধ্যে রয়েছে। মহামহিমান্বিত আল্লাহ বলেনঃ এমন কে আছে, যে তোমাদেরকে জীবনোপকরণ দান করবে, তিনি যদি জীবনোপকরণ বন্ধ করে দেন? অর্থাৎ আল্লাহ তাবারাকা ওয়া তা'আলা তোমাদের জীবনোপকরণ বন্ধ করে দিলে কেউ তা চালু করতে পারে না। দেয়া-নেয়ার উপর, সৃষ্টি করার উপর, ধ্বংস করার উপর, জীবিকা দানের উপর এবং সাহায্য দানের উপর একমাত্র এক ও লা-শাতরীক আল্লাহই ক্ষমতাবান। এ লোকগুলো নিজেরাও এটা জানে, তথাপি কাজকর্মে তার সাথে অন্যদেরকে শরীক করে থাকে। প্রকৃত ব্যাপার এই যে, এই কাফিররা নিজেদের ভ্রান্তি, পাপ এবং ঔদ্ধত্যের মধ্যে ভেসে চলেছে। তাদের স্বভাবের মধ্যে হঠকারিতা, অহংকার, সত্যের অস্বীকৃতি এবং হকের বিরুদ্ধাচরণ বাসা বেঁধেছে। এমন কি ভাল কথা শুনতেও তাদের মনে চায় না, আমল করা তো দূরের কথা। এরপর আল্লাহ পাক মুমিন ও কাফিরদের দৃষ্টান্ত বর্ণনা করছেন যে, কাফিরদের দৃষ্টান্ত এমন যেমন কোন লোক মাথা ঝুঁকিয়ে, দৃষ্টি নিম্নমুখী করে চলতে রয়েছে, না সে পথ দেখছে, না তার জানা আছে যে, সে কোথায় চলছে, বরং উদ্বিগ্ন অবস্থায় পথ ভুলে হতভম্ব হয়ে গেছে। আর মুমিনের দৃষ্টান্ত এমন যেমন কোন লোক সরল সোজা পথে চলতে রয়েছে। রাস্তা খুবই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন এবং একেবারে সোজা, ওতে কোন বক্রতা নেই। ঐ লোকটির কাছে ওটা খুবই পরিচিত পথ। সে বরাবর সঠিকভাবে উত্তম চলনে চলতে আছে। কিয়ামতের দিন তাদের এই অবস্থাই হবে। কাফিরদেরকে উল্টোমুখে জাহান্নামে একত্রিত করা হবে। আর মুসলমানরা সসম্মানে জান্নাতে প্রবেশ করবে। যেমন আল্লাহ পাক বলেনঃ ( আরবি )অর্থাৎ “ ফেরেশতাদেরকে বলা হবেঃ একত্রিত কর যালিম ও তাদের সহচরদেরকে এবং তাদেরকে যাদের ইবাদত করতো তারা আল্লাহর পরিবর্তে এবং তাদেরকে পরিচালিত কর জাহান্নামের পথে ।( ৩৭:২২-২৩ )মুসনাদে আহমাদে হযরত আনাস ইবনে মালিক ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ )-কে জিজ্ঞেস করা হয়ঃ “ হে আল্লাহর রাসূল ( সঃ )! কিভাবে লোকদেরকে মুখের ভরে চালিত করা হবে?" উত্তরে রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বলেনঃ “যিনি পায়ের ভরে চালিত করেছেন তিনি মুখের ভরে চালিত করতেও সক্ষম ।( সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিমেও এ হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে )মহান আল্লাহ বলেনঃ তিনিই তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন, অর্থাৎ তোমাদেরকে প্রথমবার সৃষ্টি করেছেন যখন তোমরা উল্লেখযোগ্য কিছুই ছিলে না। আর তিনি তোমাদেরকে দিয়েছেন শ্রবণশক্তি, দৃষ্টিশক্তি ও অন্তঃকরণ। অর্থাৎ তোমাদেরকে দিয়েছেন জ্ঞান, বুদ্ধি ও অনুভূতি শক্তি। কিন্তু তোমরা অল্পই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে থাকো। অর্থাৎ আল্লাহ প্রদত্ত তোমাদের এ শক্তিগুলোকে তাঁর নির্দেশ পালনে এবং তাঁর অবাধ্যাচরণ হতে বেঁচে থাকার কাজে তোমরা অল্পই ব্যয় করে থাকো। তিনিই তোমাদেরকে পৃথিবীতে ছড়িয়ে দিয়েছেন, তোমাদের ভাষা করেছেন পৃথক, বর্ণ ও আকৃতি করেছেন পৃথক পৃথক এবং তোমাদেরকে ভূ-পৃষ্ঠের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে দিয়েছেন। এরপর তাঁরই নিকট তোমাদেরকে একত্রিত করা হবে। অর্থাৎ তোমাদের এই বিভিন্নতা ও বিচ্ছিন্নতার পর তোমাদেরকে আল্লাহ তা'আলার নিকট একত্রিত করা হবে। তিনি যেভাবে তোমাদেরকে এদিক-ওদিক ছড়িয়ে দিয়েছেন ঐ ভাবেই তিনি একদিকে গুটিয়ে নিবেন। আর যেভাবে তিনি তোমাদেরকে প্রথমবার সৃষ্টি করেছেন সেভাবেই তিনি তোমাদের পুনরুত্থান ঘটাবেন।এরপর আল্লাহ পাক বলেন যে, কাফিররা পুনরুত্থানকে বিশ্বাস করে না বলে এই পুনর্জীবন ও পুনরুত্থানের বর্ণনা শুনে প্রতিবাদ করে বলেঃ এই প্রতিশ্রুতি কখন বাস্তবায়িত হবে? অর্থাৎ আমাদেরকে যে পুনরুত্থানের সংবাদ দেয়া হচ্ছে তা যদি সত্য হয় তবে হে মুহাম্মাদ ( সঃ )! আমাদেরকে বলে দাও, এটা কখন সংঘটিত হবে?তাদের এই প্রশ্নের উত্তরে আল্লাহ তাবারাকা ওয়া তা'আলা স্বীয় নবী ( সঃ )-কে বলেনঃ হে নবী ( সঃ )! তুমি তাদেরকে বলে দাওঃ কিয়ামত কখন সংঘটিত হবে এ জ্ঞান আমার নেই। এর জ্ঞান তো একমাত্র আল্লাহ তা'আলারই রয়েছে। হ্যাঁ, আমাকে শুধু এটুকু জানিয়ে দেয়া হয়েছে যে, অবশ্যই ঐ সময় আসবে। আমি তো স্পষ্ট সতর্ককারী মাত্র। আমি তোমাদেরকে ঐ দিনের ভয়াবহতা সম্পর্কে সতর্ক করছি। আমার দায়িত্ব ও কর্তব্য শুধু তোমাদের নিকট এসব খবর পৌঁছিয়ে দেয়া, যা আমি পালন করেছি। সুতরাং আল্লাহ পাকেরই জন্যে সমস্ত প্রশংসা।এরপর ইরশাদ হচ্ছেঃ যখন কিয়ামত সংঘটিত হতে শুরু করবে এবং কাফিররা তা স্বচক্ষে দেখে নিবে এবং জেনে নিবে যে, ওটা এখন নিকটবর্তী হয়ে গেছে, কেননা আগমনকারী প্রত্যেক জিনিসের আগমন ঘটবেই, তা সত্বরই হোক অথবা বিলম্বেই হোক, যখন তারা এটাকে সংঘটিত অবস্থায় পেয়ে নিবে যেটাকে তারা এ পর্যন্ত মিথ্যা মনে করছিল, তখন এটা তাদের কাছে খুবই অপ্রীতিকর মনে হবে। কেননা তারা নিজেদের উদাসীনতার প্রতিফল সামনে দেখতে পাবে। তখন তাদেরকে ধমকের সুরে এবং লাঞ্ছিত করার লক্ষ্যে বলা হবেঃ এটাই তো তোমরা চাচ্ছিলে!

সূরা মুল্ক আয়াত 27 সূরা

فلما رأوه زلفة سيئت وجوه الذين كفروا وقيل هذا الذي كنتم به تدعون

سورة: الملك - آية: ( 27 )  - جزء: ( 29 )  -  صفحة: ( 564 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. অতঃপর অকল্যাণের স্থলে তা কল্যাণে বদলে দিয়েছে। এমনকি তারা অনেক বেড়ে গিয়েছি এবং বলতে শুরু
  2. হে ঈমানদারগণ! মুশরিকরা তো অপবিত্র। সুতরাং এ বছরের পর তারা যেন মসজিদুল-হারামের নিকট না আসে।
  3. প্রত্যেক ব্যক্তির নির্ধারিত সময় যখন উপস্থিত হবে, তখন আল্লাহ কাউকে অবকাশ দেবেন না। তোমরা যা
  4. যারা নামায কায়েম করে, যাকাত প্রদান করে এবং পরকালে নিশ্চিত বিশ্বাস করে।
  5. কিন্তু তাদেরই উপদেশের জন্য যারা ভয় করে।
  6. যখন খাঁটিভাবে আল্লাহর নাম উচ্চারণ করা হয়, তখন যারা পরকালে বিশ্বাস করে না, তাদের অন্তর
  7. এবং যেন আমি কোরআন পাঠ করে শোনাই। পর যে ব্যক্তি সৎপথে চলে, সে নিজের কল্যাণার্থেই
  8. আমি ফেরাউনকে আমার সব নিদর্শন দেখিয়ে দিয়েছি, অতঃপর সে মিথ্যা আরোপ করেছে এবং অমান্য করেছে।
  9. জিজ্ঞেস কর, আছে কি কেউ তোমাদের শরীকদের মধ্যে যে সত্য-সঠিক পথ প্রদর্শন করবে? বল, আল্লাহই
  10. সত্যবাদীদেরকে তাদের সত্যবাদিতা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করার জন্য। তিনি কাফেরদের জন্য যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি প্রস্তুত রেখেছেন।

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা মুল্ক ডাউনলোড করুন:

সূরা Mulk mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Mulk শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত মুল্ক  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত মুল্ক  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত মুল্ক  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত মুল্ক  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত মুল্ক  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত মুল্ক  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত মুল্ক  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত মুল্ক  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত মুল্ক  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত মুল্ক  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত মুল্ক  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত মুল্ক  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত মুল্ক  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত মুল্ক  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত মুল্ক  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত মুল্ক  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত মুল্ক  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত মুল্ক  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত মুল্ক  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত মুল্ক  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত মুল্ক  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত মুল্ক  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত মুল্ক  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত মুল্ক  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত মুল্ক  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Friday, November 22, 2024

Please remember us in your sincere prayers