কোরান সূরা কাহ্ফ আয়াত 28 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Kahf ayat 28 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা কাহ্ফ আয়াত 28 আরবি পাঠে(Kahf).
  
   

﴿وَاصْبِرْ نَفْسَكَ مَعَ الَّذِينَ يَدْعُونَ رَبَّهُم بِالْغَدَاةِ وَالْعَشِيِّ يُرِيدُونَ وَجْهَهُ ۖ وَلَا تَعْدُ عَيْنَاكَ عَنْهُمْ تُرِيدُ زِينَةَ الْحَيَاةِ الدُّنْيَا ۖ وَلَا تُطِعْ مَنْ أَغْفَلْنَا قَلْبَهُ عَن ذِكْرِنَا وَاتَّبَعَ هَوَاهُ وَكَانَ أَمْرُهُ فُرُطًا﴾
[ الكهف: 28]

আপনি নিজেকে তাদের সংসর্গে আবদ্ধ রাখুন যারা সকাল ও সন্ধ্যায় তাদের পালনকর্তাকে তাঁর সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে আহবান করে এবং আপনি পার্থিব জীবনের সৌন্দর্য কামনা করে তাদের থেকে নিজের দৃষ্টি ফিরিয়ে নেবেন না। যার মনকে আমার স্মরণ থেকে গাফেল করে দিয়েছি, যে, নিজের প্রবৃত্তির অনুসরণ করে এবং যার কার্য কলাপ হচ্ছে সীমা অতিক্রম করা, আপনি তার অনুগত্য করবেন না। [সূরা কাহ্ফ: 28]

Surah Al-Kahf in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Kahf ayat 28


আর যারা সকালে ও সন্ধ্যায় তাদের প্রভুকে তাঁর প্রসন্নতা কামনা ক’রে আহ্বান করে তাদের সঙ্গে তুমি নিজেও অধ্যবসায় অবলন্বন করো, আর তাদের থেকে তোমার দৃষ্টি ফিরিয়ে নিয়ো না এই দুনিয়ার জীবনের শোভা- সৌন্দর্য কামনা ক’রে । আর যার হৃদয়কে আমাদের নামকীর্তন থেকে আমরা বেখেয়াল করেছি আর যে তার খেয়াল-খুশির অনুসরণ করে আর যার কার্যকলাপ সীমালংঘন করে গেছে তুমি তার অনুসরণ করো না।


Tafsir Mokhtasar Bangla


২৮. আপনি নিজের মনকে বাধ্য করুন ওদের সাথে থাকতে যারা সকাল ও সন্ধ্যায় খাঁটি অন্তঃকরণে নিজেদের প্রতিপালককে ডাকে। চাই এ ডাকটি ইবাদাতের হোক কিংবা কিছু চাওয়ার। হিদায়েতের আলোচনার উদ্দেশ্যে ধনী ও সম্মানীদের সাথে বসার ইচ্ছায় আপনার চোখ দু’টো যেনো তাদেরকে অতিক্রম না করে। আপনি ওর অনুসরণ করবেন না যার অন্তরকে মোহরাঙ্কিত করে আমি আমার স্মরণ থেকে গাফিল বানিয়ে দিয়েছি। ফলে সে আপনার মজলিস থেকে ফকিরদেরকে সরিয়ে দেয়ার আদেশ করেছে এবং তার মন যা চায় তার অনুসরণকে তার প্রতিপালকের আনুগত্যের উপর প্রাধান্য দিয়েছে। বস্তুতঃ তার আমলগুলো নষ্ট হয়ে গিয়েছে।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


তুমি নিজেকে তাদেরই সংসর্গে রাখ, যারা সকাল ও সন্ধ্যায় তাদের প্রতিপালককে তাঁর মুখমন্ডল ( দর্শন বা সন্তুষ্টি ) লাভের উদ্দেশ্যে আহবান করে এবং তুমি পার্থিব জীবনের শোভা কামনা করে[১] তাদের দিক হতে তোমার দৃষ্টি ফিরিয়ে নিয়ো না।[২] আর তুমি তার আনুগত্য করো না, যার হৃদয়কে আমি আমার স্মরণে অমনোযোগী করে দিয়েছি, যে তার খেয়াল-খুশীর অনুসরণ করে ও যার কার্যকলাপ সীমা অতিক্রম করে। [৩] [১] এটা হল সেই নির্দেশই, যা সূরা আনআমের ৬:৫২ নং আয়াতে অতিবাহিত হয়েছে। এখানে লক্ষ্য সেই সাহাবায়ে কেরাম, যাঁরা গরীব ও দুর্বল ছিলেন। কুরাইশ বংশের সম্ভ্রান্ত লোকেরা যাঁদের সাথে ওঠা-বসা করতে পছন্দ করত না। সা'দ ইবনে আবী অক্কাস বলেন, আমরা ছয়জন সাহাবী রসূল ( সাঃ )-এর সাথে ছিলাম। আমাদের সাথে বিলাল, ইবনে মাসউদ, এবং একজন হুযালী ও দু'জন অন্য সাহাবীও ছিলেন। মক্কার কুরাইশগণ রসূল ( সাঃ )-এর কাছে এই অভিপ্রায় ব্যক্ত করল যে, যদি তুমি ঐ লোকদেরকে তোমার কাছ থেকে সরিয়ে দাও, তাহলে আমরা তোমার কাছে উপস্থিত হয়ে তোমার কথা শুনব। নবী করীম ( সাঃ )-এর অন্তরে এই খেয়াল জাগল যে, হতে পারে আমার কথা শুনে তাদের মনের অবস্থার পরিবর্তন ঘটবে। কিন্তু মহান আল্লাহ তাঁকে এ রকম করতে কঠোরভাবে নিষেধ করে দিলেন। ( মুসলিমঃ ফাযায়েলে সাহাবা ) [২] অর্থাৎ, এদেরকে দূরে ঠেলে দিয়ে এই সম্ভ্রান্ত ও বিত্তশালীদেরকে নিজের কাছে টেনে নিও না।[৩] فُرُطًا যদি إفراط থেকে হয়, তবে অর্থ হবে, যার কার্যকলাপ সীমা অতিক্রম করে। আর যদি تفريط থেকে হয়, তবে অর্থ হবে, যার কার্যকলাপ অবহেলাপূর্ণ; যার পরিণাম হল বিনাশ ও ধ্বংস।

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


আর আপনি নিজেকে ধৈর্যের সাথে রাখবেন তাদেরই সংসর্গে যারা সকাল ও সন্ধ্যায় ডাকে তাদের রবকে তাঁর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশে [] এবং আপনি দুনিয়ার জীবনের শোভা কামনা করে তাদের থেকে আপনার দৃষ্টি ফিরিয়ে নেবেন না []। আর আপনি তার আনুগত্য করবেন না--- যার চিত্তকে আমরা আমাদের স্মরণে অমনোযোগী করে দিয়েছি, যে তার খেয়াল-খুশীর অনুসরণ করেছে ও যার কর্ম বিনষ্ট হয়েছে। [] হাদীসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আল্লাহর স্মরণে অনুষ্ঠিত মজলিসে যারা একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি বিধানে একত্রিত হবে তাদের ব্যাপারে আকাশ থেকে আহবান করে বলা হয় তোমরা যখন তোমাদের মজলিস শেষ করবে তখন তোমরা ক্ষমাপ্রাপ্ত হবে। আর তোমাদের গোনাহসমূহ সৎকাজে পরিবর্তিত হবে। [ মুসনাদে আহমাদ: ৩/১৪২ ] [] এ আয়াতটির মূল বক্তব্য সূরা আল-আন’আমের ৫২ নং আয়াতের মতই। সেখানে আয়াত নাযিল হওয়ার প্রেক্ষাপটে বলা হয়েছে যে, কাফেরদের আব্দার ছিল, “ আপনি যদি গরীব মুসলিমদেরকে আপনার মজলিস থেকে দূরে সরিয়ে দেন তবেই আমরা আপনার সাথে বসার কথা চিন্তা করে দেখতে পারি’ [ দেখুন, মুসলিম: ২৪১৩, মুসনাদে আহমাদ: ৫/২৬১ ] এ ধরণের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আলোচ্য আয়াতে তাদের পরামর্শ গ্ৰহণ করতে কঠোরভাবে নিষেধ করা হয়েছে । শুধু নিষেধই নয়- নির্দেশ দেয়া হয়েছে যে, আপনি নিজেকে তাদের সাথে বেঁধে রাখুন। সম্পর্ক ও মনোযোগ তাদের প্রতি নিবদ্ধ রাখুন। কাজেকর্মে তাদের কাছ থেকেই পরামর্শ নিন। এর কারণ হিসেবে বলা হয়েছে যে, তারা সকালসন্ধ্যায় অর্থাৎ সর্বাবস্থায় আল্লাহর ইবাদাত ও যিকর করে। তাদের কার্যকলাপ একান্তভাবেই আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে নিবেদিত। অপরদিকে কাফেরদের মন আল্লাহর স্মরণ থেকে গাফেল এবং তাদের সমস্ত কার্যকলাপ তাদের খেয়ালখুশীর অনুসারী। এসব অবস্থা মানুষকে আল্লাহর রহমত ও সাহায্য থেকে দূরে সরিয়ে দেয়। [ দেখুন, ইবন কাসীর ]

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


২৭-২৮ নং আয়াতের তাফসীর: আল্লাহ তাআলা স্বীয় রাসূলকে ( সঃ ) নিজের কালাম পাঠ ও ওর তাবলীগের কাজে নিয়োজিত থাকার নির্দেশ দিচ্ছেন। তার কথাগুলি কেউ পরিবর্তন করতে পারবে না, মুলতুবী রাখতে সক্ষম হবে না এবং এদিক ওদিক করার ক্ষমতা রাখবে না। তুমি জেনে নাও যে, তিনি ব্যতীত অন্য কারো কাছে তুমি আশ্রয় পাবে না। সুতরাং যদি তুমি তিলাওয়াত ও তাবলীগের কাজ ছেড়ে দাও, তবে তোমার রক্ষার কোন পথ নেই। যেমন অন্য জায়গায় রয়েছেঃ “ হে রাসূল ( সঃ )! তোমার কাছে তোমার প্রতিপালকের পক্ষ থেকে যা কিছু অবতীর্ণ করা হয়েছে তুমি তা প্রচার করতে থাকো; যদি তুমি তা ন্য কর, তবে তাঁর রিসালাতের হক আদায় করলে না । আল্লাহ তোমাকে লোকদের অন্যায় থেকে রক্ষা করবেন। আর এক আয়াতে আছেঃঅর্থাৎ “ যিনি তোমার জন্য কোরআনকে বিধান করেছেন । তিনি তোমাকে অবশ্যই স্বদেশে ফিরিয়ে আনবেন।” ( ২৮:৮৫ ) সুতরাং তুমি আল্লাহর যিকর, তাসবীহ, প্রশংস্য, শ্রেষ্ঠত্ব ও মর্যাদা বর্ণনাকারীদের পার্শ্বে উঠা বসা করতে থাকো, যারা সকাল সন্ধ্যায় আল্লাহর যিকরে লেগে থাকে। তারা ফকীর হোক বা আমীরই হোক, ইতর হোক বা ভদ্রই হোক এবং সবল হোক বা, দুর্বলই হোক না কেন। কুরায়েশরা রাসূলুল্লাহ( সঃ ) কাছে আবেদন করেছিলঃ “ আপনি ছোট লোকদের মজলিসে উঠা-বসা করবেন না, যেমন হযরত বিলাল ( রাঃ ), হযরত আম্মার ( রাঃ ), হযরত সুহাইব ( রাঃ ), হযরত খাব্বাব ( রাঃ ), হযরত ইবনু মাসউদ ( রাঃ ) প্রভৃতি ব্যক্তিবর্গ । বরং আপনি আমাদের মজলিসে উঠাবসা করবেন।” তখন আল্লাহ তাআলা স্বীয় রাসূলকে ( সঃ ) এই আবেদন প্রত্যাখ্যান করার নিদের্শ দেন। অন্য আয়াতে রয়েছেঃ ( আরবী ) অর্থাৎ “ তুমি ঐ লোকদেরকে তোমার মজলিস হতে সরিয়ে দিয়ো না যারা সকাল সন্ধ্যায় আল্লাহর স্মরণে নিমগ্ন থাকে ।( ৬:৫২ )।সাহাবীগণ বলেনঃ “ আমরা ছয়জন গরীব শ্রেণীর লোক রাসূলুল্লাহ( সঃ ) মজলিসে বসে ছিলাম । যেমন হযরত সা'দ ইবনু আবি আক্কাস ( রাঃ ),হযরত ইবনু মাসউদ ( রাঃ ) এবং আর দু’টি লোক। এমন সময় সেখানে সম্রান্ত মুশরিকরা আগমন করে এবং বলেঃ “ এসব লোককে এরূপ সাহসিকতার সাথে আপনার মজলিসে বসতে দিবেন না । এতে রাসূলুল্লাহ( সঃ ) মনোভাব কি হয়েছিল তা আল্লাহ তাআলাই ভাল জানেন। তবে তৎক্ষণাৎ ( আরবী ) এই আয়াতটি অবতীর্ণ হয়।” ( এ হাদীসটি সহীহ মুসলিমে বর্ণিত হয়েছে )মুসনাদে আহমাদে রয়েছে যে, একজন বক্তা বক্তৃতা দিচ্ছিলেন। এমন সময় রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) তথায় আগমন করেন, তখন তিনি নীরব হয়ে যান। এ দেখে রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) তাকে বলেনঃ “ তুমি বক্তৃতা চালিয়ে যাও । আমি ফজরের নামায পড়ে সূর্যোদয় পর্যন্ত এই মজলিসেই বসে থাকলে তো আমার জন্যে এটাকে চারটি গোলাম আযাদ করার চাইতেও উত্তম মনে করি।”একটি রিওয়াইয়াতে রয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বলেছেনঃ আল্লাহর যিরে নিমগ্ন ব্যক্তিদের সাথে ফজরের নামায থেকে নিয়ে সূর্যোদয় পর্যন্ত বসে যাওয়া আমার কাছে সারা দুনিয়া হতেও বেশী প্রিয় । আর আসরের নামাযের পর থেকে নিয়ে সূর্যাস্ত পর্যন্ত আল্লাহর যিকর করা আমার নিকট অটিটি গোলাম আযাদ করা অপেক্ষাও বেশী প্রিয়। যদিও ঐ গোলাম গুলি হযরত ইসমাঈলের ( আঃ ) সন্তানদের চাইতেও বেশী মূল্যবান হয় এবং যদিও তাদের এক একজনের মুক্তিপণ বার হাজার হয়।” ( এই রিওয়াইয়াতটি আবু দাউদ তায়ালেসী (রঃ ) বর্ণনা করেছেন) তাহলে মোট মূল্য ছিয়ানব্বই হাজারে দাঁড়ায়। কেউ কেউ চারজন গোলামের কথা বলে থাকেন। কিন্তু হযরত আনাস ( রাঃ ) বলেন যে, আল্লাহর কসম! রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) আট জন গোলামের কথাই বলেছেন।বর্ণিত আছে যে, একটি লোক সূরায়ে কাহফ পাঠ করছিলেন। এমন সময় রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) সেখানে এসে পড়েন। তাঁকে দেখে লোকটি পড়া বন্ধ করে দেন। তখন রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বলেনঃ “ এটাই ঐলোকদের মজলিস যেখানে অবস্থান করার নির্দেশ আমার প্রতিপালক আমাকে প্রদান করেছেন । ( এটা মুসনাদে বাযারে বর্ণিত আছে )অন্য রিওয়াইয়াতে আছে যে, লোকটি সূরায়ে হজ্জ অথবা সূরায়ে কাহফ পাঠ করছিলেন।মুসনাদে আহমাদে রয়েছে যে, যিরুল্লাহর জন্যে যে মজলিস অনুষ্ঠিত হয় এবং ঐ মজলিসে উপস্থিত লোকদের নিয়ত ভাল হয়, তবে আকাশ থেকে ঘোষণাকারী ঘোষণা করেনঃ “ ওঠো, আল্লাহ তাআলা তোমাদের ক্ষমা করে দিয়েছেন এবং তোমাদের মন্দ কাজ ভাল কাজে পরিবর্তিত হয়েছে ।” ইমাম তিবরানী ( রঃ ) বর্ণনা করেছেন যে, যখন ( আরবী ) এই আয়াতটি অবতীর্ণ হয়, তখন রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) স্বীয় ঘরে অবস্থান করছিলেন। তৎক্ষণাৎ তিনি এইরূপ লোকদের সন্ধানে বেরিয়ে পড়েন। এমন কতকগুলি লোককে তিনি যিরুল্লাহতে নিমগ্ন দেখতে পেলেন যাদের চুল ছিল এলোমেলো এবং দেহের চামড়া ছিল শুষ্ক। বহু কষ্টে তারা এক একটি কাপড় সংগ্রহ করেছিল। তখনই তিনি ঐ মজলিসে বসে পড়েন এবং বলতে থাকেনঃ “ আমি মহান আল্লাহর নিকট কৃতজ্ঞ যে, তিনি আমার উম্মতের মধ্যে এমন লোক রেখেছেন যাদের মজলিসে বসার আমাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে ।”এরপর আল্লাহ তাআলা স্বীয় নবীকে ( সঃ ) উপদেশ দিচ্ছেনঃ “ তুমি তাদের দিক থেকে তোমার দৃষ্টি ফিরিয়ে নিয়ো না । আল্লাহর যিকরকারীদেরকে ছেড়ে দিয়ে ঐ সম্পদশালীদের খোজে লেগে থেকো না। যারা দ্বীন থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয় এবং যারা আল্লাহ তাআলার ইবাদত হতে দূরে সরে রয়েছে, যাদের পাপকার্য বেড়ে চলেছে এবং যাদের আমলগুলি নির্বুদ্ধিতাপূর্ণ। তুমি তাদের অনুসরণ করো না, তাদের রীতিনীতি পছন্দ করো না এবং তাদের সম্পদের প্রতি হিংসাপূর্ণ দৃষ্টি নিক্ষেপ করো না আর তাদের সুখ সম্ভোগের প্রতি লালসাপূর্ণ দেখে না; যেমন মহান আল্লাহ বলেনঃ ( আরবী ) অর্থাৎ “ আমি যে তাদেরকে পার্থিব সুখ শান্তি দিয়ে রেখেছি,এটা শুধু তাদেরকে পরীক্ষা করার জন্যে; সুতরাং তুমি লালসাপূর্ণ দৃষ্টিতে তাদের দিকে দেখো না, প্রকৃতপক্ষে তোমার প্রতিপালকের কাছে যে জীবনোপকরণ রয়েছে । তা অতি উত্তম ও চিরস্থায়ী।” ( ২০:১৩১ )

সূরা কাহ্ফ আয়াত 28 সূরা

واصبر نفسك مع الذين يدعون ربهم بالغداة والعشي يريدون وجهه ولا تعد عيناك عنهم تريد زينة الحياة الدنيا ولا تطع من أغفلنا قلبه عن ذكرنا واتبع هواه وكان أمره فرطا

سورة: الكهف - آية: ( 28 )  - جزء: ( 15 )  -  صفحة: ( 297 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. সমান নয় অন্ধকার ও আলো।
  2. আর আমি একে আসন্ন দেখছি।
  3. এখন তারা বলবেঃ আল্লাহর। বলুনঃ তাহলে কোথা থেকে তোমাদেরকে জাদু করা হচ্ছে?
  4. যে কষ্ট স্বীকার করে, সে তো নিজের জন্যেই কষ্ট স্বীকার করে। আল্লাহ বিশ্ববাসী থেকে বে-পরওয়া।
  5. তারা বললঃ এই দুইজন নিশ্চিতই যাদুকর, তারা তাদের যাদু দ্বারা তোমাদেরকে তোমাদের দেশ থেকে বহিস্কার
  6. হে নবী, তোমরা যখন স্ত্রীদেরকে তালাক দিতে চাও, তখন তাদেরকে তালাক দিয়ো ইদ্দতের প্রতি লক্ষ্য
  7. আর ফেরাউন বলল, আমার কাছে নিয়ে এস সুদক্ষ যাদুকরদিগকে।
  8. তাদের কাছে থাকবে আনতনয়না সমবয়স্কা রমণীগণ।
  9. যখন সে পূর্ণ যৌবনে পৌছে গেল, তখন তাকে প্রজ্ঞা ও ব্যুৎপত্তি দান করলাম। এমননিভাবে আমি
  10. বলা হবেঃ তোমরা যা করতে তার বিনিময়ে তৃপ্তির সাথে পানাহার কর।

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা কাহ্ফ ডাউনলোড করুন:

সূরা Kahf mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Kahf শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Wednesday, December 18, 2024

Please remember us in your sincere prayers