কোরান সূরা মু'মিন আয়াত 29 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Ghafir ayat 29 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা মু'মিন আয়াত 29 আরবি পাঠে(Ghafir).
  
   

﴿يَا قَوْمِ لَكُمُ الْمُلْكُ الْيَوْمَ ظَاهِرِينَ فِي الْأَرْضِ فَمَن يَنصُرُنَا مِن بَأْسِ اللَّهِ إِن جَاءَنَا ۚ قَالَ فِرْعَوْنُ مَا أُرِيكُمْ إِلَّا مَا أَرَىٰ وَمَا أَهْدِيكُمْ إِلَّا سَبِيلَ الرَّشَادِ﴾
[ غافر: 29]

হে আমার কওম, আজ এদেশে তোমাদেরই রাজত্ব, দেশময় তোমরাই বিচরণ করছ; কিন্তু আমাদের আল্লাহর শাস্তি এসে গেলে কে আমাদেরকে সাহায্য করবে? ফেরাউন বলল, আমি যা বুঝি, তোমাদেরকে তাই বোঝাই, আর আমি তোমাদেরকে মঙ্গলের পথই দেখাই। [সূরা মু'মিন: 29]

Surah Ghafir in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Ghafir ayat 29


''হে আমার স্বজাতি! তোমাদেরই আজ রাজত্ব চলছে, তোমরা দেশে সর্বপ্রধান, কিন্ত কে আমাদের সাহায্য করবে আল্লাহ্‌র দুর্যোগ থেকে যদি তা আমাদের উপরে এসে পড়ে?’’ ফিরআউন বলল -- ''আমি তোমাদের দেখাই না যা আমি না দেখি, আর আমি তোমাদের পরিচালিত করি না সঠিক পথে ছাড়া।’’


Tafsir Mokhtasar Bangla


২৯. হে আমার জাতি! আজ বিজয়সহ মিশরের রাজত্ব তোমাদের হাতে। তবে মূসাকে হত্যার ফলে আল্লাহর পক্ষ থেকে শাস্তি নেমে আসলে কে আমাদেরকে সাহায্য করবে?! ফিরআউন বললো, অভিমত এবং ফায়সালা চলবে আমার। আমি ভেবে দেখেছি যে, অনিষ্ট ও ফাসাদ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য মূসাকে হত্যা করা অত্যাবশ্যক। আর আমি সঠিক ও বিশুদ্ধ ব্যতীত অন্য কোন পথ দেখাই না।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


হে আমার সম্প্রদায়! আজ রাজত্ব তোমাদেরই, তোমরাই দেশে প্রবল;[১] কিন্তু আমাদের ওপর আল্লাহর শাস্তি এসে পড়লে কে আমাদের সাহায্য করবে?[২] ফিরআউন বলল, ‘আমি যা বুঝি আমি তোমাদেরকে তাই বলছি। আমি তোমাদেরকে কেবল সৎপথই দেখিয়ে থাকি।’ [৩] [১] অর্থাৎ, এটা হল তোমাদের উপর আল্লাহর অনুগ্রহ যে, তিনি তোমাদেরকে পৃথিবীতে নেতৃত্ব ও কর্তৃত্ব দান করেছেন। তাই তাঁর কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন কর এবং তাঁর রসূলকে মিথ্যাজ্ঞান করে তাঁর অসন্তুষ্টির শিকার হয়ো না। [২] এই সৈন্য-সামন্ত তোমাদের কোন উপকারে আসবে না। আল্লাহর আযাব এসে গেলে, তাও তারা দূর করতে পারবে না। এ পর্যন্ত ছিল সেই মু'মিনের কথা, যে তার ঈমানকে গোপন করে রেখেছিল। [৩] ফিরআউন তার পার্থিব সম্মান ও গৌরবের ভিত্তিতে মিথ্যাবাদিতা অবলম্বন করে বলল, আমি যেটা ভাল মনে করছি, সেটাই তোমাদেরকে বলছি এবং আমি যে পথের কথা বলছি, সেটাই সঠিক পথ। অথচ ব্যাপারটা এ রকম ছিল না। ﴿ وَمَا أَمْرُ فِرْعَوْنَ بِرَشِيدٍ﴾ (هود:৯৭

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


'হে আমার সম্প্রদায়! আজ তোমাদেরই রাজত্ব, যমীনে তোমরাই প্রভাবশালী; কিন্তু আমাদের উপর আল্লাহর শাস্তি এসে পড়লে কে আমাদেরকে সাহায্য করবে?' ফিরআউন বলল, 'আমি যা সঠিক মনে করি, তা তোমাদেরকে দেখাই। আর আমি তোমাদেরকে শুধু সঠিক পথই দেখিয়ে থাকি।'

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


২৮-২৯ নং আয়াতের তাফসীর: প্রসিদ্ধ কথা তো এটাই যে, এই মুমিন লোকটি কিবতী ছিল। সে ছিল ফিরাউনের বংশধর। এমনকি সুদ্দী ( রঃ ) বলেন যে, সে ছিল ফিরাউনের চাচাতো ভাই। একথাও বলা হয়েছে যে, সে হযরত মূসা ( আঃ )-এর সাথে মুক্তি পেয়েছিল। ইবনে জারীরও ( রঃ ) এটাই পছন্দ করেছেন। এমনকি যাঁদের উক্তি রয়েছে যে, ঐ মমিন লোকটিও ইসরাঈলী ছিলেন তিনি তা খণ্ডন করেছেন এবং বলেছেন যে, যদি মুমিন লোকটি ইসরাঈলী হতেন তবে ফিরাউন কখনো এভাবে ধৈর্যের সাথে তাঁর নসীহত শুনতো না এবং হযরত মূসা ( আঃ )-এর হত্যার অভিপ্রায় হতে বিরত থাকতো না। বরং তাকে কষ্ট দিতো।হযরত ইবনে আব্বাস ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, ফিরাউনের বংশের মধ্যে একজন ঈমানদার ছিলেন এই লোকটি। আর একজন যিনি ঈমান এনেছিলেন তিনি ছিলেন ফিরাউনের স্ত্রী এবং তৃতীয় ঈমানদার ছিলেন ঐ ব্যক্তি যিনি হযরত মূসা ( আঃ )-কে সংবাদ দিয়েছিলেন যে, নেতৃস্থানীয় লোকেরা তাঁকে হত্যা করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।এই মুমিন লোকটি নিজের ঈমান আনয়নের কথা গোপন রেখেছিলেন। ফিরাউন যখন বলেছিলঃ “ তোমরা আমাকে ছেড়ে দাও, আমি মূসা ( আঃ )-কে হত্যা করি’ সেদিনই শুধু তিনি নিজের ঈমানের কথা প্রকাশ করেছিলেন । আর প্রকৃতপক্ষে এটাই সর্বোত্তম জিহাদ যে, অত্যাচারী বাদশাহর সামনে মানুষ সত্য কথা বলে দেয়, যেমন হাদীসে এসেছে। আর ফিরাউনের সামনে এর চেয়ে বড় ও সত্য কথা আর কিছুই ছিল না। সুতরাং এ লোকটি বড় উচ্চ পর্যায়ের মুজাহিদ ছিলেন, যার সাথে কারো তুলনা করা যায় না। তবে অবশ্যই সহীহ বুখারী ইত্যাদি হাদীস গ্রন্থে একটি ঘটনা কয়েকটি রিওয়াইয়াতে বর্ণিত আছে, যার সারমর্ম এই যে, হযরত উরওয়া ইবনে যুবায়ের ( রাঃ ) একদা হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আস ( রাঃ )-কে জিজ্ঞেস করেনঃ “ আচ্ছা, বলুন তো, মুরিকরা রাসূলুল্লাহ ( সঃ )-কে সবচেয়ে বড় কষ্ট কি দিয়েছিল?” উত্তরে তিনি বলেনঃ “তাহলে শুন, একদা রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) কাবা শরীফে নামায পড়ছিলেন । এমন সময় উকবা ইবনে আবি মুঈত এসে তাকে ধরে ফেললো এবং তার Bদরখানা তার গলায় বেঁধে দিয়ে টানতে শুরু করলো, যার ফলে তার গলা চিপে গেল এবং তার শ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হলো। তৎক্ষণাৎ হযরত আবু বকর ( রাঃ ) দৌড়িয়ে এসে তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিলেন এবং বললেনঃ “ তোমরা কি এমন এক ব্যক্তিকে হত্যা করতে চাচ্ছ যিনি বলেন, “আমার প্রতিপালক আল্লাহ এবং যিনি তোমাদের প্রতিপালকের নিকট হতে দলীল প্রমাণাদি নিয়ে এসেছেন?” আর একটি রিওয়াইয়াতে আছে যে, এক জায়গায় কুরায়েশদের সমাবেশ ছিল । রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) সেখান দিয়ে গমন করলে তারা বললোঃ “ তুমিই কি আমাদেরকে আমাদের পিতৃপুরুষদের মা'বুদগুলোর ইবাদত করতে নিষেধ করে থাকো?” তিনি উত্তরে বললেনঃ “হ্যা, আমিই ঐ ব্যক্তি বটে ।” তখন তারা উঠে গিয়ে তার কাপড় ধরে টানতে থাকে। তখন হযরত আবু বকর ( রাঃ ) তার পিছন হতে দৌড়িয়ে গিয়ে তাঁকে তাদের হাত হতে রক্ষা করেন এবং তার দুই চক্ষু দিয়ে অশ্রু গড়িয়ে পড়ছিল। এমতাবস্থায় তিনি উচ্চ স্বরে চীৎকার করে বলেনঃ “ তোমরা কি এমন একটি লোককে হত্যা করতে যাচ্ছ- যিনি বলেন, আমার প্রতিপালক আল্লাহ এবং যিনি তোমাদের কাছে তোমাদের প্রতিপালকের নিকট হতে দলীল প্রমাণাদি নিয়ে এসেছেন?” ( এ হাদীসটি ইমাম ইবনে আবি হাতিম (রঃ ) বর্ণনা করেছেন)ঐ মুমিন লোকটিও একথাই বলেছিলেনঃ “তোমরা এক ব্যক্তিকে এই জন্যে হত্যা করবে যে, সে বলে- “আমার প্রতিপালক আল্লাহ' অথচ সে তোমাদের প্রতিপালকের নিকট হতে সুস্পষ্ট প্রমাণসহ তোমাদের নিকট এসেছে? যদি সে মিথ্যাবাদীই হয় তবে তার মিথ্যাবাদিতার জন্যে সে-ই দায়ী হবে, আর যদি সত্যবাদী হয়, তবে সে তোমাদেরকে যে শাস্তির কথা বলে, তার কিছু তো তোমাদের উপর আপতিত হবেই । সুতরাং বিবেক সম্মত কথা এটাই যে, তোমরা তাকে ছেড়ে দাও। যারা তাদের অনুসারী হবার তারা হয়ে যাক। তোমরা তাদের ব্যাপারে কোন হস্তক্ষেপ করো না।” হযরত মূসা ( আঃ )-ও ফিরাউন এবং তার লোকদের নিকট হতে এটাই কামনা করেছিলেন। যেমন মহান আল্লাহ বলেনঃ ( আরবী ) অর্থাৎ “ আমি তাদের পূর্বে ফিরাউনের কওমকে পরীক্ষা করেছি । তাদের কাছে সম্মানিত রাসূল এসেছিল এবং তাদেরকে বলেছিলঃ আল্লাহর বান্দাদেরকে ( বানী ইসরাঈলকে ) আমার নিকট সমর্পণ করে দাও। আমি তোমাদের কাছে বিশ্বস্ত রাসূলরূপে প্রেরিত হয়েছি। তোমরা আল্লাহর উপর বিদ্রোহ ঘোষণা করো না। আমিও তোমাদের নিকট সুস্পষ্ট দলীল নিয়ে এসেছি। তোমরা আমাকে পাথর নিক্ষেপে হত্যা করবে তা হতে আমি আমার প্রতিপালকের এবং তোমাদের প্রতিপালকের নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি। যদি তোমরা ঈমান আনয়ন না কর তবে তোমরা আমা হতে দূরে থাকো ( আমাকে কষ্ট দিয়ো না )।” ( ৪৪:১৭-২১ )রাসূলুল্লাহ( সঃ ) স্বীয় কওমকে একথাই বলেছিলেনঃ আল্লাহর বান্দাদেরকে তাঁর দিকে আমাকে ডাকতে দাও । তোমরা আমাকে কষ্ট দেয়া হতে বিরত থাকো। আমার আত্মীয়তার প্রতি লক্ষ্য রেখে আমাকে কষ্ট দিয়ো না।” হুদায়বিয়ার সন্ধিও প্রকৃতপক্ষে এটাই ছিল, যাকে প্রকাশ্য বিজয় বলা হয়েছে।ঐ মুমিন লোকটি তার কওমকে আরো বললেনঃ আল্লাহ সীমালংঘনকারী ও মিথ্যাবাদীকে সৎপথে পরিচালিত করেন না । তাদের উপর আল্লাহর সাহায্য থাকে না। তাদের কথা ও কাজ সত্বরই তাদের খিয়ানতকে প্রকাশ করে দিবে। পক্ষান্তরে এই নবী ( আঃ ) বিশৃংখলা সৃষ্টি করা হতে সম্পূর্ণরূপে পবিত্র। তিনি সরল, সঠিক ও সত্য পথের উপর রয়েছেন। তিনি কথায় সত্যবাদী এবং আমলে পাকা। যদি তিনি সীমালংঘনকারী ও মিথ্যাবাদী হতেন তবে তার মধ্যে কখনো এই সততা ও সত্যবাদিতা থাকতো না।” অতঃপর স্বীয় সম্প্রদায়কে উপদেশ দিচ্ছেন এবং তাদেরকে আল্লাহর আযাব হতে ভয় প্রদর্শন করছেন। তিনি তাদেরকে বলেনঃ “ হে আমার সম্প্রদায়! আজ কর্তৃত্ব তোমাদের, দেশে তোমরাই প্রবল । কিন্তু আমাদের উপর শাস্তি এসে পড়লে কে আমাদেরকে সাহায্য করবে?” অর্থাৎ আল্লাহ তাআলা এদেশের শাসন ক্ষমতা তোমাদেরকেই দান করেছেন এবং তোমাদেরকে বড়ই মর্যাদা দিয়েছেন। আল্লাহ তাআলার এই নিয়ামতের জন্যে তোমাদের তার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা উচিত এবং তাঁর রাসূল ( সঃ )-কে সত্যবাদী হিসেবে মেনে নেয়া একান্ত কর্তব্য। যদি তোমরা অকৃতজ্ঞ হও এবং তাঁর রাসূল ( আঃ )-এর প্রতি মন্দ দৃষ্টি নিক্ষেপ কর তবে নিশ্চয়ই আল্লাহর আযাব তোমাদের উপর আপতিত হবে। বলতে, ঐ সময় কে তোমাদেরকে আল্লাহর আযাব হতে রক্ষা করবে? তোমাদের এ সেনাবাহিনী, জান ও মাল তোমাদের কোনই কাজে আসবে না।ফিরাউন ঐ ব্যক্তির একথার কোন জ্ঞান সম্মত উত্তর দিতে পারলো না। সুতরাং বাহ্যিকভাবে সহানুভূতি দেখিয়ে বললোঃ “ আমি তো তোমাদের শুভাকাক্ষী । আমি তোমাদেরকে ধোকা দিচ্ছি না। আমি যা বুঝছি তাই তোমাদেরকে বলছি। আমি তোমাদেরকে শুধু সৎপথই দেখিয়ে থাকি। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এটাও ছিল তার বিশ্বাসঘাতকতা। সে ভালভাবেই জানতো যে, হযরত মূসা ( আঃ ) আল্লাহর রাসূল। যেমন মহান আল্লাহ হযরত মূসা ( আঃ )-এর উক্তি উদ্ধৃত করেনঃ ( আরবী ) অর্থাৎ ( হে ফিরাউন! ) তুমি তো জান যে, এগুলো ( এ বিস্ময়কর জিনিসগুলো ) আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর প্রতিপালকই অবতীর্ণ করেছেন, যেগুলো জ্ঞানবর্তিকা স্বরূপ ।" ( ১৭:১০২ ) অন্য আয়াতে রয়েছেঃ ( আরবী ) অর্থাৎ “ অন্তরে বিশ্বাস থাকা সত্ত্বেও শুধু যুলুম ও সীমালংঘন হিসেবেই তারা অস্বীকার করে বসেছে ।( ২৭:১৪ ) অনুরূপভাবে তার আমি যা বুঝি, তাই তোমাদেরকে বলছি' এ কথাও ছিল সম্পূর্ণ ভুল। প্রকৃতপক্ষে সে জনগণকে প্রতারিত করছিল এবং প্রজাবর্গের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করছিল। তার কওম তার প্রতারণার ফাঁদে আবদ্ধ হয়ে পড়েছিল এবং তার কথা মেনে নিয়েছিল। ফিরাউন তাদেরকে কোন ভাল পথে আনয়ন করেনি। তার কাজ সঠিকই ছিল না। মহান আল্লাহ বলেনঃ ( আরবী ) অর্থাৎ “ ফিরাউন তার কওমকে পথভ্রষ্ট করেছিল, তাদেরকে সুপথ প্রদর্শন করেনি ।( ২০:৭৯ ) হাদীসে আছে যে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বলেছেনঃ “ যে নেতা তার প্রজাদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করা অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে সে জান্নাতের সুগন্ধও পাবে না, অথচ জান্নাতের সুগন্ধ পাঁচশ বছরের পথের ব্যবধান হতেও এসে থাকে । এসব ব্যাপারে সঠিক জ্ঞানের অধিকারী একমাত্র আল্লাহ

সূরা মু'মিন আয়াত 29 সূরা

ياقوم لكم الملك اليوم ظاهرين في الأرض فمن ينصرنا من بأس الله إن جاءنا قال فرعون ما أريكم إلا ما أرى وما أهديكم إلا سبيل الرشاد

سورة: غافر - آية: ( 29 )  - جزء: ( 24 )  -  صفحة: ( 470 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. তোমরা আল্লাহর অনুগত হও, রসূলের অনুগত হও এবং আত্মরক্ষা কর। কিন্তু যদি তোমরা বিমুখ হও,
  2. এবং তারা আমাদের ক্রোধের উদ্রেক করেছে।
  3. হে আমার পিতা, শয়তানের এবাদত করো না। নিশ্চয় শয়তান দয়াময়ের অবাধ্য।
  4. যিনি নিতান্ত মেহেরবান ও দয়ালু।
  5. বস্তুতঃ আমাদের সাথে তোমার শত্রুতা তো এ কারণেই যে, আমরা ঈমান এনেছি আমাদের পরওয়ারদেগারের নিদর্শনসমূহের
  6. না তোমরা নিশ্চিন্ত হয়ে গেছ যে, আকাশে যিনি আছেন, তিনি তোমাদের উপর প্রস্তর বৃষ্টি বর্ষণ
  7. অতঃপর আল্লাহ তাদেরকে দুনিয়ার সওয়াব দান করেছেন এবং যথার্থ আখেরাতের সওয়াব। আর যারা সৎকর্মশীল আল্লাহ
  8. সিংহাসনে বসে অবলোকন করবে।
  9. বলে দিনঃ তোমরা কি আল্লাহ ব্যতীত এমন বস্তুর এবাদত কর যে, তোমাদের অপকার বা উপকার
  10. অতঃপর প্রভাতকালে আক্রমণকারী অশ্বসমূহের

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা মু'মিন ডাউনলোড করুন:

সূরা Ghafir mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Ghafir শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত মু'মিন  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত মু'মিন  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত মু'মিন  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত মু'মিন  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত মু'মিন  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত মু'মিন  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত মু'মিন  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত মু'মিন  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত মু'মিন  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত মু'মিন  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত মু'মিন  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত মু'মিন  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত মু'মিন  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত মু'মিন  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত মু'মিন  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত মু'মিন  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত মু'মিন  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত মু'মিন  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত মু'মিন  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত মু'মিন  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত মু'মিন  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত মু'মিন  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত মু'মিন  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত মু'মিন  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত মু'মিন  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Thursday, August 15, 2024

Please remember us in your sincere prayers