কোরান সূরা আনফাল আয়াত 29 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Anfal ayat 29 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা আনফাল আয়াত 29 আরবি পাঠে(Anfal).
  
   

﴿يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِن تَتَّقُوا اللَّهَ يَجْعَل لَّكُمْ فُرْقَانًا وَيُكَفِّرْ عَنكُمْ سَيِّئَاتِكُمْ وَيَغْفِرْ لَكُمْ ۗ وَاللَّهُ ذُو الْفَضْلِ الْعَظِيمِ﴾
[ الأنفال: 29]

হে ঈমানদারগণ তোমরা যদি আল্লাহকে ভয় করতে থাক, তবে তোমাদের মধ্যে ফয়সালা করে দেবেন এবং তোমাদের থেকে তোমাদের পাপকে সরিয়ে দেবেন এবং তোমাদের ক্ষমা করবেন। বস্তুতঃ আল্লাহর অনুগ্রহ অত্যন্ত মহান। [সূরা আনফাল: 29]

Surah Al-Anfal in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Anfal ayat 29


ওহে যারা ঈমান এনেছ! তোমরা যদি আল্লাহ্‌কে ভয়ভক্তি করো তবে তিনি তোমাদের দেবেন ফুরকান, আর তোমাদের থেকে তোমাদের মন্দ ঘুচিয়ে দেবেন, আর তোমাদের পরিত্রাণ করবেন। আর আল্লাহ্ বিপুল কল্যাণের অধিকর্তা।


Tafsir Mokhtasar Bangla


২৯. হে আল্লাহতে বিশ্বাসী ও তাঁর রাসূলের অনুসারী মু’মিনগণ! তোমরা এ কথা জেনে রাখো যে, সত্যিকারার্থে তোমরা যদি আল্লাহর আদেশ-নিষেধ মেনে তাঁকে ভয় করতে পারো তাহলে তিনি তোমাদেরকে সত্য-মিথ্যার প্রভেদজ্ঞান প্রদান করবেন। ফলে সত্য-মিথ্যা তোমাদের নিকট কখনো মিশ্রিত হবে না। উপরন্তু তিনি তোমাদের কৃত পাপগুলো মুছে দিবেন এবং তোমাদেরকে ক্ষমা করবেন। বস্তুতঃ আল্লাহ তা‘আলা মহান দয়াশীল। তাঁর মহান দয়ার একটি হলো জান্নাত। যা তিনি তাঁর মুত্তাকী বান্দাদের জন্য তৈরি করেছেন।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


হে বিশ্বাসীগণ! যদি তোমরা আল্লাহকে ভয় কর, তাহলে তিনি তোমাদেরকে ন্যায়-অন্যায় পার্থক্যকারী শক্তি দেবেন, তোমাদের পাপ মোচন করবেন এবং তোমাদেরকে ক্ষমা করবেন। আর আল্লাহ অতিশয় অনুগ্রহশীল।[১] [১] 'তাকওয়া' অর্থ হল আল্লাহর আদেশের বিরুদ্ধাচরণ ও তাঁর নিষিদ্ধ কর্ম হতে বিরত থাকা। فُرقَان এর কয়েকটি অর্থ বলা হয়েছে; যেমন এমন বিবেক বা অন্তর যা হক ও বাতিলের মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় করে। অর্থ এই যে, তাকওয়ার কারণে অন্তর দৃঢ়, দৃষ্টি তীক্ষ্ণ ও হিদায়াতের রাস্তা স্পষ্ট হয়ে যায়। সাধারণ মানুষ যখন দ্বিধা ও সন্দেহের মরুভূমিতে ঘুরপাক খায়, তখন সে সঠিক পথের সন্ধান পায়। এ ছাড়াও فُرقَان এর অর্থঃ সাহায্য, পরিত্রাণ, বিজয় সমস্যার সমাধানও করা হয়েছে। আর এ সকল অর্থই এখানে উদ্দিষ্ট হতে পারে। কারণ তাকওয়ার কারণে এই সব উপকার হয়ে থাকে। বরং তার সাথে সাথে গোনাহের কাফফারা, পাপ থেকে ক্ষমালাভ এবং মহা পুরস্কার লাভও হয়।

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


হে ঈমানদারগণ! যদি তোমরা আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন কর তবে তিনি তোমাদেরকে ফুরকান [] তথা ন্যায় –অন্যায় পার্থক্য করার শক্তি দেবেন, তোমাদের পাপ মোচন করবেন [] এবং আল্লাহ্‌ মহাকল্যাণের অধিকারী []। চতুর্থ রুকূ’ [] আলোচ্য আয়াতে বলা হয়েছে, যে লোক বিবেককে স্বভাবের উপর প্রবল রেখে এই পরীক্ষায় দৃঢ়তা অবলম্বন করবে এবং আল্লাহর আনুগত্য ও মহব্বতকে সবকিছুর উর্ধ্বে স্থাপন করবে-যাকে কুরআন ও শরীআতের পরিভাষায় তাকওয়া’ বলা হয়-তাহলে সে এর বিনিময়ে কয়েকটি প্রতিদান লাভ করবে। ( এক ) ফুরকান, ( দুই ) পাপের প্রায়শ্চিত্ত ও ( তিন ) মাগফেরাত বা পরিত্রাণ। ( চার ) জান্নাত। [ সা'দী; আইসারুত তাফাসীর ] ( فرقان )( فرق ) দুটি ধাতুর সমার্থক। পরিভাষাগতভাবে ( فرقان ) ( ফুরকান ) এমনসব বস্তু বা বিষয়কে বলা হয় যা দুটি বস্তুর মাঝে প্রকৃষ্ট পার্থক্য ও দূরত্ব সূচিত করে দেয়। [ কুরতুবী ] সেজন্যই কোন বিষয়ের মীমাংসাকে ফুরকান বলা হয়। কারণ তা হক ও বাতিলের মধ্যে পার্থক্য সুস্পষ্ট করে দেয়। তাছাড়া আল্লাহ তা'আলার সাহায্যকেও ফুরকান বলা হয়। কারণ, এর দ্বারাও সত্যপন্থীদের বিজয় এবং তাদের প্রতিপক্ষের পরাজয় সূচিত হওয়ার মাধ্যমে সত্য ও মিথ্যার পার্থক্য সুস্পষ্ট হয়ে যায়। সে জন্যই কুরআনুল কারীমে বদরের যুদ্ধকে ইয়াওমুলফুরকান’ তথা পার্থক্যসূচক দিন বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। এ আয়াতে বর্ণিত তাকওয়া অবলম্বনকারীদের প্রতি ফুরকান দান করা হবে- কথাটির মর্ম অধিকাংশ মুফাসসিরের মতে এই যে, তাদের প্রতি আল্লাহ তা'আলার সাহায্য ও সহায়তা থাকে এবং তিনি তাদের হেফাজত করেন। কোন শক্র তাদের ক্ষতি সাধন করতে পারে না। যাবতীয় উদ্দেশ্যে তারা সাফল্য লাভে সমর্থ হন এবং যে কোন বিপদ থেকে উদ্ধার পান। [ ইবন কাসীর ] কোন কোন মুফাসসির বলেন, এ আয়াতে ফুরকান বলতে সেসব আলো বা জ্ঞানবুদ্ধিকে উদ্দেশ্য করা হয়েছে যার মাধ্যমে সত্য-মিথ্যা ও খাটি-মেকীর মাঝে পার্থক্য করা সহজ হয়ে যায়। [ আইসারুত তাফাসীর; সাদী ] অতএব, মর্ম দাড়ায় এই যে, যারা ‘তাকওয়া’ অবলম্বন করেন, আল্লাহ তাদেরকে এমন জ্ঞান ও অন্তদৃষ্টি দান করেন যাতে তাদের পক্ষে ভাল-মন্দ পার্থক্য করা সহজ হয়ে যায়। ইবনে ওয়াহাব বলেন, আমি ইমাম মালেককে প্রশ্ন করেছি এখানে ফুরকান অর্থ কি? তিনি বললেন, এখানে ফুরকান অর্থ, উত্তরণের পথ। তারপর তিনি দলীল হিসেবে সূরা আত-তালাকের এই আয়াত পাঠ করলেন, “ আর যে কেউ আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন করে আল্লাহ তার জন্য ( উত্তরণের ) পথ করে দেবেন" । [ সূরা আত-তালাক: ২ ] কারও কারও মতে, এখানে ‘ফুরকান’ দ্বারা আখেরাতে মুমিনদেরকে জান্নাত এবং কাফেরদেরকে জাহান্নামে দেয়া বোঝানো হয়েছে। [ কুরতুবী ] [] দ্বিতীয়তঃ তাকওয়ার বিনিময়ে যা লাভ হয়, তা হলো পাপের মোচন। অর্থাৎ পার্থিব ও বদলার ব্যবস্থা করে দেয়া হয়। এমন সৎকর্ম সম্পাদনের তৌফিক তার হয়, যা তার সমুদয় ক্রটি-বিচূতির উপর প্রাধান্য লাভ করে। তাকওয়ার বিনিময়ে তৃতীয় যে জিনিষটি লাভ হয়, তা হচ্ছে, আখেরাতে মুক্তি ও যাবতীয় পাপের ক্ষমা লাভ। পাপের মোচন এবং মাগফিরাত দুটি সমার্থবোধক শব্দ হলেও একত্রে ব্যবহার হলে দুটির অর্থ ভিন্ন হয়। তখন পাপ মোচন দ্বারা ছোট গোনাহের ক্ষমা, আর মাগফিরাত দ্বারা বড় গোনাহের ক্ষমা উদ্দেশ্য হয়। [ সা'দী ] [] অর্থাৎ আল্লাহ তা'আলা বড়ই অনুগ্রহশীল ও করুণাময়। তিনি বিরাট অনুগ্রহ ও ইহসানের অধিকারী। তার দান ও দয়া কোন পরিমাপের গণ্ডিতে আবদ্ধ নয় এবং তার দান ও ইহসানের অনুমান করাও কারো পক্ষে সম্ভব নয়। কাজেই তাকওয়া থেকে আরো বহু দান ও অনুগ্রহ লাভের আশা রাখা কর্তব্য। তবে শর্ত হচ্ছে আল্লাহর সন্তুষ্টিকে নিজের প্রবৃত্তির চাহিদার উপর স্থান দিতে হবে। সাদী কেউ কেউ এটাকে জান্নাত দ্বারা তাফসীর করেছেন। [ আইসারুত তাফসীর ]

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


ইবনে আব্বাস ( রাঃ ), সুদ্দী ( রঃ ), মুজাহিদ ( রঃ ), ইকরামা ( রঃ ) যহাক ( রঃ ), কাতাদা ( রঃ ) এবং মুকাতিল ইবনে হাইয়ান ( রঃ ) প্রমুখ মনীষীগণ বলেন। যে, ( আরবী )-এর অর্থ হচ্ছে ( আরবী ) অর্থাৎ বের হওয়ার স্থান। মুজাহিদ ( রঃ ) ( আরবী )-এটুকু বেশী করেছেন। হযরত ইবনে আব্বাস ( রাঃ )-এর একটি রিওয়াইয়াতে আছে যে, ( আরবী ) -এর অর্থ হচ্ছে অর্থাৎ মুক্তি। তাঁর আর একটি বর্ণনায় ( আরবী ) অর্থাৎ সাহায্য রয়েছে। মুহাম্মাদ ইবনে ইসহাক ( রঃ ) বলেছেন যে, ( আরবী ) দ্বারা ( আরবী ) অর্থাৎ সত্য ও মিথ্যার মধ্যে ফায়সালা বুঝানো হয়েছে। ইবনে ইসহাক ( রঃ )-এর এই তাফসীর পূর্ববর্তী তাফসীরগুলো হতে বেশী সাধারণ। কেননা, যে আল্লাহকে ভয় করবে এবং তার নিষেধাজ্ঞা থেকে দূরে থাকবে সে সত্য ও মিথ্যার পরিচয় লাভের তাওফীক প্রাপ্ত হবে। এটা হবে তার মুক্তি ও সাহায্য লাভের কারণ। তার পাপরাশি ক্ষমা করে দেয়া হবে। আল্লাহ তা'আলা গাফফার ( বড় ক্ষমাশীল ) এবং সাত্তার ( দোষত্রুটি গোপনকারী ) হয়ে যাবেন। আল্লাহর কাছে বড় পুরস্কার পাওয়ার সে হকদার হয়ে যাবে। যেমন মহান আল্লাহ বলেনঃ “ হে মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং তাঁর রাসূল ( সঃ )-এর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন কর, তিনি তোমাদেরকে তাঁর রহমত দ্বিগুণ প্রদান করবেন এবং তোমাদের জন্যে এমন নূরের ব্যবস্থা করে দিবেন যার আলোকে তোমরা পথ চলতে পারবে, আর তিনি তোমাদেরকে ক্ষমা করে দিবেন, তিনি বড় ক্ষমাশীল ও দয়ালু ।

সূরা আনফাল আয়াত 29 সূরা

ياأيها الذين آمنوا إن تتقوا الله يجعل لكم فرقانا ويكفر عنكم سيئاتكم ويغفر لكم والله ذو الفضل العظيم

سورة: الأنفال - آية: ( 29 )  - جزء: ( 9 )  -  صفحة: ( 180 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. যেদিন ভূমন্ডল বিদীর্ণ হয়ে মানুষ ছুটাছুটি করে বের হয়ে আসবে। এটা এমন সমবেত করা, যা
  2. তারা কি লক্ষ্য করে না, তাদের মাথার উপর উড়ন্ত পক্ষীকুলের প্রতি পাখা বিস্তারকারী ও পাখা
  3. তোমাদের জন্যে চতুস্পদ জন্তুদের মধ্যে চিন্তা করার অবকাশ রয়েছে। আমি তোমাদেরকে পান করাই তাদের উদরস্থিত
  4. অতএব, তোমরা আস্বাদন কর, আমি কেবল তোমাদের শাস্তিই বৃদ্ধি করব।
  5. আমি ইচ্ছা করলে তাকে খড়কুটা করে দিতে পারি, অতঃপর হয়ে যাবে তোমরা বিস্ময়াবিষ্ট।
  6. অতএব আপনি শেষরাত্রে পরিবারের সকলকে নিয়ে চলে যান এবং আপনি তাদের পশ্চাদনুসরণ করবেন না এবং
  7. নভোমন্ডলে ও ভূ-মন্ডলে তাঁরই গৌরব। তিনি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।
  8. যা চামড়া তুলে দিবে।
  9. তারা বলে, রহমান আল্লাহ ইচছা না করলে আমরা ওদের পূজা করতাম না। এ বিষয়ে তারা
  10. বস্তুতঃ আমি সাগর পার করে দিয়েছি বনী-ইসরাঈলদিগকে। তখন তারা এমন এক সম্প্রদায়ের কাছে গিয়ে পৌছাল,

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা আনফাল ডাউনলোড করুন:

সূরা Anfal mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Anfal শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত আনফাল  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত আনফাল  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত আনফাল  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত আনফাল  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত আনফাল  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত আনফাল  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত আনফাল  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত আনফাল  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত আনফাল  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত আনফাল  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত আনফাল  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত আনফাল  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত আনফাল  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত আনফাল  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত আনফাল  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত আনফাল  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত আনফাল  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত আনফাল  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত আনফাল  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত আনফাল  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত আনফাল  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত আনফাল  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত আনফাল  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত আনফাল  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত আনফাল  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Monday, November 4, 2024

Please remember us in your sincere prayers