কোরান সূরা মুজাদালা আয়াত 3 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Mujadilah ayat 3 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা মুজাদালা আয়াত 3 আরবি পাঠে(Mujadilah).
  
   

﴿وَالَّذِينَ يُظَاهِرُونَ مِن نِّسَائِهِمْ ثُمَّ يَعُودُونَ لِمَا قَالُوا فَتَحْرِيرُ رَقَبَةٍ مِّن قَبْلِ أَن يَتَمَاسَّا ۚ ذَٰلِكُمْ تُوعَظُونَ بِهِ ۚ وَاللَّهُ بِمَا تَعْمَلُونَ خَبِيرٌ﴾
[ المجادلة: 3]

যারা তাদের স্ত্রীগণকে মাতা বলে ফেলে, অতঃপর নিজেদের উক্তি প্রত্যাহার করে, তাদের কাফফারা এই একে অপরকে স্পর্শ করার পূর্বে একটি দাসকে মুক্তি দিবে। এটা তোমাদের জন্যে উপদেশ হবে। আল্লাহ খবর রাখেন তোমরা যা কর। [সূরা মুজাদালা: 3]

Surah Al-Mujadilah in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Mujadilah ayat 3


আর যারা তাদের স্ত্রীদের থেকে 'যিহার’ করে, তারপর তারা যা বলেছে তা প্রত্যাহার করে, সেক্ষেত্রে একে-অপরকে স্পর্শ করার পূর্বে একটি দাসের মুক্তিদান। এইটির দ্বারাই তোমাদের নির্দেশ দেওয়া হলো। আর তোমরা যা করছ সে-সন্বন্ধে আল্লাহ্ চির- ওয়াকিফহাল।


Tafsir Mokhtasar Bangla


৩. যারা এমন জঘন্য কথা বলে অতঃপর যাকে কেন্দ্র করে এ কথা বলেছে তার সাথে মিলন করতে চায় তারা যেম মিলনের পূর্বে একটি গোলাম স্বাধীন করার মাধ্যমে কাফফারা আদায় করে। উপরোল্লিখিত এ বিধান তোমাদেরকে জেহার থেকে সতর্ক করার উদ্দেশ্যেই করা হলো। বস্তুতঃ তোমরা যা কিছু করো সে বিষয়ে আল্লাহ পরিজ্ঞাত। তাঁর নিকট তোমাদের আমলের কোন কিছুই গোপন নয়।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


যারা নিজেদের স্ত্রীদের সাথে ‘যিহার’ করে এবং পরে তাদের উক্তি প্রত্যাহার করে,[১] তাহলে ( এর প্রায়শ্চিত্ত ) একে অপরকে স্পর্শ করার পূর্বে[২] একটি দাসের মুক্তিদান। এর দ্বারা তোমাদেরকে সদুপদেশ দেওয়া হচ্ছে। আর তোমরা যা কর, আল্লাহ তার খবর রাখেন। [১] এখন এই বিধানকে বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করা হচ্ছে। রুজু' বা প্রত্যাহার করা মানেঃ স্ত্রীর সাথে সহবাস করতে চাওয়া। [২] অর্থাৎ, সহবাস করার পূর্বে কাফফারা আদায় করবে। ( ক ) একটি ক্রীতদাস স্বাধীন করবে। ( খ ) তা না পারলে লাগাতার কোন বিরতি ছাড়াই দু' মাস রোযা রাখবে। যদি রাখতে রাখতে মধ্যখানে কোন শরীয়তী কারণ ছাড়াই রোযা বন্ধ করে দেয়, তাহলে পুনরায় আবার নতুনভাবে প্রথম থেকে দু' মাসের রোযা পূর্ণ করতে হবে। আর শরীয়তী কারণ বলতে যেমন, অসুস্থতা বা সফরে যাওয়া ইত্যাদি। ( গ ) যদি লাগাতার দু'মাস রোযা রাখতে না পারে, তবে ষাটজন মিসকীনকে ( এক বেলা ) আহার করাবে। কেউ কেউ বলেন, প্রত্যেক মিসকীনকে দুই মুদ্দ ( অর্ধসা' অর্থাৎ, সওয়া এক কিলো ), আবার কেউ বলেন, এক মুদ্দ ( গম বা চাল ) দিলেই যথেষ্ট হবে। তবে কুরআনের আয়াত থেকে প্রতীয়মান হয় যে, খাবার পেটপুরে খাওয়াতে হবে অথবা পেট ভরে যায় এতটা পরিমাণ খাদ্য দিতে হবে। অনুরূপ সকল মিসকীনকে একই সাথে খাওয়ানোও জরুরী নয়, বরং একাধিক কিস্তীর মাধ্যমে এ সংখ্যা পূরণ করা যেতে পারে। ( ফাতহুল ক্বাদীর ) তবে এটা জরুরী যে, যতক্ষণ না নির্দিষ্ট সংখ্যা পূরণ হয়েছে, ততক্ষণ পর্যন্ত স্ত্রীর সাথে সহবাস করা জায়েয হবে না।

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


আর যারা নিজেদের স্ত্রীদের সাথে যিহার করে এবং পরে তাদের উক্তি প্রত্যাহার করে [], তবে একে অন্যকে স্পর্শ করার আগে একটি দাস মুক্ত করতে হবে, এ দিয়ে তোমাদেরকে উপদেশ দেয়া যাচ্ছে। আর তোমরা যা কর, আল্লাহ্‌ সে সম্পর্কে সম্যক অবহিত। [] ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা يعْدون শব্দের অর্থ করেছেন يندمون অর্থাৎ একথা বলার পর তারা অনুতপ্ত হয় এবং স্ত্রীর সাথে মেলামেশা করতে চায়। [ দেখুন-বাগভী ] এই আয়াত থেকে আরও জানা গেল যে, স্ত্রীর সাথে মেলামেশা হালাল হওয়ার উদ্দেশ্যেই কাফফারা ওয়াজিব হয়েছে। খোদ যিহার কাফফারার কারণ নয়। বরং যিহার করা এমন গোনাহ, যার কাফফারা হচ্ছে তওবা ও ক্ষমা প্রার্থনা করা। আয়াত শেষে وَاِنَّ اللّٰهَ لَعَقُوٌّ غَفُوْرٌ বলে এদিকে ইঙ্গিত করা হয়েছে। তাই কোন ব্যক্তি যদি যিহার করার পর স্ত্রীর সাথে মেলামেশা করতে না চায়, তবে কোনো কাফফারা দিতে হবে না। তবে স্ত্রীর অধিকার ক্ষুন্ন করা না জায়েয। স্ত্রী দাবী করলে কাফফারা আদায় করে মেলামেশা করা অথবা তালাক দিয়ে মুক্ত করা ওয়াজিব। স্বামী স্বেচ্ছায় এরূপ না করলে স্ত্রী আদালতে রুজু হয়ে স্বামীকে এরূপ করতে বাধ্য করতে পারে। [ দেখুন কুরতুবী ]

সূরা মুজাদালা আয়াত 3 সূরা

والذين يظاهرون من نسائهم ثم يعودون لما قالوا فتحرير رقبة من قبل أن يتماسا ذلكم توعظون به والله بما تعملون خبير

سورة: المجادلة - آية: ( 3 )  - جزء: ( 28 )  -  صفحة: ( 542 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. অতঃপর সে প্রতিকার চেষ্টায় প্রস্থান করল।
  2. এবং আমি মনে করি না যে, কেয়ামত অনুষ্ঠিত হবে। যদি কখনও আমার পালনকর্তার কাছে আমাকে
  3. অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?
  4. ওদের কাছে এমন কোন রসূল আসেননি, যাদের সাথে ওরা ঠাট্টাবিদ্রূপ করতে থাকেনি।
  5. আর যখন তাদের কছে পৌঁছে কোন সংবাদ শান্তি-সংক্রান্ত কিংবা ভয়ের, তখন তারা সেগুলোকে রটিয়ে দেয়।
  6. জীবিত ও মৃতদেরকে?
  7. এ হলো গায়েবী সংবাদ, যা আমি আপনাকে পাঠিয়ে থাকি। আর আপনি তো তাদের কাছে ছিলেন
  8. রসূলের এই উক্তির কসম, হে আমার পালনকর্তা, এ সম্প্রদায় তো বিশ্বাস স্থাপন করে না।
  9. তারা সদাসর্বদা ঘোরতর পাপকর্মে ডুবে থাকত।
  10. উত্তরে তাঁর কওম শুধু এ কথাটিই বললো, লূত পরিবারকে তোমাদের জনপদ থেকে বের করে দাও।

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা মুজাদালা ডাউনলোড করুন:

সূরা Mujadilah mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Mujadilah শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত মুজাদালা  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত মুজাদালা  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত মুজাদালা  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত মুজাদালা  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত মুজাদালা  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত মুজাদালা  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত মুজাদালা  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত মুজাদালা  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত মুজাদালা  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত মুজাদালা  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত মুজাদালা  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত মুজাদালা  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত মুজাদালা  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত মুজাদালা  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত মুজাদালা  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত মুজাদালা  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত মুজাদালা  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত মুজাদালা  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত মুজাদালা  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত মুজাদালা  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত মুজাদালা  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত মুজাদালা  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত মুজাদালা  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত মুজাদালা  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত মুজাদালা  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Thursday, May 23, 2024

لا تنسنا من دعوة صالحة بظهر الغيب