কোরান সূরা আহ্যাব আয়াত 30 তাফসীর
﴿يَا نِسَاءَ النَّبِيِّ مَن يَأْتِ مِنكُنَّ بِفَاحِشَةٍ مُّبَيِّنَةٍ يُضَاعَفْ لَهَا الْعَذَابُ ضِعْفَيْنِ ۚ وَكَانَ ذَٰلِكَ عَلَى اللَّهِ يَسِيرًا﴾
[ الأحزاب: 30]
হে নবী পত্নীগণ! তোমাদের মধ্যে কেউ প্রকাশ্য অশ্লীল কাজ করলে তাকে দ্বিগুণ শাস্তি দেয়া হবে। এটা আল্লাহর জন্য সহজ। [সূরা আহ্যাব: 30]
Surah Al-Ahzab in Banglaজহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Ahzab ayat 30
হে নবীর পত্নীগণ! তোমাদের মধ্যের কেউ যদি স্পষ্ট অশালীনতা নিয়ে আসে, তারজন্য শাস্তিকে দ্বিগুণে বর্ধিত করা হবে। আর এটি আল্লাহ্র জন্যে সহজ।
Tafsir Mokhtasar Bangla
৩০. হে নবীর স্ত্রীগণ! তোমাদের মধ্যে যে প্রকাশ্যে পাপ করবে তাকে তার স্তর ও মর্যাদার কারণে এবং নবীর মর্যাদা রক্ষার্থে ক্বিয়ামত দিবসে দ্বিগুণ শাস্তি প্রদান করা হবে। বস্তুতঃ আল্লাহর নিকট এহেন শাস্তি প্রদান সহজ।
Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান
হে নবী-পত্নীগণ! তোমাদের মধ্যে কেউ কোন প্রকাশ্য অশ্লীল কাজ করলে তাকে দ্বিগুণ শাস্তি দেওয়া হবে।[১] আর আল্লাহর জন্য তা সহজ। [১] কুরআনে 'আলিফ-লাম' যুক্ত অবস্থায় الفَاحِشَةُ শব্দটিকে ব্যভিচারের অর্থে ব্যবহার করা হয়েছে। কিন্তু 'আলিফ-লাম' ছাড়া 'নাকিরাহ' অবস্থায় সাধারণ অশ্লীলতার অর্থে ব্যবহার করা হয়েছে; যেমন এখানে। এখানে এর অর্থ হবেঃ অসভ্য ও অশোভনীয় আচরণ। কারণ নবী ( সাঃ )-এর সাথে অসভ্য ও অশোভনীয় আচরণ করার মানে হচ্ছে তাঁকে কষ্ট দেওয়া, আর তা কুফরী। এ ছাড়া নবী ( সাঃ )-এর পবিত্র স্ত্রীগণ অনেক উচ্চ মর্যাদার অধিকারিণী ছিলেন। আর যাঁরা উচ্চ মর্যাদাবান হন তাঁদের নগণ্য ভুলকেও বড় গণ্য করা হয়। যার জন্য তাঁদেরকে দ্বিগুণ শাস্তির ধমক শোনানো হয়েছে।
Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স
হে নবী - পত্নিগণ! যে কাজ স্পষ্টত 'ফাহেশা', তোমাদের মধ্যে কেউ তা করতে তার জন্য বাড়িয়ে দেয়া হবে শাস্তি ----দ্বিগুণ এবং এটা আল্লাহর জন্য সহজ।
Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর
রাসূলুল্লাহ ( সঃ )-এর স্ত্রীরা অর্থাৎ মুমিনদের মাতারা যখন আল্লাহ, তাঁর রাসূল ( সঃ ) এবং আখিরাতকে পছন্দ করলেন তখন মহান আল্লাহ এই আয়াতে তাঁদেরকে উপদেশ দিচ্ছেনঃ হে নবী-সহধর্মিণীরা! তোমাদের কাজ কারবার সাধারণ নারীদের মত নয়। মনে কর, যদি তোমরা নবী ( সঃ )-এর অবাধ্যাচরণ কর কিংবা তোমাদের দ্বারা কোন নির্লজ্জতাপূর্ণ কাজ সংঘটিত হয়ে যায় তবে জেনে রেখো যে, দুনিয়া ও আখিরাতে তোমাদের শাস্তি দ্বিগুণ হবে। কেননা, মর্যাদার দিক দিয়ে তোমরা সাধারণ নারীদের হতে বহু উর্ধে। সুতরাং পাপকার্য হতে তোমাদের সম্পূর্ণরূপে দূরে থাকা উচিত। অন্যথায় মর্যাদা অনুপাতে তোমাদের শাস্তিও বহুগুণে বেশী হবে। আল্লাহ তা'আলার কাছে সবকিছুই সহজ।এটা স্মরণ রাখা উচিত যে, এ কথাগুলো শর্তের উপর বলা হয়েছে এবং শর্ত হয়ে যাওয়া জরুরী নয়। যেমন মহামহিমান্বিত আল্লাহ বলেনঃ ( আরবি )অর্থাৎ “ হে নবী ( সঃ )! যদি তুমি শিরক কর তবে অবশ্যই তোমার আমল বিনষ্ট হয়ে যাবে ।” ( ৩১:৬৫ ) অন্য এক জায়গায় নবীদের কথা উল্লেখ করে আল্লাহ তা'আলা বলেছেনঃ ( আরবি ) অর্থাৎ “ যদি তারা শিরক করে তবে তাদের আমলগুলো অবশ্যই বিনষ্ট হয়ে যাবে ।” ( ৬:৮৯ ) অন্য আয়াতে রয়েছেঃ ( আরবি )অর্থাৎ “ যদি রহমানের ( আল্লাহর ) সন্তান হতো তবে আমিই হতাম সর্বপ্রথম ইবাদতকারী ।” ( ৩৯:৮১ ) আর একটি আয়াতে রয়েছেঃ ( আরবি )অর্থাৎ “ যদি আল্লাহ সন্তান গ্রহণের ইচ্ছা করতেন তবে তিনি স্বীয় সৃষ্টজীবের মধ্য হতে যাকে পছন্দ করতেন সন্তান বানিয়ে নিতেন । তিনি তো পবিত্র, একক, বিজয়ী এবং সবারই উপর পূর্ণ ক্ষমতাবান।” ( ৩৯:৮ ) সুতরাং এ পাঁচটি আয়াতে শর্তের সাথে বর্ণনা রয়েছে। কিন্তু এরূপ হয়নি। না নবীদের দ্বারা শিরকের কাজ হয়েছে, না নবীদের নেতা হযরত মুহাম্মাদ ( সঃ )-এর দ্বারা শিরকের কাজ সম্ভব, না আল্লাহ তা'আলার সন্তান গ্রহণ সম্ভব। অনুরূপভাবে নবী-সহধর্মিণী ও মুমিনদের মাতাদের সম্পর্কে যে বলা হয়েছেঃ যদি তোমাদের মধ্যে কেউ অশ্লীল কাজ করে বসে তবে তাকে দ্বিগুণ শাস্তি দেয়া হবে, এর দ্বারা এটা মনে করা যাবে না যে, তাঁদের মধ্যে কেউ কখনো এরূপ কোন বেহায়াপনা ও নির্লজ্জতাপূর্ণ কাজ করেছেন। নাঊযুবিল্লাহ!
সূরা আহ্যাব আয়াত 30 সূরা
English | Türkçe | Indonesia |
Русский | Français | فارسی |
تفسير | Urdu | اعراب |
বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত
- কিতাব অবতীর্ণ হয়েছে আল্লাহর পক্ষ থেকে, যিনি পরাক্রমশালী, সর্বজ্ঞ।
- অতএব তারা যেন এবাদত করে এই ঘরের পালনকর্তার
- এমনিভাবে আমি সৎকর্মীদেরকে প্রতিদান দিয়ে থাকি।
- তাঁর দৃষ্টিবিভ্রম হয় নি এবং সীমালংঘনও করেনি।
- আমি আপনার প্রতি যে কিতাব প্রত্যাদেশ করেছি, তা সত্য-পূর্ববর্তী কিতাবের সত্যায়ন কারী নিশ্চয় আল্লাহ তাঁর
- তাদের আনুগত্য ও মিষ্ট বাক্য জানা আছে। অতএব, জেহাদের সিন্ধান্ত হলে যদি তারা আল্লাহর প্রতি
- এবং সেখানে চন্দ্রকে রেখেছেন আলোরূপে এবং সূর্যকে রেখেছেন প্রদীপরূপে।
- অতঃপর ঈসা (আঃ) যখন বণী ইসরায়ীলের কুফরী সম্পর্কে উপলব্ধি করতে পারলেন, তখন বললেন, কারা আছে
- আমি জানি যে, তোমাদের মধ্যে কেউ কেউ মিথ্যারোপ করবে।
- এর গুচ্ছ শয়তানের মস্তকের মত।
বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :
সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা আহ্যাব ডাউনলোড করুন:
সূরা Ahzab mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Ahzab শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
আহমেদ আল-আজমি
ইব্রাহীম আল-আখদার
বান্দার বেলাইলা
খালিদ গালিলি
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
খলিফা আল টুনাইজি
সাদ আল-গামদি
সৌদ আল-শুরাইম
সালাহ বুখাতীর
আবদ এল বাসেট
আবদুল রশিদ সুফি
আব্দুল্লাহ্ বাস্ফার
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
আলী আল-হুদায়েফি
আলী জাবের
ফারেস আব্বাদ
মাহের আলমাইকুলই
মোহাম্মদ আইয়ুব
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মাদ জিব্রীল
আল-মিনশাবি
আল হোসারি
মিশারী আল-আফসী
নাসের আল কাতামি
ইয়াসের আল-দোসারি
Please remember us in your sincere prayers