কোরান সূরা ইয়াসীন আয়াত 40 তাফসীর
﴿لَا الشَّمْسُ يَنبَغِي لَهَا أَن تُدْرِكَ الْقَمَرَ وَلَا اللَّيْلُ سَابِقُ النَّهَارِ ۚ وَكُلٌّ فِي فَلَكٍ يَسْبَحُونَ﴾
[ يس: 40]
সূর্য নাগাল পেতে পারে না চন্দ্রের এবং রাত্রি অগ্রে চলে না দিনের প্রত্যেকেই আপন আপন কক্ষপথে সন্তরণ করে। [সূরা ইয়াসীন: 40]
Surah Ya-Sin in Banglaজহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Yasin ayat 40
সূর্যের নিজের সাধ্য নেই চন্দ্রকে ধরার, আর রাতেরও নেই দিনকে অতিক্রম করার। আর সবক’টিই কক্ষপথে ভাসছে।
Tafsir Mokhtasar Bangla
৪০. আর চন্দ্র-সূর্য এবং দিবা-রজনীর নির্ঘন্টও আল্লাহর নিদর্শন। ফলে সেগুলো নির্ধারিত সীমা লঙ্ঘন করে না। তাই সূর্যের জন্য উচিত নয় যে, সে তার চলার পথ পাল্টিয়ে কিংবা তার জ্যোতি হারিয়ে চন্দ্রকে পেয়ে বসে। আর না রাতের জন্য সম্ভব যে, সে দিনকে ছাড়িয়ে যায় কিংবা তার সময় শেষ হওয়ার পূর্বেই তাতে প্রবেশ করে। বলতে কি আল্লাহর নির্ধারণ ও সংরক্ষণে এসব সঞ্চালিত এবং অন্যান্য গ্রহ-নক্ষত্ররাজি জাতীয় সৃষ্টিতে রয়েছে সুনির্ধারিত চলার পথ।
Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান
সূর্যের পক্ষে চন্দ্রের নাগাল পাওয়া সম্ভব নয়,[১] রজনীও দিবসকে অতিক্রম করতে পারে না[২] এবং প্রত্যেকে নিজ নিজ কক্ষপথে সন্তরণ করে। [৩] [১] অর্থাৎ, সূর্যের জন্য সম্ভব নয় যে, সে চাঁদের কাছাকাছি হবে এবং তার ফলে তার আলো শেষ হয়ে যাবে। বরং উভয়ের নিজ নিজ কক্ষপথ ও আলাদা আলাদা গন্ডিসীমা আছে। সূর্য দিনে ও চাঁদ রাতেই উদিত হয়, কখনও এর ব্যতিক্রম না ঘটা এ কথারই প্রমাণ যে, এ সবের নিয়ন্তা ও পরিচালক একজন আছেন। [২] বরং এরাও এক নিয়ম-সূত্রে আবদ্ধ হয়ে আছে এবং এক অপরের পরে আসতে থাকে। [৩] كُلٌّ বলতে সূর্য, চন্দ্র, অথবা তার সাথে অন্য নক্ষত্রকেও বুঝানো হয়েছে। সব কিছু নিজ নিজ কক্ষপথে পরিক্রমণ করে, তাদের কারো একে অপরের সাথে সংঘর্ষ হয় না।
Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স
সূর্যের পক্ষে সম্ভব নয় চাঁদের নাগাল পাওয়া এবং রাতের পক্ষে সম্ভব নয় দিনকে অতিক্রমকারী হওয়া। আর প্রত্যেকে নিজ নিজ কক্ষপথে সাঁতার কাটে।
Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর
৩৭-৪০ নং আয়াতের তাফসীর:
আল্লাহ তাআলা স্বীয় পূর্ণ ক্ষমতার একটি নিদর্শনের বর্ণনা দিচ্ছেন এবং তা হলো দিবস ও রজনী। একটি আলোকময়, অপরটি অন্ধকারাচ্ছন্ন। বরাবরই একটি অপরটির পিছনে আসতে রয়েছে। যেমন তিনি অন্য জায়গায় বলেনঃ ( আরবী ) অর্থাৎ “ রাত্রি দিবসকে আচ্ছন্ন করছে এবং রাত্রি দিবসকে তাড়াতাড়ি অনুসন্ধান করছে ।”( ৭:৫৪ ) এখানেও মহান আল্লাহ বলেনঃ আমি রাত্রি হতে দিবালোক অপসারিত করি, তখন সকলেই অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। যেমন হাদীসে এসেছেঃ “ যখন এখান হতে রাত্রি এসে পড়ে এবং ওখান হতে দিন চলে যায়, আর সর্য অস্তমিত হয়ে যায় তখন রোযাদার ব্যক্তি ইফতার করবে ।” বাহ্যিক আয়াত তো এটাই। কিন্তু হযরত কাতাদা ( রঃ ) বলেন যে, এর ভাবার্থ নিম্নের এ আয়াতের মতইঃ ( আরবী ) অর্থাৎ “ তিনি রাত্রিকে দিবসে পরিণত করেন এবং দিবসকে রাত্রিতে পরিণত করেন ।”( ৩৫:১৩ ) ইমাম ইবনে জারীর ( রঃ ) এই উক্তিটিকে দুর্বল বলেছেন। তিনি বলেন যে, এই আয়াতে যে ( আরবী ) শব্দটি রয়েছে এর অর্থ হচ্ছে একটিকে হ্রাস করে অপরটিকে বৃদ্ধি করা। আর এ আয়াতে এটা উদ্দেশ্য নয়। ইমাম সাহেবের এ উক্তিটি সত্য।( আরবী ) দ্বারা ( আরবী ) বা গন্তব্যের স্থান উদ্দেশ্য। আর ওটা আরশের নীচের ঐ দিকটাই। সুতরাং শুধু এক সূর্যই নয়, বরং সমস্ত মাখলুক আরশের নীচেই রয়েছে। কেননা, আরশ সমস্ত মাখলুকের উপরে রয়েছে এবং সবকেই পরিবেষ্টন করে আছে এবং ওটা মন্ডল বা চক্র নয় যেমন জ্যোতির্বিদগণ বলে থাকেন। বরং ওটা গম্বুজের মত, যার পায়া রয়েছে, যা ফেরেশতারা বহন করে আছেন। ওটা মানুষের মাথার উপর উর্ধ জগতে রয়েছে। সুতরাং সূর্য যখন ওর কক্ষপথে ঠিক যুহরের সময় থাকে তখন ওটা আরশের খুবই নিকটে থাকে। অতঃপর যখন ওটা ঘুরতে ঘুরতে চতুর্থ আকাশে ঐ স্থানেরই বিপরীত দিকে আসে, ওটা তখন অর্ধেক রাত্রের সময় হয়, তখন ওটা আরশ হতে বহু দূরে হয়ে যায়। সুতরাং ওটা সিজদায় পড়ে যায় এবং উদয়ের অনুমতি প্রার্থনা করে, যেমন হাদীসসমূহে রয়েছে।হযরত আবু যার ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, তিনি একদা মসজিদে নবী ( সঃ )-এর সাথে ছিলেন। ঐ সময় সূর্য অস্তমিত হচ্ছিল। রাসূলুল্লাহ্ ( সঃ ) তাঁকে বললেনঃ “ হে আবু যার ( রাঃ )! সূর্য কোথায় অস্তমিত হয় তা তুমি জান কি?” তিনি উত্তরে বললেনঃ “আল্লাহ ও তাঁর রাসূলই ( সঃ ) খুব ভাল জানেন ।” তখন তিনি বললেনঃ “ সূর্য আরশের নীচে গিয়ে আল্লাহ্ তা'আলাকে সিজদা করে ।" অতঃপর তিনি ...
( আরবী )-এ আয়াতটি তিলাওয়াত করেন।” ( এ হাদীসটি ইমাম বুখারী (রঃ ) বর্ণনা করেন)অন্য হাদীসে আছে যে, হযরত আবু যার ( রাঃ ) রাসূলুল্লাহ( সঃ )-কে এ আয়াতের ভাবার্থ জিজ্ঞেস করলে তিনি উত্তরে বলেনঃ “ ওর গন্তব্যস্থল আশের নীচে রয়েছে ।”মুসনাদে আহমাদে এর পূর্ববর্তী হাদীসে এও রয়েছে যে, সে আল্লাহ তা'আলার কাছে ফিরে আসার অনুমতি প্রার্থনা করে এবং তাকে অনুমতি দেয়া হয়। তাকে যেন বলা হয়ঃ “ তুমি যেখান হতে এসেছো সেখানেই ফিরে যাও । তখন সে তার উদয়ের স্থান হতে বের হয়। আর এটাই হলো তার গন্তব্যস্থান।” অতঃপর তিনি এ আয়াতটির প্রথম অংশটুকু পাঠ করেন।একটি রিওয়াইয়াতে এও রয়েছে, এটা খুব নিকটে যে, সে সিজদা করবে কিন্তু তা কবুল করা হবে না এবং অনুমতি চাইবে কিন্তু অনুমতি দেয়া হবে না। বরং বলা হবেঃ “ যেখান হতে এসেছো সেখানেই ফিরে যাও ।” তখন সে পশ্চিম দিক হতেই উদিত হবে। এটাই হচ্ছে এই আয়াতে কারীমার ভাবার্থ। হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, সূর্য উদিত হয় এবং এর দ্বারা মানুষের পাপরাশি মাফ করে দেয়া হয়। সে অস্তমিত হয়ে সিজদায় পড়ে যায় এবং অনুমতি প্রার্থনা করে। সে অনুমতি পেয়ে যায়। একদিন সে অস্তমিত হয়ে বিনয়ের সাথে সিজদা করবে এবং অনুমতি প্রার্থনা করবে, কিন্তু তাকে অনুমতি দেয়া হবে না। সে বলবেঃ “ পথ দূরের, আর অনুমিত পাওয়া গেল না! এজন্যে পৌঁছতে পারবো না । কিছুক্ষণ থামিয়ে রাখার পর তাকে বলা হবেঃ “ যেখান হতে অস্তমিত হয়েছিলে সেখান হতেই উদিত হও ।” এটা হবে কিয়ামতের দিন। যেই দিন ঈমান আনয়নে কোন লাভ হবে না। যারা ইতিপূর্বে মুমিন ছিল না সেই দিন তাদের সৎ কাজও বৃথা হবে।এটাও বলা হয়েছে যে, ( আরবী ) দ্বারা ওর চলার শেষ সীমাকে বুঝানো হয়েছে, যা হলো পর্ণ উচ্চতা, যা গ্রীষ্মকালে হয়ে থাকে এবং পূর্ণ নীচতা যা শীতকালে হয়ে থাকে। সুতরাং এটা একটা উক্তি হলো। দ্বিতীয় উক্তি এই যে, এই আয়াতের ( আরবী ) শব্দের দ্বারা ওর চলার সমাপ্তিকে বুঝানো হয়েছে। কিয়ামতের দিন ওর হরকত বন্ধ হয়ে যাবে। ওটা জ্যোতিহীন হয়ে পড়বে এবং এই সারা জগতটাই শেষ হয়ে যাবে। এটা হলো ( আরবী ) বা সময়ের গন্তব্য। কাতাদা ( রঃ ) বলেন যে, সূর্য স্বীয় গন্তব্যের উপর চলে অর্থাৎ নির্দিষ্ট সময়ের উপর, যা সে অতিক্রম করতে পারে না। গ্রীষ্মকালে তার যে চলার পথ রয়েছে। এবং শীতকালে যে চলার পথ রয়েছে, ঐ পথগুলোর উপর দিয়েই সে যাতায়াত করে থাকে। হযরত ইবনে মাসউদ ( রাঃ ) ও হযরত ইবনে আব্বাস ( রাঃ )-এর কিরআতে ( আরবী ) রয়েছে। অর্থাৎ সূর্যের চলার বিরাম নেই। বরং আল্লাহ তাআলার নির্দেশে দিন রাত অবিরাম গতিতে আবর্তন করতে রয়েছে। সে থামেও না এবং ক্লান্তও হয় না। যেমন মহান আল্লাহ বলেনঃ ( আরবী ) অর্থাৎ “ তিনি সূর্য ও চন্দ্রকে তোমাদের সেবায় নিয়োজিত রেখেছেন যেগুলো ক্লান্ত হয় না এবং থেমেও যায় না ।”( ১৪:৩৩ ) কিয়ামত পর্যন্ত এগুলো এভাবে চলতেই থাকবে। এটা হলো ঐ আল্লাহর নিয়ন্ত্রণ যিনি প্রবল পরাক্রান্ত, যার কেউ বিরুদ্ধাচরণ করতে পারে না এবং যার হুকুম কেউ টলাতে পারে না। তিনি সর্বজ্ঞ। তিনি প্রত্যেক গতি ও গতিহীনতা সম্পর্কে পূর্ণ ওয়াকিফহাল। তিনি স্বীয় পূর্ণ জ্ঞান ও নিপুণতার মাধ্যমে ওর গতি নির্ধারণ করেছেন, যার মধ্যে কোন ব্যতিক্রম হতে পারে না। যেমন মহামহিমান্বিত আল্লাহ বলেনঃ ( আরবী ) অর্থাৎ “ তিনি সকাল আনয়নকারী, যিনি রাত্রিকে শান্তি ও আরামের সময় বানিয়েছেন এবং সূর্য ও চন্দ্রকে হিসাব দ্বারা নির্ধারণ করেছেন, এটা হলো মহাপরাক্রমশালী, সর্বজ্ঞের নিয়ন্ত্রণ ।”( ৬:৯৭ ) এভাবেই মহান আল্লাহ সরায়ে হা-মীম সাজদাহর আয়াতকেও সমাপ্ত করেছেন। এরপর মহান আল্লাহ্ বলেনঃ চন্দ্রের জন্যে আমি নির্দিষ্ট করেছি বিভিন্ন মনযিল। ওটা এক পৃথক চালে চলে থাকে, যার দ্বারা মাসসময় জানা যায়, যেমন সূর্যের চলন দ্বারা দিন রাত জানা যায়। যেমন আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ ( আরবী ) অর্থাৎ “ লোকে তোমাকে নতুন চাঁদ সম্বন্ধে জিজ্ঞেস করে । তুমি বলে দাওঃ ওটা মানুষ এবং হজ্বের জন্যে সময় নির্দেশক।”( ২:১৮৯ ) আর এক জায়গায় আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ ( আরবী ) অর্থাৎ তিনি সূর্যকে জ্যোতির্ময় ও চন্দ্রকে আলোকময় করেছেন এবং ওগুলোর মনযিল নির্দিষ্ট করেছেন, যাতে তোমরা বছর ও হিসাব জানতে পার।”( ১০:৫ ) আল্লাহ তাবারাকা ওয়া তা'আলা আরো বলেনঃ ( আরবী ) অর্থাৎ “ আমি রাত্রি ও দিবসকে করেছি দু’টি নিদর্শন; রাত্রির নিদর্শনকে অপসারিত করেছি এবং দিবসের নিদর্শনকে আলোকপ্রদ করেছি যাতে তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের অনুগ্রহ সন্ধান করতে পার এবং যাতে তোমরা বর্ষ সংখ্যা স্থির করতে পার এবং আমি সব কিছু বিশদভাবে বর্ণনা করেছি ।”( ১৭:১২ ) সুতরাং সূর্যের ঔজ্জ্বল্য ও চাকচিক্য ওর সাথেই বিশিষ্ট এবং চন্দ্রের আলোক ওর মধ্যেই রয়েছে। ওর চলন গতিও পৃথক। সূর্য প্রতিদিন উদিত ও অস্তমিত হচ্ছে এবং ঐ জ্যোতির সাথেই হচ্ছে। হ্যা তবে ওর উদয় ও অস্তের স্থান শীতকালে ও গ্রীষ্মকালে পৃথক হয়ে থাকে। এ কারণেই দিন-রাত্রির দীর্ঘতা কম বেশী হতে থাকে। সূর্য দিবসের নক্ষত্র এবং চন্দ্র রাত্রির নক্ষত্র। চন্দ্রের মনযিলগুলো বিভিন্ন। মাসের প্রথম রাত্রে খুবই ক্ষুদ্র আকারে উদিত হয় এবং আলো খুবই কম হয়। দ্বিতীয় রাত্রে আলো কিছু বৃদ্ধি পায় এবং মনযিলও উন্নত হতে থাকে। তারপর যেমন যেমন উঁচু হয় তেমন তেমন আলো বাড়তেই থাকে। যদিও ওটা সূর্য হতেই আলো নিয়ে থাকে। অবশেষে চৌদ্দ তারিখের রাত্রে চন্দ্র পূর্ণতা প্রাপ্ত হয় এবং ওর আলোকও পূর্ণ হয়ে যায়। এরপর কমতেও শুরু করে। এভাবে ক্রমে ক্রমে কমতে কমতে ওটা শুষ্ক বক্র পুরাতন খর্জুর শাখার আকার ধারণ করে। তারপর আল্লাহ্ তা'আলা দ্বিতীয় মাসের শুরুতে পুনরায় চন্দ্রকে প্রকাশিত করেন। আরবরা চন্দ্রের কিরণ হিসেবে মাসের রাত্রিগুলোর নাম রেখে দিয়েছে। যেমন প্রথম তিন রাত্রির নাম ‘গারার। এর পরবর্তী তিন রাত্রির নাম ‘নাকাল'। এর পরবর্তী তিন রাত্রির নাম ‘তিসআ’। কেননা, এগুলোর শেষ রাত্রিটি নবম হয়ে থাকে। এর পরবর্তী তিন রাত্রির নাম ‘আশর'। কেননা এগুলোর প্রথম রাত্রিটা দশম হয়। এর পরবর্তী তিন রাত্রির নাম বীয'। কেননা, এই রাত্রিগুলোতে চন্দ্রের আলো শেষ পর্যন্ত থাকে। এর পরবর্তী তিন রাত্রির নাম তারা দারউন’ রেখেছে। এই ( আরবী ) শব্দটি ( আরবী ) শব্দের বহুবচন। এ রাত্রিগুলোর এই নামকরণের কারণ এই যে, ষোল তারিখের রাত্রে চন্দ্র কিছু বিলম্বে উদিত হয়ে থাকে। তাই কিছুক্ষণ পর্যন্ত অন্ধকার হয় অর্থাৎ কালো হয়। আর আরবে যে বকরীর মাথা কালো হয় তাকে বলা হয়। এরপর পরবর্তী তিনটি রাত্রিকে ‘যুলম' বলে। এর পরবর্তী তিনটি রাত্রিকে বলা হয় হানাদিস'। এর পরবর্তী তিনটি রাত্রিকে ‘দাদী' বলা হয়। এর পরবর্তী তিনটি রাত্রিকে বলা হয়। ‘মাহাক’, কেননা, এতে চন্দ্র শেষ হয়ে যায় এবং মাসও শেষ হয়। হযরত আবু উবাইদা ( রাঃ ) ‘তিসআ’ ও ‘আহ্বাকে গ্রহণ করেননি। যেমন ( আরবী ) নামক কিতাবে রয়েছে। মহান আল্লাহ বলে র পক্ষে সম্ভব নয় চন্দ্রের নাগাল পাওয়া।' এ। সম্পর্কে হযরত মুজাহিদ ( রঃ ) বলেন যে, আল্লাহ তাআলা সূর্য ও চন্দ্রের সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছেন। সুতরাং কেউ আপন সীমা ছাড়িয়ে এদিক ওদিক যাবে এটা মোটেই সম্ভব নয়। একটির পালার সময় অপরটি হারিয়ে থাকবে। হযরত হাসান ( রঃ ) বলেন যে, ওটা হলো নতুন চাঁদের রাত্রি। ইবনে মুবারক ( রঃ ) বলেন যে, বাতাসের পর বা ডানা রয়েছে এবং চন্দ্র পানির গিলাফের নীচে স্থান করে নেয়। আবু সালিহ্ ( রঃ ) বলেন যে, এর আলো ওর আলোকে ধরতে পারে না। ইকরামা ( রঃ ) বলেন যে, রাত্রে সূর্য উদিত হতে পারে না। আর রজনীর পক্ষে সম্ভব নয় দিবসকে অতিক্রম করা। অর্থাৎ রাত্রির পরে রাত্রি আসতে পারে না, বরং মধ্যভাগে দিন এসে যাবে। সুতরাং সূর্যের রাজত্ব দিনে এবং চন্দ্রের রাজতু রাত্রে। রাত্রি এদিক দিয়ে চলে যায় এবং দিবস ওদিক দিয়ে এসে পড়ে। একটি অপরটির পিছনে রয়েছে। কিন্তু না ধাক্কা লাগার ভয় আছে, না বিশৃংখলার আশংকা আছে। এমন হতে পারে না যে, দিনই থেকে যাবে, রাত্রি আসবে না এবং রাত্রি থেকে যাবে, দিন আসবে না। একটি যাচ্ছে অপরটি আসছে। প্রত্যেকেই নিজ নিজ সময়ে উপস্থিত অথবা অনুপস্থিত থাকছে। প্রত্যেকেই অর্থাৎ সূর্য ও চন্দ্র এবং দিবস ও রজনী নিজ নিজ কক্ষপথে সন্তরণ করছে। হযরত যায়েদ ইবনে আসেম ( রঃ )-এর উক্তি এই যে, আসমান ও যমীনের মধ্যবর্তী ফালাকে এগুলো যাওয়া আসা করছে। কিন্তু এটা বড়ই গারীব। এমনকি মুনকার বা অস্বীকৃত উক্তি। হযরত ইবনে আব্বাস ( রাঃ ) প্রমুখ পূর্বযুগীয় গুরুজন বলেন যে, এ ফালাকটি হচ্ছে চরখার ফালাকের মত। মুজাহিদ ( রঃ ) বলেন যে, এটা যাতার পাটের লোহার মত।
সূরা ইয়াসীন আয়াত 40 সূরা
English | Türkçe | Indonesia |
Русский | Français | فارسی |
تفسير | Urdu | اعراب |
বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত
- যারা মিথ্যা অপবাদ রটনা করেছে, তারা তোমাদেরই একটি দল। তোমরা একে নিজেদের জন্যে খারাপ মনে
- এটাই জাহান্নাম, যাকে অপরাধীরা মিথ্যা বলত।
- তোমরা তা মেঘ থেকে নামিয়ে আন, না আমি বর্ষন করি?
- এবং ভুমি থেকে প্রবাহিত করলাম প্রস্রবণ। অতঃপর সব পানি মিলিত হল এক পরিকম্পিত কাজে।
- কিন্তু আমি অনেক সম্প্রদায় সৃষ্টি করেছিলাম, অতঃপর তাদের অনেক যুগ অতিবাহিত হয়েছে। আর আপনি মাদইয়ানবাসীদের
- প্রত্যেক সম্প্রদায়ের একটি মেয়াদ রয়েছে। যখন তাদের মেয়াদ এসে যাবে, তখন তারা না এক মুহুর্ত
- যাদের দৈহিক গঠন স্তম্ভ ও খুঁটির ন্যায় দীর্ঘ ছিল এবং
- এবং যা তোমরা দেখ না, তার-
- সে আল্লাহর পরিবর্তে এমন কিছুকে ডাকে, যে তার অপকার করতে পারে না এবং উপকারও করতে
- আমাদেরকে সরল পথ দেখাও,
বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :
সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা ইয়াসীন ডাউনলোড করুন:
সূরা Yasin mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Yasin শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
আহমেদ আল-আজমি
ইব্রাহীম আল-আখদার
বান্দার বেলাইলা
খালিদ গালিলি
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
খলিফা আল টুনাইজি
সাদ আল-গামদি
সৌদ আল-শুরাইম
সালাহ বুখাতীর
আবদ এল বাসেট
আবদুল রশিদ সুফি
আব্দুল্লাহ্ বাস্ফার
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
আলী আল-হুদায়েফি
আলী জাবের
ফারেস আব্বাদ
মাহের আলমাইকুলই
মোহাম্মদ আইয়ুব
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মাদ জিব্রীল
আল-মিনশাবি
আল হোসারি
মিশারী আল-আফসী
নাসের আল কাতামি
ইয়াসের আল-দোসারি
Please remember us in your sincere prayers