সূরা ইয়াসীন আয়াত 32 | Surah Yasin ayat 32

﴿وَإِن كُلٌّ لَّمَّا جَمِيعٌ لَّدَيْنَا مُحْضَرُونَ﴾
[ يس: 32]

ওদের সবাইকে সমবেত অবস্থায় আমার দরবারে উপস্থিত হতেই হবে। [সূরা ইয়াসীন: 32]

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Yasin ayat 32

আর নিশ্চয়ই সবাইকে, -- আলবৎ সব ক’জনকে, আমাদের সামনে হাজির করা হবে।

৩২. জাতি নির্বিশেষে প্রত্যেককেই আমার নিকট কিয়ামত দিবসে পুনরুত্থানের পর হাজির করা হবে। যাতে করে আমি তাদেরকে তাদের প্রতিদান দিতে পারি।

এবং অবশ্যই ওদের সকলকে একত্রে আমার নিকট উপস্থিত করা হবে। [১] [১] এখানে إن হল নাফিয়াহ ( নেতিবাচক ) এবং لَمَّا শব্দটি إِلاَّ এর অর্থে ব্যবহার হয়েছে। আসল অনুবাদ হবেঃ এমন কেউ নেই, যে আমার নিকট উপস্থিত হবে না। উদ্দেশ্য হল যে, অতীতে যারা অতিবাহিত হয়ে গেছে ও ভবিষ্যতে যারা আসবে সকল মানুষ আল্লাহর দরবারে উপস্থিত হবে। যেখানে তাদের হিসাব নিকাশ হবে।

আর নিশ্চয় তাদের সবাইকে একত্রে আমাদের কাছে উপস্থিত করা হবে [ ১ ]। [ ১ ] অর্থাৎ কিয়ামতের দিন। [ তাবারী ]

৩০-৩২ নং আয়াতের তাফসীর: আল্লাহ তা'আলা স্বীয় বান্দাদের উপর দুঃখ ও আফসোস করছেন যে, কাল। কিয়ামতের দিন তারা কতই না লজ্জিত হবে! তারা সেদিন বারবার বলবেঃ “ হায়! আমরা নিজেরাই তো নিজেদের অমঙ্গল ডেকে এনেছি ।” কোন কোন কিরআতে ( আরবী ) রয়েছে। ভাবার্থ এই যে, কিয়ামতের দিন। আযাব দেখে তারা হাত মলবে যে, কেন তারা রসূলদেরকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করেছিল এবং কেন আল্লাহর অবাধ্য হয়েছিল? দুনিয়ায় তাদের অবস্থা তো এই ছিল যে, যখনই তাদের কাছে কোন রাসূল এসেছেন তখনই তারা কোন চিন্তা-ভাবনা না করেই তাদেরকে মিথ্যাবাদী বলেছে এবং মন খুলে তাঁদের সাথে বেআদবী করেছে ও তাদেরকে অবজ্ঞা করেছে।যদি তারা একটু চিন্তা করতো তবে বুঝতে পারতো যে, তাদের পূর্বে বহু মানব গোষ্ঠীকে আল্লাহ্ ধ্বংস করে দিয়েছেন। তাদের কেউই রক্ষা পায়নি এবং কেউই তাদের কাছে ফিরে আসেনি। এর দ্বারা দারিয়া সম্প্রদায়ের দাবীকে খণ্ডন করা হয়েছে। তারা বলে যে, মানুষ এই দুনিয়া হতে চলে যাবে এবং পরে আবার এই দুনিয়াতেই ফিরে আসবে।মহামহিমান্বিত আল্লাহ বলেনঃ অবশ্যই তাদের সকলকে একত্রে আমার নিকট উপস্থিত করা হবে। অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতের সমস্ত মানুষকে কিয়ামতের দিন হিসাব নিকাশের জন্যে হাযির করা হবে এবং সেখানে প্রত্যেক ভাল মন্দের প্রতিদান দেয়া হবে। যেমন মহামহিমান্বিত আল্লাহ অন্য আয়াতে বলেনঃ ( আরবী ) অর্থাৎ তাদের প্রত্যেককেই তোমার প্রতিপালক তাদের আমলের পূর্ণ প্রতিদান প্রদান করবেন।”( ১১:১১১ ) এক কিরআতে ( আরবী ) রয়েছে। এ সময় ( আরবী ) শব্দটি ( আরবী ) বা হ্যা বাচক হবে। আর ( আরবী ) পড়ার সময় ( আরবী ) শব্দটি ( আরবী ) বা না বাচক হবে এবং ( আরবী ) শব্দটি ( আরবী )-এর অর্থ দেবে। তখন অর্থ হবেঃ কেউ নয় কিন্তু সবাই আমার নিকট হাযিরকত হবে। দ্বিতীয় কিরআতের ভাবার্থ এটাই হবে। এসব। ব্যাপারে মহান আল্লাহই সবচেয়ে ভাল জানেন।