কোরান সূরা হা-মীম আস-সাজদা আয়াত 36 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Fussilat ayat 36 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা হা-মীম আস-সাজদা আয়াত 36 আরবি পাঠে(Fussilat).
  
   

﴿وَإِمَّا يَنزَغَنَّكَ مِنَ الشَّيْطَانِ نَزْغٌ فَاسْتَعِذْ بِاللَّهِ ۖ إِنَّهُ هُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ﴾
[ فصلت: 36]

যদি শয়তানের পক্ষ থেকে আপনি কিছু কুমন্ত্রণা অনুভব করেন, তবে আল্লাহর শরণাপন্ন হোন। নিশ্চয় তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ। [সূরা হা-মীম আস-সাজদা: 36]

Surah Fussilat in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Fussilat ayat 36


আর শয়তান থেকে কোনো খোঁচা যদি তোমাকে খোঁচা দেয় তাহলে তুমি আল্লাহ্‌র কাছে আশ্রয় চাও। নিঃসন্দেহ তিনি স্বয়ং সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞাতা।


Tafsir Mokhtasar Bangla


৩৬. যদি কখনো শয়তান তোমাকে কুকর্মের প্ররোচনা দেয় তবে তুমি আল্লাহর সাহায্য আঁকড়ে ধরো ও তাঁর নিকট আশ্রয় কামনা করো। অবশ্যই তিনি তোমার কথা শ্রবণকারী, তোমার অবস্থা সম্পর্কে পরিজ্ঞাত।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


যদি শয়তানের কুমন্ত্রণা তোমাকে প্ররোচিত করে, তবে আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা কর।[১] নিশ্চয় তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ। [২] [১] অর্থাৎ, শয়তান যদি শরীয়তের কার্যকলাপ থেকে তোমাকে ফিরিয়ে দিতে চায় অথবা উত্তম পন্থায় অন্যায়ের প্রতিকার করার ব্যাপারে সে বাধা সৃষ্টি করে, তবে তার অনিষ্ট থেকে বাঁচার জন্য আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা কর। [২] আর যে সত্তা এ রকম যে, তিনি সকলের কথা শোনেন এবং প্রত্যেক কথা জানেন, তিনিই আশ্রয়প্রার্থীদের আশ্রয় দিতে পারেন। এটা হল পূর্বোক্ত বিষয়ের কারণ স্বরূপ। এরপর পুনরায় কিছু এমন নিদর্শন উল্লেখ করা হচ্ছে, যা আল্লাহর একত্ব, তাঁর অসীম ক্ষমতা এবং তাঁর সুনিপুণ নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা শক্তির কথা প্রমাণ করে।

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


আর যদি শয়তানের পক্ষ থেকে কোন কুমন্ত্রণা আপনাকে প্ররোচিত কর তবে আপনি আল্লাহর আশ্রয় চাইবেন, নিশ্চয় তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ []। [] বলা হয়েছে, শয়তানের প্রতারণার ব্যাপারে সাবধান থাকো। সে অত্যন্ত দরদী ও মঙ্গলকামী সেজে এই বলে তোমাদেরকে উত্তেজিত করবে যে, অমুক অত্যাচার কখনো বরদাশত করা উচিত নয়, অমুকের কাজের দাঁতভাঙ্গা জবাব দেয়া উচিত এবং এই আক্রমণের জবাবে লড়াই করা উচিত। তা না হলে তোমাদেরকে কাপুরুষ মনে করা হবে, এবং তোমাদের আদৌ কোন প্রভাব থাকবে না। এ ধরনের প্রতিটি ক্ষেত্রে তোমরা যখন নিজেদের মধ্যে কোন অযথা উত্তেজনা অনুভব করবে তখন সাবধান হয়ে যাও। কারণ, তা শয়তানের প্ররোচনা। সে তোমাদের উত্তেজিত করে কোন ভুল সংঘটিত করাতে চায়। সাবধান হয়ে যাওয়ার পর মনে করো না, আমি আমার মেজাজকে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে রাখছি, শয়তান আমাকে দিয়ে কোন ত্রুটি করাতে পারবে না। নিজের ইচ্ছা শক্তির বিভ্রম হবে শয়তানের আরেকটি বেশী ভয়ংকর হাতিয়ার। এর চেয়ে বরং আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করা উচিত। কারণ তিনি যদি তাওফীক দান করেন ও রক্ষা করেন তবেই মানুষ ভুল-ত্রুটি থেকে রক্ষা পেতে পারে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সামনে একবার এক ব্যক্তি হযরত আবু বকর সিদ্দিক রাদিয়াল্লাহু আনহুকে অকথ্য গালিগালাজ করতে থাকলো। আবু বকর চুপচাপ তার গালি শুনতে থাকলেন আর তার দিকে চেয়ে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মুচকি হাসতে থাকলেন। অবশেষে আবু বকর সিদ্দীক জবাবে তাকে একটি কঠোর কথা বলে ফেললেন। তার মুখ থেকে সে কথাটি বের হওয়া মাত্র নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ওপর চরম বিরক্তি ভাব ছেয়ে গেল এবং ক্রমে তা তার পবিত্র চেহারায় ফুটে উঠতে থাকলো। তিনি তখনই উঠে চলে গেলেন। আবু বকরও উঠে তাকে অনুসরণ করলেন এবং পথিমধ্যেই জিজ্ঞেস করলেন, ব্যাপার কি? সে যখন আমাকে গালি দিচ্ছিলো তখন আপনি চুপচাপ মুচকি হাসছিলেন। কিন্তু যখনই আমি তাকে জবাব দিলাম তখনই আপনি অসন্তুষ্ট হলেন? নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেনঃ তুমি যতক্ষণ চুপচাপ ছিলে ততক্ষণ একজন ফেরেশতা তোমার সাথে ছিল এবং তোমার পক্ষ থেকে জবাব দিচ্ছিলো। কিন্তু যখন তুমি নিজেই জবাব দিলে তখন ফেরেশতার স্থানটি শয়তান দখল করে নিল। আমি তো শয়তানের সাথে বসতে পারি না। [ মুসনাদে আহমাদ: ২/৪৩৬ ]

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


৩৩-৩৬ নং আয়াতের তাফসীর: আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ যারা আল্লাহর বান্দাদেরকে তাঁর পথে আহ্বান করে। এবং নিজেও সকর্মশীল হয় ও ইসলাম গ্রহণ করে, তার চেয়ে উত্তম কথা আর কার হতে পারে? এ হলো সেই ব্যক্তি যে নিজেরও উপকার সাধন করেছে এবং আল্লাহর সৃষ্টজীবেরও উপকার করেছে। ঐ ব্যক্তি এর মত নয় যে মুখে বড় বড় কথা বলে, কিন্তু নিজেই তা পালন করে না। পক্ষান্তরে, এ লোকটি তো নিজেও ভাল কাজ করে এবং অন্যদেরকেও ভাল কাজ করতে বলে।এ আয়াতটি আম বা সাধারণ। রাসূলুল্লাহ( সঃ )-ই সর্বোত্তমরূপে এর আওতায় পড়েন। কেউ কেউ বলেন যে, এর দ্বারা মুআযযিনকে বুঝানো হয়েছে যিনি সকর্মশীলও বটে। যেমন সহীহ মুসলিমে রয়েছেঃ “ কিয়ামতের দিন মুআযযিনগণ সমস্ত লোকের মধ্যে সর্বাপেক্ষা উচ্চ গ্রীবা বিশিষ্ট হবে ।” সুনানে মারফু’রূপে বর্ণিত আছেঃ “ ইমাম যামিন এবং মুআযিন আমানতদার । আল্লাহ ইমামদেরকে সুপথ প্রদর্শন করুন এবং মুআযযিনদেরকে ক্ষমা করে দিন!” হযরত সা’দ ইবনে আবি অক্কাস ( রাঃ ) বলেনঃ “ কিয়ামতের দিন আল্লাহ তা'আলার নিকট মুআযিনদের অংশ তাঁর পথে জিহাদকারীদের অংশের মত হবে । আযান ও ইকামতের মধ্যভাগে মুআযযিনদের অবস্থা ঐরূপ, যেমন কোন মুজাহিদ আল্লাহর পথে যুদ্ধ করে রক্তে রঞ্জিত হয়।” ( এটা ইমাম ইবনে আবি হাতিম (রঃ ) বর্ণনা করেছেন)হযরত ইবনে মাসউদ ( রাঃ ) বলেনঃ “ আমি যদি মুআযযিন হতাম তবে আমি হজ্ব, উমরা ও জিহাদকে এতো বেশী পরোয়া করতাম না ।”হযরত উমার ইবনে খাত্তাব ( রাঃ ) বলেনঃ “ আমি যদি মুআখ্যাযিন হতাম তবে আমার আশা-আকাঙ্ক্ষা পূর্ণ হতো এবং আমি রাত্রে দাঁড়িয়ে নফল ইবাদত এবং দিবসের নফল রোযার প্রতি এতো বেশী গুরুত্ব দিতাম না । আমি রাসূলুল্লাহ( সঃ )-কে বলতে শুনেছিঃ “ হে আল্লাহ্! আপনি মুআযযিনদেরকে ক্ষমা করুন!” এটা তিনবার বলেন । আমি তখন বললামঃ হে আল্লাহর রাসূল ( সঃ )! আপনি দু'আতে আমাদের কথা উল্লেখ করলেন না? অথচ আমরা আপনার হুকুম পাওয়া মাত্র তরবারী টেনে নেই ( অর্থাৎ আল্লাহর পথে জিহাদের জন্যে প্রস্তুত হয়ে যাই )!” উত্তরে রাসূলুল্লাহ( সঃ ) বললেনঃ “ হ্যা, তা ঠিকই বটে । কিন্তু হে উমার ( রাঃ )! এমন এক যুগ আসবে যখন আযান দেয়ার কাজটি শুধুমাত্র গরীব-মিসকীনদের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে। হে উমার ( রাঃ )! জেনে রেখো যে, যেসব লোকের দেহের গোশত জাহান্নামের উপর হারাম, মুআযিনরাও তাদের অন্তর্ভুক্ত।” হযরত আয়েশা ( রাঃ ) বলেন যে, ...
( আরবী )-এ আয়াতে মুআযিনেরই প্রশংসা করা হয়েছে। তার ( আরবী ) বলাটাই আল্লাহর পথে আহ্বান করা বুঝায়। হযরত ইবনে উমার ( রাঃ ) হযরত ইকরামা ( রাঃ ) বলেন যে, এ আয়াতটি মুআযযিনদের ব্যাপারে অবতীর্ণ হয়। আর এখানে যে বলা হয়েছে এবং সে ভাল কাজ করে। এর দ্বারা আযান ও ইকামতের মাঝে দুই রাকআত নামায পড়াকে বুঝানো হয়েছে। যেমন রাসূলুল্লাহ( সঃ ) বলেছেনঃ “ প্রত্যেক দুই আযানের ( আযান ও ইকামতের ) মাঝে নামায রয়েছে ।” তৃতীয়বারে তিনি বলেনঃ “ যে ব্যক্তি ( দুই রাকআত নামায পড়ার ) ইচ্ছা করে ।” একটি হাদীসে আছে যে, আযান ও ইকামতের মধ্যভাগের দু'আ প্রত্যাখ্যাত হয় না।সঠিক কথা এটাই যে, আয়াতটি সাধারণ হওয়ার দিক দিয়ে মুআযযিন ও গায়ের মুআযিন সবকেই শামিল করে। যে কেউই আল্লাহর পথে ডাক দেয় সেই এর অন্তর্ভুক্ত।এটা স্মরণ রাখার বিষয় যে, এ আয়াতটি অবতীর্ণ হওয়ার সময় আযান দেয়ার প্রচলনই হয়নি। কেননা, এ আয়াত অবতীর্ণ হয় মক্কায়। আর আযান দেয়ার পদ্ধতি শুরু হয় মদীনায় হিজরতের পর, যখন আবদুল্লাহ্ ইবনে যায়েদ আবদি রাব্বিহ্ ( রাঃ ) স্বপ্নে আযান দিতে দেখেন ও শুনেন এবং তা রাসূলুল্লাহ( সঃ )-এর নিকট বর্ণনা করেন। তখন রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) তাঁকে বলেনঃ “ আযানের শব্দগুলো হযরত বিলাল ( রাঃ )-কে শিখিয়ে দাও, কেননা তার কণ্ঠস্বর উচ্চ ।” অতএব, সঠিক কথা এই যে, আয়াতটি আম বা সাধারণ এবং মুআযযিনও এর অন্তর্ভুক্ত।হযরত হাসান বসরী ( রঃ ) এই আয়াতটি পাঠ করে বলেনঃ “ এই লোকগুলোই আল্লাহর বন্ধু । এরাই আল্লাহর আউলিয়া। আল্লাহ্ তা'আলার নিকট এরাই সবচেয়ে বেশী পছন্দনীয় এবং সবচেয়ে বেশী প্রিয়। কেননা, তারা নিজেরা আল্লাহর কথা মেনে নেয় এবং অন্যদেরকেও মানাবার চেষ্টা করে। আর সাথে সাথে তারা নিজেরা ভাল কাজ করে এবং ঘোষণা করে যে, তারা আত্মসমর্পণকারীদের অন্তর্ভুক্ত। এরাই আল্লাহর প্রতিনিধি।”মহামহিমান্বিত আল্লাহ্ বলেনঃ ভাল ও মন্দ সমান হতে পারে না, বরং এ দু’য়ের মধ্যে বহু পার্থক্য রয়েছে। যে তোমার সাথে মন্দ ব্যবহার করে তুমি তার সাথে ভাল ব্যবহার কর। এভাবে মন্দকে ভাল দ্বারা প্রতিহত কর। হযরত উমার ( রাঃ ) বলেনঃ “ তোমার ব্যাপারে যে আল্লাহর অবাধ্যচরণ করে, তার ব্যাপারে তুমি আল্লাহর আনুগত্য কর । এর চেয়ে বড় জিনিস আর কিছুই নেই।” মহান আল্লাহ্ বলেনঃ এর ফলে তোমার সাথে যার শত্রুতা আছে সে হয়ে যাবে তোমার অন্তরঙ্গ বন্ধুর মত। এই গুণের অধিকারী করা হয় শুধু তাদেরকেই যারা ধৈর্যশীল এবং এই গুণের অধিকারী শুধু তাদেরকেই করা হয় যারা মহা ভাগ্যবান।হযরত ইবনে আব্বাস ( রাঃ ) বলেনঃ মুমিনদেরকে নির্দেশ দেয়া হচ্ছে যে, তারা যেন ক্রোধের সময় ধৈর্য ধারণ করে এবং অন্যদের অজ্ঞতা ও নির্বুদ্ধিতার উপর নিজেদের সহনশীলতার পরিচয় দেয়। তারা যেন অপরের অপরাধকে ক্ষমার চোখে দেখে। এরূপ লোককে আল্লাহ তাআলা শয়তানের আক্রমণ হতে রক্ষা করে থাকেন এবং তাদের শত্রুরা তাদের অন্তরঙ্গ বন্ধুতে পরিণত হয়ে যায়। এতো হলো মানবীয় অনিষ্ট হতে বাঁচবার পন্থা। এখন মহান আল্লাহ্ শয়তানী অনিষ্ট হতে বাঁচবার পন্থা বলে দিচ্ছেনঃ যদি শয়তানের কুমন্ত্রণা তোমাকে প্ররোচিত করে তবে তুমি আল্লাহর শরণাপন্ন হবে এবং তার দিকে ঝুঁকে পড়বে। তিনিই শয়তানকে শক্তি দিয়ে রেখেছেন যে, সে মানুষের অন্তরে কুমন্ত্রণা দিবে। তার অনিষ্ট হতে রক্ষা করার ক্ষমতা তাঁরই রয়েছে। আল্লাহর নবী ( সঃ ) নামাযে বলতেনঃ ( আরবী ) অর্থাৎ “ আমি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ আল্লাহর নিকট বিতাড়িত শয়তানের প্ররোচনা, ফুকার এবং অনিষ্ট হতে আশ্রয় প্রার্থনা করছি ।”আমরা পূর্বেই বর্ণনা করেছি যে, কুরআন কারীমের মধ্যে এই স্থানের সাথে তুলনীয় সূরায়ে আরাফের একটি স্থান এবং সূরায়ে মুমিনূনের একটি স্থান ছাড়া আর কোন স্থান নেই। সূরায়ে আ'রাফের স্থানটি হচ্ছে আল্লাহ্ তা'আলার নিম্নের উক্তিঃ ( আরবী ) অর্থাৎ “ তুমি ক্ষমাপরায়ণতা অবলম্বন কর, সৎ কাজের নির্দেশ দাও এবং অজ্ঞদেরকে উপেক্ষা কর । যদি শয়তানের কুমন্ত্রণা তোমাকে প্ররোচিত করে তবে আল্লাহর শরণ নিবে, তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।”( ৭:১৯৯-২০০ ) সূরায়ে মুমিনূনের স্থানটি হলো মহান আল্লাহর নিম্নের উক্তিঃ ( আরবী ) অর্থাৎ “ মন্দের মুকাবিলা কর যা উত্তম তা দ্বারা; তারা যা বলে আমি সে সম্বন্ধে সবিশেষ অবহিত । বলঃ হে আমার প্রতিপালক! আমি আপনার আশ্রয় প্রার্থনা করি শয়তানের প্ররোচনা হতে। হে আমার প্রতিপালক! আমি আপনার আশ্রয় প্রার্থনা করি আমার নিকট তাদের উপস্থিতি হতে।”( ২৩:৯৬-৯৮ )

সূরা হা-মীম আস-সাজদা আয়াত 36 সূরা

وإما ينـزغنك من الشيطان نـزغ فاستعذ بالله إنه هو السميع العليم

سورة: فصلت - آية: ( 36 )  - جزء: ( 24 )  -  صفحة: ( 480 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. তারা তাদের ত্বককে বলবে, তোমরা আমাদের বিপক্ষে সাক্ষ্য দিলে কেন? তারা বলবে, যে আল্লাহ সব
  2. আপনার পালনকর্তা ক্ষমাশীল, দয়ালু, যদি তিনি তাদেরকে তাদের কৃতকর্মের জন্যে পাকড়াও করেন তবে তাদের শাস্তি
  3. আমি বনী ইসরাঈলকে কিতাবে পরিষ্কার বলে দিয়েছি যে, তোমরা পৃথিবীর বুকে দুবার অনর্থ সৃষ্টি করবে
  4. ধনৈশ্বর্য ও সন্তান-সন্ততি পার্থিব জীবনের সৌন্দর্য এবং স্থায়ী সৎকর্মসমূহ আপনার পালনকর্তার কাছে প্রতিদান প্রাপ্তি ও
  5. যারা ঈমান আনে আর সৎকাজ করে তাদের জন্য রয়েছে নেয়ামতে ভরা জান্নাত।
  6. হে আমাদের পালনকর্তা! এ থেকে আমাদেরকে উদ্ধার কর; আমরা যদি পুনরায় তা করি, তবে আমরা
  7. আমার রাসূল ও বান্দাগণের ব্যাপারে আমার এই বাক্য সত্য হয়েছে যে,
  8. এবং দেয় সামান্যই ও পাষাণ হয়ে যায়।
  9. আমি তাকে উচ্চে উন্নীত করেছিলাম।
  10. তারা মান্নত পূর্ণ করে এবং সেদিনকে ভয় করে, যেদিনের অনিষ্ট হবে সুদূরপ্রসারী।

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা হা-মীম আস-সাজদা ডাউনলোড করুন:

সূরা Fussilat mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Fussilat শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত হা-মীম আস-সাজদা  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত হা-মীম আস-সাজদা  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত হা-মীম আস-সাজদা  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত হা-মীম আস-সাজদা  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত হা-মীম আস-সাজদা  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত হা-মীম আস-সাজদা  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত হা-মীম আস-সাজদা  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত হা-মীম আস-সাজদা  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত হা-মীম আস-সাজদা  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত হা-মীম আস-সাজদা  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত হা-মীম আস-সাজদা  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত হা-মীম আস-সাজদা  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত হা-মীম আস-সাজদা  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত হা-মীম আস-সাজদা  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত হা-মীম আস-সাজদা  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত হা-মীম আস-সাজদা  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত হা-মীম আস-সাজদা  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত হা-মীম আস-সাজদা  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত হা-মীম আস-সাজদা  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত হা-মীম আস-সাজদা  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত হা-মীম আস-সাজদা  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত হা-মীম আস-সাজদা  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত হা-মীম আস-সাজদা  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত হা-মীম আস-সাজদা  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত হা-মীম আস-সাজদা  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Monday, June 3, 2024

لا تنسنا من دعوة صالحة بظهر الغيب