কোরান সূরা নামল আয়াত 37 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Naml ayat 37 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা নামল আয়াত 37 আরবি পাঠে(Naml).
  
   

﴿ارْجِعْ إِلَيْهِمْ فَلَنَأْتِيَنَّهُم بِجُنُودٍ لَّا قِبَلَ لَهُم بِهَا وَلَنُخْرِجَنَّهُم مِّنْهَا أَذِلَّةً وَهُمْ صَاغِرُونَ﴾
[ النمل: 37]

ফিরে যাও তাদের কাছে। এখন অবশ্যই আমি তাদের বিরুদ্ধে এক সৈন্যবাহিনী নিয়ে আসব, যার মোকাবেলা করার শক্তি তাদের নেই। আমি অবশ্যই তাদেরকে অপদস্থ করে সেখান থেকে বহিষ্কৃত করব এবং তারা হবে লাঞ্ছিত। [সূরা নামল: 37]

Surah An-Naml in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Naml ayat 37


''তাদের কাছে ফিরে যাও, আমরা অবশ্যই তাদের কাছে আসব সৈন্যবাহিনী নিয়ে যার মোকাবিলা করার ক্ষমতা তাদের নেই, আর আমরা অবশ্যই সেখান থেকে তাদের বহিস্কার করব লাঞ্ছনার সাথে, আর তারা বনবে ছোটলোক।’’


Tafsir Mokhtasar Bangla


৩৭. সুলাইমান ( আলাইহিস-সালাম ) সেই নারীর দূতকে বললেন: তুমি আমার নিকট আনীত উপঢৌকন নিয়ে তাদের কাছে ফিরে যাও। আমি অবশ্যই তার নিকট ও তার সম্প্রদায়ের নিকট এমন এক সেনাবাহিনী নিয়ে উপস্থিত হবো যাদেরকে প্রতিরোধ করার কোন ক্ষমতাই তাদের নেই। উপরন্তু তারা যদি আমার নিকট অবনত মস্তিষ্কে না আসে তাহলে আমি তাদেরকে সাবা এলাকা থেকে লাঞ্ছিত ও অপমানিত করে বের করে দেবো। সেখানে তারা দীর্ঘ দিন যাবৎ সম্মানিত ও গৌরবান্বিত ছিলো।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


ওদের নিকট তুমি ফিরে যাও,[১] আমি অবশ্যই ওদের বিরুদ্ধে এমন এক সৈন্য বাহিনী নিয়ে উপস্থিত হব, যার মুকাবিলা করার শক্তি ওদের নেই। আমি অবশ্যই ওদেরকে সেখান থেকে লাঞ্ছিতভাবে বহিষ্কৃত করব এবং ওরা হবে অবনমিত।’ [২] [১] এখানে একবচন ক্রিয়া ব্যবহার করা হয়েছে, যদিও এর আগে বহুবচন ব্যবহার করা হয়েছে। কারণ, কখনো পুরো দলকে সম্বোধন করা হয়েছে। আবার কখনো কেবল তাদের নেতাকে। [২] সুলাইমান ( আঃ ) কেবলমাত্র সম্রাট ছিলেন না বরং নবীও ছিলেন। সেই কারণে তাঁর পক্ষ হতে মানুষকে ছোট করে লাঞ্ছিত করা সম্ভব ছিল না। কিন্তু যুদ্ধের পরিণাম এই হয়ে থাকে। কারণ, যুদ্ধ হচ্ছে হত্যা, রক্তপাত ও বন্দী করারই নাম। অপমানিত ও লাঞ্ছিত করা বলতে তাই বুঝানো হয়েছে। তাছাড়া আল্লাহর কোন নবী মানুষকে শুধু শুধু অপমান করতে পারেন না। যেমন, যুদ্ধের সময় মহানবী ( সাঃ )-এর সুন্দর নীতি ও উত্তম আদর্শ ছিল।

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


তাদের কাছে ফিরে যাও, অতঃপর আমরা অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে নিয়ে আসব এক সৈন্য বাহিনী যার মুকাবিলা করার শক্তি তাদের নেই। আর আমরা অবশ্যই তাদেরকে সেখান থেকে বহিষ্কৃত করব লাঞ্ছিতভাবে এবং তারা হবে অপদস্থ।’

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


৩৬-৩৭ নং আয়াতের তাফসীর বিলকীস খুবই মূল্যবান উপঢৌকন হযরত সুলাইমান ( আঃ )-এর নিকট প্রেরণ করলো। যেমন সোনা, মণি-মাণিক্য, বহু সংখ্যক সোনার ইষ্টক, সোনার পাত্র ইত্যাদি। কেউ কেউ বলেন যে, কিছু ছেলেকে মেয়ের পোশাকে এবং কতকগুলো মেয়েকে ছেলের পোশাকে পাঠিয়েছিল। আর বলেছিলঃ “ যদি হ্যরত সুলাইমান ( আঃ ) তাদেরকে চিনে নিতে পারেন তবে তাকে নবী বলে মেনে নেয়া হবে ।”যখন তারা হযরত সুলাইমান ( আঃ )-এর নিকট পৌঁছে তখন তিনি তাদের সকলকেই অযু করার নির্দেশ দেন। মেয়েরা তো বরতন হতে পানি ঢেলে হাত ধৌত করলো, আর ছেলেরা বরতনের মধ্যেই হাত ডুবিয়ে দিয়ে পানি নিলো। এর দ্বারা হযরত সুলাইমান ( আঃ ) তাদের চিনে নিয়ে পৃথক পৃথক করে দিলেন আর বললেনঃ “ এরা ছেলে এবং এরা মেয়ে ।”অন্য কেউ কেউ বলেছেন যে, মেয়েরা প্রথমে তাদের হাতের ভিতরের অংশ। ধুয়েছিল এবং ছেলেরা প্রথমে তাদের হাতের বাইরের অংশ ধৌত করেছিল। এইভাবে তিনি তাদেরকে পৃথক পৃথকভাবে চিনতে পেরেছিলেন।এটাও বর্ণিত আছে যে, তাদের মধ্যে একটি দল নির্দেশ প্রাপ্তির পর হাত ধুতে শুরু করে এবং অঙ্গুলী পর্যন্ত ধৌত করে। আর অন্য দল তাদের বিপরীত হাতের অঙ্গুলী হতে ধুতে শুরু করে হাতের কনুই পর্যন্ত নিয়ে যায়। এসব ব্যাপারে আল্লাহ তা'আলাই সবচেয়ে ভাল জানেন। এটাও বর্ণিত আছে যে, বিলকীস হযরত সুলাইমান ( আঃ )-এর নিকট একটি বরতন পাঠিয়েছিল এবং বলে পাঠিয়েছিল যে, তিনি যেন বরতনটিকে এমন পানি দ্বারা পূর্ণ করেন যা যমীনেরও নয় এবং আসমানেরও নয়। তখন হযরত সুলাইমান ( আঃ ) ঘোড়া-দৌড়ের ব্যবস্থা করেন। ঘোড়াগুলোর ঘর্ম বের হলে তিনি ঐ ঘর্ম দ্বারা বরতনটি পূর্ণ করে দেন। প্রায় এ সবগুলোই বানী ইসরাঈলের উক্তি। এখন এগুলোর মধ্যে কোনটা সত্য ও কোনটা মিথ্যা তা একমাত্র আল্লাহ পাকই জানেন। কুরআন কারীমের প্রকাশ্য শব্দ দ্বারা তো জানা যাচ্ছে যে, হযরত সুলাইমান ( আঃ ) ঐ রাণীর উপঢৌকনের প্রতি ভ্রুক্ষেপই করেননি। বরং তা দেখা মাত্রই বলেছিলেনঃ “ তোমরা কি আমাকে ধন-সম্পদ ঘুষ দিয়ে নিজেদেরকে শিরকের উপর বাকী রাখার ইচ্ছা করছো? এটা কখনো সম্ভব নয় । আল্লাহ তা'আলা আমাকে বহু কিছু দিয়েছেন। রাজ্য-রাজত্ব, ধন-মাল, সৈন্য-সামন্ত সবকিছুই আমার কাছে বিদ্যমান রয়েছে। যে কোন দিক দিয়েই আমি তোমাদের অপেক্ষা উত্তম অবস্থায় রয়েছি। তোমরা এগুলো নিয়ে তোমাদের লোকদের নিকট ফিরে যাও। জেনে রেখো যে, আমি অবশ্যই তোমাদের বিরুদ্ধে নিয়ে আসবো এক সৈন্যবাহিনী যার মুকাবিলা করার শক্তি তোমাদের নেই। আমি অবশ্যই তোমাদেরকে তথা হতে বহিষ্কার করবো লাঞ্ছিতভাবে এবং তোমরা হবে অবনমিত।এটাও বলা হয়েছে যে, বিলকীসের দূতেরা হযরত সুলাইমান ( আঃ )-এর নিকট পৌঁছার পূর্বেই তাঁর নির্দেশক্রমে জ্বিনেরা এক হাজার প্রাসাদ নির্মাণ করে। যখন দূতেরা রাজধানীতে পৌঁছে তখন প্রাসাদগুলো দেখে তো তাদের আক্কেল গুড়ম! তারা বলেঃ “ বাদশাহ তো আমাদের উপঢৌকনগুলো ঘৃণার চক্ষে দেখবেন । এখানে তো সোনা মাটির সমানও মর্যাদা রাখে না।” এর দ্বারা এটাও প্রমাণিত হলো যে, বিদেশী লোকদের উদ্দেশ্যে কিছু লৌকিকতা করা বাদশাহদের জন্যে জায়েয।এরপর হযরত সুলাইমান ( আঃ ) দূতদেরকে বললেনঃ “ তোমরা এই উপঢৌকনগুলো ফিরিয়ে নিয়ে যাও এবং তাদেরকে গিয়ে বলো যে, তারা যেন মুকাবিলার জন্যে প্রস্তুত হয়ে যায় । জেনে রেখো যে, আমি তাদের বিরুদ্ধে এমন এক সেনাবাহিনী নিয়ে আসবো যাদের মুকাবিলা করার শক্তি তাদের নেই। আমি অবশ্যই তাদেরকে তথা হতে বহিষ্কার করবো লাঞ্ছিতভাবে। আমি তাদের সিংহাসন ও রাজমুকুটকে পদদলিত করবো।”যখন দূতেরা উপঢৌকনগুলো ফিরিয়ে নিয়ে বিলকীসের নিকট গিয়ে পৌঁছলো এবং শাহী পয়গাম তাকে জানিয়ে দিলো তখন হযরত সুলাইমান ( আঃ )-এর নবুওয়াত সম্পর্কে তার আর কোন সন্দেহ থাকলো না। সুতরাং সমস্ত সৈন্য-সামন্ত ও প্রজাসহ সে মুসলমান হয়ে গেল এবং সে তার সেনাবাহিনীকে সাথে নিয়ে হযরত সুলাইমান ( আঃ )-এর নিকট হাযির হওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলো। যখন হযরত সুলাইমান ( আঃ ) বিলকীসের সংকল্পের কথা জানতে পারলেন তখন তিনি অত্যন্ত খুশী হলেন এবং আল্লাহ তা'আলার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলেন।

সূরা নামল আয়াত 37 সূরা

ارجع إليهم فلنأتينهم بجنود لا قبل لهم بها ولنخرجنهم منها أذلة وهم صاغرون

سورة: النمل - آية: ( 37 )  - جزء: ( 19 )  -  صفحة: ( 380 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. তোমরা কি এর বৃক্ষ সৃষ্টি করেছ, না আমি সৃষ্টি করেছি ?
  2. আর দৃষ্টান্ত বর্ণনা করেছেন এমরান-তনয়া মরিয়মের, যে তার সতীত্ব বজায় রেখেছিল। অতঃপর আমি তার মধ্যে
  3. আর যত প্রকার প্রাণী পৃথিবীতে বিচরণশীল রয়েছে এবং যত প্রকার পাখী দু’ ডানাযোগে উড়ে বেড়ায়
  4. যারা লোকের কাছ থেকে যখন মেপে নেয়, তখন পূর্ণ মাত্রায় নেয়
  5. যাদের সমান শক্তি ও বলবীর্যে সারা বিশ্বের শহরসমূহে কোন লোক সৃজিত হয়নি
  6. অধিক প্রতিদানের আশায় অন্যকে কিছু দিবেন না।
  7. হে ঈমানদারগণ! তোমরা চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ খেয়ো না। আর আল্লাহকে ভয় করতে থাক, যাতে তোমরা
  8. যার কাছ থেকে ঐদিন এ শাস্তি সরিয়ে নেওয়া হবে, তার প্রতি আল্লাহর অনুকম্পা হবে। এটাই
  9. যাকাত হল কেবল ফকির, মিসকীন, যাকাত আদায় কারী ও যাদের চিত্ত আকর্ষণ প্রয়োজন তাদে হক
  10. আল্লাহ যা ইচ্ছা মিটিয়ে দেন এবং বহাল রাখেন এবং মূলগ্রন্থ তাঁর কাছেই রয়েছে।

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা নামল ডাউনলোড করুন:

সূরা Naml mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Naml শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত নামল  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত নামল  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত নামল  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত নামল  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত নামল  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত নামল  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত নামল  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত নামল  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত নামল  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত নামল  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত নামল  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত নামল  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত নামল  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত নামল  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত নামল  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত নামল  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত নামল  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত নামল  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত নামল  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত নামল  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত নামল  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত নামল  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত নামল  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত নামল  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত নামল  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Monday, November 18, 2024

Please remember us in your sincere prayers