কোরান সূরা আহ্কাফ আয়াত 4 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Ahqaf ayat 4 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা আহ্কাফ আয়াত 4 আরবি পাঠে(Ahqaf).
  
   

﴿قُلْ أَرَأَيْتُم مَّا تَدْعُونَ مِن دُونِ اللَّهِ أَرُونِي مَاذَا خَلَقُوا مِنَ الْأَرْضِ أَمْ لَهُمْ شِرْكٌ فِي السَّمَاوَاتِ ۖ ائْتُونِي بِكِتَابٍ مِّن قَبْلِ هَٰذَا أَوْ أَثَارَةٍ مِّنْ عِلْمٍ إِن كُنتُمْ صَادِقِينَ﴾
[ الأحقاف: 4]

বলুন, তোমরা আল্লাহ ব্যতীত যাদের পূজা কর, তাদের বিষয়ে ভেবে দেখেছ কি? দেখাও আমাকে তারা পৃথিবীতে কি সৃষ্টি করেছে? অথবা নভোমন্ডল সৃজনে তাদের কি কোন অংশ আছে? এর পূর্ববর্তী কোন কিতাব অথবা পরস্পরাগত কোন জ্ঞান আমার কাছে উপস্থিত কর, যদি তোমরা সত্যবাদী হও। [সূরা আহ্কাফ: 4]

Surah Al-Ahqaaf in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Ahqaf ayat 4


তুমি বলো -- ''আল্লাহ্‌কে বাদ দিয়ে যাদের তোমরা ডাক তাদের কথা কি তোমরা ভেবে দেখেছ? পৃথিবীর কোন জিনিস তারা সৃষ্টি করেছে আমাকে দেখাও তো? অথবা তাদের কি কোনো অংশ আছে মহাকাশমন্ডলীতে? আমার কাছে এর আগের কোনো গ্রন্থ অথবা জ্ঞানের কোনো প্রামাণ্য চিহ নিয়ে এস, যদি তোমরা সত্যবাদী হও।’’


Tafsir Mokhtasar Bangla


৪. হে রাসূল! সত্য থেকে বিমুখ এসব মুশরিকদেরকে আপনি বলুন: তোমরা আল্লাহর পরিবর্তে যে সব দেবতার পূজা করো তাদের ব্যাপারে সংবাদ দাও যে, তারা যমীনের কোন্ অংশ সৃষ্টি করেছে? তারা কি পাহাড় সৃষ্টি করেছে? তারা কি নদী সৃষ্টি করেছে? না কি তাদের অংশদারিত্ব রয়েছে আল্লাহ কর্তৃক আসমানসমূহ সৃষ্টিতে। তোমরা আমার নিকট কুরআনের পূর্বে আল্লাহ পক্ষ থেকে অবতীর্ণ কোন কিতাব নিয়ে আস কিংবা পূর্বেকার লোকদের রেখে যাওয়া অবশিষ্ট জ্ঞান নিয়ে আসো। যদি তোমরা তোমাদের এ দাবিতে সত্য হয়ে থাক যে, দেবতারা ইবাদাতের হকদার।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


বল, ‘তোমরা আল্লাহর পরিবর্তে যাদেরকে ডাক, তাদের কথা ভেবে দেখছ কি? তারা পৃথিবীতে কি সৃষ্টি করেছে আমাকে দেখাও অথবা আকাশমন্ডলীতে তাদের কোন অংশীদারিত্ব আছে কি?[১] এর পূর্ববর্তী কোন কিতাবে অথবা পরম্পরাগত জ্ঞান থাকলে তা তোমরা আমার নিকট উপস্থিত কর, যদি তোমরা সত্যবাদী হও।’[২] [১] أرَأَيْتُمْ এর অর্থ أَخْبِرُوْنِيْ অথবা أَرُوْنِيْ অর্থাৎ আল্লাহকে বাদ দিয়ে যেসব প্রতিমাগুলোর অথবা ব্যক্তিত্বের তোমরা উপাসনা কর, আমাকে বল বা দেখাও দেখি, আকাশ-পৃথিবী সৃষ্টির ব্যাপারে তাদের কি কোন অংশ রয়েছে? অর্থাৎ আকাশ-পৃথিবী সৃষ্টির কাজে তাদের কোনই অংশ নেই, বরং পরিপূর্ণরূপে এই সমস্ত কিছুর স্রষ্টা হলেন একমাত্র মহান আল্লাহ( ব্যাপার যখন এই ) তখন তোমরা অসত্য এই উপাস্যগুলোকে আল্লাহর ইবাদতে শরীক কেন কর? [২] অর্থাৎ কোন নবীর প্রতি অবতীর্ণ করা কিতাবে অথবা বর্ণিত কোন বর্ণনায় এ কথা লেখা থাকলে তা নিয়ে এসে দেখাও, যাতে তোমাদের সত্যতা পরিষ্কার হয়ে যায়। কেউ أَثَارَةٍ مِنْ عِلْمٍ এর অর্থ করেছেন, জ্ঞানভিত্তিক স্পষ্ট দলীল। এ ক্ষেত্রে কিতাব অর্থ হবে, বর্ণনাভিত্তিক প্রমাণ, এবং أَثَارَةٍ مِنْ عِلْمٍ এর অর্থ হবে, জ্ঞানভিত্তিক দলীল। অর্থাৎ কোন যুক্তিসংগত অথবা বর্ণনাগত প্রমাণ পেশ কর। أثر ধাতু হতে গঠিত হওয়ার কারণে তার প্রথম অর্থ রেওয়ায়াত বা বর্ণনা করা হয়েছে অথবা بَقِيَّةٍ مِّنْ عِلْمٍ অর্থাৎ পূর্বের নবীদের শিক্ষার অবশিষ্ট অংশ যা নির্ভরযোগ্য সূত্রে বর্ণিত হয়েছে, তাতে ( তোমাদের ) এ কথার উল্লেখ থাকলে ( তা আমার কাছে নিয়ে এস )

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


বলুন, ‘তোমরা আমাকে সংবাদ দাও, তোমারা আল্লাহ্‌র পরিবর্তে যাদেরকে ডাক আমাকে দেখাও তো তারা যমীনে কী সৃষ্টি করেছে অথবা আসমানসমূহে তাদের কোন অংশীদারিত্ব আছে কি? এর পূর্ববতী কোন কিতাব অথবা পরম্পরাগত কোন জ্ঞান থাকলে তা তোমরা আমার কাছে নিয়ে আস যদি তোমরা সত্যবাদী হও []।’ [] এ আয়াতে মুশরেকদের শির্ক এর দাবি বাতিল করার জন্য তাদের দাবীর সপক্ষে দলিল চাওয়া হয়েছে। কেননা, সাক্ষ্য-প্রমাণ ব্যতীত কোন দাবি গ্ৰহণীয় হয় না। দলিলের যত প্রকার রয়েছে, সবগুলো আয়াতে উল্লেখ করে প্রমাণ করা হয়েছে যে, মুশরেকদের দাবির পক্ষে কোন দলিল নেই। তাই এহেন দলিলবিহীন দাবিতে অটল থাকা নিরেট পথভ্ৰষ্টতা। আয়াতে দলিলকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। প্ৰথম: যুক্তিভিত্তিক দলিল। এর খণ্ডন বলা হয়েছে اِرُوْنِىْ مَاذَاخَلَقُوْامِنَ الْاَرْضِاَمْ لَهُمْ شِرْكٌ فِى السَّمٰوٰتِ “ এরা যমীনে কি সৃষ্টি করেছে আমাকে দেখাও অথবা আসমানসমূহে তাদের কোন অংশীদারিত্ব আছে কি?” দ্বিতীয় প্রকার ইতিহাসভিত্তিক দলিল । বলাবাহুল্য আল্লাহর ব্যাপারে কেবল সেই ইতিহাসভিত্তিক দলিল গ্রহণীয় হতে পারে; যা স্বয়ং আল্লাহর পক্ষ থেকে আসে। যেমন তাওরাত, ইঞ্জীল; কুরআন ইত্যাদি কিতাব অথবা আল্লাহ মনোনীত নবী ও রাসূলগণের উক্তি। এই দুই প্রকারের মধ্যে প্রথম প্রকারের খণ্ডনে বলা হয়েছে اِيْتُوْفِى بِكِتٰبٍ مِّنْ قِبْلِ هٰذَآ অর্থাৎ তোমাদের মূর্তি পূজার কোন দলিল থাকলে কোন ইলাহী কিতাব পেশ কর, যাতে মূর্তি পূজার অনুমতি দেয়া হয়েছে। এর পর দ্বিতীয় প্রকার ঐতিহাসিক দলীল পেশ করার আহবান জানিয়ে বলা হয়েছে, اَوْاَثٰرَةٍمِّنْ عِلْمً অর্থাৎ কিতাব আনতে না পারলে কমপক্ষে রাসূলগণের পরম্পরাগত কোন উক্তি পেশ কর। তাও পেশ করতে না পারলে তোমাদের কথা ও কাজ পথ ভ্ৰষ্টতা বৈ কিছুই নয়। এর পরবর্তী আয়াতে তাদের শির্কের তৃতীয় প্রকার দলীল পেশ করে তা খণ্ডন করা হয়েছে। কারণ, তারা হয়ত বলতে পারে যে, তাদেরকে আমরা আল্লাহর শরীক এজন্যই সাব্যস্ত করি যে, তারা আমাদের আহবানে সাড়া দিয়ে আমাদের কোন উপকার সাধন কিংবা অপকার থেকে আমাদের বাঁচাতে পারবে। তাদের সে দলিল পেশের সম্ভাবনাকে নাকচ করে বলা হয়েছে যে, তারা আল্লাহ ব্যতীত যাদেরকে আহবান করছে তারা কিয়ামত পর্যন্ত তাদের আহবানে সাড়া দিতে পারবে না। সুতরাং তাদের শির্কের সপক্ষে কোন যুক্তি বা দলিলই অবশিষ্ট রইল না। [ দেখুন, ইবনে কাসীর ]

সূরা আহ্কাফ আয়াত 4 সূরা

قل أرأيتم ما تدعون من دون الله أروني ماذا خلقوا من الأرض أم لهم شرك في السموات ائتوني بكتاب من قبل هذا أو أثارة من علم إن كنتم صادقين

سورة: الأحقاف - آية: ( 4 )  - جزء: ( 26 )  -  صفحة: ( 502 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. আমার বান্দাদের উপর তোর কোন ক্ষমতা নেই আপনার পালনকর্তা যথেষ্ট কার্যনির্বাহী।
  2. ক্রোধে জাহান্নাম যেন ফেটে পড়বে। যখনই তাতে কোন সম্প্রদায় নিক্ষিপ্ত হবে তখন তাদেরকে তার সিপাহীরা
  3. বস্তুতঃ আল্লাহ বদরের যুদ্ধে তোমাদের সাহায্য করেছেন, অথচ তোমরা ছিলে দুর্বল। কাজেই আল্লাহকে ভয় করতে
  4. ফেরাউন সে ছিল সীমালংঘনকারীদের মধ্যে শীর্ষস্থানীয়।
  5. আর আল্লাহ কোন জাতিকে হেদায়েত করার পর পথভ্রষ্ট করেন না যতক্ষণ না তাদের জন্য পরিষ্কারভাবে
  6. আকাশে ও পৃথিবীতে এমন কোন গোপন ভেদ নেই, যা সুস্পষ্ট কিতাবে না আছে।
  7. শাস্তি এভাবেই আসে এবং পরকালের শাস্তি আরও গুরুতর; যদি তারা জানত!
  8. যাতে তদ্দ্বারা উৎপন্ন করি শস্য, উদ্ভিদ।
  9. এবং ইবলীস বাহিনীর সকলকে।
  10. অতএব, আল্লাহর কোন সদৃশ সাব্যস্ত করো না, নিশ্চয় আল্লাহ জানেন এবং তোমরা জান না।

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা আহ্কাফ ডাউনলোড করুন:

সূরা Ahqaf mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Ahqaf শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত আহ্কাফ  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত আহ্কাফ  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত আহ্কাফ  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত আহ্কাফ  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত আহ্কাফ  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত আহ্কাফ  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত আহ্কাফ  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত আহ্কাফ  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত আহ্কাফ  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত আহ্কাফ  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত আহ্কাফ  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত আহ্কাফ  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত আহ্কাফ  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত আহ্কাফ  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত আহ্কাফ  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত আহ্কাফ  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত আহ্কাফ  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত আহ্কাফ  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত আহ্কাফ  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত আহ্কাফ  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত আহ্কাফ  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত আহ্কাফ  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত আহ্কাফ  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত আহ্কাফ  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত আহ্কাফ  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Tuesday, November 5, 2024

Please remember us in your sincere prayers