কোরান সূরা ইউনুস আয়াত 64 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Yunus ayat 64 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা ইউনুস আয়াত 64 আরবি পাঠে(Yunus).
  
   

﴿لَهُمُ الْبُشْرَىٰ فِي الْحَيَاةِ الدُّنْيَا وَفِي الْآخِرَةِ ۚ لَا تَبْدِيلَ لِكَلِمَاتِ اللَّهِ ۚ ذَٰلِكَ هُوَ الْفَوْزُ الْعَظِيمُ﴾
[ يونس: 64]

তাদের জন্য সুসংবাদ পার্থিব জীবনে ও পরকালীন জীবনে। আল্লাহর কথার কখনো হের-ফের হয় না। এটাই হল মহা সফলতা। [সূরা ইউনুস: 64]

Surah Yunus in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Yunus ayat 64


তাদের জন্য রয়েছে সুসংবাদ এই পৃথিবীর জীবনে এবং পরকালে। আল্লাহ্‌র বাণীর কোনো পরিবর্তন নেই, -- এটিই হচ্ছে মহা সাফল্য।


Tafsir Mokhtasar Bangla


৬৪. তাদের জন্য দুনিয়াতে রয়েছে তাদের প্রতিপালকের পক্ষ থেকে আনন্দদায়ক সুসংবাদ তথা ভালো স্বপ্ন ও মানুষের প্রশংসা। তাদের জন্য আরো রয়েছে জান কবজের সময়, মৃত্যুর পর ও হাশরে ফিরিশতাদের পক্ষ থেকে সুসংবাদ। আল্লাহর ওয়াদার কোন পরিবর্তন নেই। মূলতঃ এ প্রতিদান হলো মহা সফলতা। কারণ, তাতে রয়েছে উদ্দেশ্য হাসিল ও আশঙ্কিত বস্তু থেকে মুক্তি।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


তাদের জন্য সুসংবাদ রয়েছে পার্থিব জীবনে[১] এবং পরকালেও; আল্লাহর বাণীসমূহের কোন পরিবর্তন নেই; এটাই হচ্ছে বিরাট সফলতা। [১] পার্থিব সুসংবাদ বলতে সত্য স্বপ্নকে বুঝানো হয়েছে অথবা সেই সুসংবাদকে বুঝানো হয়েছে যা মৃত্যুর সময় ফিরিশতাগণ একজন মু'মিনকে দিয়ে থাকেন, যেমন কুরআন ও হাদীসে এর প্রমাণ পাওয়া যায়।

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


তাদের জন্যই আছে সুসংবাদ দুনিয়ার জীবনে ও আখিরাতে [], আল্লাহ্‌র বাণীর কোন পরিবর্তন নেই []; সেটাই মহাসাফল্য। [] এখানে আল্লাহর অলীদের জন্য দুনিয়ার সুসংবাদ বলতে যা বুঝানো হয়েছে তা সম্পর্কে বিভিন্ন হাদীসে এসেছে যে, তা হলো “ কোন মুসলিম তার জন্য কোন ভাল স্বপ্ন দেখা বা তার জন্য অন্য কেউ কোন ভাল স্বপ্ন দেখা" [ মুসলিমঃ ২৬৪২, মুসনাদে আহমাদ ৫/৩১৫, ৬/৪৪৫, তিরমিযীঃ ২২৭৩, ২২৭৫, ইবনে মাজাহঃ ৩৮৯৮ ] কোন কোন হাদীসে এসেছে যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “যখন সময় ( কিয়ামত ) নিকটবর্তী হবে তখন মুসলিম ব্যক্তির স্বপ্ন প্রায় সত্য হবে । তোমাদের মধ্যে যে বেশী সত্যবাদি তার স্বপ্নও বেশী সত্য। মুসলিম ব্যক্তির স্বপ্ন নবুওয়াতের পয়তাল্লিশ ভাগের একভাগ। স্বপ্ন তিন প্রকারঃ সৎ স্বপ্ন আল্লাহর পক্ষ থেকে সুসংবাদ। আরেক প্রকার স্বপ্ন হচ্ছে শয়তানের পুঞ্জিভূত করা বিষয়াদি। অন্য আরেক প্রকার স্বপ্ন আছে যা কোন ব্যক্তির নিজের সাথে কৃত কথাবার্তা। সুতরাং তোমাদের মধ্যে যদি কেউ অপছন্দনীয় কিছু দেখে সে যেন উঠে সালাত আদায় করে এবং কাউকে না বলে।” [ বুখারীঃ ৭০১৭, মুসলিমঃ ২২৬৩ ] অন্য বর্ণনায় এসেছে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন যে, মুবাশশিরাত ব্যতীত নবুওয়তের আর কিছু বাকী নেই। সাহাবায়ে কেরাম জিজ্ঞেস করলেনঃ মুবাশশিরাত কি? তিনি বললেনঃ সৎস্বপ্ন"। [ মুসলিমঃ ৪৭৯ ] অবশ্য কোন কোন মুফাসসিরের মতে এখানে দুনিয়ার সুসংবাদ বলতে মুমিন বান্দাদের মৃত্যুর সময় তারা যে জান্নাত ও রহমতের ফেরেশতাদের পক্ষ থেকে উত্তম আচরণ পেয়ে থাকেন তাই বুঝানো হয়েছে। [ তাবারী ] যেমন সুরা ফুসসিলাতের ৩০-৩২ নং আয়াতে বিস্তারিত বর্ণনা করা হয়েছে। অনুরূপভাবে বারা’ ইবনে ‘আযেব রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বর্ণিত এক বড় হাদীসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মৃত্যুকালীন সময়ে মৃত্যু পথযাত্রী ব্যক্তি কি কি দেখতে পায় এবং তার কি অবস্থা হয় তা বিস্তারিত বর্ণনা করা হয়েছে। [ দেখুনঃ মুসনাদে আহমাদঃ ৪/২৮৭-২৮৮, আবু দাউদঃ ৪৭৫৩ ] মূলতঃ উভয় তাফসীরই বিশুদ্ধ। এতে কোন স্ববিরোধিতা নেই। আর আখেরাতে সুসংবাদ হচ্ছে জান্নাত ও উত্তম ব্যবহার। যা কুরআনের বিভিন্ন আয়াত ও রাসূলের বিভিন্ন হাদীসে বিস্তারিত এসেছে। যেমন আল্লাহ্ তাআলা বলেনঃ "তাদেরকে ( হাশরের মাঠের ) কঠিন ভীতিকর অবস্থা পেরেশান করবে না, আর ফেরেশতাগণ তাদের সাক্ষাৎ করে বলবে, এটা তো ঐ দিন যার ওয়াদা তোমাদের করা হতো" [ সূরা আল-আম্বিয়াঃ ১০৩ ] অন্য আয়াতে আল্লাহ্ তাআলা বলেনঃ “ সেদিন আপনি দেখবেন মুমিন নর-নারীদের সামনে ও ডানে তাদের জ্যোতি ছুটতে থাকবে । বলা হবে, আজ তোমাদের জন্য সুসংবাদ জান্নাতের, যার পাদদেশে নদী প্রবাহিত, সেখানে তোমরা স্থায়ী হবে, এটাই মহাসাফল্য " [ সূরা আল-হাদীদঃ১২ ] [] অর্থাৎ উপরে আল্লাহ্ তা'আলা মুমিন মুত্তাকীদের সাথে যে ওয়াদা করেছেন তা কখনো পরিবর্তনশীল নয়। এটা স্থায়ী অঙ্গীকার। [ কুরতুবী ]

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


৬২-৬৪ নং আয়াতের তাফসীর: আল্লাহ্ তা'আলা খবর দিচ্ছেন যে, তাঁর বন্ধু হচ্ছে ঐ লোকগুলো যারা ঈমান আনয়নের পর পরহেযগারীও অবলম্বন করে থাকে। সুতরাং যারা আল্লাহভীরু তারাই আল্লাহর বন্ধু । যখন তারা পারলৌকিক অবস্থার সম্মুখীন হবে তখন তারা মোটেই ভয় পাবে না। আর দুনিয়াতেও তারা কোন দুঃখ ও চিন্তায় পরিবেষ্টিত হবে না। আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ ( রাঃ ) এবং ইবনে আব্বাস ( রাঃ ) বলেন যে, আল্লাহর অলী হচ্ছে ঐ লোকেরা যারা সদা-সর্বদা তাঁর স্মরণ ও চিন্তায় নিমগ্ন থাকে। ইবনে আব্বাস ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, একটি লোক জিজ্ঞেস করেঃ “ হে আল্লাহর রাসূল ( সঃ )! আল্লাহর অলী কারা?” উত্তরে তিনি বলেনঃ “তারা হচ্ছে । ওরাই যাদেরকে তুমি দেখতে পাও যে, তারা আল্লাহর স্মরণে নিমগ্ন রয়েছে।” আবু হুরাইরা ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বলেছেনঃ আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে কিছু এমন লোকও রয়েছে যারা নবীও নয় এবং শহীদও নয় । কিয়ামতের দিন আল্লাহর নিকট তাদের মর্যাদা দেখে নবী ও শহীদগণ তাদের উপর রিশক ( আকাক্ষা ) করবেন।” জিজ্ঞেস করা হলোঃ “ হে আল্লাহর রাসুল ( সঃ )! তারা কারা?" উত্তরে তিনি বললেনঃ “তারা হচ্ছে ঐ সব লোক যারা শুধু আল্লাহর মহব্বতে একে অপরকে মহব্বত করেছে ( ভালবেসেছে ) তাদের মধ্যে নেই কোন মালের সম্পর্ক এবং নেই কোন বংশের সম্পর্ক। তাদের চেহারা হবে নূরানী ( উজ্জ্বল ) এবং তারা নূরের মিম্বরের উপর থাকবে। যখন মানুষ ভয় পাবে, তখন তাদের কোন ভয় হবে না এবং মানুষ যখন দুঃখে থাকবে, তখনও তাদের কোন দুঃখ ও চিন্তা থাকবে না।” অতঃপর তিনি পাঠ করলেনঃ ( আরবী ) অর্থাৎ “ জেনে রেখো, নিশ্চয়ই আল্লাহর অলীদের জন্যে কোন ভয় নেই এবং তারা চিন্তিতও হবে না ।”আবৃ মালিক আশআরী ( রাঃ ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন যে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বলেছেনঃ লোকদের মধ্য হতে ও বিভিন্ন গোত্র হতে এমন সম্প্রদায়ের আগমন ঘটবে, যাদের পরস্পরের মধ্যে নেই কোন আত্মীয়তার সম্পর্ক, তারা শুধু আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে একে অপরকে ভালবাসবে। তাদের মধ্যে গড়ে উঠবে আন্তরিকতাপূর্ণ প্রেম প্রীতি। কিয়ামতের দিন আল্লাহ তা'আলা তাদের জন্যে নূরের মিম্বর স্থাপন করবেন, যার উপর তারা উপবেশন করবে। মানুষ সেই দিন অত্যন্ত উদ্বিগ্ন থাকবে। কিন্তু এরা থাকবে সম্পূর্ণ শান্ত ও নিশ্চিন্ত; আল্লাহর অলী এসব লোকই বটে। ( এ হাদীসটি ইমাম আহমাদ (রঃ ) বর্ণনা করেছেন)আবু দারদা ( রাঃ )-কে একটি লোক জিজ্ঞেস করেন যে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) ( আরবী ) -এই আয়াতের কিরূপ ব্যাখ্যা করেছেন? উত্তরে তিনি বলেনঃ “ এটা হচ্ছে ভাল স্বপ্ন যা কোন মুসলিম দেখে থাকে বা অন্য কোন মুসলিমকে তার সম্পর্কে ঐ স্বপ্ন দেখানো হয় ।" আবু দারদা ( রাঃ )। লোকটিকে বলেনঃ “ তুমি আমাকে এই প্রশ্ন করলে, ইতিপূর্বে শুধু একবার একটি লোক নবী ( সঃ )-কে এই প্রশ্ন করেছিল । তিনি উত্তরে বলেছিলেন, এটা হচ্ছে সঠিক ও সত্য স্বপ্ন যা কোন মুসলিম দেখে থাকে বা তার পক্ষে অন্য কাউকেও দেখানো হয়। এটা পার্থিব জীবনেও তার জন্যে শুভ সংবাদ এবং পরকালেও তার জন্যে জান্নাতের সুসংবাদ।” ( এ হাদীসটি ইবনে জারীর (রঃ ) বর্ণনা করেছেন) উবাদা ইবনে সামিত ( রাঃ )-কে রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) একথাই বলেছিলেন- “ তোমার পূর্বে কেউ আমাকে এ প্রশ্ন করেনি । ( আরবী ) শব্দ দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে ভাল স্বপ্ন।” ইবনে সামিত ( রাঃ ) রাসূলুল্লাহ ( সঃ )-কে জিজ্ঞেস করেছিলেনঃ “ এই আয়াতে আখিরাতের সুসংবাদ তো হচ্ছে জান্নাত, কিন্তু দুনিয়ার সুসংবাদ দ্বারা উদ্দেশ্য কি?" উত্তরে তিনি বলেনঃ “সত্য সপ্ন, যে স্বপ্ন কেউ দেখে বা তার সম্পর্কে কাউকে স্বপ্ন দেখানো হয় । আর এই সত্য স্বপ্নও হচ্ছে নবুওয়াতের সত্তর বা চুয়াল্লিশটি অংশের একটি অংশ।”আবু যার ( রাঃ ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ “ হে আল্লাহর রাসূল ( সঃ )! মানুষ ভাল কাজ করে এবং লোকেরা তার প্রশংসা করে ( এটা কিরূপ? )” উত্তরে তিনি বলেনঃ “ এটা যেন মুমিনের জন্যে দুনিয়াতেই জান্নাতের শুভ সংবাদ । আর এটা নবুওয়াতের উনপঞ্চাশটি অংশের একটি অংশ। সুতরাং যে ব্যক্তি ভাল স্বপ্ন দেখবে সে যেন জনগণের সামনে তা বর্ণনা করে দেয়। আর যে খারাপ স্বপ্ন দেখবে, তার এটা জেনে রাখা উচিত যে, ওটা শয়তানের পক্ষ থেকে হয়েছে। সে মানুষকে ভীত-সন্ত্রস্ত করার জন্যেই এরূপ করে। সুতরাং তখন ঐ ব্যক্তির উচিত যে, সে যেন বাম দিকে তিনবার থুথু ফেলে ও তাকবীর পাঠ করে এবং জনগণের সামনে তা প্রকাশ না করে।” ( এ হাদীসটি ইমাম মুসলিম (রঃ ) বর্ণনা করেছেন)অন্য এক জায়গায় নবুওয়াতের ছেচল্লিশ ভাগের এক ভাগ বলা হয়েছে। আবু হুরাইরা ( রাঃ ) বলেন যে, উত্তম স্বপ্ন হচ্ছে আল্লাহ প্রদত্ত শুভ সংবাদ। কথিত আছে যে, এর ভাবার্থ হচ্ছে- মুমিনের মৃত্যুর সময় ফিরিশতাগণ তাকে জান্নাত ও মাগফিরাতের শুভ সংবাদ দিয়ে থাকেন। যেমন আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ “ নিশ্চয়ই যারা বলেছে-আমাদের প্রতিপালক ( হচ্ছেন একমাত্র ) আল্লাহ অতঃপর তারা ( ওর উপর ) অটল রয়েছে, তাদের প্রতি ( সুসংবাদ নিয়ে ) ফিরিশতারা অবতীর্ণ হবে, ( এবং বলবে যে, ) তোমরা ( আখিরাতের । বিপদসমূহের ) ভয় করো না এবং ( দুনিয়া ত্যাগের জন্যে ) দুঃখও করো না, আর তোমরা সেই জান্নাতের প্রতি সন্তুষ্ট থাকো, যার প্রতিশ্রুতি তোমাদেরকে প্রদান। করা হতো। আমি পার্থিব জীবনেও তোমাদের সঙ্গী ছিলাম এবং পরলোকেও থাকবো, আর যা কিছু তোমাদের বাসনা হবে, তোমাদের জন্যে তাতে তা বিদ্যমান আছে, আর যা কিছু তোমরা চাবে, তাও তোমাদের জন্যে তাতে রয়েছে। এটা ক্ষমাশীল করুণাময়ের সন্নিধান হতে মেহমানদারী।”বারা’র হাদীসে রয়েছে যে, যখন মুমিন ব্যক্তির মৃত্যুর সময় ঘনিয়ে আসে, তখন উজ্জ্বল চেহারা ও সাদা পোশাক বিশিষ্ট ফিরিশতা তার কাছে আগমন করেন এবং বলেনঃ “ হে পবিত্র আত্মা! তার মুখ দিয়ে এমনভাবে বেরিয়ে যাও যেমনভাবে মশকের মুখ দিয়ে পানি বের হয়ে থাকে । যেমন আল্লাহ পাক বলেনঃ “ কিয়ামতের আতংক তাদেরকে হতবুদ্ধি করবে না, ফিরিশতারা তাদেরকে বলবে- এটা হচ্ছে ঐদিন, তোমাদের সাথে যেই দিনের ওয়াদা করা হয়েছে । আর এক জায়গায় আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ “ সেই দিন তুমি মুমিন পুরুষ এবং মুমিনা নারীদেরকে দেখবে যে, তাদের সামনের দিকে এবং ডান দিকে নূর ( আলো ) চলছে, ( বলা হবে ) আজ তোমাদেরকে ঐ জান্নাতের সুসংবাদ দেয়া হচ্ছে, যার নিম্নদেশে নহর প্রবাহিত হচ্ছে । এটা হচ্ছে বিরাট সফলতা।”

সূরা ইউনুস আয়াত 64 সূরা

لهم البشرى في الحياة الدنيا وفي الآخرة لا تبديل لكلمات الله ذلك هو الفوز العظيم

سورة: يونس - آية: ( 64 )  - جزء: ( 11 )  -  صفحة: ( 216 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. অবশেষে যখন আমার হুকুম এসে পৌঁছাল, তখন আমি উক্ত জনপদকে উপরকে নীচে করে দিলাম এবং
  2. তোমরা কি মানুষকে সৎকর্মের নির্দেশ দাও এবং নিজেরা নিজেদেরকে ভূলে যাও, অথচ তোমরা কিতাব পাঠ
  3. তারা নিজেদের কৃতকর্মের কারণে কখনও মৃত্যু কামনা করবে না। আল্লাহ জালেমদের সম্পর্কে সম্যক অবগত আছেন।
  4. যখন তারা পিপীলিকা অধ্যূষিত উপত্যকায় পৌঁছাল, তখন এক পিপীলিকা বলল, হে পিপীলিকার দল, তোমরা তোমাদের
  5. আপনি কি দেখেছেন যদি সে সৎপথে থাকে।
  6. এবং ইসরাঈল, ইয়াসা, ইউনূস, লূতকে প্রত্যেককেই আমি সারা বিশ্বের উপর গৌরবাম্বিত করেছি।
  7. তোমরা অবশ্যই জাহান্নাম দেখবে,
  8. আল্লাহ ঈমানদারদের উপর অনুগ্রহ করেছেন যে, তাদের মাঝে তাদের নিজেদের মধ্য থেকে নবী পাঠিয়েছেন। তিনি
  9. আর দৃষ্টান্ত বর্ণনা করেছেন এমরান-তনয়া মরিয়মের, যে তার সতীত্ব বজায় রেখেছিল। অতঃপর আমি তার মধ্যে
  10. আপনার প্রতিপালক অমুখাপেক্ষী, করুণাময়। তিনি ইচ্ছা করলে তোমাদের সবাইকে উচ্ছেদ করে দিবেন এবং তোমাদের পর

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা ইউনুস ডাউনলোড করুন:

সূরা Yunus mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Yunus শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত ইউনুস  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত ইউনুস  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত ইউনুস  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত ইউনুস  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত ইউনুস  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত ইউনুস  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত ইউনুস  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত ইউনুস  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত ইউনুস  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত ইউনুস  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত ইউনুস  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত ইউনুস  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত ইউনুস  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত ইউনুস  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত ইউনুস  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত ইউনুস  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত ইউনুস  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত ইউনুস  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত ইউনুস  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত ইউনুস  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত ইউনুস  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত ইউনুস  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত ইউনুস  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত ইউনুস  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত ইউনুস  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Friday, May 17, 2024

لا تنسنا من دعوة صالحة بظهر الغيب