কোরান সূরা নাজ্ম আয়াত 4 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Najm ayat 4 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা নাজ্ম আয়াত 4 আরবি পাঠে(Najm).
  
   

﴿إِنْ هُوَ إِلَّا وَحْيٌ يُوحَىٰ﴾
[ النجم: 4]

কোরআন ওহী, যা প্রত্যাদেশ হয়। [সূরা নাজ্ম: 4]

Surah An-Najm in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Najm ayat 4


এইখানা প্রত্যাদিষ্ট হওয়া প্রত্যাদেশবাণী বৈ তো নয়, --


Tafsir Mokhtasar Bangla


৪. এই কুরআন ওহী ব্যতীত আর কিছুই নয়। যা জিবরীল ( আলাইহিস-সালাম ) মারফত আল্লাহ তাঁর উপর অবতীর্ণ করেছেন।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


তা তো অহী, যা তার প্রতি প্রত্যাদেশ হয়। [১] [১] অর্থাৎ, তিনি পথভ্রষ্ট বা বিপথগামী কি করে হতে পারেন?! তিনি তো আল্লাহর প্রত্যাদেশ ছাড়া মুখই খুলেন না। এমনকি রহস্য ও হাসি-ঠাট্টার সময়ও তাঁর পবিত্র জবান থেকে সত্য ছাড়া অন্য কিছু বের হয় না ( তিরমিযীঃ বির্র্ অধ্যায় ) অনুরূপ ক্রোধের সময়ও তাঁর স্বীয় আবেগ ও উত্তেজনার উপর এত নিয়ন্ত্রণ ছিল যে, তাঁর জবান থেকে কোন কথা বাস্তবের বিপরীত বের হয়নি। ( আবূ দাউদঃ শিক্ষা অধ্যায় )

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


তাতো কেবল ওহী, যা তার প্রতি ওহীরূপে প্রেরিত হয়,

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


সহীহ বুখারী শরীফে হযরত আবদুল্লাহ ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, সিজদা বিশিষ্ট সর্বপ্রথম যে সূরাটি অবতীর্ণ হয় তা হলো এই আন্ নাজম সূরা। নবী ( সঃ ) সিজদা করেন এবং তার পিছনে যত সাহাবী ( রাঃ ) ছিলেন সবাই সিজদা করেন। শুধু একটি লোক তার মুষ্টির মধ্যে মাটি নিয়ে ওরই উপর সিজদা করে। হযরত আবদুল্লাহ ( রাঃ ) বলেনঃ “ আমি দেখি যে, এরপর ঐ লোকটি কুফরীর অবস্থাতেই মারা যায় । ঐ লোকটি ছিল উমাইয়া ইবনে খালফ।” কিন্তু এতে জটিলতা রয়েছে। তা এই যে, অন্য রিওয়াইয়াতে ঐ লোকটি উৎবা ইবনে রাবীআ নামে বর্ণিত হয়েছে। ১-৪ নং আয়াতের তাফসীর: হযরত শা'বী ( রঃ ) বলেন যে, সৃষ্টিকর্তা তার সৃষ্টবস্তুর যেটার ইচ্ছা সেটারই কসম খেতে পারেন, কিন্তু সৃষ্টজীব তার সৃষ্টিকর্তা ছাড়া আর কারো কসম খেতে পারে না।” ( এটা ইমাম ইবনে আবি হাতিম (রঃ ) বর্ণনা করেছেন)নক্ষত্রের অস্তমিত হওয়া দ্বারা ফজরের সময় সারিয়া তারকার অস্তমিত হওয়া বুঝানো হয়েছে। কারো কারো মতে এর দ্বারা যুহরা নামক তারকা উদ্দেশ্য। যহ্হাক ( রঃ ) বলেন যে, এর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো ওটা ঝরে গিয়ে শয়তানের দিকে ধাবিত হওয়া। এ উক্তিটির ভাল ব্যাখ্যা হতে পারে। মুজাহিদ ( রঃ ) বলেন যে, এই বাক্যটির তাফসীর হলোঃ শপথ কুরআনের যখন তা অবতীর্ণ হয়। এই আয়াতটি হলো আল্লাহ তা'আলার নিম্নের উক্তিগুলোর মতইঃ ( আরবী ) অর্থাৎ “ আমি শপথ করছি নক্ষত্ররাজির অস্তাচলের, অবশ্যই এটা এক মহা শপথ, যদি তোমরা জানতে । নিশ্চয়ই এটা সম্মানিত কুরআন, যা আছে সুরক্ষিত কিতাবে, যারা পূত পবিত্র তারা ব্যতীত অন্য কেউ তা স্পর্শ করে না। এটা জগত সমূহের প্রতিপালকের নিকট হতে অবতীর্ণ।” ( ৫৬:৭৫-৮০ )তারপর যে বিষয়ের উপর শপথ করেছেন তার বর্ণনা দেয়া হচ্ছে যে, নবী ( সঃ ) পুণ্য, সততা ও হিদায়াতের উপর রয়েছেন। তিনি সত্যের অনুসারী। তিনি অজ্ঞতা বশতঃ কোন ভুল পথে পরিচালিত নন বা জেনে শুনে কোন বক্র পথের পথিক নন। পথভ্রষ্ট খৃষ্টান এবং জেনে শুনে সত্যের বিরুদ্ধাচরণকারী ইয়াহুদীদের মত চরিত্র তাঁর নয়। তাঁর জ্ঞান পরিপূর্ণ, ইলম অনুযায়ী তাঁর আমল, তাঁর পথ সোজা ও সরল, তিনি আযীমুশ্মান শরীয়তের আইন রচয়িতা এবং তিনি সত্য মধ্যম পথের উপর দণ্ডায়মান। তাঁর কোন কথা ও আদেশ তার প্রবৃত্তি ও ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধির উদ্দেশ্যে হয় না। বরং আল্লাহ তা'আলা তাঁকে যে বিষয়ের তাবলীগের হুকুম করেন তা-ই তিনি তার মুখ দিয়ে বের করেন। সেখান হতে যা কিছু বলা হয় সেটাই তার মুখে উচ্চারিত হয়। আল্লাহর কথা ও হুকুমের কম বেশী করা হতে তাঁর কালাম পবিত্র। হযরত আবূ উমামা ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, তিনি রাসূলুল্লাহ ( সঃ )-কে বলতে শুনেছেনঃ “ নবী নয় এই রূপ একজন লোকের শাফাআতের দ্বারা দু’টি গোত্র বা দু'টি গোত্রের মধ্যে একটি গোত্রের সংখ্যার সমান লোক জান্নাতে যাবে । গোত্র দুটি হলো রাবীআহ ও মুযার।” তাঁর একথা শুনে একটি লোক তাকে জিজ্ঞেস করলোঃ “ হে আল্লাহর রাসূল ( সঃ )! রাবীআহ কি মুযারের অন্তর্ভুক্ত নয়?” উত্তরে তিনি বলেনঃ “আমি তো ওটাই বলছি যা আমি বলেছি ।( এ হাদীসটি ইমাম আহমাদ (রঃ ) স্বীয় মুসনাদে বর্ণনা করেছেন)হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর ( রাঃ ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) হতে যা শুনতাম তা লিখে নিতাম। অতঃপর কুরায়েশরা আমাকে এ কাজ করতে নিষেধ করে বললোঃ “ তুমি তো রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) হতে যা শুনছো তার সবই লিখে নিচ্ছ, অথচ তিনি তো একজন মানুষ । তিনি কখনো কখনো ক্রোধের বশবর্তী হয়ে কিছু বলে ফেলেন?” আমি তখন লিখা হতে বিরত থাকলাম এবং রাসূলুল্লাহ ( সঃ )-এর নিকট এটা উল্লেখ করলাম। রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) তখন আমাকে বললেনঃ “ তুমি আমার কথাগুলো লিখতে থাকো । আল্লাহর শপথ! সত্য কথা ছাড়া আমার মুখ দিয়ে অন্য কোন কথা বের হয় না।” ( এ হাদীসটি ইমাম আহমাদ (রঃ ), ইমাম আবু দাঊদ ( রঃ ) এবং ইমাম ইবনে আবি শায়বা ( রঃ ) বর্ণনা করেছেন)হযরত আবু হুরাইরা ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বলেছেনঃ আল্লাহ তা'আলার পক্ষ হতে আমি তোমাদেরকে যে খবর দিয়ে থাকি তাতে কোন সন্দেহ থাকতে পারে না ।( এ হাদীসটি হাফিয আবু বকর আল বাযযার (রঃ ) বর্ণনা করেছেন)হযরত আবু হুরাইরা ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বলেছেনঃ “ আমি সত্য ছাড়া কিছু বলি না ।” তখন কোন একজন সাহাবী তাঁকে বললেনঃ “ হে আল্লাহর রাসূল ( সঃ )! আপনি তো আমাদের সাথে রসিকতাও করে থাকেন?” উত্তরে তিনি বললেনঃ “তখনও আমি সত্য কথাই বলে থাকি ( রসিকতার সময়েও আমার মুখ দিয়ে মিথ্যা কথা বের হয় না )( এ হাদীসটি ইমাম আহমাদ (রঃ ) বর্ণনা করেছেন)

সূরা নাজ্ম আয়াত 4 সূরা

إن هو إلا وحي يوحى

سورة: النجم - آية: ( 4 )  - جزء: ( 27 )  -  صفحة: ( 526 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. অতঃপর যখন প্রতিশ্রুতি সেই প্রথম সময়টি এল, তখন আমি তোমাদের বিরুদ্ধে প্রেরণ করলাম আমার কঠোর
  2. তখন প্রত্যেকে জেনে নিবে সে কি অগ্রে প্রেরণ করেছে এবং কি পশ্চাতে ছেড়ে এসেছে।
  3. আর আপনি আমার সম্মুখে আমারই নির্দেশ মোতাবেক একটি নৌকা তৈরী করুন এবং পাপিষ্ঠদের ব্যাপারে আমাকে
  4. তুমি কি দেখ না যে, তারা প্রতি ময়দানেই উদভ্রান্ত হয়ে ফিরে?
  5. বাস্তব সত্য সেটাই যা তোমার পালনকর্তা বলেন। কাজেই তুমি সন্দিহান হয়ো না।
  6. এমনিভাবে, তাদের পূর্ববর্তীদের কাছে যখনই কোন রসূল আগমন করেছে, তারা বলছেঃ যাদুকর, না হয় উম্মাদ।
  7. উভয়ের মাঝখানে রয়েছে এক অন্তরাল, যা তারা অতিক্রম করে না।
  8. অতঃপর পাকড়াও করল তাদেরকে ভূমিকম্প। ফলে সকাল বেলায় নিজ নিজ গৃহে উপুড় হয়ে পড়ে রইল।
  9. তুমি আমার এই পত্র নিয়ে যাও এবং এটা তাদের কাছে অর্পন কর। অতঃপর তাদের কাছ
  10. ওরা উর্ধ্ব জগতের কোন কিছু শ্রবণ করতে পারে না এবং চার দিক থেকে তাদের প্রতি

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা নাজ্ম ডাউনলোড করুন:

সূরা Najm mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Najm শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত নাজ্ম  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত নাজ্ম  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত নাজ্ম  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত নাজ্ম  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত নাজ্ম  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত নাজ্ম  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত নাজ্ম  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত নাজ্ম  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত নাজ্ম  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত নাজ্ম  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত নাজ্ম  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত নাজ্ম  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত নাজ্ম  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত নাজ্ম  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত নাজ্ম  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত নাজ্ম  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত নাজ্ম  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত নাজ্ম  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত নাজ্ম  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত নাজ্ম  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত নাজ্ম  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত নাজ্ম  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত নাজ্ম  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত নাজ্ম  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত নাজ্ম  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Monday, November 18, 2024

Please remember us in your sincere prayers