কোরান সূরা সাবা আয়াত 45 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Saba ayat 45 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা সাবা আয়াত 45 আরবি পাঠে(Saba).
  
   

﴿وَكَذَّبَ الَّذِينَ مِن قَبْلِهِمْ وَمَا بَلَغُوا مِعْشَارَ مَا آتَيْنَاهُمْ فَكَذَّبُوا رُسُلِي ۖ فَكَيْفَ كَانَ نَكِيرِ﴾
[ سبأ: 45]

তাদের পূর্ববর্তীরাও মিথ্যা আরোপ করেছে। আমি তাদেরকে যা দিয়েছিলাম, এরা তার এক দশমাংশও পায়নি। এরপরও তারা আমার রাসূলগনকে মিথ্যা বলেছে। অতএব কেমন হয়েছে আমার শাস্তি। [সূরা সাবা: 45]

Surah Saba in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Saba ayat 45


আর এদের পূর্বে যারা ছিল তারাও মিথ্যারোপ করেছিল, আর আমরা তাদের যা দিয়েছিলাম তার এক দশমাংশেও এরা পৌঁছায় নি, তারপর তারা আমার রসূলগণকে প্রত্যাখ্যান করেছিল, ফলে কেমন হয়েছিল আমার বিতৃষ্ণা!


Tafsir Mokhtasar Bangla


৪৫. আপনার পূর্বের জাতিরা অবিশ্বাস করেছে যথা আদ, সামূদ ও লুত্ব সম্প্রদায়। আর আপনার সম্প্রদায়। তাদের শক্তি, প্রতাপ ও সম্পদ সংখ্যায় এক দশমাংশও নয় তদুপরি তাদের সম্পদ, ক্ষমতা ও সংখ্যা কোন উপকারে আসেনি। আমার শাস্তি তাদের উপর পতিত হয়েছে। অতএব, হে রসূল! আপনি দেখুন, কীভাবে তাদের উপর আমার অসন্তুষ্টি ও শাস্তি পতিত হয়েছে।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


এদের পূর্ববর্তীরাও মিথ্যা মনে করেছিল। ওদেরকে আমি যা দিয়েছিলাম এরা ( মক্কার অধিবাসীরা ) তার দশ ভাগের এক ভাগ পর্যন্তও পৌঁছেনি, তবুও ওরা আমার রসূলদেরকে মিথ্যাবাদী বলেছিল। সুতরাং কেমন ( ভয়ঙ্কর ) ছিল আমার প্রতিকার ( শাস্তি )! [১] [১] এখানে মক্কার কাফেরদেরকে সতর্ক করা হচ্ছে যে, তোমরা মিথ্যা ও অস্বীকার করার যে পথ অবলম্বন করেছ, তা দারুণ বিপজ্জনক। তোমাদের পূর্ববর্তী উম্মতরাও সেই পথ অবলম্বন করে ধ্বংস ও নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। অথচ তারা ধন-সম্পদ, বল ও শক্তি এবং বয়সের দিক থেকে তোমাদের থেকে অধিক ছিল, এমন কি তোমরা তাদের দশ ভাগের এক ভাগও পাওনি। কিন্তু তার পরেও তারা আল্লাহর শাস্তি থেকে রেহাই পায়নি। উক্ত বিষয়কে সূরা আহক্বাফের ৪৬:২৬ নং আয়াতে বর্ণনা করা হয়েছে।

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


আর তাদের পূর্ববতীরাও মিথ্যারোপ করেছিল। অথচ তাদেরকে আমরা যা দিয়েছিলাম, এরা ( মক্কাবাসীরা ) তার এক-দশমাংশও পায়নি, তারপরও তারা আমার রাসূলদের প্রতি মিথ্যারোপ করেছে। ফলে কেমন হয়েছিল আমার প্রত্যাখ্যান ( শাস্তি )!

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


৪৩-৪৫ নং আয়াতের তাফসীর: কাফিরদের ঐ দুষ্টুমি ও দুষ্কর্মের বর্ণনা দেয়া হচ্ছে যার কারণে তারা আল্লাহর কঠিন ও যন্ত্রণাদায়ক শাস্তির হকদার হয়েছে। তারা আল্লাহ তা'আলার তাজা ও টাকা কথা তার শ্রেষ্ঠ রাসূল ( সঃ )-এর মুখে শুনে থাকে। তা মেনে নেয়া ও ওর উপর আমল করা তো দূরের কথা, তারা পরস্পর বলাবলি করেঃ দেখো, তোমাদের পূর্বপুরুষ যার ইবাদত করতো এই ব্যক্তিই তো তার ইবাদতে তোমাদেরকে বাধা দিতে চায় এবং তার বাতিল চিন্তাধারার দিকে তোমাদেরকে আহ্বান করছে। এই কুরআন তার নিজের মনগড়া কিতাব, যা সে নিজেই তৈরী করে নিয়েছে। আর এটা তো যাদু এবং এটা যাদু হওয়া কোন গোপনীয় ব্যাপার নয়, বরং সম্পূর্ণরূপে প্রকাশমান।মহামহিমান্বিত আল্লাহ বলেনঃ আমি এদেরকে পূর্বে কোন কিতাব দিইনি যা এরা অধ্যয়ন করতো এবং তোমার পূর্বে এদের নিকট কোন সতর্ককারীও প্রেরণ করিনি। এজন্যে বহু দিন থেকে তারা আকাঙ্ক্ষা করে আসছিল যে, যদি আল্লাহর কোন রাসূল তাদের কাছে আসতেন এবং যদি আল্লাহর কিতাব তাদের উপর নাযিল করা হতো তবে তারা সবচেয়ে বেশী অনুগত এবং মান্যকারী হতো। কিন্তু আল্লাহ তা'আলা যখন তাদের মনের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূর্ণ করলেন তখন তারা। অবিশ্বাস ও অস্বীকার করে বসলো। তাদের পূর্ববর্তী উম্মতদের পরিণাম তাদের সামনে রয়েছে, যারা পার্থিব শক্তি এবং ধন-সম্পদে তাদের উপরে ছিল। এরা তো তাদের দশ ভাগের এক ভাগও লাভ করেনি। কিন্তু আল্লাহর আযাব এসে যাওয়ার পর তাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি কোন কাজে আসেনি। তাদের দৈহিক শক্তিও তাদের কোন উপকার করেনি। তাদেরকে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। যেমন আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ ( আরবী ) অর্থাৎ “ আমি তোমাদেরকে যে শক্তি সামর্থ্য দিয়েছি এর চেয়ে বেশী শক্তি সামর্থ্য তাদেরকে দিয়েছিলাম । তাদেরকে আমি কর্ণ, চক্ষু এবং হৃদয়ও দান করেছিলাম, কিন্তু আল্লাহর আয়াতসমূহ অস্বীকার করার কারণে তাদের উপর যে আযাব এসেছিল, সে সময় তাদের কর্ণ, চক্ষু ও হৃদয় তাদের কোনই উপকারে আসেনি। তারা যা নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রুপ করছিল তাই তাদেরকে পরিবেষ্টন করে ফেলে। এ লোকগুলো কি ভূ-পৃষ্ঠে ভ্রমণ করে তাদের পূর্ববর্তী লোকদের পরিণতি দেখে না যারা সংখ্যায় ও শক্তিতে তাদের ঊর্ধ্বে ছিল?”( ৪৬:২৬ ) ভাবার্থ এই যে, পূর্ববর্তী লোকদেরকে নবীদেরকে অবিশ্বাস করার কারণে জড়সহ উপড়িয়ে দেয়া হয়েছিল। সুতরাং এদের চিন্তা করে দেখা উচিত যে, আল্লাহ তাঁর রাসূলদেরকে কিভাবে সাহায্য করেছিলেন এবং কিভাবে মিথ্যা প্রতিপন্নকারীদেরকে তিনি স্বীয় আযাব দ্বারা ধ্বংস করে দিয়েছিলেন।

সূরা সাবা আয়াত 45 সূরা

وكذب الذين من قبلهم وما بلغوا معشار ما آتيناهم فكذبوا رسلي فكيف كان نكير

سورة: سبأ - آية: ( 45 )  - جزء: ( 22 )  -  صفحة: ( 433 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. আল্লাহর নিকট আসমান ও যমীনের কোন বিষয়ই গোপন নেই।
  2. অতঃপর সে প্রতিকার চেষ্টায় প্রস্থান করল।
  3. অবশেষে যখন আমার হুকুম এসে পৌঁছাল এবং ভুপৃষ্ঠ উচ্ছসিত হয়ে উঠল, আমি বললামঃ সর্বপ্রকার জোড়ার
  4. আর হে নবী (সাঃ), যারা ঈমান এনেছে এবং সৎকাজসমূহ করেছে, আপনি তাদেরকে এমন বেহেশতের সুসংবাদ
  5. আল্লাহ জুলুম করেন না মানুষের উপর, বরং মানুষ নিজেই নিজের উপর জুলুম করে।
  6. তারা আল্লাহর জন্যে কন্যা সন্তান নির্ধারণ করে-তিনি পবিত্র মহিমান্বিত এবং নিজেদের জন্যে ওরা তাই স্থির
  7. আল্লাহর সামনে তারা আপনার কোন উপকারে আসবে না। যালেমরা একে অপরের বন্ধু। আর আল্লাহ পরহেযগারদের
  8. যদি আমি কোন ফেরেশতাকে রসূল করে পাঠাতাম, তবে সে মানুষের আকারেই হত। এতেও ঐ সন্দেহই
  9. অতঃপর শয়তান তাকে কুমন্ত্রনা দিল, বললঃ হে আদম, আমি কি তোমাকে বলে দিব অনন্তকাল জীবিত
  10. তারা কি করে বুঝবে, অথচ তাদের কাছে এসেছিলেন স্পষ্ট বর্ণনাকারী রসূল।

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা সাবা ডাউনলোড করুন:

সূরা Saba mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Saba শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত সাবা  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত সাবা  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত সাবা  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত সাবা  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত সাবা  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত সাবা  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত সাবা  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত সাবা  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত সাবা  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত সাবা  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত সাবা  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত সাবা  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত সাবা  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত সাবা  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত সাবা  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত সাবা  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত সাবা  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত সাবা  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত সাবা  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত সাবা  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত সাবা  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত সাবা  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত সাবা  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত সাবা  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত সাবা  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Tuesday, September 17, 2024

Please remember us in your sincere prayers