কোরান সূরা বনী ইসরাঈল আয়াত 46 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Al Isra ayat 46 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা বনী ইসরাঈল আয়াত 46 আরবি পাঠে(Al Isra).
  
   

﴿وَجَعَلْنَا عَلَىٰ قُلُوبِهِمْ أَكِنَّةً أَن يَفْقَهُوهُ وَفِي آذَانِهِمْ وَقْرًا ۚ وَإِذَا ذَكَرْتَ رَبَّكَ فِي الْقُرْآنِ وَحْدَهُ وَلَّوْا عَلَىٰ أَدْبَارِهِمْ نُفُورًا﴾
[ الإسراء: 46]

আমি তাদের অন্তরের উপর আবরণ রেখে দেই, যাতে তারা একে উপলব্ধি করতে না পারে এবং তাদের কর্ণকুহরে বোঝা চাপিয়ে দেই। যখন আপনি কোরআনে পালনকর্তার একত্ব আবৃত্তি করেন, তখন ও অনীহাবশতঃ ওরা পৃষ্ট প্রদর্শন করে চলে যায়। [সূরা বনী ইসরাঈল: 46]

Surah Al-Isra in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Al Isra ayat 46


আর আমরা তাদের হৃদয়ের উপরে এক আবরণ দিয়ে দিয়েছি পাছে তারা এটি উপলব্ধি করতে পারে, আর তাদের কানে বধিরতা। আর যখন তুমি কুরআনে তোমার প্রভুব -- তাঁর একত্বের উল্লেখ কর তখন তারা তাদের পিঠ ঘুরিয়ে ফিরে যায় বিতৃষ্ণায়।


Tafsir Mokhtasar Bangla


৪৬. আর তাদের অন্তরের উপর এক আবরণ দিয়ে দেই যাতে তারা কুর‘আন বুঝতে না পারে। উপরন্তু তাদের কানগুলোকে ভারী করে দেই যাতে তারা লাভজনক কোন কিছু শুনতে না পায়। আর আপনি যখন কুর‘আনে এককভাবে আপনার প্রতিপালকের কথা উল্লেখ করেন এবং তাদের তথাকথিত মা’বূদগুলোর কথা উল্লেখ করেন না তখন তারা আল্লাহর জন্য নির্ভেজাল তাওহীদ সাব্যস্ত না করে বরং পশ্চাতে ফিরে যায়।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


আমি তাদের অন্তরের উপর আবরণ দিয়েছি, যেন তারা উপলব্ধি করতে না পারে এবং তাদের কানে বধিরতা দিয়েছি। আর যখন তুমি তোমার প্রতিপালকের একত্বের কথা কুরআনে উল্লেখ কর, তখন তারা পৃষ্ঠপ্রদর্শন করে সরে পড়ে। [১] [১] أَكِنَّةٌ হল, كِنَانٌ এর বহুবচন। এমন পর্দা, যা অন্তঃকরণে পড়ে। وَقْرٌ কানের এমন বোঝা বা ছিদ্র বন্ধ করার এমন জিনিস যা কুরআন শোনার পথে প্রতিবন্ধক হয়। অর্থাৎ, তাদের অন্তর কুরআন উপলব্ধি করতে অক্ষম এবং কান কুরআন শুনে হিদায়াত লাভ করতে অপারগ। আর আল্লাহর তাওহীদকে তারা এত ঘৃণা করে যে, তা শুনে পালিয়ে যায়। আল্লাহর সাথে এই কাজগুলোর সম্পর্ক কেবল সৃষ্টির দিক দিয়ে, অন্যথা হিদায়াত থেকে তাদের বঞ্চিত হওয়া তাদেরই অবাধ্যতার ফল।

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


আর আমরা তাদের অন্তরের উপর আবরণ রেখে দিয়েছি যেন তারা তা বুঝতে না পারে এবং তাদের কানে দিয়েছি বধিরতা; ‘আপনার রব এক’, এটা যখন আপনি কুরআন থেকে উল্লেখ করেন তখন তারা পিঠ দেখিয়ে সরে পড়ে []। [] অর্থাৎ আপনি যে একমাত্র আল্লাহকে নিজের রব গণ্য করেন, একমাত্র তাঁরই ইবাদাত করেন, তারা যাদের ভক্তি করে তাদের কোন কথা বলেন না, এটা তাদের কাছে বড়ই বিরক্তিকর ঠেকে। মানুষ কেবল আল্লাহর কথা বলতে থাকবে, বুযর্গদের কার্যকলাপের কোন কথা বলবে না, মাযার, পবিত্ৰস্থান ইত্যাদির অনুগ্রহ ও দাক্ষিণ্যলাভের কোন স্বীকৃতি দেবে না এবং তাদের উদ্দেশ্যে কোন প্রশংসাবাণীও নিবেদন করবে না, এ ধরনের আচরণ তাদের একদম পছন্দ নয়। কুরআনের অন্যান্য স্থানেও এ কথাটির প্রতিধ্বনি আমরা দেখতে পাই। যেমন অন্যত্র বলা হয়েছে যে, “ শুধু এক আল্লাহর কথা বলা হলে যারা আখিরাতে বিশ্বাস করে না তাদের অন্তর বিতৃষ্ণায় সংকুচিত হয় এবং আল্লাহর পরিবর্তে উপাস্যগুলোর উল্লেখ করা হলে তারা আনন্দে উল্লসিত হয়” । [ সূরা আয-যুমারঃ ৪৫ ] কাতাদা রাহেমাহুল্লাহ বলেন, মুসলিমরা যখন বলত: লাইলাহা ইল্লাল্লাহ ( আল্লাহ ব্যতীত কোন হক ইলাহ নেই ), তখন কাফেররা সেটা অস্বীকার করত। আর এটা তাদের কাছে বড় হয়ে দেখা দিত। অনুরূপভাবে তা ইবলীস ও তার দলবলকে ক্লিষ্ট করত। তখন আল্লাহ চাইলেন যে, তিনি তাঁর কালেমাকে প্রসার করবেন, উন্নত করবেন, সাহায্য করবেন এবং যারা এটার বিরোধিতা করবে তাদেরও বিপক্ষে এটাকেই বিজয়ী করবেন। [ ইবন কাসীর ]

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


৪৫-৪৬ নং আয়াতের তাফসীর আল্লাহ তাআলা বলেনঃ কুরআন পাঠের সময় তাদের অন্তরে পর্দা পড়ে যায়। কাজেই কুরআন তাদের অন্তরে মোটেই ক্রিয়াশীল হয় না। ঐ পর্দা তাদেরকে আচ্ছন্ন করে ফেলে। এখানে ( আরবি ) শব্দটি ( আরবি ) এর অর্থবোধক। যেমন ( আরবি )( আরবি ) যথাক্রমে ( আরবি ) এবং ( আরবি ) এর অর্থবোধক। এ পর্দা যদিও বাহ্যতঃ দেখা যায় না, কিন্তু হিদায়াতের মধ্যে ও তাদের মধ্যে আল্লাহ তাআ’লী পৃথককারী হয়ে যান। মুসনাদে আবি ইয়ালা মুসিলীর মধ্যে বর্ণিত আছে যে, যখন ( আরবি ) সূরাটি অবতীর্ণ হয় তখন ( আবু লাহাবের স্ত্রী ) উম্মে জামীল একটি তীক্ষ্ণ পাথর হাতে নিয়ে এই নিন্দিত ব্যক্তিকে আমরা মানবো না’ একথা চীৎকার করে বলতে বলতে আসে। সে আরো বলেঃ তার দ্বীন আমাদের কাছে পছন্দনীয় নয়। আমরা তার ফরমানের বিরোধী। এ সময় রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বসে ছিলেন। হযরত আবু বকর ( রাঃ ) তাঁর পাশেই ছিলেন। তিনি তাঁকে বলেনঃ “ হে আল্লাহর রাসূল ( সঃ )! সে তো আসছে! আপনাকে দেখে ফেলবে?” উত্তরে তিনি বলেনঃ “নিশ্চিন্ত থাকো । সে আমাকে দেখতে পাবে না।” অতঃপর তিনি তার থেকে রক্ষা পাওয়ার উদ্দেশ্যে কুরআন পাঠ শুরু করে দেন। এই আয়াতটিই তিনি পাঠ করেন। সে এসে হযরত আবু বকরকে ( রাঃ ) জিজ্ঞেস করেঃ “ আমি শুনেছি যে, তোমাদের নবী ( সঃ ) নাকি আমার দুনমি করেছে?” তিনি উত্তরে বলেনঃ “না, না । কা’বার প্রতিপালকের শপথ! তিনি তোমার কোন দুর্নাম বা নিন্দা করেন নাই।” সে সমস্ত কুরায়েশ জানে যে, আমি তাদের নেতার কন্যা’ একথা বলতে বলতে ফিরে গেল। ( আরবি ) শব্দটি ( আরবি ) শব্দের বহুবচন। ঐ পর্দা তাদের অন্তরকে আচ্ছন্ন করে রেখেছে, যার কারণে তারা কুরআন বুঝতে পারে না। তাদের কানে বধিরতা রয়েছে, যার কারণে তারা তা এমনভাবে শুনতে পায় না যাতে তাদের উপকার হয়।মহান আল্লাহ স্বীয় নবীকে ( সঃ ) বলছেনঃ হে নবী ( সঃ )! যখন তুমি কুরআনের এ অংশ পাঠ কর যাতে আল্লাহর একত্বের বর্ণনা রয়েছে তখন তারা পলাতে শুরু করে। ( আরবি ) শব্দটি ( আরবি ) শব্দের বহুবচন , যেমন ( আরবি ) শব্দের বহু বচন এসে থাকে। আবার এও হতে পারে যে, এটা ক্রিয়া ছাড়াই ধাতুমূল রূপে ব্যবহৃত হয়েছে। এ সব ব্যাপারে আল্লাহ তাআলাই সঠিক জ্ঞানের অধিকারী।যেমন অন্য আয়াতে রয়েছেঃ “ একক আল্লাহর বর্ণনায় বেঈমান লোকদের মন বিরক্ত হয়ে ওঠে ।” মুসলমানদের “ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' পাঠ মুশরিকদের মন বিষিয়ে তোলে । ইবলীস এবং তাঁর সেনাবাহিনী এতে খুবই বিরক্ত হতো ও এটাকে প্রতিহত করার চেষ্টা করতো। কিন্তু আল্লাহর ইচ্ছা ছিল তাদের বিপরীত। তিনি চান তার এই কালেমাকে সমুন্নত করতঃ এটাকে চতুর্দিকে ছড়িয়ে দিতে। এটা এমন একটি কালেমা যে, এর উক্তিকারী সফলকাম হয় এবং এর উপর আমলকারী সাহায্যপ্রাপ্ত হয়ে থাকে। দেখো, এই উপদ্বীপের অবস্থা তোমাদের চোখের সামনে রয়েছে, এখান থেকে ওখান পর্যন্ত এই পবিত্র কালেমা ছড়িয়ে পড়েছে। একথাও বলা হয়েছে যে, এর দ্বারা শয়তানদের পলায়নকে বুঝানো হয়েছে। একথাও সঠিকই বটে যে, আল্লাহ তাআলার যিকর হতে, আযান হতে এবং কুরআন পাঠ হতে শয়তান পলায়ন করে থাকে। কিন্তু এই আয়াতের এই তাফসীর করা গারাবাত বা দুর্বলতা মুক্ত নয়।

সূরা বনী ইসরাঈল আয়াত 46 সূরা

وجعلنا على قلوبهم أكنة أن يفقهوه وفي آذانهم وقرا وإذا ذكرت ربك في القرآن وحده ولوا على أدبارهم نفورا

سورة: الإسراء - آية: ( 46 )  - جزء: ( 15 )  -  صفحة: ( 286 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. তিনি নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের আদি স্রষ্টা। কিরূপে আল্লাহর পুত্র হতে পারে, অথচ তাঁর কোন সঙ্গী
  2. এবং তাদের পূর্বে নূহের সম্প্রদায়কে, তারা ছিল আরও জালেম ও অবাধ্য।
  3. আমি যালেমদের জন্যে একে বিপদ করেছি।
  4. অতঃপর তিনি সেখান থেকে ভীত অবস্থায় বের হয়ে পড়লেন পথ দেখতে দেখতে। তিনি বললেন, হে
  5. নিশ্চয় এতে নিদর্শন আছে এবং তাদের অধিকাংশই বিশ্বাসী নয়।
  6. আর এই জনপদের অধিবাসীরা কি নিশ্চিন্ত হয়ে পড়েছে যে, তাদের উপর আমার আযাব দিনের বেলাতে
  7. যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহ তাআলার যিনি সকল সৃষ্টি জগতের পালনকর্তা।
  8. হে নবী, আপনার জন্য এবং যেসব মুসলমান আপনার সাথে রয়েছে তাদের সবার জন্য আল্লাহ যথেষ্ট।
  9. আমি যদি তাদের কাছে ফেরেশতাদেরকে অবতারণ করতাম এবং তাদের সাথে মৃতরা কথাবার্তা বলত এবং আমি
  10. তারা তাদের উপর পরাক্রমশালী তাদের পালনকর্তাকে ভয় করে এবং তারা যা আদেশ পায়, তা করে

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা বনী ইসরাঈল ডাউনলোড করুন:

সূরা Al Isra mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Al Isra শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত বনী ইসরাঈল  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত বনী ইসরাঈল  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত বনী ইসরাঈল  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত বনী ইসরাঈল  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত বনী ইসরাঈল  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত বনী ইসরাঈল  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত বনী ইসরাঈল  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত বনী ইসরাঈল  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত বনী ইসরাঈল  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত বনী ইসরাঈল  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত বনী ইসরাঈল  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত বনী ইসরাঈল  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত বনী ইসরাঈল  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত বনী ইসরাঈল  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত বনী ইসরাঈল  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত বনী ইসরাঈল  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত বনী ইসরাঈল  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত বনী ইসরাঈল  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত বনী ইসরাঈল  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত বনী ইসরাঈল  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত বনী ইসরাঈল  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত বনী ইসরাঈল  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত বনী ইসরাঈল  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত বনী ইসরাঈল  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত বনী ইসরাঈল  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Friday, November 22, 2024

Please remember us in your sincere prayers