কোরান সূরা ইউসুফ আয়াত 88 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Yusuf ayat 88 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা ইউসুফ আয়াত 88 আরবি পাঠে(Yusuf).
  
   

﴿فَلَمَّا دَخَلُوا عَلَيْهِ قَالُوا يَا أَيُّهَا الْعَزِيزُ مَسَّنَا وَأَهْلَنَا الضُّرُّ وَجِئْنَا بِبِضَاعَةٍ مُّزْجَاةٍ فَأَوْفِ لَنَا الْكَيْلَ وَتَصَدَّقْ عَلَيْنَا ۖ إِنَّ اللَّهَ يَجْزِي الْمُتَصَدِّقِينَ﴾
[ يوسف: 88]

অতঃপর যখন তারা ইউসুফের কাছে পৌঁছল তখন বললঃ হে আযীয, আমরা ও আমাদের পরিবারবর্গ কষ্টের সম্মুখীন হয়ে পড়েছি এবং আমরা অপর্যাপ্ত পুঁজি নিয়ে এসেছি। অতএব আপনি আমাদের পুরোপুরি বরাদ্দ দিন এবং আমাদের কে দান করুন। আল্লাহ দাতাদেরকে প্রতিদান দিয়ে থাকেন। [সূরা ইউসুফ: 88]

Surah Yusuf in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Yusuf ayat 88


তারপর তারা যখন তাঁর দরবারে দাখিল হল তখন বলল -- ''ওহে প্রধান! আমাদের ও আমাদের পরিবার-পরিজনের উপরে দুর্দিন এসে পড়েছে, আর আমরা সামান্য দ্রব্যমূল্য নিয়ে এসেছি, সেজন্যে আমাদের পূর্ণমাত্রায় দিন এবং আমাদের প্রতি দানখয়রাত করুন। নিঃসন্দেহ আল্লাহ্ দানশীলদের পুরস্কার দিয়ে থাকেন।’’


Tafsir Mokhtasar Bangla


৮৮. তারা নিজেদের পিতার আদেশ মান্য করলো এবং ইউসুফ ( আলাইহিস-সালাম ) ও তাঁর ভাইয়ের অনুসন্ধানে বের হয়ে গেলো। যখন তারা ইউসুফ ( আলাইহিস-সালাম ) এর নিকট প্রবেশ করলো তখন তারা তাঁকে বললো: দরিদ্রতা ও দুঃখ-কষ্ট আমাদেরকে পেয়ে বসেছে। আর আমরা অতি নগণ্য পণ্যমূল্য নিয়ে আপনার কাছে উপস্থিত হয়েছি। তাই আপনি আমাদেরকে পরিপূর্ণরূপে খাদ্য মেপে দিন যেমনিভাবে আপনি আমাদেরকে ইতিপূর্বে দিতেন। আর আমাদের নগণ্য পণ্যমূল্যের দিকে না তাকিয়ে আমাদের উপর আরেকটু বাড়তি অনুদান দিন। নিশ্চয়ই আল্লাহ তা‘আলা অনুগ্রহকারীদেরকে উত্তম প্রতিদান দিবেন।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


যখন তারা তার নিকট উপস্থিত হল[১] তখন বলল, ‘হে আযীয! আমরা ও আমাদের পরিবার-পরিজন বিপন্ন হয়ে পড়েছি[২] এবং আমরা তুচ্ছ পণ্য নিয়ে এসেছি; আপনি আমাদের রসদ পূর্ণ মাত্রায় দিন[৩] এবং আমাদেরকে দান করুন; [৪] নিশ্চয় আল্লাহ দানীদেরকে প্রতিদান দিয়ে থাকেন।’ [১] তাঁদের মিসর আগমনের এটা তৃতীয় দফা ছিল। [২] অর্থাৎ শস্য নেবার জন্য আমরা যে পরিমাণ পণ্যমূল্য ( পুঁজি ) নিয়ে এসেছি, তা অতি অল্প ও নগণ্য। [৩] অর্থাৎ আমাদের অল্প পুঁজির দিকে লক্ষ্য না করে আমাদেরকে এর পরিবর্তে পূর্ণ মাপ দিন। [৪] অর্থাৎ আমাদের এই অল্প পুঁজি গ্রহণ করে আমাদের প্রতি অনুগ্রহ ও খয়রাত করুন। কোন কোন ব্যাখ্যাকারী এর অর্থ করেছেন যে, আমাদের ভাই বিনয়্যামীনকে ছেড়ে দিয়ে আমাদের প্রতি অনুগ্রহ করুন।

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


অতঃপর যখন তারা ইউসুফের কাছে উপস্থিত হল তখন তারা বলল, ‘হে ‘আযীয! আমরা ও আমাদের পরিবার-পরিজন বিপন্ন হয়ে পড়েছি এবং আমরা তুচ্ছ পুঁজি নিয়ে এসেছি []; আপনি আমাদের রসদ পূর্ণ মাত্রায় দিন এবং আমাদের প্রতি অনুগ্রহ করুন []; নিশ্চয়ই আল্লাহ্‌ অনুগ্রহকারীদের পুরস্কৃত করেন []।’ [] অর্থাৎ ইউসুফ-ভ্রাতারা যখন পিতার নির্দেশ মোতাবেক মিসরে পৌঁছল এবং আযীযে-মিসরের সাথে সাক্ষাত করল, তখন নিতান্ত কাতরভাবে কথাবার্তা শুরু করল। নিজেদের দারিদ্র্যতা ও নিঃস্বতা প্রকাশ করে বলতে লাগলঃ হে আযীয! দুর্ভিক্ষের কারণে আমরা পরিবারবর্গ নিয়ে খুবই কষ্টে আছি। এমনকি এখন খাদ্যশস্য কেনার জন্য আমাদের কাছে উপযুক্ত মূল্যও নেই। আমরা অপারগ হয়ে কিছু অকেজো বস্তু খাদ্যশস্য কেনার জন্য নিয়ে এসেছি। আপনি নিজ চরিত্রগুণে এসব অকেজো বস্তু কবূল করে নিন এবং এর পরিবর্তে আমাদেরকে পুরোপুরি খাদ্যশস্য দিয়ে দিন, যা উত্তম মূল্যের বিনিময়ে দেয়া হয়। আগে যেভাবে প্রদান করতেন। [ ইবন কাসীর ] বলাবাহুল্য, আমাদের কোন অধিকার নেই। আপনি সদকা মনে করেই দিয়ে দিন। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ তা'আলা সদকাদাতাকে উত্তম পুরস্কার দান করেন। অকেজো বস্তুগুলো কি ছিল, কুরআন ও হাদীসে তার কোন সুস্পষ্ট বর্ণনা নেই। তাফসীরবিদগণের উক্তি বিভিন্নরূপ। [ দেখুন, কুরতুবী; ইবন কাসীর ] কুরআনে যে শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে, তা হচ্ছে ( مُزْجَاةٍ )। এর আসল অর্থ এমন বস্তু, যা নিজে সচল নয়; বরং জোরজবরদস্তি সচল করতে হয়। [ কুরতুবী; ইবন কাসীর ] [] এখানে সদকা শব্দ দ্বারা কি বোঝানো হয়েছে, এ ব্যাপারে বিভিন্ন মত রয়েছে-কারো কারো মতে এখানে সদকা দ্বারা দানকেই বোঝানো হয়েছে। কারণ, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর পূর্বে অন্যান্য নবীদের উপর তা হারাম ছিল না। [ ইবন কাসীর ] অপর কোন কোন মুফাসসির এখানে সদকা দ্বারা দান উদ্দেশ্য না নেয়ার পক্ষে মত ব্যক্ত করেছেন। তাদের মতে এখানে সদকা শব্দ দ্বারা সত্যিকারের সদকা বোঝানো হয়নি; বরং কারবারে সুযোগ-সুবিধা ও ছাড় দেয়াকেই ‘সদকা’ শব্দ দ্বারা ব্যক্ত করা হয়েছে। কেননা, তারা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে খাদ্যশস্যের সওয়াল করেনি; বরং কিছু অকেজো বস্তু পেশ করেছিল। অনুরোধের সারমর্ম ছিল এই যে, এসব স্বল্প মূল্যের বস্তু রেয়াত করে গ্রহণ করুন। [ কুরতুবী ] [] আল্লাহ্ তা'আলা সদকাদাতাদেরকে উত্তম প্রতিদান দেন। এ সম্পর্কে বিস্তারিত বিবরণ এই যে, সদকার এক প্রতিদান হচ্ছে ব্যাপক, যা মুমিন ও কাফের নির্বিশেষে সবাই দুনিয়াতেই পায় এবং তা হচ্ছে বিপদাপদ দূর হওয়া। অপর একটি প্রতিদান শুধু আখেরাতেই পাওয়া যাবে, অর্থাৎ জান্নাত। এটা শুধু ঈমানদারদের প্রাপ্য। এখানে আযীযে-মিসরকে সম্বোধন করা হয়েছে। ইউসুফ-ভ্রাতারা হয়তবা তখনো পর্যন্ত জানত না যে, তিনি ঈমানদার না কাফের। তাই তারা এমন ব্যাপক বাক্য বলেছে, যাতে ইহকাল ও পরকাল -উভয়কালই বোঝা যায়। এছাড়া এখানে বাহ্যতঃ আযীযে-মিসরকে সম্বোধন করে বলা উচিত ছিল যে, ‘আপনাকে আল্লাহ্ তা'আলা উত্তম প্রতিদান দেবেন।’ কিন্তু তারা হয়ত জানত না যে, আযীযে-মিসর ঈমানদার। তাই সদকাদাতা মাত্রকেই আল্লাহ্ তা'আলা প্রতিদান দিয়ে থাকেন, এরূপ ব্যাপক ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে, বিশেষভাবে তিনিই প্রতিদান পাবেন- এমন বলা হয়নি। [ কুরতুবী ]

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


৮৭-৮৮ নং আয়াতের তাফসীর হযরত ইয়াকুব ( আঃ ) স্বীয় পুত্রদেরকে আদেশ করছেনঃ “ হে আমার প্রিয় বৎসগণ! তোমরা এদিক ওদিক গমন কর এবং ইউসুফ ( আঃ )ও বিনইয়ামীনের খোঁজ কর ।” আরবী ভাষায় ( আরবি ) শব্দটি ভাল অনুসন্ধান করার ব্যাপারে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। আর মন্দ অনুসন্ধানের ব্যাপারে ব্যবহৃত হয় ( আরবি ) শব্দটি। এর সাথে সাথেই তিনি পুত্রদেরকে বলেন: আল্লাহর সত্ত্বা থেকে নিরাশ হয়ে যেয়ো না । তাঁর করুণা ও রহমত থেকে কাফিররা ছাড়া আর কেউই নিরাশ হয় না। তোমরা তাদের অনুসন্ধান বন্ধ করে দিয়ো না। আল্লাহর নিকট তোমরা ভাল আশা কর। তোমরা নিজেদের চেষ্টা চালিয়ে যাও।”পিতার উপদেশ ক্রমে তাঁরা যাত্রা শুরু করে মিসরে পৌঁছে গেলেন। হযরত ইউসুফের ( আঃ ) সামনে হাজির হয়ে তাঁরা নিজেদের দুরাবস্থার কথা প্রকাশ করলেন। তারা বললেনঃ “ দুর্ভিক্ষের কবলে পড়ে আমরা ধ্বংসের মুখোমুখি হয়ে গেছি । আমাদের কাছে এমন কিছুই নেই যার দ্বারা আমরা খাদ্য ক্রয় করতে পারি। আমাদের কাছে খারাপ, মেকী, ত্রুটিযুক্ত এবং মূল্য হতে পারে না, এরূপ সামান্য কিছু রয়েছে। এগুলো নিয়েই আমরা আপনার কাছে এসেছি। যদিও এগুলো খাদ্যের বিনিময় হতে পারে না, তথাপি আমরা কামনা করছি যে, আপনি আমাদেরকে ওগুলোই প্রদান করবেন: যেগুলো সঠিক ও পূর্ণ মূল্যের বিনিময়ে দেয়া হয়ে থাকে। আমরা আশা রাখছি যে, আপনি আমাদের বোঝা পূর্ণ করবেন এবং আমাদের বস্তা ভর্তি করে দেবেন।” হযরত ইবনু মাসউদের ( রাঃ ) কিরআতে ( আরবি ) এর স্থলে ( আরবি ) রয়েছে। অর্থাৎ আপনি আমাদের উট খাদ্য দ্বারা বোঝাই করে দিন।অথবা ভাবার্থ হচ্ছে : এই খাদ্য আমাদেরকে আমাদের এই মালের বিনিময়ে নয়, বরং দান হিসেবে প্রদান করুন! হযরত সুফইয়ান ইবনু উয়াইনাকে ( রাঃ ) প্রশ্ন করা হয়ঃ “ আমাদের নবীর ( সঃ ) পূর্বেও কি কোন নবীর উপর সাদকা হারাম ছিল?” উত্তরে তিনি এই আয়াতটিই পাঠ করে দলীল হিসাবে বলেনঃ “না, ইতিপূর্বে অন্য কোন নবীর উপর সাদকা হারাম হয় নাই ।”হযরত মুজাহিদকে ( রঃ ) প্রশ্ন করা হয়ঃ “ কোন ব্যক্তি তার প্রার্থনায় হে আল্লাহ! আমার উপর সাদকা করুন, একথা বলা কি মাকরূহ?” তিনি উত্তরে বলেনঃ “হ্যাঁ । কেননা, ‘সাদকা’ সেই করে থাকে যে সাওয়াব চায়।”

সূরা ইউসুফ আয়াত 88 সূরা

فلما دخلوا عليه قالوا ياأيها العزيز مسنا وأهلنا الضر وجئنا ببضاعة مزجاة فأوف لنا الكيل وتصدق علينا إن الله يجزي المتصدقين

سورة: يوسف - آية: ( 88 )  - جزء: ( 13 )  -  صفحة: ( 246 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. আজ তোমাদের জন্য পবিত্র বস্তুসমূহ হালাল করা হল। আহলে কিতাবদের খাদ্য তোমাদের জন্যে হালাল এবং
  2. এবং সকাল-সন্ধ্যায় আপন পালনকর্তার নাম স্মরণ করুন।
  3. নিশ্চয় যাক্কুম বৃক্ষ
  4. সন্তান বললঃ আমি তো আল্লাহর দাস। তিনি আমাকে কিতাব দিয়েছেন এবং আমাকে নবী করেছেন।
  5. এরা যে, কাজে নিয়োজিত রয়েছে তা ধ্বংস হবে এবং যা কিছু তারা করেছে তা যে
  6. কেয়ামতের দিন তাদের সবাই তাঁর কাছে একাকী অবস্থায় আসবে।
  7. অতঃপর যখন তিনি আগুনের কাছে পৌছলেন, তখন আওয়াজ আসল হে মূসা,
  8. এবং আমরা প্রতিফল দিবসকে অস্বীকার করতাম।
  9. এবং যখন তারা আসবাবপত্র খুলল, তখন দেখতে পেল যে, তাদেরকে তাদের পন্যমুল্য ফেরত দেয়া হয়েছে।
  10. তারা বলবেঃ আমরা নামায পড়তাম না,

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা ইউসুফ ডাউনলোড করুন:

সূরা Yusuf mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Yusuf শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত ইউসুফ  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত ইউসুফ  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত ইউসুফ  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত ইউসুফ  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত ইউসুফ  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত ইউসুফ  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত ইউসুফ  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত ইউসুফ  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত ইউসুফ  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত ইউসুফ  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত ইউসুফ  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত ইউসুফ  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত ইউসুফ  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত ইউসুফ  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত ইউসুফ  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত ইউসুফ  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত ইউসুফ  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত ইউসুফ  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত ইউসুফ  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত ইউসুফ  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত ইউসুফ  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত ইউসুফ  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত ইউসুফ  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত ইউসুফ  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত ইউসুফ  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Sunday, May 19, 2024

لا تنسنا من دعوة صالحة بظهر الغيب