কোরান সূরা ইউনুস আয়াত 47 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Yunus ayat 47 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা ইউনুস আয়াত 47 আরবি পাঠে(Yunus).
  
   

﴿وَلِكُلِّ أُمَّةٍ رَّسُولٌ ۖ فَإِذَا جَاءَ رَسُولُهُمْ قُضِيَ بَيْنَهُم بِالْقِسْطِ وَهُمْ لَا يُظْلَمُونَ﴾
[ يونس: 47]

আর প্রত্যেক সম্প্রদায়ের একেকজন রসূল রয়েছে। যখন তাদের কাছে তাদের রসূল ন্যায়দন্ডসহ উপস্থিত হল, তখন আর তাদের উপর জুলুম হয় না। [সূরা ইউনুস: 47]

Surah Yunus in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Yunus ayat 47


আর প্রত্যেক জাতির জন্যে একজন রসূল, অতএব যখন তাদের রসূল এসেছিলেন তখন ন্যায়-বিচারের সাথে ওদের মধ্যে মীমাংসা হয়েছে, আর তাদের প্রতি অন্যায় করা হয় নি।


Tafsir Mokhtasar Bangla


৪৭. পূর্ববর্তী উম্মতদের প্রত্যেকের নিকটই একজন রাসূল পাঠানো হয়েছে। অতঃপর যখন তিনি তাঁকে যা পৌঁছানোর আদেশ করা হয়েছে তা তাঁর উম্মতকে পৌঁছিয়ে দিয়েছেন এবং তারা তাঁকে এ ব্যাপারে মিথ্যুক বলেছে তখন তিনি তাঁর ও তাঁর উম্মতের মাঝে ইনসাফের ফায়সালা করেন। আল্লাহ তাঁকে নিজ দয়ায় মুক্তি দিয়েছেন এবং ওদেরকে নিজ ইনসাফে ধ্বংস করেছেন। তাদের আমলসমূহের প্রতিদানের ক্ষেত্রে তাদের প্রতি সামান্যটুকুও যুলুম করা হবে না।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


প্রত্যেক উম্মতের জন্য এক একজন রসূল ছিল। সুতরাং যখন তাদের রসূল এসেছে, তখন ন্যায়ভাবে তাদের ফায়সালা করা হয়েছে,[১] আর তাদের প্রতি কোন অবিচার করা হয়নি। [১] এর একটি অর্থ এই যে, সকল জাতির নিকট আমি রসূল প্রেরণ করেছি। আর যখন রসূল তার তবলীগের দায়িত্ব পূর্ণ করে দিত, তখন আমি তাদের মাঝে ইনসাফের সাথে ফায়সালা করে দিতাম। অর্থাৎ, পয়গম্বর ও তাঁর প্রতি ঈমান আনয়নকারীদেরকে বাঁচিয়ে নিতাম আর অন্যান্যদেরকে ধ্বংস করে দিতাম। কারণ, ( وَمَا كُنَّا مُعَذِّبِينَ حَتَّى نَبْعَثَ رَسُولًا ) অর্থাৎ, " কোন রসূল না পাঠানো পর্যন্ত আমি কাউকেই শাস্তি প্রদান করি না। " ( সূরা ইসরা' ১৭:১৫ ) আর এই ফায়সালাতে তাদের প্রতি কোন রকম অবিচার ও অত্যাচার হয় না। কারণ অত্যাচার তখনই হবে, যখন কোন গুনাহ ছাড়া তাদের উপর শাস্তি অবতীর্ণ করা হবে। অথবা কোন পূর্ণ প্রমাণ পেশ করা ছাড়াই তাদেরকে পাকড়াও করা হবে। ( ফাতহুল কাদীর ) এর দ্বিতীয় অর্থ এই বর্ণনা করা হয়েছে যে, এর সম্পর্ক হচ্ছে কিয়ামতের দিনের সাথে। অর্থাৎ কিয়ামতের দিন সমস্ত উম্মত যখন আল্লাহর দরবারে উপস্থিত হবে, তখন সেই উম্মতের প্রতি প্রেরিত রসূলও তাদের সাথে থাকবেন, সকলের আমলনামাও থাকবে এবং সাক্ষী স্বরূপ ফিরিশতাগণও উপস্থিত হবেন এবং এইভাবে সমস্ত উম্মত ও তাদের রসূলের মাঝে ইনসাফের সাথে ফায়সালা করা হবে। হাদীসে বর্ণিত হয়েছে যে, উম্মতে মুহাম্মাদীর ফায়সালা সর্বপ্রথম করা হবে। যেমন নবী ( সাঃ ) বলেন," যদিও আমরা সর্বশেষে এসেছি, কিন্তু কিয়ামতের দিন সকলের অগ্রভাগে থাকব এবং সমস্ত সৃষ্টির আগেই আমাদের ফায়সালা করা হবে। " ( মুসলিম, তাফসীর ইবনে কাসীর )

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


আর প্রত্যেক উম্মতের জন্য আছে একজন রাসূল [] অতঃপর যখন তাদের রাসূল আসে তখন তাদের মধ্যে ন্যায়ভিত্তিক মীমাংসা করা হয় এবং তাদের প্রতি যুলুম করা হয় না []। [] বলা হয়েছে, “ প্রত্যেক উম্মতের জন্য একজন রাসূল রয়েছে ।” এ ধরনের আয়াত আরো দেখুন, সূরা আন-নাহলঃ ৩৬, সূরা ফাতেরঃ ২৪। এখানে আরেকটি বিষয় গুরুত্বের দাবী রাখে তা হলো, আল্লাহ তা'আলা যদিও রাসূলকে সার্বজনিন করেছেন তারপরও তিনি প্রত্যেক সম্প্রদায়ের কাছে হেদায়াতকারীদের প্রেরণ করে থাকেন। তারা নবী বা রাসূল না হলেও নবী-রাসূলদের বাণী বিভিন্ন সম্প্রদায়ের কাছে বহন করে থাকেন। এ ব্যাপারে সূরা রা'দ এর ৭ নং আয়াতে এসেছে যে, "প্রত্যেক সম্প্রদায়ের জন্য হেদায়াতকারী বা পথপ্রদর্শক আছেন"। [] এর অর্থ হচ্ছে, রাসূলের দাওয়াত কোন মানব গোষ্ঠীর কাছে পৌঁছে যাওয়ার পর ধরে নিতে হবে যে, সেই গোষ্ঠীর হেদায়াতের জন্য আল্লাহর যা কিছু করণীয় ছিল, তা করা হয়ে গেছে। এরপর কেবল ফায়সালা করাই বাকি থেকে যায়। অতিরিক্ত যুক্তি বা সাক্ষ্য-প্রমাণের অবকাশ থাকে না। আর চূড়ান্ত ইনসাফ সহকারে এ ফায়সালা করা হয়ে থাকে। যারা রসূলের কথা মেনে নেয় এবং নিজেদের নীতি ও মনোভাব পরিবর্তন করে তারা আল্লাহর রহমত লাভের অধিকারী হয়। আর যারা তাঁর কথা মেনে নেয় না তারা শাস্তি লাভের যোগ্য হয়। তাদেরকে এ শাস্তি দুনিয়া ও আখেরাত উভয় জায়গায় দেয়া যেতে পারে বা এক জায়গায়। তাদের কাছে রাসূল এ জন্যই পাঠাতে হয়, কারণ আল্লাহ্ তা'আলা রাসূল না পাঠিয়ে, মানুষদেরকে সাবধান না করে কাউকে শাস্তি দেন না। আল্লাহ বলেন, “ আর আমরা রাসূল না পাঠানো পর্যন্ত শাস্তি প্রদানকারী নই ।" [ সূরা আল-ইসরা ১৫ ][ দেখুন, ফাতহুল কাদীর ] তাছাড়া এ আয়াতের আরেক প্রকার ব্যাখ্যাও বর্ণিত হয়েছে, মুজাহিদ রাহেমাহুল্লাহ বলেনঃ এখানে রাসূলদের আগমন করার অর্থঃ কিয়ামতের দিন হাশরের মাঠে তাদের আগমণের কথা বুঝানো হয়েছে। যেমনটি সূরা আয-যুমারের ৬৯ নং আয়াতে বর্ণিত হয়েছেঃ “ যমীন তার প্রতিপালকের জ্যোতিতে উদ্ভাসিত হবে, 'আমলনামা পেশ করা হবে এবং নবীগণকে ও সাক্ষীগণকে উপস্থিত করা হবে এবং সকলের মধ্যে ন্যায় বিচার করা হবে ও তাদের প্রতি যুলুম করা হবে না” । সুতরাং প্রত্যেক উম্মতের আমলনামাই তাদের নবী-রাসূলদের উপস্থিতিতে পেশ করা হবে। তাদের ভাল-মন্দ আমল তাদের সাক্ষ্য হিসেবে বিবেচিত হবে। অনুরূপভাবে আমল সংরক্ষণকারী ফিরিশ্‌তাগণদের মধ্য থেকেও সাক্ষী থাকবে। এভাবেই উম্মতের পর উম্মতের মধ্যে ফয়সালা করা হবে। উম্মতে মুহাম্মাদীয়ারও একই অবস্থা হবে তবে তারা সবশেষে আসা সত্বেও সর্বপ্রথম তাদের হিসাব-নিকাশ করা হবে। হাদীস শরীফে এসেছে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “ আমরা সবশেষে আগমণকারী তবে কিয়ামতের দিন সবার অগ্রে থাকব । [ বুখারীঃ ৮৭৬ ] অপর হাদীসে এসেছে, “ সমস্ত সৃষ্টিজগতের পূর্বে তাদের বিচার-ফয়সালা করা হবে" । [ মুসলিমঃ ৮৫৫ ]

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


৪৬-৪৭ নং আয়াতের তাফসীর: আল্লাহ তা'আলা স্বীয় রাসূল ( সঃ )-কে সম্বোধন করে বলছেন-হে রাসূল ( সঃ )! তোমার মনে শান্তি আনয়নের জন্যে যদি তোমার জীবদ্দশাতেই তাদের ( কাফিরদের ) উপর প্রতিশোধ গ্রহণ করি, অথবা তোমার মৃত্যু ঘটিয়ে দেই, তবে জেনে রেখো যে, সর্বাবস্থাতেই তাদের প্রত্যাবর্তন আমারই কাছে হবে। যদি তুমি। দুনিয়ায় বেঁচে না-ও থাকো, তবুও তোমার পরে তাদের কার্যকলাপের সাক্ষী আমি নিজেই হয়ে যাবো। হুযাইফা ইবনে উসায়েদ ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, নবী ( সঃ ) বলেছেনঃ “ গতরাত্রে আমার সামনে আমার প্রথম ও শেষের উম্মতকে পেশ করা হয়েছিল ।” একটি লোক তখন জিজ্ঞেস করলেনঃ “ আপনার প্রথম উম্মতকে আপনার সামনে পেশ করা হয়েছিল এটা তো বুঝলাম । কিন্তু শেষের উম্মতকে কিরূপে পেশ করা হলো?” উত্তরে তিনি বলেনঃ “ তাদেরকে ‘খাকী’ ( মেটো ) আকারে আমার সামনে পেশ করা হয় তোমাদের কোন লোক যেমন তার সঙ্গীকে চিনতে পারে, এর চেয়ে বেশী আমি তাদেরকে চিনতে পারবো।” ( এই হাদীসটি ইমাম তিবরানী (রঃ ) বর্ণনা করেছেন) আল্লাহ তাআলার উক্তিঃ ( আরবী ) অর্থাৎ প্রত্যেক উম্মতের জন্যে এক একজন রাসূল রয়েছে, যখন তাদের কাছে তাদের রাসূল এসে যায় তখন ন্যায়ভাবে তাদের মীমাংসা করা হয়। মুজাহিদ ( রঃ ) বলেন যে, এর দ্বারা কিয়ামতের দিনকে বুঝানো হয়েছে। যেমন আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ “ যমীন আল্লাহর নূরের ঔজ্জ্বল্যে উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে । প্রত্যেক উম্মতকে তাদের নবীর বিদ্যমান অবস্থায় আল্লাহ তাআলার সামনে পেশ করা হয়। তাদের সাথে থাকে তাদের ভাল বা মন্দ কাজের আমলনামা। এটা তাদের সাক্ষীরূপে কাজ করে। ফিরিশতাগণও সাক্ষী হন যাদেরকে তাদের উপর রক্ষক নিযুক্ত করা হয়েছিল। একের পর এক প্রত্যেক উম্মতকে পেশ করা হবে। এই উম্মত আখেরী উম্মত হলেও কিয়ামতের দিন এরাই প্রথম উম্মত হয়ে যাবে। আল্লাহ তা'আলা সর্বপ্রথম এদের ফায়সালাই করবেন। যেমন সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিমে রয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বলেছেনঃ “ যদিও আমরা সকলের শেষে এসেছি, কিন্তু কিয়ামতের দিন আমরা সর্বপ্রথম হবো । সমস্ত মাখলুকের পূর্বে আমাদেরই হিসাব নেয়া হবে।” এই উম্মত এই মর্যাদা লাভ করেছে একমাত্র তাদের রাসূল ( সঃ )-এর বরকতে। সুতরাং কিয়ামত পর্যন্ত তাঁর উপর দরূদ ও সালাম বর্ষিত হোক!

সূরা ইউনুস আয়াত 47 সূরা

ولكل أمة رسول فإذا جاء رسولهم قضي بينهم بالقسط وهم لا يظلمون

سورة: يونس - آية: ( 47 )  - جزء: ( 11 )  -  صفحة: ( 214 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. আর আমি যখন তোমাদের কাছ থেকে অঙ্গীকার নিয়েছিলাম এবং তুর পর্বতকে তোমাদের মাথার উপর তুলে
  2. কিন্তু আমি অনেক সম্প্রদায় সৃষ্টি করেছিলাম, অতঃপর তাদের অনেক যুগ অতিবাহিত হয়েছে। আর আপনি মাদইয়ানবাসীদের
  3. সে মৃত্যুকে আহবান করবে,
  4. তবে তাদের কথা ভিন্ন, যারা বিশ্বাস স্থাপন করে ও সৎকর্ম করে এবং আল্লাহ কে খুব
  5. অতঃপর তোমরা তা অবশ্যই দেখবে দিব্য প্রত্যয়ে,
  6. তুমি সূর্যকে দেখবে, যখন উদিত হয়, তাদের গুহা থেকে পাশ কেটে ডান দিকে চলে যায়
  7. আমি তোমাদের কাছে এর জন্য কোন প্রতিদান চাই না। আমার প্রতিদান তো বিশ্ব-পালনকর্তাই দেবেন।
  8. আপনি তাদেরকে জিজ্ঞাসা করুন তাদের কে এ বিষয়ে দায়িত্বশীল?
  9. বলে দাও, যদি আল্লাহ চাইতেন, তবে আমি এটি তোমাদের সামনে পড়তাম না, আর নাইবা তিনি
  10. অতঃপর প্রত্যেক সম্প্রদায়ের মধ্যে যে দয়াময় আল্লাহর সর্বাধিক অবাধ্য আমি অবশ্যই তাকে পৃথক করে নেব।

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা ইউনুস ডাউনলোড করুন:

সূরা Yunus mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Yunus শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত ইউনুস  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত ইউনুস  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত ইউনুস  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত ইউনুস  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত ইউনুস  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত ইউনুস  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত ইউনুস  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত ইউনুস  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত ইউনুস  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত ইউনুস  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত ইউনুস  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত ইউনুস  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত ইউনুস  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত ইউনুস  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত ইউনুস  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত ইউনুস  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত ইউনুস  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত ইউনুস  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত ইউনুস  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত ইউনুস  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত ইউনুস  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত ইউনুস  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত ইউনুস  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত ইউনুস  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত ইউনুস  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Sunday, December 22, 2024

Please remember us in your sincere prayers