কোরান সূরা মারইয়াম আয়াত 48 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Maryam ayat 48 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা মারইয়াম আয়াত 48 আরবি পাঠে(Maryam).
  
   

﴿وَأَعْتَزِلُكُمْ وَمَا تَدْعُونَ مِن دُونِ اللَّهِ وَأَدْعُو رَبِّي عَسَىٰ أَلَّا أَكُونَ بِدُعَاءِ رَبِّي شَقِيًّا﴾
[ مريم: 48]

আমি পরিত্যাগ করছি তোমাদেরকে এবং তোমরা আল্লাহ ব্যতীত যাদের এবাদত কর তাদেরকে; আমি আমার পালনকর্তার এবাদত করব। আশা করি, আমার পালনকর্তার এবাদত করে আমি বঞ্চিত হব না। [সূরা মারইয়াম: 48]

Surah Maryam in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Maryam ayat 48


''আর আমি সরে যাচ্ছি তোমাদের থেকে ও আল্লাহকে ছেড়ে দিয়ে তোমরা যাদের ডাকো ওদের থেকে, আর আমি আমার প্রভুকেই ডাকব, হতে পারে যে আমার প্রভুকে ডেকে আমি করুণাবঞ্চিত হব না।’’


Tafsir Mokhtasar Bangla


৪৮. আল্লাহ তা‘আলা ছাড়া আপনারা যেগুলোর ইবাদাত করেন আমি সেগুলো থেকে এবং আপনাদের থেকে এবং আপনাদের সেই মা’বূদগুলো থেকে পৃথক হয়ে যাচ্ছি। বরং আমি আমার একক প্রতিপালককে ডাকি। তাঁর সাথে আমি কোন কিছুকেই শরীক করি না। আশা করি আমি তাঁকে ডাকলে তিনি আমাকে নিরাশ করবেন না। ফলে আমি তাঁকে ডেকে দুর্ভাগা হবো না।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


আমি তোমাদের নিকট হতে ও তোমরা আল্লাহ ব্যতীত যাদের উপাসনা কর তাদের নিকট হতে পৃথক হচ্ছি। আমি আমার প্রতিপালককে আহবান করব। আর আশা করি, আমি আমার প্রতিপালককে আহবান করে ব্যর্থকাম হব না।’

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


আর আমি তোমাদের থেকে ও তোমরা আল্লাহ্ ছাড়া যাদের ইবাদাত কর তাদের থেকে পৃথক হচ্ছি; আর আমি আমার রবকে ডাকছি; আশা করি আমি আমার রবকে ডেকে আমি দুর্ভাগা হব না

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


৪৬-৪৮ নং আয়াতের তাফসীর: হ্যরত ইবরাহীম ( আঃ ) তাঁর পিতাকে আল্লাহর পথে আহবান করলে এবং মূর্তি পূজা পরিত্যাগ করতে বললে সে তাকে যে উত্তর দিয়েছিল এখানে আল্লাহ তাআলা তারই খবর দিচ্ছেন। সে হযরত ইবরাহীমকে ( আঃ ) বললোঃ “ তুমি কি আমার মা’দদের প্রতি অসন্তুষ্ট এবং তাদের উপাসনা করতে অস্বীকার করছো? তুমি কি তাদেরকে খারাপ বলছে, দোষ দিচ্ছ এবং গালাগালি করছো? জেনে রেখো যে, তুমি যদি এ কাজ থেকে বিরত না হও, তবে আমি তোমাকে প্রস্তুরাঘাতে হত্যা করে ফেলবো । তুমি আমাকে কষ্ট দিয়ো না এবং আমাকে কিছুই বলো না। এটাই উত্তম যে, তুমি আমার নিকট থেকে চিরবিদায় গ্রহণ করো। নচেৎ আমি তোমাকে কঠিন শাস্তি প্রদান করবো। উত্তরে হযরত ইবরাহীম ( আঃ ) তাকে বললেনঃ “ আচ্ছা, ঠিক আছে । তুমি খুশী হও যে, আমি তোমাকে কোন কষ্ট দিবো না। কেননা, তুমি আমার পিতা। বরং আমি আল্লাহ তাআলার নিকট প্রার্থনা করবো যে, তিনি যেন তোমাকে ভাল হওয়ার তাওফীক দেন এবং তোমার গুনাহ মাফ করেন। মুমিনদের নীতি এটাই যে, তারা অজ্ঞদের সাথে ঝগড়ায় লিপ্ত হয়। যেমন কুরআন কারীমে রয়েছেঃ ( আরবী ) অর্থাৎ “ তাদেরকে যখন অজ্ঞ ব্যক্তিরা সম্বোধন করে, তখন তারা জবাব দেয় প্রশান্তভাবে ।( ২৫:৬৩ ) আর এক জায়গায় আছেঃ “ যখন তারা বাজে কথা শুনে, তখন তারা তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয় এবং বলেঃ আমাদের কাজ আমাদের জন্যে এবং তোমাদের কাজ তোমাদের জন্যে । তোমাদের উপর সালাম এবং আমরা অজ্ঞদের মুখোমুখী হতে চাইনে ( অর্থাৎ তাদের সাথে ঝগড়া করতে চাইনে )।”অতঃপর হযরত ইবরাহীম ( আঃ ) বলেনঃ “ আমার প্রতিপালক আমার প্রতি অতিশয় অনুগ্রহশীল । এটা তারই অনুগ্রহ যে, তিনি আমাকে ঈমান, ইখলাস এবং হিদায়াত দান করেছেন। আমি আশা রাখি যে, তিনি আমার প্রার্থনা কবুল করবেন। পিতার সাথে তাঁর এ ওয়াদা অনুযায়ী তিনি তার জন্যে ক্ষমা প্রার্থনা করতে থাকেন। সিরিয়ায় হিজরত করার পরেও, মসজিদে হারাম নির্মাণ করার পরেও এবং তাঁর সন্তান জন্মগ্রহণ করার পরেও তিনি প্রার্থনা করতেনঃ “ হে আল্লাহ! আপনি আমাকে, আমার পিতা-মাতাকে এবং সমস্ত মুমিনকে হিসাব কায়েম হওয়ার দিন ক্ষমা করে দিবেন । অবশেষে আল্লাহ তাআলার পক্ষ হতে তাঁর নিকট ওয়াহী আসেঃ “ মুশরিকদের জন্যে ক্ষমা প্রার্থনা করো না ।” তাঁকে অনুসরণ করে ইসলামের প্রাথমিক যুগে মুসলমানরাও তাঁদের মুশরিক আত্মীয় স্বজনের জন্যে ক্ষমা প্রার্থনা করতেন। অতঃপর নিম্নের আয়াত নাযিল হয়ঃ ( আরবী ) অর্থাৎ “ তোমাদের জন্যে উত্তম আদর্শ রয়েছে ইবরাহীমের ( আঃ ) মধ্যে ও তাঁর সঙ্গীয় লোকদের মধ্যে; যখন তারা তাদের কওমকে বলেছিলঃ ক তোমাদের থেকে ও আল্লাহ ছাড়া তোমরা যাদের ইবাদত করছে তাদের থেকে মুক্ত.........., ইবরাহীমের ( আঃ ) ঐ কথাটি ছাড়া যা সে তার পিতাকে বলেছিলঃ আমি সত্বরই তোমার জন্যে ক্ষমা প্রার্থনা করবো এবং আমি তোমার জন্যে আল্লাহর নিকট কোন কিছুরই মালিক নই ।( ৬০:৪ ) অর্থাৎ হে মুসলমানরা! নিঃসন্দেহে ইবরাহীম ( আঃ ) তোমাদের অনুসরণ যোগ্য। কিন্তু তিনি যে তাঁর পিতার জন্যে ক্ষমা প্রার্থনা করবেন বলে ওয়াদা করেছিলেন এ ব্যাপারে তিনি তোমাদের অনুসরণ যোগ্য নন। অন্য এক জায়গায় আল্লাহ তাআলা বলেনঃ ( আরবী ) অর্থাৎ ‘নবী ( সঃ ) ও মু'মিনদের জন্যে উচিত নয় যে, তারা মুশরিকদের জন্যে ক্ষমা প্রার্থনা করে।" ( ৯:১১৩ ) এরপরে মহান আল্লাহ বলেছেনঃ “ ইব্রাহীমের ( আঃ ) তার পিতার জন্যে ক্ষমা প্রার্থনা শুধু ঐ ওয়াদার কারণেই যে ওয়াদা সে তার সাথে করেছিল । কিন্তু যখন তার কাছে এটা প্রকাশিত হয়ে গেল যে, সে আল্লাহর শত্রু, তখন সে তার থেকে বিরত থাকলো, নিশ্চয় ইবরাহীম ( আঃ ) ( আল্লাহর দিকে ) প্রত্যাবর্তনকারী এবং সহনশীল।"এরপর হযরত ইবরাহীম ( আঃ ) বলেনঃ আমি তোমাদের দিক হতে এবং তোমরা আল্লাহ ছাড়া যাদের ইবাদত কর তাদের দিক হতে পৃথক হচ্ছি, আমি শুধু আমার প্রতিপালককে আহবান করি। তার ইবাদতে অন্য কাউকেও আমি শরীক করি না। আমি শুধু তার কাছেই প্রার্থনা জানাই। আমি আশা রাখি যে, আমার প্রতিপালককে আহবান করে আমি ব্যর্থকাম হবে না, বরং সফলকাম হবো। তিনি অবশ্যই আমার আহবানে সাড়া দিবেন। ঘটনাও এটাই বটে। এখানে ( আরবী ) শব্দটি ( আরবী ) এর অর্থে এসেছে। কেননা, হযরত মুহাম্মদের ( সঃ ) পরে তিনিই নব্বীদের সরদার বা নেতা। তাদের সবারই উপর দরূদ ও সালাম বর্ষিত হোক।

সূরা মারইয়াম আয়াত 48 সূরা

وأعتزلكم وما تدعون من دون الله وأدعو ربي عسى ألا أكون بدعاء ربي شقيا

سورة: مريم - آية: ( 48 )  - جزء: ( 16 )  -  صفحة: ( 308 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. আল্লাহ জুলুম করেন না মানুষের উপর, বরং মানুষ নিজেই নিজের উপর জুলুম করে।
  2. যখন তাদের কাছে আমার সুস্পষ্ট আয়াত সমূহ তেলাওয়াত করা হয়, তখন তারা বলে, তোমাদের বাপ-দাদারা
  3. নভোমন্ডল ও ভুপৃষ্ঠে যা কিছু আছে, সব তাঁরই এবং আল্লাহই অভাবমুক্ত প্রশংসার অধিকারী।
  4. তোমাদের পুর্বে যারা কাফের ছিল, তাদের বৃত্তান্ত কি তোমাদের কাছে পৌছেনি? তারা তাদের কর্মের শাস্তি
  5. অথচ আল্লাহ তোমাদেরকে এবং তোমরা যা নির্মাণ করছ সবাইকে সৃষ্টি করেছেন।
  6. আর তোমাদের সৃষ্টিতে এবং চারদিকে ছড়িয়ে রাখা জীব জন্তুর সৃজনের মধ্যেও নিদর্শনাবলী রয়েছে বিশ্বাসীদের জন্য।
  7. উভয় পক্ষের দৃষ্টান্ত হচ্ছে যেমন অন্ধ ও বধির এবং যে দেখতে পায় ও শুনতে পায়
  8. আমি তোমাদের কাছে এর জন্যে প্রতিদান চাই না। আমার প্রতিদান তো পালনকর্তা দেবেন।
  9. বরং তোমরা তো তাঁকেই ডাকবে। অতঃপর যে বিপদের জন্যে তাঁকে ডাকবে, তিনি ইচ্ছা করলে তা
  10. যারা শয়তানী শক্তির পূজা-অর্চনা থেকে দূরে থাকে এবং আল্লাহ অভিমুখী হয়, তাদের জন্যে রয়েছে সুসংবাদ।

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা মারইয়াম ডাউনলোড করুন:

সূরা Maryam mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Maryam শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত মারইয়াম  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত মারইয়াম  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত মারইয়াম  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত মারইয়াম  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত মারইয়াম  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত মারইয়াম  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত মারইয়াম  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত মারইয়াম  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত মারইয়াম  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত মারইয়াম  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত মারইয়াম  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত মারইয়াম  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত মারইয়াম  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত মারইয়াম  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত মারইয়াম  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত মারইয়াম  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত মারইয়াম  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত মারইয়াম  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত মারইয়াম  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত মারইয়াম  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত মারইয়াম  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত মারইয়াম  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত মারইয়াম  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত মারইয়াম  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত মারইয়াম  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Sunday, December 22, 2024

Please remember us in your sincere prayers