কোরান সূরা ইউনুস আয়াত 49 তাফসীর
﴿قُل لَّا أَمْلِكُ لِنَفْسِي ضَرًّا وَلَا نَفْعًا إِلَّا مَا شَاءَ اللَّهُ ۗ لِكُلِّ أُمَّةٍ أَجَلٌ ۚ إِذَا جَاءَ أَجَلُهُمْ فَلَا يَسْتَأْخِرُونَ سَاعَةً ۖ وَلَا يَسْتَقْدِمُونَ﴾
[ يونس: 49]
তুমি বল, আমি আমার নিজের ক্ষতি কিংবা লাভেরও মালিক নই, কিন্তু আল্লাহ যা ইচ্ছা করেন। প্রত্যেক সম্প্রদায়ের জন্যই একেকটি ওয়াদা রয়েছে, যখন তাদের সে ওয়াদা এসে পৌঁছে যাবে, তখন না একদন্ড পেছনে সরতে পারবে, না সামনে ফসকাতে পারবে,। [সূরা ইউনুস: 49]
Surah Yunus in Banglaজহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Yunus ayat 49
তুমি বলো -- ''আমি নিজের থেকে কোনো অনিষ্ট-সাধনের কর্তৃত্ব রাখি না বা মুনাফা দেবারও নয় -- আল্লাহ্ যা ইচ্ছা করেন তা ব্যতীত।’’ প্রত্যেক জাতির জন্য এক নির্দিষ্ট সময় আছে, যখন তাদের সময় ঘনিয়ে আসবে তখন তারা ঘন্টাখানেকের জন্যেও দেরি করতে পারবে না বা এগিয়েও আনতে পারবে না।
Tafsir Mokhtasar Bangla
৪৯. হে রাসূল! আপনি তাদেরকে বলে দিন: আমি নিজের কোন ক্ষতিরও মালিক নই। যার মাধ্যমে আমি তার ক্ষতি করবো অথবা ক্ষতিকে প্রতিহত করবো। না আমি কোন লাভের মালিক। যার মাধ্যমে আমি নিজের লাভ করবো। তাহলে আমি কীভাবে অন্যের কোন লাভ বা ক্ষতি করতে পারি? তবে আল্লাহ যা চাইবেন তাই হবে। ফলে আমি তাঁর গায়েবও কীভাবে জানবো? প্রত্যেক জাতির জন্যই যাদের সাথে আল্লাহ তা‘আলা ধ্বংসের ওয়াদা করেছেন তাদের ধ্বংসের নির্দিষ্ট সময় রয়েছে। যা আল্লাহ ছাড়া আর কেউই জানে না। যখন তাদের ধ্বংসের সময় এসে যাবে তখন তা এতটুকুও দেরী করা হবে না, না একটু আগে করা হবে।
Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান
তুমি বলে দাও, ‘আল্লাহর ইচ্ছা ব্যতীত আমি তো আমার নিজের জন্য কোন অপকার ও উপকারের মালিক নই।’ প্রত্যেক উম্মতের জন্য একটি নির্দিষ্ট সময়-সীমা আছে; যখন তাদের সেই নির্দিষ্ট সময় এসে পৌঁছে যাবে, তখন তারা মুহূর্তকাল না বিলম্ব করতে পারবে, আর না ত্বরা করতে পারবে।[১] [১] মুশরিকরা নবী ( সাঃ )-কে আল্লাহর আযাব উপস্থিত করার জন্য বলত, তারই উত্তরে বলা হচ্ছে যে, আমি তো নিজেরই কোন লাভ বা ক্ষতির মালিক নই; অন্য কাউকে ক্ষতি বা লাভ দেওয়া তো দূরের কথা। হ্যাঁ, এসব ক্ষমতা আল্লাহর হাতে এবং তিনি নিজের ইচ্ছামত কাউকে ক্ষতি বা লাভ দেওয়ার ফায়সালা করেন। তাছাড়া আল্লাহ তাআলা সকল উম্মতের জন্য একটি সময় নির্ধারিত করে রেখেছেন। সেই নির্ধারিত সময় পর্যন্ত তিনি তাদেরকে ঢিল ও অবকাশ দিয়ে থাকেন। কিন্তু যখন সেই নির্ধারিত সময় এসে যাবে, তখন এক মুহূর্তও আগে-পিছে হবে না। সতর্কতাঃ - এখানে এ কথাটি অতি গুরুতত্ত্বপূর্ণ যে যখন সৃষ্টির সেরা, রসূলগণের সর্দার মুহাম্মাদ ( সাঃ ) কারোর লাভ-ক্ষতি বা উপকার-অপকার করার ক্ষমতা রাখেন না, তখন তাঁর পরে মানুষের মধ্যে এমন কোন ব্যক্তি এমনও কি হতে পারে যে, সে কারো প্রয়োজন পূরণ এবং সমস্যা দূর করার ক্ষমতা রাখে? অনুরূপ আল্লাহর পয়গম্বরের নিকট সাহায্য চাওয়া, তাঁর নিকট ফরিয়াদ করা, " ইয়া রাসূলাল্লাহ মাদাদ " এবং 'أغثني يارسول الله' ( হে আল্লাহর রসূল! আমাকে সাহায্য করুন, আমাকে উদ্ধার করুন ) ইত্যাদি শব্দ দ্বারা আশ্রয় ও সাহায্য প্রার্থনা করা কোন মতেই বৈধ নয়। কারণ এটা কুরআন শরীফের উক্ত আয়াত এবং এরূপ অন্যান্য স্পষ্ট নির্দেশের পরিপন্থী; বরং এটা শিরকের অন্তর্ভুক্ত।فنعوذ بالله من هذا
Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স
বলুন, ‘আল্লাহ্ যা ইচ্ছা করেন তা ছাড়া আমার কোন অধিকার নেই আমার নিজের ক্ষতি বা মন্দের।’ প্রত্যেক উম্মতের জন্য এক নির্দিষ্ট সময় আছে; যখন তাদের সময় আসবে তখন তারা মুহূর্তকালও পিছাতে বা এগুতেও পারবে ন।
সূরা ইউনুস আয়াত 49 সূরা
English | Türkçe | Indonesia |
Русский | Français | فارسی |
تفسير | Urdu | اعراب |
বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত
- নূহ বললেন, তারা কি কাজ করছে, তা জানা আমার কি দরকার?
- যারা বিশ্বাস স্থাপন করে ও সৎকর্ম করে, আমি অবশ্যই তাদেরকে জান্নাতের সুউচ্চ প্রাসাদে স্থান দেব,
- কিন্তু যারা তাদের পালনকর্তাকে ভয় করে, তাদের জন্যে নির্মিত রয়েছে প্রাসাদের উপর প্রাসাদ। এগুলোর তলদেশে
- তাদের কাছে কি আপনার পালনকর্তার ভান্ডার রয়েছে, না তারাই সবকিছুর তত্ত্বাবধায়ক?
- এই পরকাল আমি তাদের জন্যে নির্ধারিত করি, যারা দুনিয়ার বুকে ঔদ্ধত্য প্রকাশ করতে ও অনর্থ
- তখন তারা বলবে, আমরা কি অবকাশ পাব না?
- এটা আল্লাহর শত্রুদের শাস্তি-জাহান্নাম। তাতে তাদের জন্যে রয়েছে স্থায়ী আবাস, আমার আয়াতসমূহ অস্বীকার করার প্রতিফলস্বরূপ।
- এবং যারা আল্লাহর সাথে অন্য উপাস্যের এবাদত করে না, আল্লাহ যার হত্যা অবৈধ করেছেন, সঙ্গত
- আমি সবকিছুই লিপিবদ্ধ করে সংরক্ষিত করেছি।
- শপথ সুস্পষ্ট কিতাবের।
বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :
সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা ইউনুস ডাউনলোড করুন:
সূরা Yunus mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Yunus শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
আহমেদ আল-আজমি
ইব্রাহীম আল-আখদার
বান্দার বেলাইলা
খালিদ গালিলি
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
খলিফা আল টুনাইজি
সাদ আল-গামদি
সৌদ আল-শুরাইম
সালাহ বুখাতীর
আবদ এল বাসেট
আবদুল রশিদ সুফি
আব্দুল্লাহ্ বাস্ফার
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
আলী আল-হুদায়েফি
আলী জাবের
ফারেস আব্বাদ
মাহের আলমাইকুলই
মোহাম্মদ আইয়ুব
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মাদ জিব্রীল
আল-মিনশাবি
আল হোসারি
মিশারী আল-আফসী
নাসের আল কাতামি
ইয়াসের আল-দোসারি
Please remember us in your sincere prayers