কোরান সূরা হুদ আয়াত 49 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Hud ayat 49 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা হুদ আয়াত 49 আরবি পাঠে(Hud).
  
   

﴿تِلْكَ مِنْ أَنبَاءِ الْغَيْبِ نُوحِيهَا إِلَيْكَ ۖ مَا كُنتَ تَعْلَمُهَا أَنتَ وَلَا قَوْمُكَ مِن قَبْلِ هَٰذَا ۖ فَاصْبِرْ ۖ إِنَّ الْعَاقِبَةَ لِلْمُتَّقِينَ﴾
[ هود: 49]

এটি গায়বের খবর, আমি আপনার প্রতি ওহী প্রেরন করছি। ইতিপূর্বে এটা আপনার এবং আপনার জাতির জানা ছিল না। আপনি ধৈর্য্যধারণ করুন। যারা ভয় করে চলে, তাদের পরিণাম ভাল, সন্দেহ নেই। [সূরা হুদ: 49]

Surah Hud in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Hud ayat 49


এসব হচ্ছে অদৃশ্য সন্বন্ধে সংবাদ যা আমরা তোমার কাছে প্রত্যাদেশ করছি। তুমি এর আগে এ-সব জানতে না -- তুমিও না, তোমার সম্প্রদায়ও না। অতএব অধ্যবসায় অবলন্বন কর। নিঃসন্দেহ শুভপরিণাম ধর্মভীরুদেরই জন্যে।


Tafsir Mokhtasar Bangla


৪৯. নূহ ( আলাইহিস-সালাম ) এর এ ঘটনাটি গায়েবের খবরের অন্তর্ভুক্ত। ওহে রাসূল! যা আপনি জানতেন না। আর না ইতিপূর্বে আপনার প্রতি কৃত এ ওহী সম্পর্কে আপনার জাতির লোকেরা জানতো। অতএব, আপনি নিজ জাতির দেয়া কষ্ট ও তাদের মিথ্যারোপের উপর ধৈর্য ধারণ করুন নূহ ( আলাইহিস-সালাম ) এর মতো। বস্তুতঃ বিজয় ও আধিপত্য অবশ্যই তাদের জন্য যারা আল্লাহর হুকুমসমূহ মেনে চলে এবং নিষেধসমূহ থেকে বেঁচে চলে।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


এটা হচ্ছে অদৃশ্য সংবাদসমূহের অন্তর্ভুক্ত, যা আমি তোমার কাছে অহী ( প্রত্যাদেশ ) মারফত পৌঁছিয়ে দিচ্ছি, ইতিপূর্বে এটা না তুমি জানতে, আর না তোমার সম্প্রদায় জানত।[১] সুতরাং তুমি ধৈর্য ধারণ কর। নিশ্চয় শুভ পরিণাম সংযমশীলদের জন্যই। [২] [১] এ কথা নবী ( সাঃ )-কে উদ্দেশ্য করে বলা হয়েছে এবং তিনি যে ইল্মে গায়ব জানতেন না, তা স্পষ্ট করা হচ্ছে এই বলে যে, এ সব গায়বের খবর, যা আমি তোমাকে অবগত করিয়ে দিচ্ছি। তাছাড়া তুমি ও তোমার সম্প্রদায় এ থেকে বেখবর ছিলে।[২] অর্থাৎ, তোমার সম্প্রদায় তোমাকে যে মিথ্যাজ্ঞান করছে এবং তোমাকে কষ্ট দিচ্ছে, তাতে ধৈর্য্য ধারণ কর। কারণ আমি তোমার সাহায্যকারী এবং কল্যাণকর পরিণাম তোমার ও তোমার অনুগামীদের জন্যই রয়েছে; যারা তাকওয়ার মত গুণে গুণান্বিত। عاقبة ইহলৌকিক ও পারলৌকিক শুভ পরিণামকে বলা হয়। এখানে মুত্তাকী, পরহেযগার তথা সংযমশীলদের জন্য সুসংবাদ রয়েছে। তাদেরকে শুরুতে যতই কষ্ট ভোগ করতে হোক না কেন, শেষ পর্যন্ত আল্লাহর সাহায্য ও শুভ পরিণামের অধিকারী তারাই হবে। যেমন অন্য স্থানে বলেছেন, ( إِنَّا لَنَنْصُرُ رُسُلَنَا وَالَّذِينَ آمَنُوا فِي الْحَيَاةِ الدُّنْيَا وَيَوْمَ يَقُومُ الْأَشْهَادُ ) অর্থাৎ, নিশ্চয় আমি আমার রসূলদেরকে ও মু'মিনদেরকে সাহায্য করব পার্থিব জীবনে এবং যেদিন সাক্ষীগণ দন্ডায়মান হবে। ( সূরা মু'মিন ৪০:৫১ ) ( وَلَقَدْ سَبَقَتْ كَلِمَتُنَا لِعِبَادِنَا الْمُرْسَلِينَ * إِنَّهُمْ لَهُمُ الْمَنْصُورُونَ * وَإِنَّ جُنْدَنَا لَهُمُ الْغَالِبُونَ ) অর্থাৎ, আমার প্রেরিত বান্দাদের সম্পর্কে আমার এই বাক্য পূর্বেই স্থির হয়েছে যে, অবশ্যই তারা সাহায্যপ্রাপ্ত হবে এবং আমার বাহিনীই হবে বিজয়ী।" ( সূরা স্বা-ফফাত ৩৭:১৭১-১৭৩ )

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


এসব গায়েবের সংবাদ আমরা আপনাকে ওহী দ্বারা অবহিত করছি, যা এর আগে আপনি জানতেন না এবং আপনার সম্প্রদায়ও জানত না। কাজেই আপনি ধৈর্য ধারণ করুন। নিশ্চয় শুভ পরিণাম মুত্তাকীদেরই জন্য []।’ [] অর্থাৎ সমস্ত বিষয়ের কল্যাণকর পরিণাম তো যারা আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন করে, তার ফরযকৃত বিষয়সমূহ আদায় করে, অবাধ্যতা পরিত্যাগ করে তাদেরই জন্য। তারাই আখেরাতে যাবতীয় নে'আমত পেয়ে সফল হবে। দুনিয়াতেও তারা তাদের চাওয়া বিষয়াদি প্রাপ্ত হবে। যেভাবে শেষ পর্যন্ত নূহ ও তাঁর সঙ্গী সাথীরা আল্লাহর নির্দেশ মানার মাধ্যমে ধৈর্য ধারণ করে দুনিয়াতে সফলতা লাভ করেছিলেন এবং ধ্বংস থেকে নাজাত পেয়েছিলেন। আখেরাতে তাদেরকে আল্লাহ্ যা দিবার দিলেন এবং তাদের মর্যাদা বৃদ্ধি করেছিলেন। আর যারা মিথ্যারোপ করেছিল তাদেরকে ডুবিয়েছিলেন এবং তাদের সবাইকে ধ্বংস করেছিলেন [ তাবারী ] ঠিক তেমনি আপনি ও আপনার সাথীরাও সাফল্য লাভ করবেন এবং আপনাদেরও মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে।

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


আল্লাহ তাআ’লা নবীকে ( সাঃ ) সম্বোধন করে বলছেনঃ হে নবী ( সঃ )! নূহের ( আঃ ) এই ঘটনা এবং এই ধরনের অতীতের ঘটনাবলী যেগুলি তুমিও জানতে না এবং তোমার কওমও না কিন্তু ওয়াহীর মাধ্যমে আমি তোমাকে এগুলি জানিয়ে থাকি। আর তুমি জনগণের সামনে এগুলির সত্যতা এমনভাবে প্রকাশ করে থাকে যে, যেন তুমি এই ঘটনাবলী সংঘটিত হবার সময় সেখানেই বিদ্যমান ছিলে। অথচ এর পূর্বে না তুমি স্বয়ং এর কোন খবর রাখতে, না তোমার কওম। এটা হলে মানুষ ধারণা করতো যে, হয়তো তুমি এগুলো কারো নিকট থেকে জেনে নিয়েছে। সুতরাং এটা সুস্পষ্ট কথা যে, এটা তুমি একমাত্র আল্লাহ প্রেরিত ওয়াহীর মাধ্যমেই জানতে পেরেছে। আর এই ওয়াহী ঠিক এভাবেই এসেছে, যেভাবে পূর্ববর্তী কিতাবগুলিতে বিদ্যমান রয়েছে। সুতরাং তোমার কওম যে তোমাকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করছে এবং তোমাকে কষ্ট দিচ্ছে এর উপর তোমাকে অবশ্যই ধৈর্য ধারণ করতে হবে। সত্বরই আমি তোমাকে ও তোমার অনুসারীদেরকে সাহায্য করবো এবং শত্রুদের উপর বিজয়ী রাখবো। যেমন আমি তোমার পূর্ববর্তী রাসূলদেরকে তাদের শত্রুদের উপর বিজয় দান করেছিলাম। আল্লাহ পাক বলেনঃ ( আরবি )অর্থাৎ “ নিশ্চয় আমি আমার রাসূলদেরকে ও মুমিনমু’মিনদেরকে সাহায্য করবো ।( ৪০: ৫১ ) মহান আল্লাহ আরো বলেনঃ ( আরবি )অর্থাৎ “ আমার বিশিষ্ট বান্দা অর্থাৎ রাসূলদের জন্যে এই সিদ্ধান্ত পূর্ব হতেই নির্ধারিত হয়ে আছে; নিঃসন্দেহে তারা জয়ী হবে ।( ৩৭: ১৭১-১৭২ ) তাই এখানেও আল্লাহ তাআ’লা বলেনঃ ( আরবি )অর্থাৎ ( হে নবী, সঃ ) তুমি ধৈর্য ধারণ কর, নিঃসন্দেহে শুভ পরিণাম মুত্তাকীদের জন্যেই।

সূরা হুদ আয়াত 49 সূরা

تلك من أنباء الغيب نوحيها إليك ما كنت تعلمها أنت ولا قومك من قبل هذا فاصبر إن العاقبة للمتقين

سورة: هود - آية: ( 49 )  - جزء: ( 12 )  -  صفحة: ( 227 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. সে বলেঃ আমি প্রচুর ধন-সম্পদ ব্যয় করেছি।
  2. হে মুমিনগণ, এই যে মদ, জুয়া, প্রতিমা এবং ভাগ্য-নির্ধারক শরসমূহ এসব শয়তানের অপবিত্র কার্য বৈ
  3. বলুনঃ আল্লাহ তা’আলার কবল থেকে আমাকে কেউ রক্ষা করতে পারবে না এবং তিনি ব্যতীত আমি
  4. তাঁর আরও নিদর্শনঃ রাতে ও দিনে তোমাদের নিদ্রা এবং তাঁর কৃপা অন্বেষণ। নিশ্চয় এতে মনোযোগী
  5. আল্লাহ বলবেনঃ তোমাদের পূর্বে জিন ও মানবের যেসব সম্প্রদায় চলে গেছে, তাদের সাথে তোমরাও দোযখে
  6. তারা বলল, তুমি তোমার পালনকর্তার কাছে আমাদের জন্য প্রার্থনা কর, যেন সেটির রূপ বিশ্লেষণ করা
  7. আর তোমরা নিজেদের পালনকর্তা সমীপে ক্ষমা প্রার্থনা কর। অনন্তর তাঁরই প্রতি মনোনিবেশ কর। তাহলে তিনি
  8. ওরা শ্রেষ্ঠ, না তুব্বার সম্প্রদায় ও তাদের পূর্ববর্তীরা? আমি ওদেরকে ধ্বংস করে দিয়েছি। ওরা ছিল
  9. আমি আপন পিতৃপুরুষ ইব্রাহীম, ইসহাক ও ইয়াকুবের ধর্ম অনুসরণ করছি। আমাদের জন্য শোভা পায় না
  10. আত্নীয়-স্বজনকে তার হক দান কর এবং অভাবগ্রস্ত ও মুসাফিরকেও। এবং কিছুতেই অপব্যয় করো না।

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা হুদ ডাউনলোড করুন:

সূরা Hud mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Hud শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত হুদ  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত হুদ  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত হুদ  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত হুদ  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত হুদ  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত হুদ  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত হুদ  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত হুদ  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত হুদ  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত হুদ  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত হুদ  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত হুদ  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত হুদ  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত হুদ  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত হুদ  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত হুদ  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত হুদ  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত হুদ  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত হুদ  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত হুদ  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত হুদ  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত হুদ  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত হুদ  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত হুদ  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত হুদ  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Saturday, May 18, 2024

لا تنسنا من دعوة صالحة بظهر الغيب