কোরান সূরা আহ্যাব আয়াত 51 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Ahzab ayat 51 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা আহ্যাব আয়াত 51 আরবি পাঠে(Ahzab).
  
   

﴿۞ تُرْجِي مَن تَشَاءُ مِنْهُنَّ وَتُؤْوِي إِلَيْكَ مَن تَشَاءُ ۖ وَمَنِ ابْتَغَيْتَ مِمَّنْ عَزَلْتَ فَلَا جُنَاحَ عَلَيْكَ ۚ ذَٰلِكَ أَدْنَىٰ أَن تَقَرَّ أَعْيُنُهُنَّ وَلَا يَحْزَنَّ وَيَرْضَيْنَ بِمَا آتَيْتَهُنَّ كُلُّهُنَّ ۚ وَاللَّهُ يَعْلَمُ مَا فِي قُلُوبِكُمْ ۚ وَكَانَ اللَّهُ عَلِيمًا حَلِيمًا﴾
[ الأحزاب: 51]

আপনি তাদের মধ্যে যাকে ইচ্ছা দূরে রাখতে পারেন এবং যাকে ইচ্ছা কাছে রাখতে পারেন। আপনি যাকে দূরে রেখেছেন, তাকে কামনা করলে তাতে আপনার কোন দোষ নেই। এতে অধিক সম্ভাবনা আছে যে, তাদের চক্ষু শীতল থাকবে; তারা দুঃখ পাবে না এবং আপনি যা দেন, তাতে তারা সকলেই সন্তুষ্ট থাকবে। তোমাদের অন্তরে যা আছে, আল্লাহ জানেন। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সহনশীল। [সূরা আহ্যাব: 51]

Surah Al-Ahzab in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Ahzab ayat 51


তাদের মধ্য থেকে যাকে তুমি চাও মুলতুবী রাখতে পার এবং যাকে তুমি চাও তোমার কাছে গ্রহণ করতে পার, আর যাদের তুমি দূরে রেখেছিলে তাদের মধ্যের যাকে তুমি কামনা কর, তাতে তোমার কোনো দোষ হবে না। এটিই বেশী ভাল যেন তাদের চোখ হর্ষোৎফুল্ল হতে পারে ও তারা দুঃখ না করে, আর তারা সন্তষ্ট থাকে তুমি যা তাদের দিচ্ছ তাতে -- তাদের সব-ক’জনকে। আর আল্লাহ্ জানেন যা তোমাদের অন্তরে রয়েছে। আর আল্লাহ্ হচ্ছেন সর্বজ্ঞাতা, অতি অমায়িক।


Tafsir Mokhtasar Bangla


৫১. হে নবী! আপনি আপনার স্ত্রীদের মধ্যে যাকে ইচ্ছা তার পালা পিছিয়ে দিন। ফলে তার সঙ্গে রাত্রি যাপন করবেন না। আর যাকে ইচ্ছা আপনার সঙ্গে মিলিয়ে নিন। তবে পালা পিছিয়ে দেয়াকে মিলিয়ে নিতে চাইলে এতে কোন পাপ নেই। এহেন সুযোগ ও সহজতা এজন্য যে, যাতে করে আপনার স্ত্রীদের চক্ষু শীতল হতে পারে। আর আপনি তাদের সবাইকে যা প্রদান করেন তাতে তারা আপনার দায়িত্ব পালনে সদয় ও অধিকার আদায়ে কার্পণ্য না দেখে আপনার উপর সন্তুষ্ট থাকতে পারে। ওহে পুরুষেরা! তোমাদের অন্তরে কোন স্ত্রীর তুলনায় অন্য স্ত্রীর প্রতি যে দুর্বলতা রয়েছে সে সম্পর্কে আল্লাহ অবগত রয়েছেন। আল্লাহর নিকট তাঁর বান্দাদের কর্মকাÐের কোন কিছুই গোপন থাকে না। তিনি তাদের ব্যাপারে সহনশীল; তিনি তাদেরকে তড়িৎ শাস্তি দেন না।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


তুমি ওদের মধ্যে যাকে ইচ্ছা তোমার নিকট হতে দূরে রাখতে পার এবং যাকে ইচ্ছা কাছে স্থান দিতে পার[১] এবং তুমি যাকে দূরে রেখেছ, তাকে কামনা করলে তোমার কোন অপরাধ নেই।[২] এ বিধান এ কথার অধিক নিকটতর যে, ওদের চক্ষু শীতল হবে এবং ওরা দুঃখ পাবে না এবং তুমি যা দেবে তাতে ওদের সকলেই সন্তুষ্ট থাকবে।[৩] তোমাদের অন্তরে যা আছে আল্লাহ তা জানেন।[৪] আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সহনশীল । [১] এখানে নবী ( সাঃ )-এর আরো একটি বিশেষত্বের কথা বর্ণনা হয়েছে, আর তা হল এই যে, স্ত্রীদের মাঝে পালা নির্ধারণ করাতে তাঁকে ছাড় দেওয়া হয়েছে। তিনি যার পালা চাইবেন বন্ধ রাখতে পারবেন, অর্থাৎ তাকে বিবাহ বন্ধনে রেখে তার সাথে রাত্রিযাপন না করে অন্য যে কোন স্ত্রীর সাথে চাইবেন রাত্রিযাপন করতে পারবেন। [২] অর্থাৎ, যে সকল স্ত্রীদের পালা বন্ধ রেখেছিলেন, যদি তিনি তাদের সাথে সঙ্গমের সম্পর্ক রাখতে চান, তবে পুনরায় এ সম্পর্ক কায়েম করতে পারেন -- তার অনুমতি আছে। [৩] অর্থাৎ, নবী ( সাঃ ) পালা বন্ধ করলে এবং একজনকে অপর জনের উপর প্রাধান্য দিলেও স্ত্রীরা সন্তুষ্ট থাকবেন; দুঃখিত হবেন না। তাঁরা তাঁর নিকট থেকে যা পাবেন তাই নিয়েই সন্তুষ্ট থাকবেন। কারণ তাঁরা জানেন যে, নবী ( সাঃ ) যা কিছু করছেন আল্লাহ তাআলার আদেশেই করছেন সুতরাং সকল স্ত্রীগণ আল্লাহর ফায়সালার উপর সর্বদা সন্তুষ্ট ও খুশি থাকবেন। কেউ কেউ বলেন যে, নবী ( সাঃ ) এই এখতিয়ার পাওয়ার পরেও তিনি তা ব্যবহার করেননি এবং সওদা ( রাঃ ) ছাড়া ( যেহেতু তিনি আপন পালা নিজেই আয়েশাকে দান করে দিয়েছিলেন ) তিনি সকল স্ত্রীদের পালা সমানভাবে নির্ধারিত করে রেখেছিলেন। যার ফলে তিনি মৃত্যু শয্যায় অন্যান্য স্ত্রীগণ থেকে অনুমতি নিয়ে অসুস্থাবস্থার ( পবিত্র জীবনের শেষ ) দিনগুলি আয়েশা ( রাঃ ) -এর নিকট অতিবাহিত করেছিলেন। 'أَنْ تَقَرَّ اَعْيُنُهُنَّ' ( ওদের চক্ষু শীতল হবে ) এ কথা নবী ( সাঃ )-এর উক্ত আমলের সাথে সম্পৃক্ত যে, নবী ( সাঃ )-এর জন্য পালা ভাগ করা যদিও অন্যান্য মানুষের মত আবশ্যিক ছিল না, তবুও তিনি পালা ভাগ করাকেই প্রাধান্য দিয়েছেন। যাতে নবী ( সাঃ )-এর স্ত্রীগণের চক্ষু শীতল থাকে এবং তাঁর সদ্ব্যবহারে এবং সমতা ও ইনসাফে সন্তুষ্ট হয়ে যান। এই কারণে তিনি নিজের বিশেষত্বকে ব্যবহার না করে তাঁদের মন জয় করাকে গুরুত্ব দিয়েছেন। [৪] অর্থাৎ, তোমাদের হৃদয়ে যে গুপ্ত প্রেম আছে তা আল্লাহ জানেন। এতে কোন সন্দেহ নেই যে, মনে সকল স্ত্রীর মহববত এক রকম হয় না। কারণ মন মানুষের ইচ্ছার উপর থাকে না। যার ফলে স্ত্রীদের মাঝে পালা, খরচ-খরচা ও জীবনের অন্যান্য প্রয়োজনীয় বস্তুতে সমতা বজায় রাখা আবশ্যিক, যাতে মানুষ ইনসাফ করতে সচেষ্ট হতে পারে। কিন্তু হৃদয়স্থ ভালোবাসার সমতা বজায় রাখা যেহেতু মানুষের ইচ্ছা ও সাধ্যের বাইরে, তাই আল্লাহ তাআলা তা ধরবেন না। তবে আন্তরিক ভালবাসা যেন কোন একজন স্ত্রীর সাথে বিশেষ ভাল ব্যবহারের কারণ না হয়ে দাঁড়ায়। এই কারণে তিনি ইনসাফের সাথে পালা নির্ধারণ করে বলতেন, " হে আল্লাহ! আমি পালা ভাগ করার মালিক, পালা ভাগ করলাম। কিন্তু আমি যার মালিক নই; বরং তুমি যার মালিক তার ব্যাপারে তুমি আমাকে দোষ দিয়ো না। " (আবূ দাঊদ, তিরমিযী, নাসাঈ আহমাদ ৬ / ১৪৪) ( অর্থাৎ হৃদয় ও তার প্রেম ভাগ করার ক্ষমতা আমার নেই। হৃদয়ের মালিক তো তুমি। কারো প্রতি হৃদয়ের আকর্ষণ বেশী থাকলে তার জন্য আমি দায়ী নই। )

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


আপনি তাদের মধ্যে যাকে ইচ্ছে আপনার কাছ থেকে দূরে রাখতে পারেন এবং যাকে ইচ্ছে আপনার কাছে স্থান দিতে পারেন []। আর আপনি যাকে দূরে রেখেছেন তাকে কামনা করলে আপনার কোন অপরাধ নেই []। এ বিধান এ জন্যে যে, এটা তাদের চোখ জুড়ানোর অধিক নিকটবর্তী এবং তারা দুঃখ পাবে না আর তাদেরকে আপনি যা দেবেন তাতে তাদের প্রত্যেকেই খুশী থাকবে []। আর তোমাদের অন্তরে যা আছে আল্লাহ তা জানেন এবং আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সহনশীল। [] আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন, যে সমস্ত নারীরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে নিজেদেরকে দান করত এবং বিয়ে করত, আমি তাদের প্রতি ঈর্ষাণ্বিত হতাম। আমি বলতাম, একজন মহিলা কি করে নিজেকে দান করতে পারে? কিন্তু যখন এ আয়াত নাযিল হল, তখন আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বললাম, আমি দেখছি আপনার রব আপনার ইচ্ছা অনুসারেই তা করেছেন। [ বুখারী: ৫১১৩; মুসলিম: ১৪৬৪ ] [] মুজাহিদ ও কাতাদাহ বলেন, এর অর্থ আপনার স্ত্রীদের কাউকে যদি তালাক ব্যতীতই আপনি দূরে রাখতে চান, অথবা যাদেরকে দূরে রেখেছেন তাদের কাউকে কাছে রাখতে চান, তবে সেটা আপনি করতে পারেন। এতে কোন অপরাধ নেই। [ তাবারী; আত-তাফসীরুস সহীহ ] [] অর্থাৎ কাতাদাহ বলেন, তারা যখন জানতে পারবে যে, এটা আল্লাহর পক্ষ থেকে রাসূলের জন্য বিশেষ ছাড়, তখন তাদের অন্তরের পেরেশানী ও দুঃখ কমে যাবে এবং তাদের অন্তর পবিত্র হয়ে যাবে। [ তাবারী ]

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


হযরত উরওয়া ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, হযরত আয়েশা ( রাঃ ) ঐ সব মহিলাকে অবজ্ঞা করতেন যাঁরা নিজেদেরকে রাসূলুল্লাহ ( সঃ )-এর নিকট হিবা করে দিয়েছিলেন। তিনি বলতেন যে, নারীরা বিনা মহরে নিজেকে হিবা করতে লজ্জা বোধ করে না? অতঃপর আল্লাহ তাআলা ( আরবি ) আয়াতটি অবতীর্ণ করেন। তখন তিনি রাসূলুল্লাহ ( সঃ )-কে বলেনঃ “ আমি দেখি যে, আপনার চাহিদার ব্যাপারে প্রশস্ততা আনয়ন করেছেন । ( এ হাদীসটি ইমাম আহমাদ (রঃ ) বর্ণনা করেছেন। ইমাম বুখারীও ( রঃ ) এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন যা ইতিপূর্বে গত হয়েছে) সুতরাং বুঝা গেল যে, এই আয়াত দ্বারা উদ্দেশ্য এই মহিলারাই। এদের ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ ( সঃ )-কে ইখতিয়ার দেয়া হয়েছে যে, তিনি যাকে ইচ্ছা কবূল করবেন এবং যাকে ইচ্ছা কবুল করবেন না। এর পরেও তাঁকে অধিকার দেয়া হয়েছে যে, যাদেরকে তিনি কবুল করেননি তাদেরকেও ইচ্ছা করলে পরে কবুল করে নিতে পারেন।হযরত আমের শাবী ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) যাদেরকে দূরে রেখেছিলেন তাঁদের মধ্যে উম্মে শুরায়েকও ( রাঃ ) ছিলেন।এই বাক্যের একটি ভাবার্থ এও বর্ণনা করা হয়েছে যে, স্ত্রীদের ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ ( সঃ )-কে অধিকার দেয়া হয়েছিল যে, তিনি ইচ্ছা করলে তাঁদের মধ্যে ( পালা ) ভাগ-বাটোয়ারা করে দিতে পারেন এবং ইচ্ছা করলে তা নাও করতে পারেন। যাকে ইচ্ছা আগে করতে পারেন এবং যাকে ইচ্ছা পিছে করতে পারেন। কিন্তু এটা স্মরণ রাখার বিষয় যে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) তাঁর সারাটি জীবন স্ত্রীদের মধ্যে পর্ণ আদল ও ইনসাফের সাথে ( পালা ) ভাগ-বাটোয়ারা করে গেছেন। ফকীহদের মধ্যে ইমাম শাফেয়ী ( রঃ ) এ মত পোষণ করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ )-এর উপর ( পালার ) সমতার বণ্টন ওয়াজিব ছিল। হযরত আয়েশা ( রাঃ ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ “ এই আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার পরেও স্ত্রীর পালার দিনে রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) আমাদের কাছে অনুমতি চাইতেন ।” বর্ণনাকারী মুআয ( রাঃ )। তাকে জিজ্ঞেস করেনঃ “ আপনি কি বলতেন?” উত্তরে তিনি বলেন, আমি বলতামঃ এটা যদি আমার প্রাপ্য হয়ে থাকে তবে আমি অন্য কাউকেও আমার উপর প্রাধান্য দিতে চাইনে । ( এ হাদীসটি ইমাম বুখারী (রঃ ) বর্ণনা করেছেন)সুতরাং সঠিক কথা যা অতি উত্তম এবং যার দ্বারা এই উক্তিগুলোর মধ্যে সামঞ্জস্যতাও এসে যায়, তা এই যে, আয়াতটি সাধারণ। নিজেকে নিবেদনকারী ও রাসূলুল্লাহ ( সঃ )-এর স্ত্রীরা সবাই এর আওতায় পড়ে যায়। নিজেদেরকে হিবাকারিণীদের ব্যাপারে তাদেরকে বিয়ে করা ও না করা এবং বিবাহিতা স্ত্রীদের মধ্যে ( পালা ) বণ্টন করা বা না করা তাঁর ইচ্ছাধীন ছিল। এরপর মহান আল্লাহ বলেনঃ এই বিধান এই জন্যে যে, এতে তাদের তুষ্টি সহজতর হবে এবং তারা দুঃখ পাবে না, আর তুমি তাদেরকে যা দিবে তাতে তাদের প্রত্যেকেই প্রীত থাকবে। অর্থাৎ তারা যখন জানতে পারবেন যে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ )-এর উপর পালা বণ্টন জরুরী নয় তবুও তিনি সমতা প্রতিষ্ঠিত রাখছেন তখন তাঁরা তাঁর প্রতি অত্যন্ত সন্তুষ্ট হবেন এবং তার কৃতজ্ঞতা ও আনুগত্য প্রকাশ করবেন। তারা তার ইনসাফকে মুবারকবাদ জানাবেন।আল্লাহ তাআলা বলেনঃ তোমাদের অন্তরে যা আছে আল্লাহ তা জানেন। অর্থাৎ কার প্রতি কার আকর্ষণ আছে তা আল্লাহ ভালরূপেই অবগত আছেন। যেমন হযরত আয়েশা ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) ন্যায় ও ইনসাফের সাথে তার স্ত্রীদের মধ্যে ( পালা ) বণ্টন করতেন। অতঃপর তিনি বলতেনঃ ( আরবি ) অর্থাৎ “ হে আল্লাহ! যা আমার অধিকারে ছিল তা আমি করলাম, এখন যা আপনার অধিকারে আছে, কিন্তু আমার অধিকারে নেই সেজন্যে আপনি আমাকে তিরস্কার করবেন না ।

সূরা আহ্যাব আয়াত 51 সূরা

ترجي من تشاء منهن وتؤوي إليك من تشاء ومن ابتغيت ممن عزلت فلا جناح عليك ذلك أدنى أن تقر أعينهن ولا يحزن ويرضين بما آتيتهن كلهن والله يعلم ما في قلوبكم وكان الله عليما حليما

سورة: الأحزاب - آية: ( 51 )  - جزء: ( 22 )  -  صفحة: ( 425 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. অতএব, তোমাদেরকে যা দেয়া হয়েছে তা পার্থিব জীবনের ভোগ মাত্র। আর আল্লাহর কাছে যা রয়েছে,
  2. এবং সেই দিবসের, যে উপস্থিত হয় ও যাতে উপস্থিত হয়
  3. আমি কি আজ্ঞাবহদেরকে অপরাধীদের ন্যায় গণ্য করব?
  4. অতএব, তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং আমার আনুগত্য কর।
  5. আমি তোমাদের বিশ্বস্ত রসূল।
  6. আমি কোরআনকে বোঝার জন্যে সহজ করে দিয়েছি। অতএব, কোন চিন্তাশীল আছে কি?
  7. অহংকারবশে তুমি মানুষকে অবজ্ঞা করো না এবং পৃথিবীতে গর্বভরে পদচারণ করো না। নিশ্চয় আল্লাহ কোন
  8. তখন তারা বলবে, আমরা কি অবকাশ পাব না?
  9. এবং তাদের দিক থেকে তিনি মুখ ফিরিয়ে নিলেন এবং বললেনঃ হায় আফসোস ইউসুফের জন্যে। এবং
  10. কখনও এরূপ করবেন না, এটা উপদেশবানী।

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা আহ্যাব ডাউনলোড করুন:

সূরা Ahzab mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Ahzab শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত আহ্যাব  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত আহ্যাব  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত আহ্যাব  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত আহ্যাব  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত আহ্যাব  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত আহ্যাব  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত আহ্যাব  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত আহ্যাব  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত আহ্যাব  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত আহ্যাব  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত আহ্যাব  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত আহ্যাব  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত আহ্যাব  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত আহ্যাব  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত আহ্যাব  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত আহ্যাব  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত আহ্যাব  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত আহ্যাব  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত আহ্যাব  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত আহ্যাব  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত আহ্যাব  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত আহ্যাব  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত আহ্যাব  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত আহ্যাব  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত আহ্যাব  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Monday, May 20, 2024

لا تنسنا من دعوة صالحة بظهر الغيب