কোরান সূরা মারইয়াম আয়াত 53 তাফসীর
﴿وَوَهَبْنَا لَهُ مِن رَّحْمَتِنَا أَخَاهُ هَارُونَ نَبِيًّا﴾
[ مريم: 53]
আমি নিজ অনুগ্রহে তাঁকে দান করলাম তাঁর ভাই হারুনকে নবীরূপে। [সূরা মারইয়াম: 53]
Surah Maryam in Banglaজহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Maryam ayat 53
আর আমাদের করুণা বশত আমরা তাঁকে দিয়েছিলাম তাঁর ভাই হারুনকে নবীরূপে।
Tafsir Mokhtasar Bangla
৫৩. আর যখন তিনি তাঁর প্রতিপালকের নিকট এ দু‘আ করলেন তখন আমি তাঁর দু‘আটি কবুল করার খাতিরে নিজ দয়ায় ও রহমতে তাঁর ভাই হারূন ( আলাইহিস-সালাম ) কে নবী বানিয়ে দিলাম।
Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স
আর আমরা নিজ অনুগ্রহে তাকে দিলাম তার ভাই হারুনকে নবীরূপে।
Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর
৫১-৫৩ নং আয়াতের তাফসীর: স্বীয় খলীলের ( আঃ ) বর্ণনার পর আল্লাহর স্বীয় কালীমের ( অর্থাৎ মূসা কালীমুল্লাহর (আঃ ) বর্ণনা শুরু করলেন।( আরবী ) এর দ্বিতীয় পঠন ( আরবী ) ও রয়েছে। অর্থাৎ হযরত মূসা ( আঃ )। আন্তরিকতার সাথে আল্লাহর ইবাদতকারী ছিলেন। বর্ণিত আছে যে, হযরত ঈসাকে ( আঃ ) তাঁর অনুসারী হাওয়ারীরা প্রশ্ন করেছিলঃ “ ( হে রূহুল্লাহ (আঃ )! বলুন তো, ‘মুখলিস' ব্যক্তি কে?" উত্তরে তিনি বলেছিলেনঃ “যে শুধু মাত্র আল্লাহর উদ্দেশ্যে আমল করে । লোকে তার প্রশংসা করুক এটা তার উদ্দেশ্য থাকে না।" অন্য কিরআত ( আরবী ) রয়েছে। অর্থাৎ হযরত মূসা ( আঃ ) আল্লাহ তাআলার মনোনীত ও নির্বাচিত বান্দা ছিলেন। যেমন মহামহিমান্বিত আল্লাহ বলেনঃ ( আরবী ) অর্থাৎ “ আমি তোমাকে লোকদের উপর মনোনীত করেছি ।”( ৭:১৪৪ ) হযরত মূসা ( আঃ ) আল্লাহ তাআলার নবী ও রাসূল ছিলেন। পাঁচজন বড় মর্যাদাসম্পন্ন ও স্থির প্রতিজ্ঞ রাসূলদের মধ্যে তিনি ছিলেন একজন। অর্থাৎ নূহ ( আঃ ), ইবরাহীম ( আঃ ), মূসা ( আঃ ), ঈসা ( আঃ ) এবং মুহাম্মদ ( সঃ )। তাদের উপর এবং অন্যান্য সমস্ত ব্বীর উপর আল্লাহর দুরূদ ও সালাম বর্ষিত হোক।মহামহিমান্বিত আল্লাহ বলেনঃ তাকে আমি আহবান করেছিলাম তুর পর্বতের দক্ষিণ দিক হতে এবং আমি গূঢ়তত্ত্ব আলোচনারত অবস্থায় তাকে নিকটবর্তী করেছিলাম। এটা ঐ সময়ের ঘটনা, যখন তিনি আগুনের সন্ধানে বের হয়ে তূর পাহাড়ের দিকে আগুন দেখতে পান এবং সেই দিকে অগ্রসর হন। হযরত ইবনু আব্বাস ( রাঃ ) প্রভৃতি গুরুজন বলেনঃ তিনি এতো নিকটবর্তী হন যে, কলমের শব্দ শুনতে পান। এর দ্বারা তাওরাত লিখার কলমকে বুঝানো হয়েছে। সুদ্দী ( রঃ ) বলেন যে, তিনি আকাশে যান এবং আল্লাহ তাবারাকা ওয়া তাআলার সাথে কথা বলেন। বর্ণিত আছে যে, তার সাথে আল্লাহ তাআলার যে সব কথোপকথন হয়েছিল তার মধ্যে এটাও ছিলঃ “ হে মূসা ( আঃ )! যখন আমি তোমার অন্তরকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশকারী ও তোমার যবানকে আমার স্মরণকারী বানিয়ে দেবো, আর তোমাকে এমন স্ত্রী দান করবো যে পুণ্যের কাজে তোমার সহায়িকা হয়, তখন তুমি জানবে যে, তোমাকে আমি কোন কল্যাণই দান করতে ছাড়ি নাই । আর যাকে একটি জিনিস দান করি না, সে যেন মনে করে নেয় যে, তাকে আমি কোন কল্যাণই দান করি নাই। মহান আল্লাহ বলেনঃ আমি মূসার ( আঃ ) উপর আর একটি অনুগ্রহ এই করেছিলাম যে, তার ভাই হারূণকে ( আঃ ) নবী করে তার সাহায্যার্থে তার সঙ্গী করেছিলাম। এটা সে আকাংখাও করেছিল ও প্রার্থনা জানিয়েছিল। যেমন মহান আল্লাহ তাঁর প্রার্থনার উদ্ধৃতি দিয়ে বলেনঃ ( আরবী ) অর্থাৎ “ আমার ভ্রাতা হারূণ ( আঃ ) আমা অপেক্ষা বাগ্মী; অতএব, তাকে আমার সাহায্যকারীরূপে প্রেরণ করুন!” ( ২৮:৩৪ ) অন্য আয়াতে রয়েছেঃ ( আরবী ) অর্থাৎ “হে মূসা ( আঃ )! তোমার প্রার্থনা কবূল করা হলো ।" ( ২০:৩৬ ) তার দু’আর শব্দ ( আরবী ) ( ২৬:১৩ ) এরূপও রয়েছে। অর্থাৎ “ হারূণকেও ( আঃ ) রাসল বানিয়ে দিন ।" বর্ণিত আছে যে, এর চেয়ে বড় প্রার্থনা এবং এরচেয়ে বড় সুপারিশ দুনিয়ায় কেউই কারো জন্যে করে নাই। হযরত হারূণ ( আঃ ) হযরত মূসার ( আঃ ) চেয়ে বড় ছিলেন। তাঁদের উভয়ের উপর আল্লাহর দুরূদ ও সালাম বর্ষিত হোক।
সূরা মারইয়াম আয়াত 53 সূরা
English | Türkçe | Indonesia |
Русский | Français | فارسی |
تفسير | Urdu | اعراب |
বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত
- বলুন, আমি তোমাদের কাছে কোন পারিশ্রমিক চাই না বরং তা তোমরাই রাখ। আমার পুরস্কার তো
- অতঃপর সে ধর্মের ঘাঁটিতে প্রবেশ করেনি।
- যারা ঈমান এনেছে, দেশ ত্যাগ করেছে এবং আল্লাহর রাহে নিজেদের জান ও মাল দিয়ে জেহাদ
- আর আমি রসূলগণের সব বৃত্তান্তই তোমাকে বলছি, যদ্দ্বারা তোমার অন্তরকে মজবুত করছি। আর এভাবে তোমার
- অহংকারীরা বলবে, আমরা সবাই তো জাহান্নামে আছি। আল্লাহ তাঁর বান্দাদের ফয়সালা করে দিয়েছেন।
- এবং সেখানে চন্দ্রকে রেখেছেন আলোরূপে এবং সূর্যকে রেখেছেন প্রদীপরূপে।
- তাদের পূর্ববর্তীরাও মিথ্যা আরোপ করেছে। আমি তাদেরকে যা দিয়েছিলাম, এরা তার এক দশমাংশও পায়নি। এরপরও
- সে বলল, রাজা বাদশারা যখন কোন জনপদে প্রবেশ করে, তখন তাকে বিপর্যস্ত করে দেয় এবং
- হে ঈমানদারগণ! তোমরা স্বীয় পিতা ও ভাইদের অভিভাবকরূপে গ্রহণ করো না, যদি তারা ঈমান অপেক্ষা
- যে কেউ আল্লাহর পথে দেশত্যাগ করে, সে এর বিনিময়ে অনেক স্থান ও সচ্ছলতা প্রাপ্ত হবে।
বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :
সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা মারইয়াম ডাউনলোড করুন:
সূরা Maryam mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Maryam শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
আহমেদ আল-আজমি
ইব্রাহীম আল-আখদার
বান্দার বেলাইলা
খালিদ গালিলি
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
খলিফা আল টুনাইজি
সাদ আল-গামদি
সৌদ আল-শুরাইম
সালাহ বুখাতীর
আবদ এল বাসেট
আবদুল রশিদ সুফি
আব্দুল্লাহ্ বাস্ফার
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
আলী আল-হুদায়েফি
আলী জাবের
ফারেস আব্বাদ
মাহের আলমাইকুলই
মোহাম্মদ আইয়ুব
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মাদ জিব্রীল
আল-মিনশাবি
আল হোসারি
মিশারী আল-আফসী
নাসের আল কাতামি
ইয়াসের আল-দোসারি
Please remember us in your sincere prayers