কোরান সূরা যিল্যাল আয়াত 8 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Zalzalah ayat 8 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা যিল্যাল আয়াত 8 আরবি পাঠে(Zalzalah).
  
   

﴿وَمَن يَعْمَلْ مِثْقَالَ ذَرَّةٍ شَرًّا يَرَهُ﴾
[ الزلزلة: 8]

এবং কেউ অণু পরিমাণ অসৎকর্ম করলে তাও দেখতে পাবে। [সূরা যিল্যাল: 8]

Surah Az-Zalzalah in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Zalzalah ayat 8


আর যে কেউ এক অণু-পরিমাণ মন্দকাজ করেছে সেও তা দেখতে পাবে।


Tafsir Mokhtasar Bangla


৮. পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি সেই পরিমাণ মন্দ কাজ করবে সেও তা দেখতে পাবে।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


এবং কেউ অণু পরিমাণ মন্দ কাজ করলে, তাও সে দেখতে পাবে।[১] [১] ফলে সে তার উপর অত্যন্ত লজ্জিত ও উদ্বিগ্ন হবে। 'যার্রাহ' কোন কোন উলামার নিকট পিঁপড়ে হতেও ছোট বস্তুকে বোঝায়। কেউ কেউ বলেন, মানুষ মাটিতে হাত মেরে তারপর হাতে যে মাটি অবশিষ্ট থাকে, সেটাকেই 'যার্রাহ' বলা হয়। কিছু সংখ্যক আলেম বলেন, ঘরের দরজা বা জানালার ছিদ্র দিয়ে সূর্যের ছটার সাথে যে ধূলিকণা দেখা যায়, সেটাই হল যার্রাহ। কিন্তু ইমাম শাওকানী ( রঃ ) প্রথম অর্থটিকে প্রাধান্য দিয়েছেন। ( বস্তুর সবচেয়ে ছোট অংশ বুঝাতে বাংলায় 'যার্রাহ'কে 'অণু পরিমাণ' বলা হয়েছে। -সম্পাদক ) ইমাম মুক্বাতিল ( রঃ ) বলেন, এই সূরাটি সেই দুই ব্যক্তি সম্বন্ধে অবতীর্ণ হয়েছে, যাদের একজন ভিখারীকে অল্প কিছু সদকা করতে ইতস্ততঃবোধ করত। আর অপরজন ছোট ছোট পাপ করতে কোন প্রকার ভয় অনুভব করত না। ( ফাতহুল ক্বাদীর )

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


আর কেউ অণু পরিমাণ অসৎকাজ করলে সে তাও দেখবে []। [] প্রত্যেকটি সামান্যতম ও নগণ্যতম সৎকাজেরও একটি ওজন ও মূল্য রয়েছে এবং অনুরূপ অবস্থা অসৎকাজেরও। অসৎকাজ যত ছোটই হোক না কেন অবশ্যি তার হিসেব হবে এবং তা কোনক্রমেই উপেক্ষা করার মতো নয়। তাই কোন ছোট সৎকাজকে ছোট মনে করে ত্যাগ করা উচিত নয়। কারণ এই ধরনের অনেক সৎকাজ মিলে আল্লাহ্র কাছে একটি অনেক বড় সৎকাজ গণ্য হতে পারে। অনুরূপভাবে কোন ছোট ও নগণ্য অসৎকাজও না করা উচিত; কারণ এই ধরনের অনেকগুলো ছোট গোনাহ একত্র হয়ে একটি বিরাট গোনাহের স্তুপ জমে উঠতে পারে। [ দেখুন; কুরতুবী, সা‘দী ] রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “ জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচো-তা এক টুকরা খেজুর দান করার বা একটি ভালো কথা বলার বিনিময়েই হোক না কেন” [ বুখারী: ৬৫৪০ ] রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরও বলেছেন: “কোন সৎকাজকেও সামান্য ও নগণ্য মনে করো না, যদিও তা কোন পানি পানেচ্ছু ব্যক্তির পাত্রে এক মগ পানি ঢেলে দেয়াই হয় অথবা তোমার কোন ভাইয়ের সাথে হাসিমুখে সাক্ষাত করাই হয়” [ মুসনাদে আহমাদ: ৫/৬৩ ] অনুরূপভাবে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মেয়েদেরকে সম্বোধন করে বলেছেন, “ হে মুসলিম মেয়েরা! কোন প্রতিবেশী তার প্রতিবেশিনীর বাড়িতে কোন জিনিস পাঠানোকে সামান্য ও নগণ্য মনে করো না, তা ছাগলের পায়ের একটি খুর হলেও ।” [ বুখারী: ৬০১৭, মুসলিম: ১০৩০ ] রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অন্যত্র বলেন, “ হে আয়েশা! যেসব গোনাহকে ছোট মনে করা হয় সেগুলো থেকে দূরে থাকো । কারণ আল্লাহ্র দরবারে সেগুলো সম্পর্কেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।” [ মুসনাদে আহমাদ: ৬/৭০, ৫/১৩৩, ইবনে মাজহ: ৪২৪৩ ] রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরও বলেন: “ সাবধান, ছোট গোনাহসমূহ থেকে নিজেকে রক্ষা করো । কারণ সেগুলো সব মানুষের ওপর একত্র হয়ে তাকে ধ্বংস করে দেবে।” [ মুসনাদে আহমাদ: ১/৪০২ ] [ ইবন কাসীর ]

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


জামে তিরমিযীতে হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, একটি লোক রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) এর কাছে এসে বলেঃ “ হে আল্লাহর রাসূল ( সঃ )! আমাকে পড়িয়ে দিন ।রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) তখন তাকে বললেনঃ ( আরবি ) যুক্ত তিনটি সূরা পাঠ করো।” লোকটি বললো “ আমি বৃদ্ধ হয়ে গেছি, স্মৃতিশক্তি আমার দুর্বল হয়ে গেছে এবং জিহ্বা মোটা হয়ে গেছে ( সুতরাং এই সূরাগুলো পড়া আমার পক্ষে কঠিন )” তখন রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বললেন, “ আচ্ছা, তাহলে ( আরবি ) যুক্ত সূরাগুলো পড় ।” লোকটি পুনরায় একই ওযর পেশ করলো। তখন নবী করীম ( সঃ ) তাকে বললেন “ তাহলে ( আরবি ) বিশিষ্ট তিনটি সূরা পাঠ করো ।” লোকটি ঐ উক্তিরই পুনরাবৃত্তি করলো এবং বললোঃ আমাকে একটি সূরার সবক দিন।” তখন রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) তাকে ( আরবি ) এই সূরাটিই পাঠ করালেন। পড়া শেষ করার পর লোকটি বললোঃ আল্লাহর কসম! আমি কখনো এর অতিরিক্ত কিছু করবো না ।” এই কথা বলে লোকটি চলে যেতে শুরু করলো। তখন নবী করীম ( সঃ ) বললেনঃ “ এ লোকটি সাফল্য অর্জন করেছে ও মুক্তি পেয়ে গেছে ।”তারপর তিনি বললেনঃ “ তাকে একটু ডেকে আনে ।” লোকটিকে ডেনে আনা হলে রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) তাকে বললেনঃ আমাকে ঈদুল আযহার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এই দিনকে আল্লাহ তাআলা এই উম্মতের জন্যে ঈদের দিন হিসেবে নির্ধারণ করেছেন।" একথা শুনে লোকটি বললোঃ “ যদি আমার কাছে কুরবানীর পশু না থাকে এবং কেউ আমাকে দুধ পানের জন্যে একটা পশু উপটৌকন দেয় তবে কি আমি ঐ পশুটি যবাহ করে ফেলবো?” রাসূলুল্লাহ উত্তরে বললেনঃ না, ( এ কাজ করো না । বরং চুল ছাটিয়ে নাও, নখ কাটিয়ে নাও, গোঁফ ছোট করো এবং নাভীর নিচের লোম পরিষ্কার করো, এ কাজই আল্লাহর কাছে তোমার জন্যে পুরোপুরি কুরবানী রূপে গণ্য হবে।” (এ হাদীসটি সুনানে আবী দাউদ ও সুনানে নাসাঈতেও বর্ণিত হয়েছে )জামে তিরমিযীতে হযরত আনাস ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বলেছেনঃ “ যে ব্যক্তি এই সূরা পাঠ করে সে অর্ধেক কুরআন পাঠের সওয়াব লাভ করে ।( এ হাদীসটি গারীব বা দুর্বল )অন্য এক হাদীসে রয়েছে যে, ( আরবি ) সূরাটি অর্ধেক কুরআনের সমতুল্য, ( আরবি ) সূরাটি কুরআনের এক তৃতীয়াংশের সমতুল্য এবং এ সূরাটি কুরআনের এক চতুর্থাংশের সমতুল্য। ( এটাও গারীব বা দুর্বল হাদীস )অন্য একটি হাদীসে আছে যে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) তাঁর সাহাবীদের একজনকে বলেনঃ “ তুমি কি বিয়ে করেছো?” লোকটি উত্তরে বলেনঃ “জ্বী, না । আমার বিয়ে করার মত সামর্থ্য নেই।” রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) তখন বললেনঃ ( আরবি ) “ এ সূরাটি কি তোমার সাথে নেই ( অর্থাৎ এ সূরাটি কি তোমার মুখস্ত নেই )?” লোকটি জবাবে বললেনঃ “হ্যা ( তা তো আছেই )রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বললেনঃ “ এতে কুরআনের এক তৃতীয়াংশ হলো । তারপর বললেনঃ “ তোমার সাথে কি ( আরবি ) এই সূরাটি নেই?” লোকটি বললেনঃ “হ্যা’, আছে । নবী করীম ( সঃ ) বললেনঃ “ এতে কুরআনের এক চতুর্থাংশ হলো । এরপর বললেন ( আরবি ) “ এ সূরাটি কি তোমার জানা নেই?” লোকটি জবাব দিলেনঃ “হ্যা আছে ।রাসূলুল্লাহ( সঃ ) বললেনঃ “ এটা কুরআনের এক চতুর্থাংশ” অতঃপর বললেনঃ “তোমার কি ( আরবি ) এ সূরাটি মুখস্ত নেই?” লোকটি উত্তরে বললেনঃ “হ্যা, অবশ্যই আছে ।রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বললেনঃ “ এটাও কুরআনের এক চুতর্থাংশ । যাও, এবার বিয়ে করে নাও।” ( এই হাদীসটি হাসান। এই তিনটি হাদীসই ইমাম তিরমিযী বর্ণনা করেছেন। তিনি ছাড়া আসহাবুল কুতুবের অন্য কেউ এটা বর্ণনা করেননি ) ১-৮ নং আয়াতের তাফসীর হযরত ইবনে আব্বাস ( রাঃ ) ( আরবি ) এ আয়াতের তাফসীরে বলেনঃ জমীনকে যখন ভীষণ কম্পনে কম্পিত করা হবে, নীচে থেকে উপর পর্যন্ত প্রকম্পনে ভিতরের সমস্ত মৃতকে বাইরে ছুঁড়ে ফেলা হবে। যেমন অন্যত্র রয়েছেঃ ( আরবি )অর্থাৎ “ হে মানুষ! ভয় কর তোমাদের প্রতিপালককে; কিয়ামতের প্রকম্পন এক ভয়ানক ব্যাপার ।( ২২:১ ) আর এক জায়গায় রয়েছেঃ ( আরবি )অথাৎ “ এবং পৃথিবীকে যখন সম্প্রসারিত করা হবে ও পৃথিবী তার অভ্যন্তরে যা আছে তা বাইরে নিক্ষেপ করবে ও শূন্যগর্ভ হবে ।( ৮৪:৩-৪ ) সহীহ মুসলিমে হযরত আবু হুরাইরা ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বলেছেনঃ “ জমীন তার কলেজার টুকরোগুলোকে উগরে দিবে এবং বাইরে নিক্ষেপ করবে । স্বর্ণ রৌপ্য স্তম্ভের মত বাইরে বেরিয়ে পড়বে। হত্যাকারী সে সব দেখে বলবেঃ হায়! আমি এই ধন সম্পদের জন্য অমুককে হত্যা করে ছিলাম, অথচ আজ ওগুলো এভাবে বিক্ষিপ্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে, কেউ যেন ওগুলোর দিকে ভুলেও তাকাচ্ছে না!" আত্মীয়-স্বজনের প্রতি দুর্ব্যবহারকারী দুঃখ করে বলবেঃ “ হায়! এই ধন সম্পদের মোহে পড়ে আমি আমার আত্মীয় স্বজনের সাথে ভাল ব্যবহার করিনি!” চোর বলবেঃ “হায়! এই মাল ধনের জন্যে আমার হাত কেটে দেয়া হয়েছিল!” অতঃপর ওগুলো তাদেরকে ডাকবে, কিন্তু তারা ওগুলো হতে কিছুই গ্রহণ করবে না ।”মোটকথা, সেই ধন সম্পদ এমনভাবে বিক্ষিপ্ত অবস্থায় পড়ে থাকবে যে, ওগুলোর প্রতি কেউ চোখ তুলেও চাইবে না। মানুষ বিস্ময় বিস্ফারিত নেত্রে সেদিকে তাকিয়ে বলবেঃ হায়! এগুলোর তো নড়া চড়া করার কোন শক্তি ছিল এগুলো তো স্তব্ধ নিথর হয়ে পড়ে থাকতো। আজ এগুলোর কি হলো যে, এমন থরথর করে কাঁপছে! পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সমস্ত মৃতদেহ জমীন বের করে দিবে। তখন মানুষ বলবেঃ এর কি হলো? জমীন ও আসমান সম্পূর্ণরূপে পরিবর্তন করে দেয়া হবে। ঐ দৃশ্য সবাই দেখবে এবং সবাইকে মহাপরাক্রমশালী আল্লাহর সামনে হাযির করা হবে। জমীন খোলাখুলি ও সুস্পষ্টভাবে সাক্ষ্য দিবে যে, অমুক অমুক ব্যক্তি তার উপর অমুক অমুক নাফরমানী করেছে। হযরত আবু হুরাইরা ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, নবী করীম ( সঃ ) এই আয়াতটি পাঠ করে বললেনঃ “ জমীনের বৃত্তান্ত কি তা কি তোমরা জাননা?” সাহাবীগণ উত্তরে বললেনঃ 'আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলই ( সঃ ) ভাল জানেন ।” তখন রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বললেনঃ “ আদম সন্তান যে সব আমল জমীনে করেছে তার সব কিছু জমীন এভাবে প্রকাশ করে দিবে, যে অমুক ব্যক্তি অমুক সময়ে অমুক জায়গায় এই এই পাপ ও এই এই পুণ্য কাজ করেছে ।( এ হাদীসটি ইমাম আহমাদ (রঃ ) ইমাম তিরমিযী ( রঃ ) এবং আবু আবদির রহমান নাসাঈ ( রঃ ) বর্ণনা করেছেন এবং ইমাম তিরমিযী ( রঃ ) এ হাদীসটি হাসান-সহীহ গারীব বলেছেন)মু’জামে তিবরানীতে হযরত রাবীআহ হাদাসী ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বলেছেনঃ “ জমীনের ব্যাপারে সাবধান থেকো । ওটা তোমাদের মা। ওর উপর যে ব্যক্তি যে পাপ বা পুণ্য কাজ করবে সে তো খোলাখুলিভাবে বর্ণনা করে দিবে।” এখানে অহী দ্বারা আদেশ করা বুঝানো হয়েছে। অর্থাৎ আল্লাহ তাআলা জমীনকে বলবেনঃ ‘বলে দাও। তখন সে বলে দিবে। সেদিন মানুষ হিসাবের জায়গা থেকে বিভিন্ন ধরনের দলে বিভক্ত হয়ে ফিরবে। কেউ হবে পুণ্যবান এবং কেউ হবে পাপী। কেউ জান্নাতী হবে, আবার কেউ জাহান্নামী হবে। এ অর্থও করা হয়েছে যে, এখান থেকে তারা পৃথক হবে, আর তারা মসবেত হবে না। এর কারণ হলো এই যে, তারা নিজেদের আমলসমূহ জেনে নিবে এবং ভালমন্দের প্রতিফল পেয়ে যাবে। এজন্যেই শেষেও একথাই বলে দেয়া হয়েছে।হযরত আবু হুরাইরা ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বলেছেনঃ “ ঘোড়ার মালিকরা তিন প্রকারের । এক প্রকার হলো তারা যারা পুরস্কার ও পারিশ্রমিক লাভকারী। দ্বিতীয় প্রকার হলো তারা যাদের জন্যে ঘোড়া আবরণস্বরূপ। তৃতীয় প্রকার হলো তারা যাদের জন্যে ঘোড়া বোঝাস্বরূপ অর্থাৎ তারা পাপী।পুরস্কার বা পারিশ্রমিক লাভকারী বলতে তাদেরকে বুঝানো হয়েছে যারা জিহাদের উদ্দেশ্যে ঘোড়া পালন করে। যদি ঘোড়ার দেহে ও পায়ে শিথিলতা দেখা দেয় এবং ঐ ঘোড়া এদিক ওদিকের চারণ ভূমিতে বিচরণ করে তাহলে এজন্যেও মালিক সওয়াব লাভ করবে। যদি ঘোড়ার রশি ছিড়ে যায় এবং ঐ ঘোড়াটি এদিক ওদিক চলে যায় তবে তার পদচিহ্ন এবং মল মূত্রের জন্যেও মালিক সওয়াব বা পুণ্য লাভ করবে। মালিকের পানি পান করাবার ইচ্ছা না থাকলেও ঘোড়া যদি কোন জলাশয়ে গিয়ে পানি পান করে তাহলেও মালিক সওয়াব পাবে। এই ঘোড়া তার মালিকের জন্যে পুরোপুরি পুণ্য ও পুরস্কারের মাধ্যম। দ্বিতীয় হলো ঐ ব্যক্তি যে স্বয়ং সম্পূর্ণ হওয়ার জন্যে ঘোড়া পালন করেছে, যাতে প্রয়োজনের সময় অন্যের কাছে ঘোড়া চাইতে না হয়, কিন্তু সে আল্লাহর অধিকারের কথা নিজের ক্ষেত্রে এবং নিজের সওয়ারীর ক্ষেত্রে বিস্মৃত হয় না। এই সওয়ারী ঐ ব্যক্তির জন্যে পর্দা স্বরূপ। আর তৃতীয় হচ্ছে ঐ ব্যক্তি যে অহংকার এবং গর্বের কারণে এবং অন্যদের উপর জুলুম অত্যাচার করার উদ্দেশ্যে ঘোড়া পালন করে, এই পালন তার উপর একটা বোঝা স্বরূপ এবং তার জন্যে গুনাহ স্বরূপ। রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) কে তখন জিজ্ঞেস করা হলোঃ “ গাধা সম্পর্কে আপনার নির্দেশ কি?” তিনি উত্তরে বললেনঃ “আল্লাহ তা'আলা আমার প্রতি এই স্বয়ংসম্পূর্ণ ও অর্থবহ আয়াত অবতীর্ণ করেছেন যে, বিন্দুমাত্র পুণ্য এবং বিন্দুমাত্র পাপও প্রত্যেকে প্রত্যক্ষ করবে ।( এ হাদীসটি ইমাম বুখারী (রঃ ) এবং ইমাম মুসলিম ( রঃ ) বর্ণনা করেছেন) হযরত ফারদাকের ( রাঃ ) চাচা হযরত সাআ’সাআ ইবনে মুআবিয়া ( রাঃ ) নবী ( সঃ )-এর নিকট আগমন করলে তিনি তার সামনে ( আরবি ) আয়াত দু’টি পাঠ করেন। তখন হযরত সাআ’সাআ ( রাঃ ) বলেনঃ “ এ আয়াত দু’টিই আমার জন্যে যথেষ্ট । এর চেয়ে বেশী যদি নাও শুনি তবুও কোন অসুবিধা হবে না।” ( এ হাদীসটি ইমাম আহমদ (রঃ ) ও ইমাম নাসাঈ ( রঃ ) বর্ণনা করেছেন)সহীহ বুখারীতে হযরত আদী ইবনে হাতিম ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বলেছেনঃ “ অর্ধেক খেজুর সাদকা করার মাধ্যমে হলেও এবং ভাল কথার মাধ্যমে হলেও আগুন হতে আত্মরক্ষা করো ।” একইভাবে সহীহ হাদীসে রয়েছেঃ “ পুণ্যের কাজকে কখনো হালকা মনে করো না, নিজের বালতি দিয়ে পানি তুলে কোন পিপাসার্তকে পান করানো অথবা কোন মুসলমান ভাই এর সাথে অন্তরঙ্গ অনুভূতি সহকারে দেখা করাও পুণ্যের কাজ বলে মনে করবে ।” অন্য একটি সহীহ হাদীসে রয়েছেঃ “ হে নারীদের দল! তোমরা তোমাদের প্রতিবেশীদের পাঠানো উপঢৌকনকে তুচ্ছ মনে করো না, যদিও তারা এটা পায়ের গোড়ালীও অর্থাৎ খুরও পাঠায় । অন্য একটি হাদীসে রয়েছেঃ “ ভিক্ষুককে কিছু না কিছু দাও, আগুনে পোড়া একটা খুর হলেও দাও ।”মুসনাদে আহমাদে বর্ণিত হয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বলেনঃ “ হে আয়েশা । ( রাঃ )! পাপকে কখনো তুচ্ছ মনে করো না। মনে রেখো, তারও হিসাব হবে।"হযরত আনাস ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, হযরত আবু বকর ( রাঃ ) রাসূলুল্লাহ( সঃ ) সাথে আহার করছিলেন এমন সময় এ আয়াত অবতীর্ণ হয়। হযরত আবু বকর ( রাঃ ) তখন খাবার হতে হাত তুলে নিয়ে জিজ্ঞেস করেনঃ “ হে আল্লাহর রাসূল ( সঃ )! প্রতিটি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পাপেরও বদলা আমাকে দেয়া হবে?” রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) উত্তরে বলেনঃ “হে আবু বকর ( রাঃ )! পৃথিবীতে তুমি যে সব দুঃখ কষ্ট ভোগ করেছে তাতে তোমার ছোট খাট পাপের প্রায়শ্চিত্ত হয়ে গেছে, পুণ্যসমূহ তোমার জন্যে আল্লাহর কাছে রক্ষিত রয়েছে । এগুলোর প্রতিদান পরিপূর্ণভাবে কিয়ামতের দিন তোমাকে প্রদান করা হবে।” ( এ হাদীসটি ইমাম ইবনে জারীর (রঃ ) বর্ণনা করেছেন)অন্য একটি বর্ণনায় আছে যে, এ সূরাটি হযরত আবু বকর ( রাঃ )-এর উপস্থিতিতে অবতীর্ণ হয়। তিনি শুনে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) তাঁকে কান্নার কারণ জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেনঃ “ এই সূরাটি আমাকে কাঁদিয়েছে । তখন রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বলেনঃ আল্লাহ তাআলা ক্ষমা করবেন না । এরূপ ধারণা করে তোমরা যদি গুনাহ না করতে তাহলে আল্লাহ তা'আলা অন্য কোন উম্মত সৃষ্টি করতেন যারা ভুল করতো ও গুনাহ করতো, অতঃপর পরম করুণাময় আল্লাহ তাদেরকে ক্ষমা করতেন।” ( এ হাদীসটিও ইমাম ইবনে জারীর (রঃ ) বর্ণনা করেছেন)মুসনাদে ইবনে আবী হাতিমে হযরত আবু সাঈদ খুদরী ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, ( আরবি ) যখন আয়াত দু'টি অবতীর্ণ হয় তখন তিনি বলেনঃ “ হে আল্লাহর রাসূল ( সঃ )! আমি কি আমার সব আমলই দেখবো?” উত্তরে রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বললেনঃ “হ্যা ।” তিনি জিজ্ঞেস করলেনঃ “ বড় বড় সব আমল?” রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) জবাব দিলেনঃ “হ্যা” তিনি আবার জিজ্ঞেস করলেনঃ “ছোট ছোট সব আমল?” রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) উত্তরে বললেনঃ “হ্যা তখন হযরত আবু সাঈদ খুদরী ( রাঃ ) বললেনঃ “হায়, আফসোস!” রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) তখন বললেনঃ “হে আবু সাঈদ ( রাঃ )! খুশী হয়ে যাও, জেনে রেখো যে, আল্লাহ তা'আলা পুণ্যের পরিমাণ দশগুণ হতে সাতশ গুণ পর্যন্ত দেন, এমনকি যাকে ইচ্ছা করেন তার চেয়েও বেশী প্রদান করেন কিন্তু গুনাহ সমপরিমাণই থাকবে অথবা আল্লাহ গুনাহগারকে ক্ষমা করে দিবেন । মনে। রাখবে যে, কোন লোককে শুধু তার আমল মুক্তি দিতে পারবে না।” একথা শুনে হযরত আবু সাঈদ ( রাঃ ) বললেনঃ “ হে আল্লাহর রাসূল ( সঃ ) আপনাকেও নয়?” রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) জবাব দিলেনঃ “হ্যা, আমাকেও নয় । তবে আল্লাহ তা'আলা আমাকে তার রহমত দ্বারা ঢেকে দিবেন। আবু যারআহ ( রঃ ) বলেন যে, ( এই হাদীসটি শুধুমাত্র ইবনে লাহীআহ (রঃ ) বর্ণনা করেছেন)হযরত সাঈদ ইবনে জুবায়ের ( রঃ ) বলেন, যখন( আরবি ) ( অর্থাৎ “ আহার্যের প্রতি আসক্তি থাকা সত্ত্বেও তারা অভাবগ্রস্ত, ইয়াতীম ও বন্দীকে আহার্য দান করে (৭৬:৮ )” যখন এ আয়াত অবতীর্ণ হয় তখন মুসলমানরা মনে করেন যে, তারা সামান্য জিনিস প্রদান করলে কোন বিনিময় প্রাপ্ত হবেন না। তাই, তাদের দরজায় ফকীর মিকসীন আসলে তারা তাদেরকে এক আধটা খেজুর, রুটির টুকরা ইত্যাদি দেয়াকে বৃথা মনে করে শূন্য হস্তেই ফিরিয়ে দিতেন। তারা চিন্তা করতেন যে, যদি দিতে পারেন তবে ভালো ও উৎকৃষ্ট কোন জিনিসই দিবেন। এ ধরনের চিন্তা একটি দল করতেন। অন্য কেটি দল মনে করতেন যে, ছোট খাট পাপের জন্য কৈফিয়ত তলব করা হবে না। যেমন কখনো মিথ্যা কথা বলা, এদিক ওদিক তাকানো, কারো গীবত করা ইত্যাদি। তখন অবতীর্ণ হলো, ( আরবি ) এই আয়াত দু'টি। অর্থাৎ “ কেউ অণু পরিমাণ সঙ্কাজ করলে তা দেখবে এবং কেউ অণু পরিমাণ অসত্তাজ করলে তাও দেখবে ।” তাদেরকে আরো বলা হলোঃ ছোট খাট পুণ্য বা নেক কাজকে তুচ্ছ মনে করো ওটা বড়রূপে দেখা দিবে। আর ছোট খাট পাপকেও তুচ্ছ মনে করো না। কেন না, এই ছোট খাট পাপসমূহই একত্রিত হয়ে বিরাট আকার ধারণ করবে।”এর অর্থ হলো ছোট পিপীলিকা। অর্থাৎ আমলনামায় ছোট বড় সব আমলই দেখা যাবে। গুনাহ তো একটির স্থলে একটিই লিখা হয়, কিন্তু পুণ্য বা নেককাজ একটির বদলে দশ, বরং যার জন্যে আল্লাহ চান এরচেয়ে অনেকগুণ বেশী লিখেন। আবার অনেক সময় নেকীর বদলে গুনাহ্ মার্জনাও করে দেন। এক একটি নেকীর বদলে দশ দশটি গুনাহ মাফ হয়ে যায়। তারপর এমনও রয়েছে যে, যার পুণ্য বা নেকী গুনাহর চেয়ে একবিন্দু পরিমাণ বেশী হবে সে জান্নাতে প্রবেশাধিকার লাভ করবে। রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বলেনঃ “ পাপকে হালকা মনে করো সব পাপ একত্রিত হয়ে ধ্বংস করে দেয় । রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) এসব পাপের উদাহরণ প্রসঙ্গে বলেনঃ “ যেমন কিছু লোক কোন জায়গায় অবতরণ করলো । তারপর একটি লোক একটি দু'টি করে কাঠ কুড়িয়ে জমা করলো। এতে কাঠের একটা স্কুপ হয়ে গেল। তারপর ঐ কাঠে অগ্নি সংযোগ করা হলো এবং তারা যা ইচ্ছা করলো তা রান্না করলো।”

সূরা যিল্যাল আয়াত 8 সূরা

ومن يعمل مثقال ذرة شرا يره

سورة: الزلزلة - آية: ( 8 )  - جزء: ( 30 )  -  صفحة: ( 599 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. শপথ সুস্পষ্ট কিতাবের,
  2. না, এটা ঠিক নয়। সে যা বলে আমি তা লিখে রাখব এবং তার শাস্তি দীর্ঘায়িত
  3. অতঃপর শয়তান তাকে কুমন্ত্রনা দিল, বললঃ হে আদম, আমি কি তোমাকে বলে দিব অনন্তকাল জীবিত
  4. বস্তুতঃ তাদের অধিকাংশই শুধু আন্দাজ-অনুমানের উপর চলে, অথচ আন্দাজ-অনুমান সত্যের বেলায় কোন কাজেই আসে না।
  5. আপনার কাছে তাদের ইতিবৃত্তান্ত সঠিকভাবে বর্ণনা করছি। তারা ছিল কয়েকজন যুবক। তারা তাদের পালনকর্তার প্রতি
  6. এবং আমরাই সারিবদ্ধভাবে দন্ডায়মান থাকি।
  7. নিশ্চয় এই মহা সাফল্য।
  8. যখন মূসা যৌবনে পদার্পন করলেন এবং পরিণত বয়স্ক হয়ে গেলেন, তখন আমি তাঁকে প্রজ্ঞা ও
  9. তথায় শুনবে না কোন অসার কথাবার্তা।
  10. আর ও যাকারিয়া, ইয়াহিয়া, ঈসা এবং ইলিয়াসকে। তারা সবাই পুণ্যবানদের অন্তর্ভুক্ত ছিল।

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা যিল্যাল ডাউনলোড করুন:

সূরা Zalzalah mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Zalzalah শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত যিল্যাল  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত যিল্যাল  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত যিল্যাল  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত যিল্যাল  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত যিল্যাল  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত যিল্যাল  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত যিল্যাল  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত যিল্যাল  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত যিল্যাল  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত যিল্যাল  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত যিল্যাল  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত যিল্যাল  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত যিল্যাল  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত যিল্যাল  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত যিল্যাল  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত যিল্যাল  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত যিল্যাল  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত যিল্যাল  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত যিল্যাল  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত যিল্যাল  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত যিল্যাল  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত যিল্যাল  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত যিল্যাল  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত যিল্যাল  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত যিল্যাল  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Sunday, November 24, 2024

Please remember us in your sincere prayers