কোরান সূরা আ'রাফ আয়াত 53 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Araf ayat 53 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা আ'রাফ আয়াত 53 আরবি পাঠে(Araf).
  
   

﴿هَلْ يَنظُرُونَ إِلَّا تَأْوِيلَهُ ۚ يَوْمَ يَأْتِي تَأْوِيلُهُ يَقُولُ الَّذِينَ نَسُوهُ مِن قَبْلُ قَدْ جَاءَتْ رُسُلُ رَبِّنَا بِالْحَقِّ فَهَل لَّنَا مِن شُفَعَاءَ فَيَشْفَعُوا لَنَا أَوْ نُرَدُّ فَنَعْمَلَ غَيْرَ الَّذِي كُنَّا نَعْمَلُ ۚ قَدْ خَسِرُوا أَنفُسَهُمْ وَضَلَّ عَنْهُم مَّا كَانُوا يَفْتَرُونَ﴾
[ الأعراف: 53]

তারা কি এখন এ অপেক্ষায়ই আছে যে, এর বিষয়বস্তু প্রকাশিত হোক? যেদিন এর বিষয়বস্তু প্রকাশিত হবে, সেদিন পূর্বে যারা একে ভূলে গিয়েছিল, তারা বলবেঃ বাস্তবিকই আমাদের প্রতিপালকের পয়গম্বরগণ সত্যসহ আগমন করেছিলেন। অতএব, আমাদের জন্যে কোন সুপারিশকারী আছে কি যে, সুপারিশ করবে অথবা আমাদেরকে পুনঃ প্রেরণ করা হলে আমরা পূর্বে যা করতাম তার বিপরীত কাজ করে আসতাম। নিশ্চয় তারা নিজেদেরকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। তারা মনগড়া যা বলত, তা উধাও হয়ে যাবে। [সূরা আ'রাফ: 53]

Surah Al-Araf in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Araf ayat 53


তারা কি আর কিছুর অপেক্ষা করে ওর পরিণাম ছাড়া? যেদিন এর পরিণাম আসবে, যারা এর আগে এটি অবহেলা করেছিল তারা বলবে -- ''আমাদের প্রভুর রসূলগণ নিশ্চয়ই সত্য নিয়ে এসেছিলেন। আমাদের জন্য কোনো সুপারিশকারী আছে কি? তারা তবে আমাদের জন্য সুপারিশ করুক, অথবা আমরা কি প্রত্যাবৃত্ত হতে পারি যেন আমরা যা করতাম তার বিপরীত কিছু করতে পারি?’’ তারা আলবৎ তাদের অন্তরা‌ত্মা হারিয়েছে, আর তাদের থেকে বিদায় নিয়েছে সেইসব যাদের তারা উদ্ভাবন করেছিল।


Tafsir Mokhtasar Bangla


৫৩. কাফিররা কেবল সেই যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি আসারই অপেক্ষা করছে যার আসার ব্যাপারে ইতিপূর্বে তাদেরকে হুঁশিয়ারি দেয়া হয়েছে। যা পরকালে তাদের কর্মের চ‚ড়ান্ত পরিণতিই বটে। যখন তাদেরকে দেয়া প্রতিশ্রæত সেই শাস্তি এবং মু’মিনদেরকে দেয়া প্রতিশ্রæত সেই সুখ-শান্তি সামনে চলে আসবে তখন দুনিয়াতে কুর‘আন পরিত্যাগকারী ও তার বিধি-বিধানের উপর আমল করতে অস্বীকারকারী ব্যক্তিবর্গরা বলবে: নিশ্চয়ই আমাদের প্রতিপালক, প্রেরিত রাসূলগণ আমাদের নিকট সত্য নিয়ে এসেছেন; যাতে কোন সন্দেহ নেই। এটি যে আল্লাহর পক্ষ থেকে তাতেও কোন সন্দেহ নেই। আপসোস! আজ যদি আমাদের জন্য এমন কিছু মধ্যস্থতাকারী থাকতো যারা আমাদের শাস্তি ক্ষমা করিয়ে নেয়ার জন্য আল্লাহর নিকট সুপারিশ করতো! অথবা আমরা যদি দুনিয়ার জীবনে ফিরে গিয়ে বদ আমলের পরিবর্তে আমাদের নাজাতের জন্য কিছু নেক আমল করে আসতে পারতাম! বস্তুতঃ এ কাফিররা নিজেদের কুফরির দরুন নিজেদেরকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছিয়ে দিয়ে নিজেরাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উপরন্তু তারা আল্লাহ ব্যতিরেকে যাদের পূজা করতো তারা আজ অদৃশ্য হয়ে গেছে। তারা পূজারীদের কোন ফায়েদায় আসেনি।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


তারা শুধু ওর পরিণাম ( সংবাদ-সত্যতা বা কিয়ামতের ) প্রতীক্ষা করছে।[১] যেদিন ওর পরিণাম বাস্তবায়িত হবে, সেদিন যারা পূর্বে ওর কথা ভুলে গিয়েছিল, তারা বলবে, ‘আমাদের প্রতিপালকের রসূলগণ তো সত্য এনেছিলেন, আমাদের কি এমন কোন সুপারিশকারী আছে, যে আমাদের জন্য সুপারিশ করবে অথবা আমাদেরকে কি পুনরায় ফিরিয়ে দেওয়া হবে, যাতে আমরা পূর্বে যা করতাম, তা হতে ভিন্ন কিছু করতে পারি?’ তারা নিজেরা নিজেদের ক্ষতি করেছে এবং তারা যে মিথ্যা রচনা করত তাও অন্তর্হিত হয়েছে।[২] [১] تأويل শব্দের অর্থ হল, কোন জিনিসের প্রকৃত স্বরূপ, বাস্তব রূপ ও তার পরিণাম। অর্থাৎ, আল্লাহর কিতাবের মাধ্যমে প্রতিশ্রুতি, শাস্তি এবং জান্নাত ও জাহান্নামের বিবরণ তো দিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এরা এই দুনিয়ার পরিণাম স্বচক্ষে দেখার অপেক্ষায় ছিল। অতএব এখন সে পরিণাম ( কিয়ামত ) তাদের সামনে এসে গেছে। [২] অর্থাৎ, এরা যে পরিণামের অপেক্ষায় ছিল, তা তাদের সামনে উপস্থিত হয়ে যাওয়ার পর সত্যের স্বীকারোক্তি অথবা পুনরায় দুনিয়াতে প্রেরিত হওয়ার আশা প্রকাশ এবং কোন সুপারিশকারীর খোঁজ করা ইত্যাদি সবই হবে নিষ্ফল। সেই উপাস্যগুলোও তাদের থেকে অদৃশ্য হয়ে যাবে, আল্লাহকে বাদ দিয়ে যাদের তারা পূজা করত। তারা না তাদের সাহায্য করতে পারবে, না সুপারিশ করতে, আর না জাহান্নামের আযাব থেকে নিষ্কৃতি দিতে পারবে।

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


তারা কি শুধু সে পরিণামের অপেক্ষা করে? যেদিন সে পরিণাম প্রকাশ পাবে, সেদিন যারা আগে সেটার কথা ভুলে গিয়েছিল তারা বলবে, ‘আমাদের রবের রাসূলগণ তো সত্যবাণী এনেছিলেন, আমাদের কি এমন কোন সুপারিশকারী আছে যে আমাদের জন্য সুপারিশ করবে অথবা আমাদেরকে কি আবার ফেরত পাঠানো হবে-- যেন আমরা আগে যা করতাম তা থেকে ভিন্ন কিছু করতে পারি?’ অবশ্যই তারা নিজেদেরকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে এবং তারা যে মিথ্যা রটনা করত, তা তাদের কাছ থেকে হারিয়ে গেছে

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


৫২-৫৩ নং আয়াতের তাফসীর: আল্লাহ তাআলা মুশরিকদের উপর দলীল পরিপূর্ণ করে দিয়েছিলেন। অর্থাৎ তিনি পয়গম্বর প্রেরণ করেছিলেন এবং কিতাবসমূহ পাঠিয়েছিলেন। যেগুলোর মধ্যে স্পষ্ট দলীলসমূহ বিদ্যমান ছিল। যেমন তিনি বলেনঃ ( আরবী ) অর্থাৎ এমন কিতাব যার আয়াতগুলো স্পষ্ট মর্মবিশিষ্ট এবং প্রত্যেক কথাকে পরিষ্কারভাবে বর্ণনা করে দেয়া হয়েছে। ( ১১:১ ) আর তার উক্তিঃ ( আরবী ) অর্থাৎ যে যে বিষয়গুলোর উপর আমি আলোকপাত করেছি সেগুলো সম্পর্কে আমি সম্যক অবগত আছি। যেমন অন্য জায়গায় তিনি ( আরবী ) বলেছেন।ইবনে জারীর ( রঃ ) বলেন যে, এই আয়াতটি আল্লাহ পাকের নিম্নের উক্তির সাথে সম্পর্ক রাখেঃ ( আরবী ) এই কিতাব যা তোমার উপর অবতীর্ণ করা হয়েছে, তাতে তোমার অন্তরে যেন কোন সন্দেহের উদ্রেক না হয়।' ( ৭:২ ) আর এটা উপরোক্ত ( আরবী ) -এই আয়াতের সঙ্গেও সম্পর্কযুক্ত। ইবনে জারীর ( রঃ )-এর একথাটি আপত্তি মূলক। কেননা এ দু'টি আয়াতের মধ্যে দীর্ঘ ব্যবধান রয়েছে। তাছাড়া তাঁর এ দাবীর উপর কোন দলীলও নেই। এখানে কথা তো শুধু এটাই যে, তারা আখিরাতে কিরূপ ক্ষতির সম্মুখীন হবে এই খবর দেয়ার পর এটা তিনি উল্লেখ করেছেন যে, দুনিয়ায় রাসূল পাঠিয়ে ও কিতাব অবতীর্ণ করে তাদের সমুদয় ওযরের সমাপ্তি ঘটিয়েছেন। যেমন তিনি বলেছেনঃ ( আরবী ) অর্থাৎ “ আমি শাস্তি প্রদানকারী নই যে পর্যন্ত না রাসূল প্রেরণ করি ।( ১৭:১৫ ) এ জন্যেই উপরোক্ত আয়াতে তিনি বলেছেনঃ অর্থাৎ তারা তো শুধু ঐ শাস্তির এবং জান্নাত বা জাহান্নামের অপেক্ষায় রয়েছে। যার অঙ্গীকার তাদের সাথে করা হয়েছে।মুজাহিদ ( রঃ ) প্রমুখ মনীষীগণ বলেন যে, ( আরবী ) দ্বারা বিনিময় ও প্রতিদান বুঝানো হয়েছে। রাবী ( রঃ ) বলেন যে, হিসাবের দিনের আগমন পর্যন্ত এই প্রতিদান তারা পেতে থাকবে, শেষ পর্যন্ত জান্নাতীরা জান্নাতে এবং জাহান্নামীরা জাহান্নামে পৌঁছে যাবে। ঐ সময় বিনিময় আদান প্রদান শেষ হয়ে যাবে। যখন কিয়ামতের এই অবস্থা হবে তখন যেসব লোক দুনিয়ায় আমল পরিত্যাগ করেছিল তারা বলবে- আল্লাহর রাসূলগণ তো সত্য বাণী নিয়ে এসেছিলেন, কিন্তু এখন তারা কি আমাদের জন্যে আল্লাহর নিকট সুপারিশ করবেন বা অন্ততঃপক্ষে আমাদেরকে পুনরায় প্রেরণ করা হবে? তাহলে আমরা আর আমাদের পূর্বের ঐ আমল করবো না। যেমন আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ ( হে নবী সঃ )! যদি তুমি ঐ দৃশ্য দেখতে যখন পাপীদেরকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করার জন্যে জাহান্নামের মুখে দাঁড় করানো হবে তখন তারা বলবে-হায়! যদি আমাদেরকে পুনরায় দুনিয়ায় ফিরিয়ে দেয়া হতো তবে আমরা কুরআনকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করতাম না এবং মুমিন হয়েই থাকতাম । কিন্তু প্রকৃত ব্যাপার এই যে, পূর্ব থেকেই কোন্ কথাটি তাদের অন্তরে লুক্কায়িত ছিল তা তারা জেনে ফেলেছে। আর যদি তাদেরকে পূনরায় দুনিয়ায় ফিরিয়ে দেয়াও হয় তবে তখনও তারা সেখানে ঐ কাজই করবে যা থেকে তাদেরকে নিষেধ করা হবে। আমরা এরূপ কাজ আর করবো না’ তাদের একথা সম্পূর্ণ মিথ্যা। যেমন এখানে আল্লাহ পাক বলেছেনঃ নিঃসন্দেহে তারা নিজেরাই নিজেদের ক্ষতি সাধন করেছে। এখন তো জাহান্নামে তাদের চিরস্থায়ী বাসের পালা এসেছে। তাদের মূর্তি তাদের জন্যে সুপারিশ করতে পারে না এবং তাদেরকে শাস্তি থেকে মুক্তি দিতেও সক্ষম নয়।

সূরা আ'রাফ আয়াত 53 সূরা

هل ينظرون إلا تأويله يوم يأتي تأويله يقول الذين نسوه من قبل قد جاءت رسل ربنا بالحق فهل لنا من شفعاء فيشفعوا لنا أو نرد فنعمل غير الذي كنا نعمل قد خسروا أنفسهم وضل عنهم ما كانوا يفترون

سورة: الأعراف - آية: ( 53 )  - جزء: ( 8 )  -  صفحة: ( 157 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. সেদিন তাদের কি হবে, সে সম্পর্কে তাদের পালনকর্তা সবিশেষ জ্ঞাত।
  2. অতঃপর তারা তাকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করল। আমি তাকে এবং নৌকাস্থিত লোকদেরকে উদ্ধার করলাম এবং যারা
  3. নিশ্চয়ই আমি আপনাকে বার বার আকাশের দিকে তাকাতে দেখি। অতএব, অবশ্যই আমি আপনাকে সে কেবলার
  4. তবুও ওরা একথাই বলবে যে, আমাদের দৃষ্টির বিভ্রাট ঘটানো হয়েছে না বরং আমরা যাদুগ্রস্ত হয়ে
  5. তোমরা যে বীজ বপন কর, সে সম্পর্কে ভেবে দেখেছ কি?
  6. বলুন, হে আমার কওম, তোমরা তোমাদের জায়গায় কাজ কর, আমিও কাজ করছি। সত্ত্বরই জানতে পারবে।
  7. তাদেরই জন্য প্রতিদান হলো তাদের পালনকর্তার ক্ষমা ও জান্নাত, যার তলদেশে প্রবাহিত হচ্ছে প্রস্রবণ যেখানে
  8. তিনিই উদ্যান সমূহ সৃষ্টি করেছে-তাও, যা মাচার উপর তুলে দেয়া হয়, এবং যা মাচার উপর
  9. হে নবী, আপনার পত্নীগণকে বলুন, তোমরা যদি পার্থিব জীবন ও তার বিলাসিতা কামনা কর, তবে
  10. এরা এমনি মুনাফেক যারা তোমাদের কল্যাণ-অকল্যাণের প্রতীক্ষায় ওঁৎপেতে থাকে। অতঃপর আল্লাহর ইচ্ছায় তোমাদের যদি কোন

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা আ'রাফ ডাউনলোড করুন:

সূরা Araf mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Araf শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত আ'রাফ  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত আ'রাফ  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত আ'রাফ  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত আ'রাফ  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত আ'রাফ  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত আ'রাফ  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত আ'রাফ  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত আ'রাফ  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত আ'রাফ  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত আ'রাফ  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত আ'রাফ  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত আ'রাফ  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত আ'রাফ  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত আ'রাফ  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত আ'রাফ  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত আ'রাফ  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত আ'রাফ  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত আ'রাফ  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত আ'রাফ  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত আ'রাফ  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত আ'রাফ  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত আ'রাফ  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত আ'রাফ  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত আ'রাফ  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত আ'রাফ  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Monday, November 18, 2024

Please remember us in your sincere prayers