কোরান সূরা ওয়াকি'আ আয়াত 56 তাফসীর
﴿هَٰذَا نُزُلُهُمْ يَوْمَ الدِّينِ﴾
[ الواقعة: 56]
কেয়ামতের দিন এটাই হবে তাদের আপ্যায়ন। [সূরা ওয়াকি'আ: 56]
Surah Al-Waqiah in Banglaজহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Waqiah ayat 56
এই হবে তাদের আপ্যায়ন বিচারের দিনে।
Tafsir Mokhtasar Bangla
৫৬. উপরোল্লেখিত তিক্ত খাবার ও গরম পানীয় দিয়ে তাদেরকে প্রতিদান দিবসে অভ্যর্থনা জানানো হবে।
Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান
কিয়ামতের দিন এটাই হবে তাদের আতিথ্য। [১] [১] মহান আল্লাহ এ কথা ঠাট্টা ও বিদ্রূপ ছলে বলেছেন। অন্যথা আতিথ্য তো তাকেই বলা হয়, যা অতিথির সম্মানে প্রস্তুত ও পেশ করা হয়। এটা ঐ রকমই যেমন কোন কোন স্থানে বলেছেন {فَبَشِّرْهُمْ بِعَذَابٍ أَلِيْمٍ} " তাদেরকে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তির সুসংবাদ দাও। " ( সূরা আলে ইমরান ৩:২১ )
Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স
প্রতিদান দিবসে এটাই হবে তাদের আপ্যায়ন।
Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর
৪১-৫৬ নং আয়াতের তাফসীর: আল্লাহ তা'আলা আসহাবুল ইয়ামীন বা ডান দিকের লোকদের বর্ণনা দেয়ার পর এখন আসহাবুশ শিমাল বা বাম দিকের লোকদের বর্ণনা দিচ্ছেন যে, কত হতভাগা বাম দিকের দল! তারা কতই না কঠিন শাস্তি ভোগ করবে! অতঃপর তাদের শাস্তির বর্ণনা দিচ্ছেন যে, তারা থাকবে অত্যন্ত উষ্ণ বায়ু ও উত্তপ্ত পানিতে এবং কৃষ্ণবর্ণ ধূম্রের ছায়ায়। যেমন অন্য জায়গায় রয়েছেঃ ( আরবী )অর্থাৎ “ তোমরা যাকে অস্বীকার করতে, চল তারই দিকে । চল তিন শাখা বিশিষ্ট ছায়ার দিকে, যে ছায়া শীতল নয় এবং যা রক্ষা করে না অগ্নিশিখা হতে। এটা উৎক্ষেপণ করবে বৃহৎ স্ফুলিঙ্গ অট্টালিকা তুল্য, ওটা পীতবর্ণ উষ্ট্ৰশ্রেণী সদৃশ। সেই দিন দুর্ভোগ মিথ্যা আরোপকারীদের জন্যে।” ( ৭৭:২৯-৩৪ ) এজন্যেই এখানে বলেছেনঃ ( আরবী ) অর্থাৎ তারা থাকবে কৃষ্ণ বর্ণ ধূম্র ছায়ায়। যা শীতল নয়, আরামদায়কও নয়। এটা আরবদের বাক পদ্ধতি যে, তারা যখন কোন জিনিসের মন্দ গুণ অধিক রূপে বর্ণনা করে তখন ওর সর্বপ্রকারের খারাপ গুণ বর্ণনা করার পর ( আরবী ) বলে থাকে। অতঃপর আল্লাহ তা'আলা এ লোকেদেরকে শাস্তির যোগ্য বলার কারণ বর্ণনা করছেন যে, দুনিয়ায় তাদেরকে যে নিয়ামতের অধিকারী করা হয়েছিল তার মধ্যে তারা মত্ত ছিল। রাসূলদের ( আঃ ) কথায় তারা মোটেই ভ্রুক্ষেপ করেনি। তারা ভোগ-বিলাসে সম্পূর্ণরূপে মগ্ন ছিল এবং অবিরাম ঘোরতর পাপকর্মে লিপ্ত ছিল।হযরত ইবনে আব্বাস ( রাঃ )-এর উক্তি এই যে, ( আরবী ) দ্বারা কুফরী ও শিরক উদ্দেশ্য। কেউ কেউ বলেন যে, এর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো মিথ্যা কসম।এরপর তাদের আর একটি দোষের বর্ণনা দেয়া হচ্ছে যে, তারা কিয়ামত সংঘটিত হওয়াকেও অসম্ভব মনে করে। তারা এটাকে মিথ্যা মনে করে এবং জ্ঞান সম্পর্কীয় দলীল পেশ করে যে, মৃত্যুর পরে মাটিতে মিশে গিয়ে পুনরায় জীবিত হওয়া কি কখনো সম্ভব হতে পারে? তাদেরকে উত্তর দেয়া হচ্ছে যে, কিয়ামতের দিন সমস্ত আদম সন্তানকে পুনরায় নতুনভাবে সৃষ্টি করা হবে এবং সবাই এক মাঠে একত্রিত হবে। একজন লোকও এমন থাকবে না যে দুনিয়ায় এসেছে এবং সেখানে থাকবে না। যেমন আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ ( আরবী )অর্থাৎ “ এটা সেই দিন যেদিন সমস্ত মানুষকে একত্রিত করা হবে, এটা সেই দিন যেদিন সকলকে উপস্থিত করা হবে । আর আমি নির্দিষ্ট কিছুকালের জন্যে ওটা স্থগিত রাখি মাত্র। যখন সেদিন আসবে তখন আল্লাহর অনুমতি ব্যতীত। কেউ কথা বলতে পারবে না। তাদের মধ্যে কেউ হবে হতভাগ্য এবং কেউ হবে ভাগ্যবান।” ( ১১:১০৩-১০৫ ) এ জন্যেই আল্লাহ তাআলা এখানে বলেনঃ “ সকলকে একত্রিত করা হবে এক নির্ধারিত দিনের নির্দিষ্ট সময়ে ।” কিয়ামতের দিন এবং সময় নির্দিষ্ট ও নির্ধারিত রয়েছে। কম বেশী এবং আগে পরে হবে না।প্রবল প্রতাপান্বিত আল্লাহ বলেনঃ অতঃপর হে বিভ্রান্ত মিথ্যা আরোপকারীরা! তোমরা অবশ্যই আহার করবে যাকূম বৃক্ষ হতে এবং ওটা দ্বারা তোমরা উদর পূর্ণ করবে। কেননা, ওটা জোরপূর্বক তোমাদের কণ্ঠনালীতে ঢুকিয়ে দেয়া হবে। তারপর তোমরা পান করবে অত্যুষ্ণ পানি এবং ঐ পানি তোমরা পান করবে তৃষ্ণার্ত উষ্ট্রের ন্যায়।( আরবী ) শব্দটি বহুবচন, এর একবচন হলো ( আরবী ) এবং স্ত্রীলিঙ্গ ( আরবী ) হবে। এটাকে ( আরবী ) এবং ( আরবী ) ও বলা হয়। কঠিন তৃষ্ণার্ত উষ্ট্রকে ( আরবী ) বলা হয়, যার পিপাসাযুক্ত রোগ রয়েছে। সে পানি চুষে নেয় কিন্তু পিপাসা দূর হয় না। এই রোগেই সে শেষে মৃত্যুমুখে পতিত হয়। অনুরূপভাবে জাহান্নামীকে গরম পানি পান করাবো, যা নিজেই একটা জঘন্যতম শাস্তি হবে। সুতরাং এর দ্বারা পিপাসা কিরূপে নিবারণ হতে পারে? হযরত খালিদ ইবনে মাদান ( রাঃ ) বলেন যে, একই নিঃশ্বাসে পানি পান করাও পিপাসার্ত উষ্ট্রের পানের সাথে তুলনীয়। এ জন্যে এভাবে পানি পান করা মাকরূহ!এরপর মহাপরাক্রমশালী আল্লাহ বলেনঃ “ কিয়ামতের দিন এটাই হবে তাদের আপ্যায়ন । যেমন মুমিনদের সম্পর্কে বলা হয়েছেঃ ( আরবী ) অর্থাৎ “ নিশ্চয়ই যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে তাদের আপ্যায়নের জন্যে আছে ফিরদাউসের উদ্যান ।” ( ১৮:১০৭ ) অর্থাৎ সম্মানিত আপ্যায়ন।
সূরা ওয়াকি'আ আয়াত 56 সূরা
English | Türkçe | Indonesia |
Русский | Français | فارسی |
تفسير | Urdu | اعراب |
বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত
- না কি তাদের কাছে আপনার পরাক্রান্ত দয়াবান পালনকর্তার রহমতের কোন ভান্ডার রয়েছে?
- আর সমস্ত মানুষ একই উম্মতভুক্ত ছিল, পরে পৃথক হয়ে গেছে। আর একটি কথা যদি তোমার
- যিনি আপনার প্রতি কোরআনের বিধান পাঠিয়েছেন, তিনি অবশ্যই আপনাকে স্বদেশে ফিরিয়ে আনবেন। বলুন আমার পালনকর্তা
- যদি আল্লাহর নেয়ামত গণনা কর, শেষ করতে পারবে না। নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল, দয়ালু।
- অতএব, আপনি আপনার মহান পালনকর্তার নামে পবিত্রতা ঘোষণা করুন।
- এবং পঞ্চমবার বলবে যে, যদি সে মিথ্যাবাদী হয় তবে তার উপর আল্লাহর লানত।
- যদি আপনি তাদেরকে জিজ্ঞেস করেন, কে নভোমন্ডল ও ভূ-মন্ডল সৃষ্টি করেছে, চন্দ্র ও সূর্যকে কর্মে
- এটা শ্রবণযোগ্য। আর কেউ আল্লাহর সম্মানযোগ্য বিধানাবলীর প্রতি সম্মান প্রদর্শন করলে পালনকর্তার নিকট তা তার
- অতএব, আশা করা যায়, আল্লাহ তাদেরকে ক্ষমা করবেন। আল্লাহ মার্জনাকারী, ক্ষমাশীল।
- আমি আপনার জন্যে সহজ শরীয়ত সহজতর করে দেবো।
বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :
সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা ওয়াকি'আ ডাউনলোড করুন:
সূরা Waqiah mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Waqiah শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
আহমেদ আল-আজমি
ইব্রাহীম আল-আখদার
বান্দার বেলাইলা
খালিদ গালিলি
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
খলিফা আল টুনাইজি
সাদ আল-গামদি
সৌদ আল-শুরাইম
সালাহ বুখাতীর
আবদ এল বাসেট
আবদুল রশিদ সুফি
আব্দুল্লাহ্ বাস্ফার
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
আলী আল-হুদায়েফি
আলী জাবের
ফারেস আব্বাদ
মাহের আলমাইকুলই
মোহাম্মদ আইয়ুব
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মাদ জিব্রীল
আল-মিনশাবি
আল হোসারি
মিশারী আল-আফসী
নাসের আল কাতামি
ইয়াসের আল-দোসারি
Please remember us in your sincere prayers