কোরান সূরা ইয়াসীন আয়াত 58 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Yasin ayat 58 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা ইয়াসীন আয়াত 58 আরবি পাঠে(Yasin).
  
   

﴿سَلَامٌ قَوْلًا مِّن رَّبٍّ رَّحِيمٍ﴾
[ يس: 58]

করুণাময় পালনকর্তার পক্ষ থেকে তাদেরকে বলা হবে সালাম। [সূরা ইয়াসীন: 58]

Surah Ya-Sin in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Yasin ayat 58


অফুরন্ত ফলদাতা প্রভুর তরফ থেকে সম্ভাষণ হচ্ছে -- ''সালাম’’।


Tafsir Mokhtasar Bangla


৫৮. আর তাদের জন্য এই নিআমতের উপর রয়েছে তাদের উপর করুণাময় প্রতিপালকের পক্ষ থেকে শান্তির অভিবাদন। যখন তিনি তাদের উপর সালাম পেশ করবেন তখন তারা সর্বদিক দিয়ে নিরাপত্তা লাভ করবে। বস্তুতঃ তাদের নিকট এমন অভিবাদন পৌঁছাল যার উপর আর কোন অভিবাদন হয় না।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


পরম দয়ালু প্রতিপালকের পক্ষ হতে তাদেরকে বলা হবে ‘সালাম’ ( শান্তি )। [১] [১] আল্লাহর এই সালাম ফিরিশতাগণ জান্নাতীগণের নিকট পৌঁছে দেবেন। অনেকে বলেন যে, আল্লাহ তাআলা নিজে সরাসরি তাদেরকে সালাম দিয়ে সম্মানিত করবেন।

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


পরম দয়ালু রবের পক্ষ থেকে সালাম, ( সাদর সম্ভাষণ বা নিরাপত্তা )

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


৫৫-৫৮ নং আয়াতের তাফসীর: আল্লাহ তা'আলা খবর দিচ্ছেন যে, জান্নাতীরা কিয়ামতের ময়দান হতে মুক্ত হয়ে সসম্মানে জান্নাতে প্রবেশ করবে এবং তথাকার বিবিধ নিয়ামত ও শান্তির মধ্যে এমনভাবে মগ্ন থাকবে যে, অন্য কোন দিকে না তারা ক্ৰক্ষেপ করবে, না তাদের অন্য কিছুর প্রতি খেয়াল থাকবে। তারা জাহান্নাম হতে ও জাহান্নামবাসীদের হতে সম্পূর্ণরূপে নিশ্চিন্ত থাকবে। তারা নিজেদের ভোগ্য জিনিসের মধ্যে এমনভাবে মগ্ন থাকবে যে, অন্য কোন জিনিসের খবর তারা রাখবে না। তারা অত্যন্ত আনন্দ মুখর থাকবে। কুমারী হুর তারা লাভ করবে। তাদের সাথে তারা আমোদ-আহলাদে লিপ্ত থাকবে। মনোমুগ্ধকর সঙ্গীতের সুর দ্বারা তাদেরকে প্রলুব্ধ ও বিমোহিত করা হবে। এই আমোদ-আহলাদ ও আনন্দের মধ্যে তাদের স্ত্রীরা ও হূরেরাও শামিল থাকবে। জান্নাতী ফলমূল বিশিষ্ট বৃক্ষাদির সুশীতল ছায়ায় তারা আরামে সুসজ্জিদ আসনে হেলান দিয়ে বসবে এবং পরম দয়ালু আল্লাহর পক্ষ হতে তারা আপ্যায়িত হবে। প্রত্যেক প্রকারের ফলমূল তাদের কাছে প্রচুর পরিমাণে বিদ্যমান থাকবে। তাদের মন যে জিনিস চাইবে তাই তারা পাবে।সুনানে ইবনে মাজাহ ও মুসনাদে ইবনে আবি হাতিমে রয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বলেছেনঃ “ তোমাদের মধ্যে কেউ কি ঐ জান্নাতে যাওয়ার আকাঙ্ক্ষা কর এবং প্রস্তুতি গ্রহণ করতে ইচ্ছুক যাতে কোন ভয় ও বিপদ নেই? কা’বার প্রতিপালকের শপথ! ওটা সরাসরি জ্যোতি আর জ্যোতি । ওর সজীবতা ' সীমাহীন। ওর সবুজ-শ্যামলতা ফুটে পড়ছে। ওর প্রাসাদগুলো মযবূত, সুউচ্চ ও পাকা। ওর প্রস্রবণগুলো পরিপূর্ণ ও প্রবাহিত। ওর ফলগুলো সুস্বাদু ও পাকা। ফলগুলো প্রচুর পরিমাণে রয়েছে। তথায় সুন্দরী ও যুবতী হুর রয়েছে। তাদের পোশাকগুলো রেশমী ও মূল্যবান। ওর নিয়ামতরাশি চিরস্থায়ী ও অবিনশ্বর। ওটা শান্তির ঘর। ওটা সবুজ ও সজীব ফুলের বাগান। ওর নিয়ামতগুলো প্রচুর ও চমৎকার। ওর প্রাসাদগুলো সুউচ্চ ও সৌন্দর্যমণ্ডিত।” তাঁর একথা শুনে যতজন সাহাবী ( রাঃ ) সেখানে উপস্থিত ছিলেন সবাই সমস্বরে বলে উঠলেনঃ “ হে আল্লাহর রাসূল ( সঃ )! আমরা এর জন্যে প্রস্তুতি গ্রহণ করবো এবং এটা লাভ করার জন্যে চেষ্টা করবো ।” তখন রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বললেনঃ “ ইনশাআল্লাহ বলো।” সাহাবীগণ তখন ইনশাআল্লাহ বললেন।মহান আল্লাহ বলেনঃ পরম দয়ালু প্রতিপালকের পক্ষ হতে তাদেরকে বলা হবে ‘সালাম'। স্বয়ং আল্লাহ জান্নাতবাসীদের জন্যে সালাম। যেমন আল্লাহ তা'আলার উক্তিঃ ( আরবী ) অর্থাৎ “ যেদিন তারা তাঁর সাথে সাক্ষাৎ করবে, তাদের তুহফা হবে সালাম ।( ৩৩:৪৪ )হযরত জাবির ইবনে আবদিল্লাহ ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বলেছেনঃ “ জান্নাতীরা তাদের নিয়ামতরাশির মধ্যে মগ্ন থাকবে এমন সময় উপরের দিক হতে আলো চমকাবে । তারা তাদের মস্তক উত্তোলন করবে এবং মহামহিমান্বিত আল্লাহকে দর্শন করার সৌভাগ্য লাভ করবে। আল্লাহ তাআলা বলবেনঃ ( আরবী ) অর্থাৎ “ হে জান্নাত বাসীরা! তোমাদের উপর শান্তি বর্ষিত হোক ।( আরবী )-এ আয়াতের ভাবার্থ এটাই। আল্লাহ তা'আলা তাদের দিকে তাকাবেন এবং তারাও তার দিকে তাকিয়ে থাকবে। তারা যতক্ষণ আল্লাহ তা'আলার দিকে তাকিয়ে থাকবে ততক্ষণ অন্য কোন নিয়ামতের প্রতি তারা ভ্রুক্ষেপ করবে না। অবশেষে আল্লাহ তাআলা তার ও তাদের মাঝে পর্দা ফেলে। দিবেন এবং নূর ( জ্যোতি ) ও বরকত তাদের উপর থেকে যাবে।” ( এ হাদীসটি ইবনে আবি হাতিম (রঃ ) বর্ণনা করেছেন। কিন্তু এর সদন দুর্বল। ইমাম ইবনে মাজাহ ( রঃ ) স্বীয় ‘কিতাবুস সুন্নাহ' নামক গ্রন্থে এটা বর্ণনা করেছেন)হযরত উমার ইবনে আবদিল আযীয ( রঃ ) বলেন যে, আল্লাহ তাআলা যখন জাহান্নামী ও জান্নাতীদের হতে ফারেগ হবেন তখন তিনি মেঘের ছায়ার দিকে মনোনিবেশ করবেন। ফেরেশতারা আশে পাশে থাকবেন এবং আল্লাহ জান্নাতীদেরকে সালাম করবেন ও জান্নাতীরা জবাব দিবে। হযরত কারাযী ( রঃ ) বলেন যে, এটা আল্লাহ তা'আলারঃ ( আরবী )-এই উক্তির মধ্যে বিদ্যমান রয়েছে। ঐ সময় আল্লাহ তাআলা বলবেনঃ “ তোমরা আমার কাছে যা চাইবে চাও ।” তারা উত্তরে বলবেনঃ “ হে আমাদের প্রতিপালক! কি চাইবো, সবই তো বিদ্যমান রয়েছে?” আল্লাহ তা'আলা বলবেনঃ “হ্যা, ঠিক আছে, তবুও যা মনে চায় তাই চাও ।” তখন তারা জবাব দিবেঃ “ আমরা আপনার সন্তুষ্টি চাই ।” মহান আল্লাহ বলবেনঃ “ ওটা তো আমি তোমাদেরকে দিয়েছিই । আর এরই ভিত্তিতে তোমরা আমার মেহমানখানায় এসেছে এবং আমি তোমাদেরকে এর মালিক বানিয়ে দিয়েছি।” জান্নাতীরা বলবেঃ “ হে আল্লাহ! এখন তাহলে আমরা আপনার কাছে আর কি চাইবো? আপনি তো আমাদেরকে এতো বেশী দিয়ে রেখেছেন যে, যদি আপনি হুকুম করেন তবে আমাদের মধ্যে একজন লোক সমস্ত মানব ও দানবকে নিমন্ত্রণ করতে পারে এবং তাদেরকে পেটপুরে পানাহার করাতে পারে ও পোশাক পরাতে পারে, এমনকি তাদের সমস্ত প্রয়োজন পুরো করতে সক্ষম হবে । এর পরেও তার অধিকারভুক্ত জিনিস একটুও হ্রাস পাবে না। আল্লাহ তাআলা বলবেনঃ “ আমার কাছে অতিরিক্ত আরো রয়েছে ।” অতঃপর ফেরেশতারা তাদের কাছে আল্লাহ তা'আলার নিকট হতে নতুন নতুন উপঢৌকন নিয়ে আসবেন। ( ইমাম ইবনে জারীর (রঃ ) এ রিওয়াইয়াতটি বহু সনদে এনেছেন। কিন্তু এটা গারীব বা দুর্বল রিওয়াইয়াত। এসব ব্যাপারে আল্লাহই সবচেয়ে ভাল জানেন)

সূরা ইয়াসীন আয়াত 58 সূরা

سلام قولا من رب رحيم

سورة: يس - آية: ( 58 )  - جزء: ( 23 )  -  صفحة: ( 444 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. নিশ্চয় এবাদতের জন্যে রাত্রিতে উঠা প্রবৃত্তি দলনে সহায়ক এবং স্পষ্ট উচ্চারণের অনুকূল।
  2. যারা নিজেরাও কার্পন্য করে এবং অন্যকেও কৃপণতা শিক্ষা দেয় আর গোপন করে সে সব বিষয়
  3. তারা কি লক্ষ্য করেনি যে, তাদের সঙ্গী লোকটির মস্তিষ্কে কোন বিকৃতি নেই? তিনি তো ভীতি
  4. তারা বললঃ হে ঐ ব্যক্তি, যার প্রতি কোরআন নাযিল হয়েছে, আপনি তো একজন উম্মাদ।
  5. আপনি কি জানেন, সে হয়তো পরিশুদ্ধ হত,
  6. তাদের পশ্চাদ্ধাবনে শৈথিল্য করো না। যদি তোমরা আঘাত প্রাপ্ত, তবে তারাও তো তোমাদের মতই হয়েছে
  7. তারা যদি আকাশের কোন খন্ডকে পতিত হতে দেখে, তবে বলে এটা তো পুঞ্জীভুত মেঘ।
  8. যারা বিশ্বাস স্থাপন করেছিল ও সাবধানে চলত, আমি তাদেরকে উদ্ধার করলাম।
  9. অতঃপর যে বিশ্বাসী অবস্থায় সৎকর্ম সম্পাদন করে, তার প্রচেষ্টা অস্বীকৃত হবে না এবং আমি তা
  10. জুলুমের কারণে তাদের কাছে আযাবের ওয়াদা এসে গেছে। এখন তারা কোন কিছু বলতে পারবে না।

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা ইয়াসীন ডাউনলোড করুন:

সূরা Yasin mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Yasin শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত ইয়াসীন  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত ইয়াসীন  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত ইয়াসীন  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত ইয়াসীন  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত ইয়াসীন  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত ইয়াসীন  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত ইয়াসীন  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত ইয়াসীন  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত ইয়াসীন  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত ইয়াসীন  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত ইয়াসীন  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত ইয়াসীন  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত ইয়াসীন  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত ইয়াসীন  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত ইয়াসীন  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত ইয়াসীন  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত ইয়াসীন  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত ইয়াসীন  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত ইয়াসীন  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত ইয়াসীন  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত ইয়াসীন  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত ইয়াসীন  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত ইয়াসীন  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত ইয়াসীন  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত ইয়াসীন  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Friday, November 22, 2024

Please remember us in your sincere prayers