কোরান সূরা বনী ইসরাঈল আয়াত 59 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Al Isra ayat 59 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা বনী ইসরাঈল আয়াত 59 আরবি পাঠে(Al Isra).
  
   

﴿وَمَا مَنَعَنَا أَن نُّرْسِلَ بِالْآيَاتِ إِلَّا أَن كَذَّبَ بِهَا الْأَوَّلُونَ ۚ وَآتَيْنَا ثَمُودَ النَّاقَةَ مُبْصِرَةً فَظَلَمُوا بِهَا ۚ وَمَا نُرْسِلُ بِالْآيَاتِ إِلَّا تَخْوِيفًا﴾
[ الإسراء: 59]

পূর্ববর্তীগণ কতৃꦣ2453; নিদর্শন অস্বীকার করার ফলেই আমাকে নিদর্শনাবলী প্রেরণ থেকে বিরত থাকতে হয়েছে। আমি তাদেরকে বোঝাবার জন্যে সামুদকে উষ্ট্রী দিয়েছিলাম। অতঃপর তারা তার প্রতি জুলুম করেছিল। আমি ভীতি প্রদর্শনের উদ্দেশেই নিদর্শন প্রেরণ করি। [সূরা বনী ইসরাঈল: 59]

Surah Al-Isra in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Al Isra ayat 59


আর আমাদের নিদর্শনসমূহ পাঠাতে কিছুই আমাদের বাধা দেয় না এ ভিন্ন যে প্রাচীনকালীনরা সে-সব প্রত্যাখ্যান করেছিল। আর আমরা ছামূদ জাতিকে দিয়েছিলাম উষ্টী -- এক স্পষ্ট নিদর্শনরূপে, কিন্তু তারা ওর প্রতি অন্যায় করেছিল। বস্তুতঃ আমরা নিদর্শনসমূহ পাঠাই না হুশিয়াঁর করার জন্যে ছাড়া।


Tafsir Mokhtasar Bangla


৫৯. আমি মুশরিকদের চাহিদা মাফিক রাসূল ( সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ) এর সত্যতা বুঝায় এমন সকল প্রকাশ্য আলামত যেমন: মৃতদেরকে জীবিত করা ইত্যাদি নাযিল করিনি। কারণ, আমি যখন এগুলো পূর্ববর্তী জাতিগুলোর উপর নাযিল করেছি তখন তারা এগুলোর প্রতি মিথ্যারোপ করেছে। ইতিপূর্বে আমি সামূদ জাতিকে উটের ন্যায় একটি সুস্পষ্ট বড় আলামত দিলে তারা একে অস্বীকার করার পর আমি তাদেরকে দ্রæত আযাব দিয়েছি। বস্তুতঃ আমি রাসূলদের হাতে আয়াতগুলো পাঠাই তাদের জাতিগুলোকে ভয় দেখানোর জন্য যাতে তারা মুসলমান হয়ে যায়।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


পূর্ববর্তিগণ কর্তৃক নিদর্শন মিথ্যাজ্ঞান করাই আমাকে নিদর্শন প্রেরণ করা হতে বিরত রাখে।[১] আর আমি স্পষ্ট নিদর্শনস্বরূপ সামূদকে উটনী দিয়েছিলাম; কিন্তু তারা তার প্রতি যুলুম করেছিল।[২] আসলে আমি ভীতি প্রদর্শনের জন্যই নিদর্শন প্রেরণ করি। [১] এই আয়াত তখন অবতীর্ণ হয়, যখন মক্কার কাফেররা দাবী করল যে, সাফা পাহাড়কে সোনার পাহাড় বানিয়ে দেওয়া হোক অথবা মক্কার পাহাড়গুলোকে তার স্থান থেকে সরিয়ে দেওয়া হোক যাতে সেখানে চাষাবাদ করা সম্ভব হয়। এরই উত্তরে মহান আল্লাহ জিবরীল ( আঃ )-এর মাধ্যমে বার্তা পাঠালেন যে, আমি তাদের সমস্ত দাবী পূরণ করার জন্য প্রস্তুত আছি। কিন্তু এর পরও যদি তারা ঈমান না আনে, তবে তাদের ধ্বংস সুনিশ্চিত। এর পর তাদেরকে আর অবকাশ দেওয়া হবে না। নবী করীম ( সাঃ ) এ কথা পছন্দ করলেন যে, তাদের দাবীগুলো পূরণ না করা হোক। যাতে তারা নিশ্চিতভাবে ধ্বংস হওয়া থেকে বেঁচে যায়। ( আহমাদ ১/২৫৮ ) এই আয়াতেও আল্লাহ তাআলা এই বিষয়টাকেই বর্ণনা করে বলেন যে, তাদের ইচ্ছা অনুযায়ী নিদর্শনসমূহ অবতীর্ণ করা আমার জন্য কোন কঠিন ব্যাপার নয়। কিন্তু আমি তা করা থেকে এই জন্য বিরত থাকি যে, পূর্বের জাতিরাও তাদের ইচ্ছা অনুযায়ী নিদর্শনসমূহ দাবী করেছিল যা তাদেরকে দেখানো হয়েছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও তারা মিথ্যা ভেবে ঈমান আনেনি। যার ফলস্বরূপ তাদেরকে ধ্বংস করা হয়েছিল। [২] সামুদ সম্প্রদায়কে দৃষ্টান্ত স্বরূপ উল্লেখ করা হয়েছে। কারণ, তাদের চাহিদা মোতাবেক শক্ত পাথর থেকে উটনী বের করে দেখানো হয়েছিল, কিন্তু এই অত্যাচারীরা ঈমান আনার পরিবর্তে সেই উটনীকে হত্যা করে দেয়। যার কারণে তিনদিন পর তাদের উপর সর্বনাশী আযাব আসে।

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


আর আমাদেরকে নিদর্শন প্রেরণ করা থেকে শুধু এটাই বিরত রেখেছে যে, তাদের পূর্ববর্তীগণ তাতে মিথ্যারোপ করেছিল। আর আমরা শিক্ষাপ্রদ নিদর্শনসরূপ সামূদ জাতিকে উষটৃ দিয়েছিলাম, অতঃপর তারা সেটার প্রতি যুলুম করেছিল। আমরা তো শুধু ভয় দেখানোর জন্যই নিদর্শন পাঠিয়ে থাকি []। [] এখানে বক্তব্য হচ্ছে এই যে, এ ধরনের মু'জিযা দেখার পর যখন লোকেরা একে মিথ্যা বলতে থাকে তখন তাদের উপর আযাব নাযিল হওয়া অনিবাৰ্য হয়ে পড়ে এবং তখন এ জাতিকে ধ্বংস করা ছাড়া আর কোন পথ থাকে না। মানব জাতির অতীত ইতিহাস প্রমাণ করে , বিভিন্ন জাতি সুস্পষ্ট মু'জিযা দেখে নেবার পরও সেগুলোকে মিথ্যা বলেছে, ফলে তাদেরকে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। এখন এটা পুরোপুরি। আল্লাহর রহমত যে, তিনি এমন ধরনের কোন মু'জিযা আর পাঠাচ্ছেন না। এর মানে হচ্ছে , তিনি তোমাদের বুঝবার ও সংশোধিত হবার অবকাশ দিচ্ছেন। কিন্তু তোমরা এমনি নির্বোধ যে, মু'জিযার দাবী জানিয়ে সামুদ জাতির পরিণাম ভোগ করতে চাচ্ছি। সামূদ জাতি সুস্পষ্ট নিদর্শন চেয়েছিল। তারপর যখন তাদের কাছে তা আসল এবং তারা কুফরী করল তখন আল্লাহ্ তা'আলা তাঁর নিয়মানুসারে তাদেরকে ধ্বংস করে দিলেন। এ আয়াতের শানে নুযুল সম্পর্কে জানা থাকলে বিষয়টি আরো স্পষ্ট হবে। আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা বলেনঃ 'মক্কাবাসীগণ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে এ দাবী করল যে, আপনি আমাদের জন্য সাফা পাহাড়কে স্বর্ণে পরিণত করে দিন। আমাদের জন্য মক্কার পাহাড়গুলো স্থানান্তরিত করে আমাদের মধ্যে প্রশস্ততার ব্যবস্থা করুন। তখন আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ “ আপনি যদি চান তো আমি তারা যা চায় তা তাদেরকে দিব কিন্তু তারপর যদি তারা কুফরী করে তবে তাদের পূর্ববর্তীগণ যেভাবে ধ্বংস হয়েছে সেভাবে তাদেরকেও ধ্বংস করে দেব । আর যদি আপনি চান তো আমি অপেক্ষা করব হয়ত বা তাদের বংশধরদের কেউ ঈমান আনবে।" তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ “ বরং আমি তাদের জন্য অপেক্ষা করব ।” তখন আল্লাহ এ আয়াত নাযিল করেন। [ মুসনাদে আহমাদঃ ১/২৫৮, দ্বিয়া আল-মাকদেসী, আলমুখতারাহঃ ১০/৭৮-৮০ ] সুতরাং কোন ম্যাজিক বা দর্শনীয় খেলা দেখানোর উদ্দেশ্যে কখনো মু'জিযা দেখানো হয় না। সব সময় মু'জিযা এই উদ্দেশ্যে দেখানো হয়েছে যে, লোকেরা তা দেখে সাবধান হয়ে যাবে, তারা বুঝতে পারবে নবীর পেছনে আছে এক সর্বময় শক্তিশালী সত্তার অসীম ক্ষমতা এবং তাঁর নাফরানীর পরিণাম কি হতে পারে তাও তারা জানতে পারবে।

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


রাসূলুল্লাহ( সঃ ) যুগে কাফিররা তাকে বলেছিলঃ “ হে মুহাম্মদ ( সঃ )! আপনার পূর্ববর্তী নবীদের কারো অনুগত ছিল বাতাস, কেউ মৃতকে জীবিত করতেন ইত্যাদি । আপনি যদি চান যে, আমরাও আপনার উপর ঈমান আনয়ন করি তবে আপনি এই সাফা পাহাড়টিকে সোনার পাহাড় করে দিন। তাহলে আমরা আপনার সত্যাবাদীতা স্বীকার করে নেবো।” ঐ সময় রাসূলুল্লাহ( সঃ ) উপর ওয়াহী আসলোঃ “ হে নবী ( সঃ )! যদি তোমারও এই আকাংখা হয় যে, আমি একে সোনা করি দেই তবে এখনই আমি এটাকে সোনা করে দিচ্ছি । কিন্তু মনে রাখবে যে, এর পরেও যদি এরা ঈমান আনয়ন না করে তবে আর তাদেরকে অবকাশ দেয়া হবে না। সাথে সাথেই শাস্তি নেমে আসবে এবং এদেরকে ধ্বংস করে দেয়া হবে। আর যদি তুমি তাদেরকে অবকাশ দেয়া ও চিন্তা করার সুযোগ দেয়া পছন্দ কর তবে আমি তা-ই করবো।” রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) উত্তরে বললেনঃ “ হে আল্লাহ! তাদেরকে বাকী রাখলেই আমি খুশী হবো ।” মুসনাদে আরো এটুকু বেশী আছে যে, তারা বলেছিলঃ ‘বাকী’র অন্যান্য পাহাড়গুলি এখান থেকে সরিয়ে দেয়া হোক, যাতে আমরা এখানে চাষাবাদ করতে পারি ( শেষ পর্যন্ত )।”অন্য রিওয়াইয়াতে আছে যে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) আল্লাহ তাআলার নিকট প্রার্থনা করেন, তখন হযরত জিবরাঈল ( আঃ ) আগমন করেন এবং বলেনঃ “ আপনার প্রতিপালক আপনাকে সালাম জানিয়েছেন এবং বলেছেন যে, যদি আপনি চান তবে সকালেই এই পাহাড়টিকে সোনা বানিয়ে দিবেন । কিন্তু এর পরেও যদি তাদের মধ্যে কেউই ঈমান না আনে তবে তাদেরকে এমন শাস্তি দেয়া হবে যা ইতিপূর্বে কাউকেও দেয়া হয় নাই। আর যদি আপনি চান তবে তিনি তাদের জন্যে তাওবা ও রহমতের দরজা খুলে রাখবেন।” রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) দ্বিতীয়টিই গ্রহণ করেন। মুসনাদে আবি ইয়ালায় বর্ণিত আছে যে, যখন ( আরবি ) এই আয়াতটি অবতীর্ণ হয় তখন আল্লাহ তাআলার এই নিদের্শ পালন করার লক্ষ্যে রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) “ জাবালে আবি কুরায়েশ’-এর উপর আরোহণ করে বলে ওঠেনঃ “হে আবদে মানাফ! আমি তোমাদেরকে ভয় প্রদর্শনকারী ।” এই শব্দ শোনা মাত্রই কুরায়েশরা সেখানে একত্রিত হয়ে যায়। অতঃপর তারা তাঁকে বলেঃ “ শুনুন, আপনি নবুওয়াতের দাবীদার । হযরত সুলাইমানের ( আঃ ) অনুগত ছিল বাতাস। হযরত মূসার ( আঃ ) বাধ্য ছিল সমুদ্র। হযরত ঈসা ( আঃ ) মৃতকে জীবিত করতেন। আপনিও যখন একজন নবী তখন এই পাহাড়টিকে এখান থেকে সরিয়ে দিয়ে এই জায়গাকে চাষের উপযুক্ত করে তুলুনঃ যাতে আমরা এখানে কৃষিকার্য করতে পারি। এটা না হলে আমাদের মৃতদেরকে জীবিত করার জন্যে আপনার প্রতিপালকের নিকট প্রার্থনা করুন যাতে আমরা ও তারা মিলিত হয়ে কথাবার্তা বলতে পারি। যদি এটা না হয় তবে এই পাহাড়টিকে সোনা বানিয়ে দিন যাতে আমরা শীত ও গ্রীষ্মের সফর থেকে মুক্তি লাভ করতে পারি।” তৎক্ষণাৎ তাঁর প্রতি ওয়াহী নাযিল হতে শুরু হয়। এটা শেষ হলে তিনি তাদেরকে বলেনঃ “ যাঁর হাতে আমার প্রাণ । রয়েছে তাঁর শপথ! তোমরা আমার কাছে যা কিছু চেয়েছিলে ওগুলো হয়ে যাওয়া এবং এর পরেও ঈমান না আনলে রহমতের দরজা বন্ধ হয়ে যাওয়া অথবা তোমাদের জন্যে রহমতের দরজা খোলা থাকা, যাতে তোমরা ঈমান ও ইসলাম আনয়নের পর আল্লাহর রহমত জমা করে নাও, এ দুটোর মধ্যে যে কোন একটি গ্রহণ করার আমাকে অধিকার দেয়া হয়েছে। আমি তোমাদের জন্যে রহমতের দরজা খোলা থাকাকেই পছন্দ করেছি। কেননা, প্রথম অবস্থায় তোমরা ঈমান না আনলে তোমাদের উপর এমন শাস্তি অবতীর্ণ হতো যা তোমাদের পূর্বে আর কারো উপর অবর্তীণ হয় নাই। তাই আমি ভয় পেয়ে গিয়ে দ্বিতীয়টি গ্রহণ করেছি।” তখন এই আয়াত অবতীর্ণ হয়। আর ( আরবি ) এই আয়াতও অবতীর্ণ হয়। অর্থাৎ নিদর্শনগুলি পাঠাতে এবং তাদের আকাংখিত মু'জিযা’গুলি দেখাতে আমার অপারগতা নেই; বরং এগুলো আমার কাছে খুবই সহজ। তোমার কওম যেগুলি দেখতে চাচ্ছে আমি সেগুলি তাদেরকে দেখিয়ে দিতাম। কিন্তু ঐ অবস্থায় তারা ঈমান না আনলে তারা আমার শাস্তির কবলে পতিত হতো। পূর্ববর্তী লোকদের কথা চিন্তা কর, তারা এতেই ধ্বংস হয়ে গিয়েছে।সূরায়ে মায়েদায় রয়েছেঃ “ আমি এই খাদ্য তোমাদের উপর অবতীর্ণ করবো, অনন্তর তোমাদের মধ্যে যে এর পর অকৃতজ্ঞ হবে আমি তাকে এমন শাস্তি দিবো যে, বিশ্বাসীদের মধ্যে ঐ শাস্তি আর কাউকেও দিবো না ।”সামূদদেরকে দেখো যে, তারা একটি বিশেষ পাথরের মধ্য হতে একটি উষ্ট্রী বের হওয়া দেখতে চাইলো। হযরত সালেহের ( আঃ ) প্রার্থনায় তা বের হলো। কিন্তু তবুও তারা মানলো না। তারা উষ্ট্রীর পা কেটে ফেললো এবং নবীকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করলো। এরপর তাদেরকে তিন দিনের অবকাশ দেয়া হলো। তাদের ঐ উষ্ট্রীটিও আল্লাহ তাআলার একত্বের একটি নিদর্শন ছিল এবং তাঁর রাসূলের সত্যবাদিতার একটি চিহ্ন ছিল। কিন্তু ঐ লোকগুলি এর পরেও কুফরী করে এবং ওর পানি বন্ধ করে দেয়। শেষ পর্যন্ত ওকে হত্যা করে ফেলে। এরই শাস্তি হিসেবে তাদের প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সকলকেই ধ্বংস করে দেয়া হয় এবং প্রবল পরাক্রান্ত আল্লাহর কাছে তারা পাকড়াও হয়। এই আয়াতগুলি শুধু ধমকের জন্যেই অবতীর্ণ হয় যাতে তারা উপদেশ ও শিক্ষা গ্রহণ করে।হযরত ইবনু মাসউদের ( রাঃ ) যুগে কুফায় ভূমিকম্প হয়। তখন তিনি জনগণকে বলেনঃ আল্লাহ তাআলা চান যে, তোমরা তাঁর দিকে ঝুঁকে পড় । অনতিবিলম্বে তোমাদের তাঁরই দিকে প্রত্যাবর্তন করা উচিত।” হযরত উমারের ( রাঃ ) যুগে মদীনায় কয়েকবার ঝটকা বা টান অনুভূত হয়। তখন তিনি জনগণকে বলেনঃ আল্লাহর কসম! অবশ্যই তোমাদের দ্বারা নতুন কিছু । ( অন্যায় ) সংঘটিত হয়েছে। এর পর যদি তোমাদের দ্বারা এইরূপ কিছু ঘটে, তবে আমি তোমাদেরকে কঠিন শাস্তি দিবো।”সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিমে রয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বলেছেনঃ “ সূর্য । ও চন্দ্র আল্লাহ তাআলার নিদর্শনাবলীর মধ্যে দু'টি নিদর্শন। এগুলিতে কারো মরণ ও জীবনের কারণে গ্রহণ লাগে না বরং আল্লাহ তাআলা এগুলির মাধ্যমে মানুষকে ভয় দেখিয়ে থাকেন। সুতরাং যখন তোমরা এইরূপ দেখবে তখন আল্লাহর যিকর, দুআ ও ক্ষমা প্রার্থনার দিকে ঝুঁকে পড়বে। হে মুহাম্মদের ( সঃ ) উম্মত! আল্লাহর কসম! আল্লাহ তাআলা অপেক্ষা অধিক লজ্জা ও মর্যাদাবোধ আর কারো নেই যে, তাঁর বান্দা ও বান্দী ব্যভিচারে লিপ্ত হয়ে পড়ে। হে উম্মতে মুহাম্মদী ( সঃ )! আল্লাহর শপথ! আমি যা জানি যদি তা তোমরা জানতে তবে তোমরা হাসতে কম ও কাঁদতে বেশী।”

সূরা বনী ইসরাঈল আয়াত 59 সূরা

وما منعنا أن نرسل بالآيات إلا أن كذب بها الأولون وآتينا ثمود الناقة مبصرة فظلموا بها وما نرسل بالآيات إلا تخويفا

سورة: الإسراء - آية: ( 59 )  - جزء: ( 15 )  -  صفحة: ( 288 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. এবং যারা প্রতিফল দিবসকে সত্য বলে বিশ্বাস করে।
  2. হে জ্বিন ও মানব সম্প্রদায়, তোমাদের কাছে কি তোমাদের মধ্য থেকে পয়গম্বরগণ আগমন করেনি? যাঁরা
  3. আল্লাহর নির্দেশ এসে গেছে। অতএব এর জন্যে তাড়াহুড়া করো না। ওরা যেসব শরীক সাব্যস্ত করছে
  4. আপনি সব মানুষের চাইতে মুসলমানদের অধিক শত্রু ইহুদী ও মুশরেকদেরকে পাবেন এবং আপনি সবার চাইতে
  5. কিন্তু লূতের পরিবার-পরিজন। আমরা অবশ্যই তাদের সবাইকে বাঁচিয়ে নেব।
  6. আর তিনি বললেন, তোমরা এতে আরোহন কর। আল্লাহর নামেই এর গতি ও স্থিতি। আমার পালনকর্তা
  7. তোমরা সীমাতিক্রমকারী সম্প্রদায়-এ কারণে কি আমি তোমাদের কাছ থেকে কোরআন প্রত্যাহার করে নেব?
  8. আর যেসব লোক সুদৃঢ়ভাবে কিতাবকে আঁকড়ে থাকে এবং নামায প্রতিষ্ঠা করে নিশ্চয়ই আমি বিনষ্ট করব
  9. কল্যানময় তিনি, যিনি ইচ্ছা করলে আপনাকে তদপেক্ষা উত্তম বস্তু দিতে পারেন-বাগ-বাগিচা, যার তলদেশে নহর প্রবাহিত
  10. তারা আপনাকে জিজ্ঞাসা করে, কেয়ামত কখন হবে?

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা বনী ইসরাঈল ডাউনলোড করুন:

সূরা Al Isra mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Al Isra শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত বনী ইসরাঈল  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত বনী ইসরাঈল  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত বনী ইসরাঈল  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত বনী ইসরাঈল  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত বনী ইসরাঈল  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত বনী ইসরাঈল  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত বনী ইসরাঈল  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত বনী ইসরাঈল  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত বনী ইসরাঈল  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত বনী ইসরাঈল  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত বনী ইসরাঈল  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত বনী ইসরাঈল  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত বনী ইসরাঈল  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত বনী ইসরাঈল  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত বনী ইসরাঈল  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত বনী ইসরাঈল  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত বনী ইসরাঈল  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত বনী ইসরাঈল  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত বনী ইসরাঈল  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত বনী ইসরাঈল  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত বনী ইসরাঈল  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত বনী ইসরাঈল  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত বনী ইসরাঈল  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত বনী ইসরাঈল  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত বনী ইসরাঈল  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Friday, November 22, 2024

Please remember us in your sincere prayers