কোরান সূরা ত্বা-হা আয়াত 59 তাফসীর
﴿قَالَ مَوْعِدُكُمْ يَوْمُ الزِّينَةِ وَأَن يُحْشَرَ النَّاسُ ضُحًى﴾
[ طه: 59]
মূসা বললঃ তোমাদের ওয়াদার দিন উৎসবের দিন এবং পূর্বাহেߠলোকজন সমবেত হবে। [সূরা ত্বা-হা: 59]
Surah Ta-Ha in Banglaজহুরুল হক সূরা বাংলা Surah TaHa ayat 59
তিনি বললেন -- ''তোমাদের নির্ধারিত দিনক্ষণ হোক উৎসবের দিন, আর লোকজন যেন জমায়েৎ হয় সকালের দিকে।’’
Tafsir Mokhtasar Bangla
৫৯. তখন মূসা ( আলাইহিস-সালাম ) ফিরআউনকে বললেন: আমাদের ও তোমাদের মধ্যকার নির্দিষ্ট সময় হলো ঈদের দিন। যখন মানুষ তাদের ঈদ উদযাপনের জন্য দুপুরের আগেই একত্রিত হবে।
Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান
মূসা বলল, ‘তোমাদের নির্ধারিত সময় উৎসবের দিন[১] এবং সেই দিন পুর্বাহ্নে জনগণকে সমবেত করা হবে।’ [১] অর্থাৎ, নওরোজ অথবা বাৎসরিক কোন মেলা বা অনুষ্ঠানের দিন; যাকে তারা ঈদরূপে পালন করত।
Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স
মূসা বললেন, ‘তোমাদের নির্ধারিত সময় হল উৎসবের দিন এবং যাতে সকালেই জনগণকে সমবেত করা হয় [ ১ ] [ ১ ] ফিরআউনের উদ্দেশ্য ছিল, একবার জাদুকরদের লাঠি ও দড়িদড়ার সাহায্যে সাপ বানিয়ে দেখিয়ে দেই তাহলে মূসার মু'জিযার যে প্রভাব লোকদের উপর পড়েছে তা তিরোহিত হয়ে যাবে। মূসাও মনেপ্ৰাণে এটাই চাচ্ছিলেন। তিনি বললেন, এ জন্য কোন পৃথক দিন ও স্থান নির্ধারণ করার দরকার নেই। উৎসবের দিন কাছেই এসে গেছে। সারা দেশের লোক এদিন রাজধানীতে চলে আসবে। সেদিন যেখানে জাতীয় মেলা অনুষ্ঠিত হবে সেই ময়দানেই এই প্রতিযোগিতা হবে। সমগ্র জাতিই এ প্রতিযোগিতা দেখবে। আর সময়টাও এমন হতে হবে যখন দিনের আলো চারদিকে ছড়িয়ে পড়বে, যাতে কারো সন্দেহ ও সংশয় প্রকাশ করার কোন অবকাশই না থাকে।
Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর
৫৭-৫৯ নং আয়াতের তাফসীর: আল্লাহ তাআলা বলেন যে, হযরত মূসার ( আঃ ) লাঠি সাপ হয়ে যাওয়া এবং হাত উজ্জ্বল হওয়া ইত্যাদি মু'জিযা দেখে ফিরাউন তাকে বললোঃ “ এটা তো যাদু ছাড়া কিছুই নয় । তুমি যাদুর জোরে আমাদের রাজ্য ছিনিয়ে নিতে চাও। তুমি অহংকার করো না। আমরাও এই যাদূতে তোমার মুকাবিলা করতে পারি। দিন ও জায়গা নির্ধারণ করা হোক এবং মুকাবিলা হোক। আমরাও ঐ দিনে ঐ জায়গায় যাবো এবং তুমিও যাবে। কেউ আসবে না। এটা যেন না হয়। খোলা মাঠে সবারই সামনে হার-জিত হবে।” হযরত মূসা ( আঃ ) তার এ কথার জবাবে বললেনঃ “ আমি এটা মেনে নিলাম । আমার মতে এর জন্যে তোমাদের ঈদের দিনটিই নির্ধারিত হওয়া উচিত। কেননা, এটা অবকাশের দিন। সেই দিন সবাই একত্রিত হতে পারবে। সুতরাং তারা দেখে শুনে হক ও বাতিলের মধ্যে পার্থক্য দেখতে সক্ষম হবে। মুজিযা ও যাদু পার্থক্য সবারই উপর প্রকাশিত হয়ে পড়বে। সময়টা হতে হবে বেলা ওঠার সময়, যাতে যা কিছু ময়দানে আসবে সবাই তা দেখতে পায়।” হযরত ইবনু আব্বাস ( রাঃ ) বলেন যে, তাদের ঐ ঈদ বা খুশীর দিনটি আশুরার দিন ( ১০ই মুহররম )। এটা স্মরণ রাখার বিষয় যে, এরূপ স্থলে নবীরা ( আঃ ) কখনো পিছনে সরে যান না। তারা এমন কাজ করেন যাতে সত্য পরিস্ফুট হয়ে ওঠে এবং সবারই উপর তা প্রকাশিত হয়ে পড়ে। এজন্যেই তিনি প্রতিযোগিতার জন্যে তাদের ঈদের দিনটি ধার্য করেন। আর সময় নির্ধারিত করলেন বেলা ওঠার সময় এবং জায়গারূপে সমতল ভূমিকে নির্ধারণ করলেন যাতে সবাই দেখতে পায়। ফিরাউন অবকাশ চাইলো। কিন্তু হযরত মূসা ( আঃ ) অবকাশ দিতে অস্বীকার করলেন। তখন তার উপর ওয়াহী করা হলোঃ “ সময় নির্ধারণ করে নাও ।" ফিরাউন চল্লিশ দিনের অবকাশ চাইলো। তা মঞ্জুর করা হলো।
সূরা ত্বা-হা আয়াত 59 সূরা
English | Türkçe | Indonesia |
Русский | Français | فارسی |
تفسير | Urdu | اعراب |
বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত
- আর কাফেররা মুমিনদের বলতে লাগল যে, যদি এ দ্বীন ভাল হত তবে এরা আমাদেরকে পেছনে
- নূহের পর আমি অনেক উম্মতকে ধ্বংস করেছি। আপনার পালনকর্তাই বান্দাদের পাপাচারের সংবাদ জানা ও দেখার
- সেদিন মিথ্যারোপকারীদের দুর্ভোগ হবে।
- ইব্রাহীম বললেন, তোমরা কি তাদের সম্পর্কে ভেবে দেখেছ, যাদের পূজা করে আসছ।
- তাদের অধিকাংশ সলা-পরামর্শ ভাল নয়; কিন্তু যে সলা-পরামর্শ দান খয়রাত করতে কিংবা সৎকাজ করতে কিংবা
- সে কি মনে করে যে, তাকে কেউ দেখেনি?
- নিশ্চয় আল্লাহ তাদের সঙ্গে আছেন, যারা পরহেযগার এবং যারা সৎকর্ম করে।
- নাকি তারা একথা বলে যে, তিনি আল্লাহর বিরুদ্ধে মিথ্যা রটনা করেছেন? আল্লাহ ইচ্ছা করলে আপনার
- আমি তাদের সামনে ও পিছনে প্রাচীর স্থাপন করেছি, অতঃপর তাদেরকে আবৃত করে দিয়েছি, ফলে তারা
- বলুন, আমরা ঈমান এনেছি আল্লাহর উপর এবং যা কিছু অবতীর্ণ হয়েছে আমাদের উপর, ইব্রাহীম, ইসমাঈল,
বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :
সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা ত্বা-হা ডাউনলোড করুন:
সূরা TaHa mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি TaHa শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
আহমেদ আল-আজমি
ইব্রাহীম আল-আখদার
বান্দার বেলাইলা
খালিদ গালিলি
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
খলিফা আল টুনাইজি
সাদ আল-গামদি
সৌদ আল-শুরাইম
সালাহ বুখাতীর
আবদ এল বাসেট
আবদুল রশিদ সুফি
আব্দুল্লাহ্ বাস্ফার
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
আলী আল-হুদায়েফি
আলী জাবের
ফারেস আব্বাদ
মাহের আলমাইকুলই
মোহাম্মদ আইয়ুব
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মাদ জিব্রীল
আল-মিনশাবি
আল হোসারি
মিশারী আল-আফসী
নাসের আল কাতামি
ইয়াসের আল-দোসারি
Please remember us in your sincere prayers