কোরান সূরা রা'দ আয়াত 6 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Raad ayat 6 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা রা'দ আয়াত 6 আরবি পাঠে(Raad).
  
   

﴿وَيَسْتَعْجِلُونَكَ بِالسَّيِّئَةِ قَبْلَ الْحَسَنَةِ وَقَدْ خَلَتْ مِن قَبْلِهِمُ الْمَثُلَاتُ ۗ وَإِنَّ رَبَّكَ لَذُو مَغْفِرَةٍ لِّلنَّاسِ عَلَىٰ ظُلْمِهِمْ ۖ وَإِنَّ رَبَّكَ لَشَدِيدُ الْعِقَابِ﴾
[ الرعد: 6]

এরা আপনার কাছে মঙ্গলের পরিবর্তে দ্রুত অমঙ্গল কামনা করে। তাদের পূর্বে অনুরূপ অনেক শাস্তিপ্রাপ্ত জনগোষ্ঠী অতিক্রান্ত হয়েছে। আপনার পালনকর্তা মানুষকে তাদের অন্যায় সত্বেও ক্ষমা করেন এবং আপনার পালনকর্তা কঠিন শাস্তিদাতা ও বটে। [সূরা রা'দ: 6]

Surah Ar-Rad in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Raad ayat 6


আর ওরা তোমাকে ভালর আগেই মন্দকে ত্বরান্বিত করতে বলে, যদিও ওদের পূর্বে বহু লক্ষণীয় শাস্তি গত হয়েছে। আর নিঃসন্দেহ তোমার প্রভু লোকদের জন্য তাদের অন্যায়াচরণ সত্ত্বেও ক্ষমার অধিকারী, আর নিঃসন্দেহ তোমার প্রভু প্রতিফল দানে অতি কঠোর।


Tafsir Mokhtasar Bangla


৬. হে রাসূল! মুশরিকরা আপনার নিকট দ্রæত শাস্তি কামনা করছে। আল্লাহ তা‘আলা তাদের জন্য যে নিয়ামতগুলো বরাদ্দ করেছেন তা পরিপূর্ণরূপে পাওয়ার আগেই তারা নিজেদের প্রতি শাস্তি নাযিল হওয়াকে দূরে ভাবছে। অথচ তাদের আগে তাদের মতো মিথ্যারোপকারী জাতির শাস্তি এসে গিয়েছে। কিন্তু তারা সেগুলো থেকে কেন শিক্ষা গ্রহণ করছে না? হে রাসূল! নিশ্চয়ই আপনার প্রতিপালক মানুষের অত্যাচার সত্তে¡ও তাদেরকে ক্ষমা করে দেন। তিনি তাদেরকে দ্রæত শাস্তি দেন না। যেন তারা আল্লাহর দিকে ফিরে আসতে পারে। তবে কুফরির উপর অটল ব্যক্তিদের জন্য যদি তারা তাওবা না করে তাহলে তিনি কঠিন শাস্তিদাতাও বটে।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


মঙ্গলের পূর্বে তারা তোমাকে অমঙ্গল ত্বরান্বিত করতে বলে; অথচ তাদের পূর্বে এর বহু দৃষ্টান্ত গত হয়েছে।[১] নিশ্চয় তোমার প্রতিপালক মানুষের সীমালংঘন সত্ত্বেও তাদের প্রতি ক্ষমাশীল[২] এবং নিশ্চয় তোমার প্রতিপালক শাস্তি দানেও কঠোর। [৩] [১] অর্থাৎ আল্লাহর আযাবে বহু সম্প্রদায় ও জনপদ ধ্বংসের অনেক উদাহরণ পূর্বে এসেছে, তা সত্ত্বেও তারা আযাব শীঘ্র প্রার্থনা করে? এ কথা কাফেরদের জবাবে বলা হয়েছে, যারা বলেছিল যে, হে নবী! যদি তুমি সত্য হও, তাহলে আমাদের উপর সেই আযাব আনয়ন কর, যার ভয় তুমি আমাদেরকে দেখাচ্ছ।[২] অর্থাৎ মানুষের অন্যায়-অত্যাচার ও অবাধ্যতার পরও তিনি আযাবে শীঘ্র গ্রেপ্তার না করে অবকাশ দিয়ে থাকেন। কখনো কখনো আযাবের ব্যাপারটা কিয়ামত অবধি বিলম্বিত করেন। এটা তাঁর দয়া, কৃপা, করুণা ও ক্ষমাশীলতার পরিণাম। নচেৎ তিনি যদি তাদেরকে আযাবে শীঘ্রই গ্রেপ্তার করতেন, তাহলে পৃথিবীতে কোন মানুষ অবশিষ্ট থাকতো না। তিনি এরশাদ করেন, ﴿وَلَوْ يُؤَاخِذُ اللهُ النَّاسَ بِمَا كَسَبُوا مَا تَرَكَ عَلَى ظَهْرِهَا مِن دَابَّةٍ﴾ অর্থাৎ, যদি আল্লাহ মানুষদেরকে তাদের কার্যকলাপের কারণে পাকড়াও করতেন, তাহলে ভূ-পৃষ্ঠে একটি জীবকেও রেহাই দিতেন না। ( সূরা ফাত্বির ৩৫:৪৫ )[৩] এখানে মহান আল্লাহর দ্বিতীয় গুণের কথা উল্লেখ হয়েছে, যেন মানুষ শুধু একটিই দিকের প্রতি দৃষ্টি না রাখে, বরং অন্য দিকের প্রতিও লক্ষ্য রাখে। কেননা একটিই দিকের প্রতি ধারাবাহিক দৃষ্টি রাখলে অনেক কিছু অদৃশ্য থেকে যায়। সঙ্গত কারণেই কুরআন মাজীদে যেখানে আল্লাহর করুণা ও ক্ষমাবিশিষ্ট গুণের কথা উল্লেখ করা হয়েছে, সেখানে তার সঙ্গে তাঁর ক্রোধ ও প্রবলতাবিশিষ্ট গুণেরও উল্লেখ পাওয়া যায়। যেমন এখানেও রয়েছে। যেন বান্দার মনে আশা ও ভয় দুটো দিকই সক্রিয় থাকে। কেননা আশা আর আশাই যদি সক্রিয় থাকে, তাহলে মানুষ আল্লাহর অবাধ্যতার ব্যাপারে ভয়শূন্য ও দুঃসাহসিক হয়ে যায়। পক্ষান্তরে যদি সব সময় মস্তিষ্কে ভয় আর ভয়ই ঢুকে থাকে, তাহলে সে তাঁর রহমত ও অনুগ্রহ থেকে নিরাশ হয়ে যায়। উক্ত দুটো দিকই ভুল এবং মানুষের জন্য সর্বনাশী। এই জন্য বলা হয়, الْإِيْمَانُ بَيْنَ الْخَوْفِ وَالرَّجَاءِ ঈমান ভয় ও আশার মধ্যে। অর্থাৎ, উভয়ের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করার নাম ঈমান। যেন মানুষ তাঁর আযাব থেকে না নির্ভয় হয় আর না তাঁর রহমত থেকে নিরাশ। ( উক্ত বিষয়ের জন্য দেখুনঃ সূরা আনআম ৬:৪৭ নং আয়াত, সূরা আ'রাফ ৭:১৬৭ নং আয়াত, সূরা হিজর ১৫:৪৯-৫০ নং আয়াত। )

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


আর তারা ভালোর পূর্বেই মন্দের জন্য তাড়াহুড়ো করছে। অথচ তাদের আগে শাস্তির অনুরূপ বহু ( শিক্ষণীয় ) দৃষ্টান্ত গত হয়েছে []। আর নিশ্চয় আপনার রব মানুষের প্রতি ক্ষমাশীল তাদের যুলুম সত্ত্বেও এবং নিশ্চয় আপনার রব শাস্তি দানে কঠোর []। [] কাফেরদের দ্বিতীয় সন্দেহ ছিল, যদি বাস্তবিকই আপনি আল্লাহ্‌র রাসূল হয়ে থাকেন, তবে রাসূলের বিরুদ্ধাচরণের কারণে আপনি যেসব শাস্তির কথা শুনান, সেগুলো আসে না কেন? কখনো তারা চ্যালেঞ্জের ভঙ্গীতে বলতে থাকেঃ “ হে আমাদের রব! এখনই তুমি আমাদের হিসেব নিকেশ চুকিয়ে দাও । কিয়ামতের জন্য তাকে ঠেকিয়ে রেখো না।” [ সূরা সোয়াদঃ ১৬ ] আবার কখনো বলতে থাকেঃ “ হে আল্লাহ্! মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে কথাগুলো পেশ করছে এগুলো যদি সত্যি হয় এবং তোমারই পক্ষ থেকে হয় তাহলে আমাদের উপর আকাশ থেকে পাথর বর্ষণ করো অথবা অন্য কোন যন্ত্রণাদায়ক আযাব নাযিল করো ।” [ সূরা আল-আনফালঃ ৩২ ] আবার কখনো তারা রাসূলকেই এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করে বলতে থাকেঃ “ তারা বলে, ’ওহে যার প্রতি কুরআন নাযিল হয়েছে! তুমি তো নিশ্চয় উন্মাদ । তুমি সত্যবাদী হলে আমাদের কাছে ফিরিশতাদেরকে উপস্থিত করছ না কেন?’ আমরা ফিরিশতাদেরকে যথার্থ কারণ ছাড়া নাযিল করি না; ফিরিশতারা উপস্থিত হলে তারা অবকাশ পাবে না।” [ সূরা আল-হিজরঃ ৬-৮ ] এ আয়াতে কাফেরদের পূর্বোক্ত কথাগুলোর জবাব দিয়ে বলা হয়েছেঃ এ মূর্খের দল কল্যাণের আগে অকল্যাণ চেয়ে নিচ্ছে। আল্লাহ্‌র পক্ষ থেকে এদেরকে যে অবকাশ দেয়া হচ্ছে তার সুযোগ গ্রহণ করার পরিবর্তে এরা এ অবকাশকে দ্রুত খতম করে দেয়ার এবং এদের বিদ্রোহাত্মক কর্মনীতির কারণে এদেরকে অনতিবিলম্বে পাকড়াও করার দাবী জানাচ্ছে। অন্যত্র বলা হয়েছেঃ “ তারা আপনাকে শাস্তি ত্বরান্বিত করতে বলে । যদি নির্ধারিত কাল না থাকত তবে শাস্তি অবশ্যই তাদের উপর আসত। নিশ্চয়ই তাদের উপর শাস্তি আসবে আকস্মিকভাবে, তাদের অজ্ঞাতসারে। তারা আপনাকে শাস্তি ত্বরান্বিত করতে বলে, জাহান্নাম তো কাফিরদেরকে পরিবেষ্টন করবেই।” [ সূরা আল-আনকাবূতঃ ৫৩-৫৪ ] আরো এসেছে, “ যারা এটা বিশ্বাস করে না তারাই এটা ত্বরান্বিত করতে চায় । [ সূরা আশ-শূরাঃ ১৮ ] মোটকথাঃ তারা বিপদমুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পূর্বেই আপনার কাছে বিপদ নাযিল হওয়ার তাগাদা করে যে, আপনি নবী হয়ে থাকলে তাৎক্ষণিক আযাব এনে দিন। এতে বুঝা যায় যে, তারা আযাব আসাকে খুবই অবাস্তব অথবা অসম্ভব মনে করে। এটা ছিল তাদের অবিশ্বাস, কুফরি, অবাধ্যতা, বিরোধিতা ও অস্বীকৃতির চরম পর্যায়। তাই আল্লাহ্ তা'আলা বলছেন, অথচ তাদের পূর্বে অন্য কাফেরদের উপর অনেক আযাব এসেছে। সবাই তা প্রত্যক্ষ করেছে। তাদেরকে এর মাধ্যমে আল্লাহ্ পরবর্তীদের জন্য উদাহরণ, উপদেশ হিসেবে রেখে দিয়েছেন। [ ইবন কাসীর ] এমতাবস্থায় তাদের উপর আযাব অবাস্তব হল কিরূপে? এখানে ( مَثُلٰتُ ) শব্দটি ( مثلة ) -এর বহুবচন। এর অর্থ অপমানকর ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি। [ ফাতহুল কাদীর ] [] বলা হয়েছেঃ “ মানুষের সীমালংঘন সত্বেও আপনার রব তো মানুষের প্রতি ক্ষমাশীল” । মানুষের শত অন্যায়কেও তিনি ক্ষমা করেন। যদি তিনি ক্ষমাশীল না হতেন তবে কারোই রেহাই ছিল না। অন্য আয়াতে আল্লাহ্ তা'আলা বলেন, আল্লাহ মানুষকে তাদের কৃতকর্মের জন্য শাস্তি দিলে ভূ-পৃষ্ঠে কোন জীব-জন্তুকেই রেহাই দিতেন না, কিন্তু তিনি এক নির্দিষ্ট কাল পর্যন্ত তাদেরকে অবকাশ দিয়ে থাকেন । তারপর তাদের নির্দিষ্ট কাল এসে গেলে আল্লাহ্ তো আছেন তাঁর বান্দাদের সম্যক দ্রষ্টা।” [ সূরা ফাতিরঃ ৪৫ ] আয়াতের শেষে আল্লাহ্ তা'আলা বলছেন যে, তিনি যে শুধু ক্ষমাশীল তা-ই নয় বরং তিনি কঠোর শাস্তিদাতাও। এভাবে আল্লাহ্ তা'আলা পবিত্র কুরআনের বিভিন্ন আয়াতে তাঁর বান্দাকে আশা ও ভীতির মধ্যে রাখেন। [ যেমন, সূরা আল-আন’আমঃ ১৪৭, সূরা আল-আ’রাফঃ ১৬৭, সূরা আল-হিজরঃ ৪৯-৫০ ] যাতে করে মানুষের জীবনে ভারসাম্য বজায় থাকে। শুধু আশার বাণী শুনতে শুনতে মানুষ সীমালঙ্ঘন করতে দ্বিধা করবে না। আবার শুধু ভয়-ভীতির কথা শুনতে শুনতে মানুষের জীবন দূর্বিষহ হয়ে উঠবে না। এটাই আল্লাহ্ তা'আলা চান। সে জন্য তিনি যখনই কোন আশার কথা শুনিয়েছেন সাথে সাথেই ভয়ের কথা জানিয়ে দিয়েছেন। মূলতঃ আশা ও ভীতির মাঝেই হলো ঈমানের অবস্থান। [ ইবন কাসীর ]

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


আল্লাহ তাআ’লা স্বীয় রাসূলকে ( সঃ ) বলেছেনঃ “ কিয়ামতকে অস্বীকারকারীরা তোমাকে বলছেঃ হে মুহাম্মদ ( সঃ )! তুমি যদি তোমার কথায় সত্যবাদী হও তবে আমাদের উপর আল্লাহর শান্তি আনয়ন করছে না কেন? যেমন আল্লাহ তাআ’লা তাদের সম্পর্কে খবর দিয়েছেনঃ ( আরবি )অর্থাৎ “তারা বলেঃ হে সেই ব্যক্তি, যে দাবী করছো যে, তোমার উপর আল্লাহর যিকর অবতীর্ণ করা হয়, নিশ্চয় তুমি তো পাগল । যদি তুমি সত্যবাদীও হও তবে তুমি আমাদের কাছে আযাবের ফেরেশতাকে আনছো না কেন? ( এর উত্তরে তাদেরকে বলা হয় ) ফেরেশতাদেরকে আমি সত্য ও ফায়সালার সাথেই অবতীর্ণ করে থাকি, যখন তারা এসেই পড়বে তখন তাদেরকে ( তাওবা’ করার ও ঈমান আনয়নের ) বিন্দুমাত্র অবকাশ দেয়া হবে না।” ( ১৫: ৬-৮ ) আল্লাহ তাআ’লা অন্য জায়গায় বলেনঃ ( আরবি ) ( ২৯:৫৩ ) ( দু’আয়াত পর্যন্ত )। আর এক জায়গায় বলেনঃ ( আরবি ) অর্থাৎ “ এক ব্যক্তি চাইলো সংঘটিত হোক শাস্তি যা অবধারিত ।( ৭০ :১ ) অন্য এক জায়গায় রয়েছেঃ ( আরবি )অর্থাৎ “ যারা ঈমান আনয়ন করে না তারা ওটাকে ( শাস্তিকে ) তাড়াতাড়ি চাচ্ছে, আর যারা ঈমান এনেছে তারা এটাকে ভয় করছে এবং ওটাকে সত্য বলে জানছে ।( ৪২ :১৮ ) আরো এক জায়গায় বলেছেনঃ “ তারা বলেঃ হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের শাস্তি ও হিসেবের ব্যবস্থা তাড়াতাড়ি করুন ।” আর এক স্থানে মহান আল্লাহ বলেনঃ ( আরবি )অর্থাৎ “ যখন তারা বলতো: হে আল্লাহ! যদি এটা আপনার পক্ষ থেকে সত্য হয় তবে আমাদের উপর আকাশ হতে পাথর বর্ষণ করুন অথবা অন্য কোন যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি নাযিল করুন ।( ৮:৩২ ) ভাবার্থ এই যে, কুফরী ও অস্বীকারের কারণে আল্লাহর শান্তি নেমে আসা অসম্ভব মনে করে এতে তারা নির্ভয় হয়ে যায় যে, শাস্তি নেমে আসার তারা আকাঙ্খ করে বসে। এখানে বর্ণনা করা হয়েছে যে, তাদের পূর্ববর্তী এইরূপ লোকদের দৃষ্টান্ত তাদের সামনে রয়েছে। তারা আল্লাহর অবাধ্য হয়েছিল বলে তাদেরকে তাঁর আযাবের দ্বারা পাকড়াও করা হয়। এটা আল্লাহ তাআ’লার দয়া ও সহিষ্ণুতা যে, তিনি পাপকার্য করতে দেখেন অথচ সাথে সাথে পাকড়াও করেন না। নতূবা ভূ-পৃষ্ঠে কাউকেও তিনি চলতে ফিরতে দিতেন না। দিনরাত তিনি পাপ করতে দেখছেন এবং ক্ষমা করে দিচ্ছেন। কিন্তু তাঁর আযাবও বড় বিপজ্জনক, অত্যন্ত কঠিন এবং বড়ই যন্ত্রণাদায়ক। আল্লাহ তাআ’লা বলেছেনঃ ( আরবি )অর্থাৎ “ যদি তারা তোমাকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করে তবে তুমি বলে দাও তোমাদের প্রতিপালক বড়ই করুণাময়, আর তার শাস্তি পাপাচারী কওম হতে ফিরানো হয় না ।( ৬: ১৪৭ ) আর এক জায়গায় তিনি বলেনঃ ( আরবি ) অর্থাৎ “ নিশ্চয় তোমার প্রতিপালক তাড়াতাড়ি হিসাব গ্রহণকারী এবং নিশ্চয় তিনি ক্ষমাশীল, দয়ালু” । ( ৬: ১৬৫ ) আরো বলেনঃ ( আরবি )অর্থাৎ “ আমার বান্দাদেরকে খবর দিয়ে দাও যে, নিশ্চয় আমি ক্ষমাশীল, দয়ালু আর নিশ্চয় আমার শাস্তি হচ্ছে বড়ই যন্ত্রণাদায়ক ।( ১৫: ৪৯-৫০ ) এ ধরনের আরো বহু আয়াত রয়েছে যাতে একই সাথে আশা প্রদান ও ভয় প্রদর্শন করা হয়েছে।হযরত সাঈদ ইবনু মুসাইয়াব ( রঃ ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন যে, যখন ( আরবি ) এই আয়াতটি অবতীর্ণ হয় তখন রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বলেনঃ “ যদি আল্লাহ তাআ’লা বান্দাকে ক্ষমা না করতেন তবে কেউই জীবনের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য উপভোগ করতে পারতো না এবং যদি তিনি ধমক ও শাস্তি প্রদান না করতেন তবে বান্দা অত্যাচার ও সীমালংঘনের কাজে লিপ্ত হয়ে পড়তো ।( এ হাদীসটি ইবনু আবি হা’তিম (রাঃ ) বর্ণনা করেছেন)হযরত হাসান ইবনু উসমান আবু হাসান রামাদী ( মক্কী নুসখাতে যিয়াদী রয়েছে ) স্বপ্নে মহামহিমান্বিত আল্লাহর দর্শন লাভ করেন। তিনি দেখেন যে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) আল্লাহ তাআ’লার সামনে দাঁড়িয়ে তার একজন উম্মতের জন্যে সুপারিশ করছেন। তখন আল্লাহ তাআ’লা তাকে বলেনঃ “ তোমাদের জন্যে কি সুরায়ে রাদ এর ( আরবি ) এ আয়াতটি যথেষ্ট নয়?” হযরত আবু হাসান ( রাঃ ) বলেনঃ “এরপর আমি ঘুম থেকে জেগে উঠি ।( এটা হা-ফিজ ইবনু আসাকির (রঃ ) বর্ণনা করেছেন)

সূরা রা'দ আয়াত 6 সূরা

ويستعجلونك بالسيئة قبل الحسنة وقد خلت من قبلهم المثلات وإن ربك لذو مغفرة للناس على ظلمهم وإن ربك لشديد العقاب

سورة: الرعد - آية: ( 6 )  - جزء: ( 13 )  -  صفحة: ( 250 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. হে আমাদের পালনকর্তা, আর তাদেরকে দাখিল করুন চিরকাল বসবাসের জান্নাতে, যার ওয়াদা আপনি তাদেরকে দিয়েছেন
  2. যেদিন আপনি দেখবেন ঈমানদার পুরুষ ও ঈমানদার নারীদেরকে, তাদের সম্মুখ ভাগে ও ডানপার্শ্বে তাদের জ্যোতি
  3. নূহ বললঃ হে আমার পালনকর্তা, আমার সম্প্রদায় আমাকে অমান্য করেছে আর অনুসরণ করছে এমন লোককে,
  4. অপরাধীদের সাথে আমি এরূপই করে থাকি।
  5. যাতে তারা আমার কথা বুঝতে পারে।
  6. কিন্তু শুনবে সালাম আর সালাম।
  7. যিনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর তিনিই আমাকে পথপ্রদর্শন করেন,
  8. আর আমি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছি, এরপর আকার-অবয়ব, তৈরী করেছি। অতঃপর আমি ফেরেশতাদেরকে বলছি-আদমকে সেজদা কর
  9. এবং যারা বলে, হে আমাদের পালনকর্তা, আমাদের স্ত্রীদের পক্ষ থেকে এবং আমাদের সন্তানের পক্ষ থেকে
  10. সে ধারণা করে যে, আল্লাহ কখনই ইহকালে ও পরকালে রাসূলকে সাহায্য করবেন না, সে একটি

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা রা'দ ডাউনলোড করুন:

সূরা Raad mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Raad শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত রা'দ  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত রা'দ  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত রা'দ  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত রা'দ  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত রা'দ  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত রা'দ  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত রা'দ  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত রা'দ  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত রা'দ  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত রা'দ  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত রা'দ  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত রা'দ  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত রা'দ  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত রা'দ  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত রা'দ  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত রা'দ  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত রা'দ  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত রা'দ  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত রা'দ  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত রা'দ  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত রা'দ  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত রা'দ  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত রা'দ  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত রা'দ  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত রা'দ  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Thursday, May 23, 2024

لا تنسنا من دعوة صالحة بظهر الغيب