কোরান সূরা সাবা আয়াত 6 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Saba ayat 6 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা সাবা আয়াত 6 আরবি পাঠে(Saba).
  
   

﴿وَيَرَى الَّذِينَ أُوتُوا الْعِلْمَ الَّذِي أُنزِلَ إِلَيْكَ مِن رَّبِّكَ هُوَ الْحَقَّ وَيَهْدِي إِلَىٰ صِرَاطِ الْعَزِيزِ الْحَمِيدِ﴾
[ سبأ: 6]

যারা জ্ঞানপ্রাপ্ত, তারা আপনার পালনকর্তার নিকট থেকে অবর্তীর্ণ কোরআনকে সত্য জ্ঞান করে এবং এটা মানুষকে পরাক্রমশালী, প্রশংসার্হ আল্লাহর পথ প্রদর্শন করে। [সূরা সাবা: 6]

Surah Saba in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Saba ayat 6


আর যাদের জ্ঞান দেওয়া হয়েছে তারা দেখতে পায় যে তোমার কাছে তোমার প্রভুর কাছ থেকে যা অবতারণ করা হয়েছে তাই সত্য, আর তা পরিচালিত করে মহাশক্তিশালী পরম প্রশংসিতের পথে।


Tafsir Mokhtasar Bangla


৬. আর সাহাবীদের মধ্যকার আলিম সমাজ ও আহলে কিতাবদের মধ্যে যারা ঈমান এনেছে তারা সাক্ষ্য দিয়েছে যে, আল্লাহ আপনার প্রতি যে প্রত্যাদেশ অবতীর্ণ করেছেন তাই হক। যাতে কোনরূপ সন্দেহ নেই। আর এটিই এমন পরাক্রমশালীর দিকে পথ নির্দেশ করে যাঁকে পরাস্তকারী কেউ নেই। যিনি ইহ ও পরকালে প্রশংসিত।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


যাদেরকে জ্ঞান দেওয়া হয়েছে, তারা সুনিশ্চিতভাবে জানে যে, তোমার প্রতিপালকের নিকট হতে তোমার প্রতি যা অবতীর্ণ করা হয়েছে তা সত্য;[১] এবং তা মানুষকে পরাক্রমশালী প্রশংসিত আল্লাহর পথ নির্দেশ করে। [২] [১] এখানে يَرَى দেখার অর্থ হল অন্তর-চক্ষু দিয়ে দেখা; শুধু চোখের দেখা নয়। অর্থাৎ, 'ইলমে ইয়াকীন' দ্বারা সুনিশ্চিতরূপে জানে। 'যাদেরকে জ্ঞান দেওয়া হয়েছে' বলে সাহাবায়ে-কিরামগণ অথবা আহলে কিতাবদের মু'মিন বা সকল মু'মিনদেরকে বুঝানো হয়েছে। অর্থাৎ মু'মিনগণ তা জানেন ও তার উপর দৃঢ় বিশ্বাস রাখেন। [২] এর সংযোগ 'সত্য' শব্দের সাথে। অর্থাৎ, তারা এটাও জানে যে, এই কুরআন কারীম ঐ পথের দিশা দেয়, যা সেই আল্লাহর পথ, যিনি সৃষ্টি জগতে সকলের উপর প্রতাপশালী এবং আপন সৃষ্টির মাঝে প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য। সে পথ হল তাওহীদের পথ, যে পথের দিকে সকল পয়গম্বরগণ নিজ নিজ সম্প্রদায়কে দাওয়াত দিয়েছিলেন।

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


আর যাদেরকে জ্ঞান দেওয়া হয়েছে, তারা জানে যে, আপনার রবের কাছ থেকে আপনার প্রতি যা নাযিল হয়েছে তা-ই সত্য; এবং এটা পরাক্রমশালী প্রশংসিত আল্লাহর পথ নির্দেশ করে।

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


৩-৬ নং আয়াতের তাফসীর: সম্পূর্ণ কুরআন কারীমে তিনটি আয়াত রয়েছে যেখানে কিয়ামত আগমনের উপর শপথ করা হয়েছে। একটি সূরায়ে ইউনুসের আয়াত। তা হলোঃ ( আরবী ) অর্থাৎ “ তারা তোমার কাছে জানতে চায়ঃ এটা কি সত্য? তুমি বলঃ হ্যা, আমার প্রতিপালকের শপথ! এটা অবশ্যই সত্য এবং তোমরা এটা ব্যর্থ করতে পারবে না ।( ১০:৫৩ ) দ্বিতীয় হলো এই সূরায়ে সাবার। ( আরবী )-এই আয়াতটি। আর তৃতীয় হলো সূরায়ে তাগাবুনের নিম্নের আয়াতটিঃ ( আরবী ) অর্থাৎ “ কাফিররা ধারণা করে যে, তারা কখনো পুনরুত্থিত হবে না । বলঃ নিশ্চয়ই হবে, আমার প্রতিপালকের শপথ! তোমরা নিশ্চয়ই পুনরুত্থিত হবে। অতঃপর তোমরা যা করতে তোমাদেরকে সে সম্বন্ধে অবশ্যই অবহিত করা হবে। এটা আল্লাহর পক্ষে সহজ।”( ৬৪:৭ ) এখানেও কাফিরদের কিয়ামতের অস্বীকৃতির উল্লেখ করে স্বীয় নবী ( সঃ )-কে শপথমূলক উত্তর দিতে বলার পর আরো গুরুত্বের সাথে বলছেনঃ সেই আল্লাহ তিনি, যিনি আলেমুল গায়েব, যার অগোচর নয় আকাশ ও পৃথিবীতে অণু পরিমাণ কিছু কিংবা তদপেক্ষা ক্ষুদ্র অথবা বৃহৎ কিছু। যে হাড়গুলো পচে সড়ে যায়, মানুষের শরীরের জোড়গুলো যে খুলে বিক্ষিপ্ত হয়ে যায়, ওগুলো যায় কোথায় এবং ওগুলোর সংখ্যাই বা কত ইত্যাদি সবকিছুই আল্লাহ জ্ঞাত আছেন। তিনি এগুলো একত্রিত করতে সক্ষম, যেমন তিনি প্রথমে সৃষ্টি করেছিলেন। তিনি সমস্ত কিছুই জানেন। সবকিছুই তাঁর কিতাবে লিপিবদ্ধ আছে।অতঃপর মহামহিমান্বিত আল্লাহ কিয়ামত আসার হিকমত বর্ণনা করতে গিয়ে বলেনঃ এটা এই জন্যে যে, যারা মুমিন ও সৎকর্মপরায়ণ তিনি তাদেরকে পুরস্কৃত করবেন। তাদেরই জন্যে রয়েছে ক্ষমা ও সম্মান জনক রিযক। পক্ষান্তরে যারা আল্লাহর আয়াত সমূহকে ব্যর্থ করবার চেষ্টা করে তাদের জন্যে রয়েছে ভয়ংকর মর্মন্তুদ শাস্তি। সৎকর্মশীল মুমিনরা পুরস্কৃত হবে এবং দুষ্ট ও পাপী কাফিররা হবে শাস্তিপ্রাপ্ত। যেমন মহামহিমান্বিত আল্লাহ বলেনঃ ( আরবী ) অর্থাৎ “ জাহান্নামের অধিবাসী ও জান্নাতের অধিবাসী সমান নয় । জান্নাতের অধিবাসীরাই সফলকাম।"( ৫৯:২০ ) আর এক জায়গায় মহান আল্লাহ বলেনঃ ( আরবী ) অর্থাৎ “ আমি কি ঈমানদার ও সৎকর্মশীলদেরকে ভূ-পৃষ্ঠে বিশৃংখলা সৃষ্টিকারীদের মত করবো অথবা আমি কি সংযমী ও আল্লাহভীরুদেরকে করবো পাপাসক্তদের মত?”( ৩৮:২৮ ) এরপর আল্লাহ তা'আলা কিয়ামতের আর একটি হিকমত বর্ণনায় বলেনঃ কিয়ামতের দিন ঈমানদার লোকেরা সৎকর্মশীলদের পুরস্কৃত হতে এবং পাপীদেরকে শাস্তিপ্রাপ্ত হতে দেখে নিশ্চিত জ্ঞান দ্বারা চাক্ষুষ প্রত্যয় লাভ করবে। ঐ সময় তারা বলে উঠবেঃ আমাদের প্রতিপালকের রাসূলগণ সত্য আনয়ন করেছিলেন। আরো বলা হবেঃ ( আরবী ) অর্থাৎ “ দয়াময় আল্লাহ্ তো এরই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন এবং রাসূলগণ সত্য বলেছিলেন ।( ৩৬:৫২ ) আর এক জায়গায় রয়েছেঃ ( আরবী ) অর্থাৎ আল্লাহ্ কিতাবে লিপিবদ্ধ ছিল যে, তোমরা পুনরুত্থান দিবস পর্যন্ত অবস্থান করবে, তাহলে পুনরুত্থান দিবস তো এটাই ।( ৩০:৫৬ )আল্লাহ পরাক্রমশালী অর্থাৎ তিনি প্রবল পরাক্রান্ত, বড়ই মর্যাদা সম্পন্ন, মহাশক্তির অধিকারী, ক্ষমতাবান শাসক এবং পূর্ণ বিজয়ী। তার উপর কারো কোন আদেশ চলে না এবং কারো কোন জোরও খাটে না। প্রত্যেক বস্তুই তাঁর কাছে শক্তিহীন ও অপারগ। তাঁর কথা ও কাজ চাঞ্চল্য সৃষ্টিকারী। তাঁর সমুদয় সৃষ্টজীব তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ।

সূরা সাবা আয়াত 6 সূরা

ويرى الذين أوتوا العلم الذي أنـزل إليك من ربك هو الحق ويهدي إلى صراط العزيز الحميد

سورة: سبأ - آية: ( 6 )  - جزء: ( 22 )  -  صفحة: ( 428 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. মূসা বললেনঃ আল্লাহ চাহেন তো আপনি আমাকে ধৈর্য্যশীল পাবেন এবং আমি আপনার কোন আদেশ অমান্য
  2. আর যখন আল্লাহ দু’টি দলের একটির ব্যাপারে তোমাদের সাথে ওয়াদা করেছিলেন যে, সেটি তোমাদের হস্তগত
  3. জিজ্ঞেস করুন ঐ জনপদের লোকদেরকে যেখানে আমরা ছিলাম এবং ঐ কাফেলাকে, যাদের সাথে আমরা এসেছি।
  4. আমি তোমাদের প্রতি একটি কিতাব অবর্তীর্ণ করেছি; এতে তোমাদের জন্যে উপদেশ রয়েছে। তোমরা কি বোঝ
  5. বস্তুতঃ তারা বলে, তাঁর কাছে তাঁর পরওয়ারদেগারের পক্ষ থেকে কোন নির্দেশ এল না কেন? বলে
  6. আর আমি সৃষ্টি করেছি দোযখের জন্য বহু জ্বিন ও মানুষ। তাদের অন্তর রয়েছে, তার দ্বারা
  7. যখন ইব্রাহীমকে তাঁর পালনকর্তা কয়েকটি বিষয়ে পরীক্ষা করলেন, অতঃপর তিনি তা পূর্ণ করে দিলেন, তখন
  8. তাদের এবং যেসব জনপদের লোকদের প্রতি আমি অনুগ্রহ করেছিলম সেগুলোর মধ্যবর্তী স্থানে অনেক দৃশ্যমান জনপদ
  9. তোমাদের উপর তোমাদের পালনকর্তার অনুগ্রহ অন্বেষন করায় কোন পাপ নেই। অতঃপর যখন তওয়াফের জন্য ফিরে
  10. দোযখীরা জান্নাতীদেরকে ডেকে বলবেঃ আমাদের উপর সামান্য পানি নিক্ষেপ কর অথবা আল্লাহ তোমাদেরকে যে রুযী

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা সাবা ডাউনলোড করুন:

সূরা Saba mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Saba শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত সাবা  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত সাবা  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত সাবা  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত সাবা  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত সাবা  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত সাবা  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত সাবা  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত সাবা  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত সাবা  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত সাবা  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত সাবা  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত সাবা  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত সাবা  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত সাবা  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত সাবা  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত সাবা  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত সাবা  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত সাবা  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত সাবা  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত সাবা  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত সাবা  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত সাবা  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত সাবা  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত সাবা  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত সাবা  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Tuesday, July 16, 2024

Please remember us in your sincere prayers