কোরান সূরা জিন আয়াত 6 তাফসীর
﴿وَأَنَّهُ كَانَ رِجَالٌ مِّنَ الْإِنسِ يَعُوذُونَ بِرِجَالٍ مِّنَ الْجِنِّ فَزَادُوهُمْ رَهَقًا﴾
[ الجن: 6]
অনেক মানুষ অনেক জিনের আশ্রয় নিত, ফলে তারা জিনদের আত্নম্ভরিতা বাড়িয়ে দিত। [সূরা জিন: 6]
Surah Al-Jinn in Banglaজহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Jinn ayat 6
''আর এই যে মানুষের মধ্যের কিছু লোক জিনজাতির কিছু লোকের আশ্রয় নিত, ফলে ওরা তাদের পাপাচার বাড়িয়ে দিত,
Tafsir Mokhtasar Bangla
৬. জাহেলী যুগে এমন কিছু মানুষ ছিলো যারা ভয়ানক কোন জায়গায় অবতরণ করলে জিনদের আশ্রয় কামনা করতো এই বলে যে, আমি এ উপত্যকার সর্দারের নিকট তার জাতির বখাটেদের অনিষ্ট থেকে আশ্রয় কামনা করছি। এর কারণে মানুষ শ্রেণীর পুরুষেরা জিন শ্রেণীর পুরুষদেরকে আরো বেশী ভয় করতে লাগলো।
Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান
আর কতিপয় মানুষ কতক জ্বিনদের নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করত,[১] ফলে তারা জ্বিনদের অহংকার[২] বাড়িয়ে দিত। [১] জাহেলিয়াতের যুগে একটি প্রচলন এও ছিল যে, যখন তারা সফরে কোথাও যেত, তখন যে উপত্যকায় তারা অবস্থান করত, সেখানকার জ্বিনদের কাছে আশ্রয় কামনা করত; যেমন, অঞ্চলের বিশেষ ব্যক্তি এবং সরদারের কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করা হয়। ইসলাম এ প্রচলন বাতিল ঘোষণা করে কেবলমাত্র এক আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করার উপর তাকীদ করেছে। [২] অর্থাৎ, যখন জ্বিনরা লক্ষ্য করল যে, মানুষ আমাদেরকে ভয় পায় এবং আমাদের কাছে আশ্রয় কামনা করে, তখন তাদের ঔদ্ধত্য ও অহংকার আরো বেড়ে গেল। এখানে رَهَقًا এর অর্থ হল ঔদ্ধত্য, অবাধ্যতা এবং অহংকার। এর আসল অর্থ হল, ( ঢাকা ) পাপ এবং হারাম কাজ সম্পাদন করা। ( এর এক অর্থ ভয় করাও হয়। অর্থাৎ, মানুষরা জ্বিনদের কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করলে, জ্বিনরা মানুষদের ভয় বৃদ্ধি করত। দ্রঃ ফাতহুল ক্বাদীর -সম্পাদক )
Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স
‘এও যে, কিছু কিছু মানুষ কিছু জিনের আশ্রয় নিত, ফলে তারা জিনদের আত্মম্ভরিতা বাড়িয়ে দিয়েছিল [ ১ ]।’ [ ১ ] জাহেলী যুগে আরবরা যখন কোন জনহীন প্রান্তরে রাত্রি যাপন করতো তখন উচ্চস্বরে বলতো, ‘আমরা এ প্রান্তরের অধিপতি জিনের আশ্রয় প্রার্থনা করছি’ । এভাবে ভয় পেলে মানুষরা জিনের আশ্রয় নেয়ার চেষ্টা করত। ফলে জিনের আত্মম্ভরিতা বেড়ে যায়। আয়াতটির আরেকটি অর্থও হতে পারে, এভাবে আশ্রয়-গ্রহণের চেষ্টা করার পরও জিনরা মানুষদের উল্টো ভয় দেখাত। [ সা’দী ]
সূরা জিন আয়াত 6 সূরা
English | Türkçe | Indonesia |
Русский | Français | فارسی |
تفسير | Urdu | اعراب |
বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত
- ফলে সকাল পর্যন্ত হয়ে গেল ছিন্নবিচ্ছিন্ন তৃণসম।
- সে বললঃ তবে হে মূসা, তোমাদের পালনকর্তা কে?
- কখনও এরূপ করবেন না, এটা উপদেশবানী।
- অতঃপর যদি তাকে আমার কাছে না আন, তবে আমার কাছে তোমাদের কোন বরাদ্ধ নেই এবং
- এটা এজন্য যাতে আল্লাহ, সত্যবাদীদেরকে তাদের সত্যবাদিতার কারণে প্রতিদান দেন এবং ইচ্ছা করলে মুনাফেকদেরকে শাস্তি
- আর তোমরা যেখান থেকেই বেরিয়ে আস এবং যেখানেই অবস্থান কর, সেদিকেই মুখ ফেরাও, যাতে করে
- এবং আমার এবাদত কর। এটাই সরল পথ।
- আর তোমরা মৃত্যুই বরণ কর অথবা নিহতই হও, অবশ্য আল্লাহ তা’আলার সামনেই সমবেত হবে।
- বলুন, সমস্ত সুপারিশ আল্লাহরই ক্ষমতাধীন, আসমান ও যমীনে তাঁরই সাম্রাজ্য। অতঃপর তাঁরই কাছে তোমরা প্রত্যাবর্তিত
- তিনি আসমান সমূহ, যমীনও এতদুভয়ের মধ্যবর্তী সবকিছুর পালনকর্তা এবং পালনকর্তা উদয়াচলসমূহের।
বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :
সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা জিন ডাউনলোড করুন:
সূরা Jinn mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Jinn শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
আহমেদ আল-আজমি
ইব্রাহীম আল-আখদার
বান্দার বেলাইলা
খালিদ গালিলি
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
খলিফা আল টুনাইজি
সাদ আল-গামদি
সৌদ আল-শুরাইম
সালাহ বুখাতীর
আবদ এল বাসেট
আবদুল রশিদ সুফি
আব্দুল্লাহ্ বাস্ফার
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
আলী আল-হুদায়েফি
আলী জাবের
ফারেস আব্বাদ
মাহের আলমাইকুলই
মোহাম্মদ আইয়ুব
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মাদ জিব্রীল
আল-মিনশাবি
আল হোসারি
মিশারী আল-আফসী
নাসের আল কাতামি
ইয়াসের আল-দোসারি
Please remember us in your sincere prayers