কোরান সূরা নাহল আয়াত 102 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Nahl ayat 102 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা নাহল আয়াত 102 আরবি পাঠে(Nahl).
  
   

﴿قُلْ نَزَّلَهُ رُوحُ الْقُدُسِ مِن رَّبِّكَ بِالْحَقِّ لِيُثَبِّتَ الَّذِينَ آمَنُوا وَهُدًى وَبُشْرَىٰ لِلْمُسْلِمِينَ﴾
[ النحل: 102]

বলুন, একে পবিত্র ফেরেশতা পালনকর্তার পক্ষ থেকে নিশ্চিত সত্যসহ নাযিল করেছেন, যাতে মুমিনদেরকে প্রতিষ্ঠিত করেন এবং এটা মুসলমানদের জন্যে পথ নির্দেশ ও সু-সংবাদ স্বরূপ। [সূরা নাহল: 102]

Surah An-Nahl in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Nahl ayat 102


তুমি বলো যে রুহুল কুদুস তোমার প্রভুর কাছ থেকে সত্যসহ এটি অবতারণ করেছে যেন তিনি দৃঢ়প্রতিষ্ঠিত করতে পারেন তাদের যারা ঈমান এনেছে, আর পথনির্দেশ ও সুসংবাদরূপে আ‌ত্মসমর্পণকারীদের জন্য।


Tafsir Mokhtasar Bangla


১০২. হে রাসূল! আপনি তাদেরকে বলে দিন: জিব্রীল ( আলাইহিস-সালাম ) আল্লাহর পক্ষ থেকে এ কুর‘আন নিয়ে এসেছেন। এমন সত্য তাতে রয়েছে যাতে কোন ভুল, পরিবর্তন ও বিকৃতি নেই। যাতে করে আল্লাহতে বিশ্বাসীরা নিজেদের ঈমানের উপর অটল থাকতে পারে। যখনই কোন নতুন কিছু নাযিল ও রহিত হয়। উপরন্তু তাদের জন্য যেন সত্যের পথ প্রদর্শক এবং মুসলমানদের জন্য সম্মানজনক প্রতিদান হাসিলের সুসংবাদ হয়।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


তুমি বল, ‘তোমার প্রতিপালকের নিকট হতে জিবরীল সত্যসহ কুরআন অবতীর্ণ করেছে,[১] যারা বিশ্বাসী তাদেরকে দৃঢ় প্রতিষ্ঠিত করার জন্য[২] এবং তা আত্মসমর্পণকারীদের জন্য পথনির্দেশ ও সুসংবাদ স্বরূপ।’ [৩] [১] অর্থাৎ, এই কুরআন মুহাম্মাদ ( সাঃ )-এর রচনা নয়। বরং তা জিবরীল ( আঃ )-এর মত পবিত্র সত্তা সত্যসহ রবের নিকট হতে তা অবতীর্ণ করেছেন। যেমন অন্যত্র বলা হয়েছে {نَزَلَ بِهِ الرُّوحُ الْأَمِينُ عَلَى قَلْبِكَ} এ ( কুরআন )-কে রূহুল আমীন ( বিশ্বস্ত রূহ ) জিবরীল তোমার অন্তরে অবতীর্ণ করেছে। ( সূরা শুআরা ২৬:১৯৩-১৯৪ ) [২] এই জন্য যে, তারা বলে নাসেখ-মানসূখ ( রহিত ও রহিতকারী ) উভয় বিধানই আল্লাহর পক্ষ থেকে। এ ছাড়া রহিত করণের উপকারিতা যখন তাদের কাছে স্পষ্ট হয়, তখন তাদের হৃদয়ে দৃঢ়তা ও ঈমানী মজবুতি সৃষ্টি হয়। [৩] আর এই কুরআন মুসলিমদের জন্য পথনির্দেশ ও সুসংবাদ স্বরূপ। কারণ কুরআন বৃষ্টির মত যার দ্বারা কিছু কিছু মাটি প্রচুর ফসল উৎপন্ন করে। পক্ষান্তরে কিছু মাটি কাঁটাগাছ ও আগাছা ছাড়া কিছুই উৎপন্ন করে না। মুমিনের অন্তর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন যা কুরআনের বর্কতে এবং ঈমানের আলোকে আলোকিত হয়। আর কাফেরের অন্তর লবণাক্ত মাটির মত যা কুফর ও ভ্রষ্টতার অন্ধকারে ডুবে থাকে, যেখানে কুরআনের বৃষ্টি ও আলো কোন কাজে লাগে না।

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


বলুন, ‘আপনার রবের কাছ থেকে রূহুল-কুদুস [] ( জিবরীল ) যথাযথ ভাবে একে নাযিল করেছেন, যারা ঈমান এনেছে তাদেরকে সুদৃঢ় করার জন্য এবং হিদায়াত ও মুসলিমদের জন্য সুসংবাদস্বরূপ’। [] “ রুহুল কুদুস” এর শাব্দিক অনুবাদ হচ্ছে ‘পবিত্র রূহ বা ‘পবিত্রতার রূহ পারিভাষিকভাবে এ উপাধিটি দেয়া হয়েছে জিবরাঈল আলাইহিস সালামকে। এখানে অহী বাহক ফেরেশতার নাম না নিয়ে তার উপাধি ব্যবহার করার উদ্দেশ্য হচ্ছে শ্রোতাদেরকে এ সত্যটি জানানো যে, এমন একটি রূহ এ বাণী নিয়ে আসছেন যিনি সকল প্রকার মানবিক দুর্বলতা ও দোষ-ত্রুটি মুক্ত। তিনি একটি নিখাদ পবিত্র ও পরিচ্ছন্ন রূহ। আল্লাহর কালাম পূর্ণ আমানতদারীর সাথে পৌছিয়ে দেয়াই তার কাজ। তিনি যে যথার্থ কাজই করেন এবং কেবলমাত্র আল্লাহর নির্দেশেরই পূর্ণ বাস্ত বায়ন করেন তা আল্লাহ তা'আলা কুরআনের বিভিন্ন আয়াতে সুস্পষ্টভাবে ঘোষণা করেছেন। [ দেখুনঃ সূরা আল-বাকারাহঃ ৯৭, সূরা আস-শু'আরাঃ ১৯২-১৯৪ ], [ সূরা ত্বা-হাঃ ১১৪ ]

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


১০১-১০২ নং আয়াতের তাফসীর আল্লাহ তাআলা মুশরিকদের জ্ঞানের স্বল্পতা, অস্থিরতা এবং বেঈমানির বর্ণনা দিচ্ছেন যে, তারা ঈমান আনয়নের সৌভাগ্য কিরূপে লাভ করবে? এরা তো অনন্তকাল হতেই হতভাগ্য। যখন কোন আয়াত মানসূখ বা রহিত হয়। তখন তারা বলেঃ “ দেখো, তাদের অপবাদ খুলেই গেল ।” তারা এতটুকুও বুঝে না যে, ব্যাপক ক্ষমতাবান আল্লাহ যা ইচ্ছা করেন, তাই করে থাকেন এবং যা ইচ্ছা, তাই হুকুম করে থাকেন। এক হুকুমকে উঠিয়ে দিয়ে অন্য হুকুম ঐ স্থানে বসিয়ে দেন। যেমন তিনি ( আরবি )( ২:১০৬ ) এই আয়াতে বর্ণনা করেছেন। পবিত্র রূহ অর্থাৎ জিবরাঈল ( আঃ ) ওটা আল্লাহর পক্ষ থেকে সত্য এবং আদল ও ইনসাফের সাথে রাসূলুল্লাহ( সঃ ) কাছে নিয়ে আসেন, যেন ঈমানদাররা ঈমানের উপর অটল থাকে। একবার অবতীর্ণ হলো তখন মানলো, আবার অবতীর্ণ হলো আবার মানলো। তাদের অন্তর আল্লাহ তাআলার দিকে ঝুঁকে পড়ে। আল্লাহর নতুন ও তাজাতাজা কালাম তারা শুনে থাকে। মুসলমানদের জন্যে হিদায়াত ও সুসংবাদ হয় এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে ( সঃ ) মান্যকারীরা সুপথ প্রাপ্ত হয়ে খুশী হয়ে যায়।

সূরা নাহল আয়াত 102 সূরা

قل نـزله روح القدس من ربك بالحق ليثبت الذين آمنوا وهدى وبشرى للمسلمين

سورة: النحل - آية: ( 102 )  - جزء: ( 14 )  -  صفحة: ( 278 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. নিশ্চয় কোরআন সত্য-মিথ্যার ফয়সালা।
  2. তারা কি পৃথিবীতে ভ্রমণ করে না অতঃপর দেখে না যে; তাদের পূর্ববর্তীদের পরিণাম কি কি
  3. সুতরাং তুমি যদি সে বস্তু সম্পর্কে কোন সন্দেহের সম্মুখীন হয়ে থাক যা তোমার প্রতি আমি
  4. যখন তাদের কাছে আমার সুস্পষ্ট আয়াতসমূহ আবৃত্তি করা হয়, তখন তুমি কাফেরদের চোখে মুখে অসন্তোষের
  5. তাঁর কোন অংশীদার নেই। আমি তাই আদিষ্ট হয়েছি এবং আমি প্রথম আনুগত্যশীল।
  6. এবং সে অবশ্য এ বিষয়ে অবহিত
  7. আপনি তো আমাদের অবস্থা সবই দেখছেন।
  8. তিনি বললেনঃ কিছুই না, তোমরা মনগড়া একটি কথা নিয়েই এসেছ। এখন ধৈর্য্যধারণই উত্তম। সম্ভবতঃ আল্লাহ
  9. মুমিনগণ, তোমরা আল্লাহ তা’আলাকে ভয় কর। প্রত্যেক ব্যক্তির উচিত, আগামী কালের জন্যে সে কি প্রেরণ
  10. অভাবগ্রস্তকে আহার্য্য দিতাম না,

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা নাহল ডাউনলোড করুন:

সূরা Nahl mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Nahl শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত নাহল  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত নাহল  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত নাহল  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত নাহল  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত নাহল  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত নাহল  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত নাহল  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত নাহল  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত নাহল  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত নাহল  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত নাহল  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত নাহল  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত নাহল  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত নাহল  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত নাহল  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত নাহল  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত নাহল  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত নাহল  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত নাহল  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত নাহল  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত নাহল  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত নাহল  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত নাহল  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত নাহল  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত নাহল  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Sunday, December 22, 2024

Please remember us in your sincere prayers