কোরান সূরা হুদ আয়াত 63 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Hud ayat 63 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা হুদ আয়াত 63 আরবি পাঠে(Hud).
  
   

﴿قَالَ يَا قَوْمِ أَرَأَيْتُمْ إِن كُنتُ عَلَىٰ بَيِّنَةٍ مِّن رَّبِّي وَآتَانِي مِنْهُ رَحْمَةً فَمَن يَنصُرُنِي مِنَ اللَّهِ إِنْ عَصَيْتُهُ ۖ فَمَا تَزِيدُونَنِي غَيْرَ تَخْسِيرٍ﴾
[ هود: 63]

সালেহ বললেন-হে আমার জাতি! তোমরা কি মনে কর, আমি যদি আমার পালনকর্তার পক্ষ হতে বুদ্ধি বিবেচনা লাভ করে থাকি আর তিনি যদি আমাকে নিজের তরফ হতে রহমত দান করে থাকেন, অতঃপর আমি যদি তাঁর অবাধ্য হই তবে তার থেকে কে আমায় রক্ষা করবে? তোমরা তো আমার ক্ষতি ছাড়া কিছুই বৃদ্ধি করতে পরবে না [সূরা হুদ: 63]

Surah Hud in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Hud ayat 63


তিনি বললেন -- ''হে আমার সম্প্রদায়! তোমরা কি ভেবে দেখেছ -- আমি যদি আমার প্রভু থেকে পাওয়া স্পষ্ট-প্রমাণের উপরে প্রতিষ্ঠিত থাকি এবং তিনি যদি তাঁর কাছ থেকে আমাকে অনুগ্রহ দান করে থাকেন তবে কে আমাকে সাহায্য করবে আল্লাহ্‌র কবল থেকে যদি আমি তাঁর অবাধ্যতা করি? সুতরাং তোমরা তো ক্ষতি সাধন করা ছাড়া আমার আর কিছুই বাড়াবে না।’’


Tafsir Mokhtasar Bangla


৬৩. নূহ ( আলাইহিস-সালাম ) তাঁর জাতির জবাবে বললেন: ওহে আমার জাতি! তোমরা আমাকে বলো, আমি যদি আমার রবের পক্ষ থেকে স্পষ্ট দলীলের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকি, আর তিনি আমাকে রহমত তথা নবুওয়াত দান করেন তাহলে আমাকে তাঁর শাস্তি থেকে কে বাঁচাবে? তিনি তোমাদের প্রতি আমাকে যে তাবলীগের হুকুম দিয়েছেন তা বর্জন করে আমি যদি তাঁর অবাধ্য হই। তোমরা তো কেবল আমার ভ্রষ্টতাকেই বাড়িয়ে দিতে চাও আর আমাকে তাঁর সন্তুষ্টি হতে দূরে সরিয়ে রাখতে চাও।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


সে ( সালেহ ) বলল, ‘হে আমার সম্প্রদায়! আচ্ছা বল তো, যদি আমি নিজ প্রতিপালকের পক্ষ হতে প্রমাণের উপর থাকি এবং তিনি আমার প্রতি নিজের করুণা ( নবুঅত ) দান করে থাকেন;[১] অতএব আমি যদি আল্লাহর অবাধ্য হই,[২] তাহলে তার শাস্তি হতে কে আমাকে রক্ষা করবে? সুতরাং তোমরা তো আমার ক্ষতিই বৃদ্ধি করছ। [৩] [১] بينةٍ ( প্রমাণ ) এর অর্থ হল সেই ঈমান ও ইয়াকীন, যা আল্লাহ তাআলা পয়গম্বরগণকে দান করেন এবং রহমত ( করুণা ) এর অর্থ নবুঅত। যেমন এর পূর্বে উল্লেখ করা হয়েছে। [২] এখানে অবাধ্য হওয়ার অর্থ এই যে, যদি আমি তোমাদেরকে সত্যের দাওয়াত ও এক আল্লাহর ইবাদতের দাওয়াত দেওয়া ছেড়ে দিই, যেমন তোমরা চাচ্ছ। [৩] অর্থাৎ, যদি আমি এরূপ করি, তাহলে তোমরা আমার কোন উপকার করতে পারবে না, বরং তোমরা আমার আরো অমঙ্গল ও ক্ষতিই বৃদ্ধি করবে।

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


তিনি বললেন, ‘ হে আমার সম্প্রদায়! তোমরা আমাকে জানাও, আমি যদি আমার রব প্রেরিত স্পষ্ট প্রমাণে প্রতিষ্ঠিত হয়ে থাকি এবং তিনি যদি আমাকে তাঁর নিজ অনুগ্রহ [] দান করে থাকেন, তবে আল্লাহ্‌র শাস্তি থেকে আমাকে কে রক্ষা করবে, আমি যদি তাঁর অবাধ্য হই? কাজেই তোমরা তো শুধু আমার ক্ষতিই বাড়িয়ে দিচ্ছ []। [] অর্থাৎ আমি আমার দাবীর ব্যাপারে সম্পূর্ণভাবে নিশ্চিত বিশ্বাসের উপর আছি। আর আমাকে আমার রবের পক্ষ থেকে অনুগ্রহ দেয়া হয়েছে। তা হচ্ছে নবুওয়াত ও রিসালাত। [ সা’দী ] [] অর্থাৎ যদি আমি আমার কাছে আসা স্পষ্ট প্রমাণের বিরুদ্ধে এবং আল্লাহ আমাকে যে জ্ঞান দান করেছেন সেই জ্ঞানের বিরুদ্ধে নিছক তোমাদের খুশী করার জন্য গোমরাহীর পথ অবলম্বন করি তাহলে আল্লাহর পাকড়াও থেকে তোমরা আমাকে বাঁচাতে পারবে না। আমি যদি তোমাদেরকে হক ও একমাত্র আল্লাহর ইবাদতের দিকে দাওয়াত না দেই, তবে তোমরা এর দ্বারা আমার কোন উপকার করতে পারবে না। [ ইবন কাসীর ] বরং এভাবে তোমরা তো আমাকে কল্যাণের পথ থেকে বহু দূরে সরিয়ে দিবে এবং অনিষ্টতাই বৃদ্ধি করবে। [ ইবন কাসীর; কুরতুবী ]

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


৬২-৬৩ নং আয়াতের তাফসীর হযরত সালেহ্ ( আঃ ) ও তাঁর কওমের মধ্যে যে কথাবার্তা চলছিল আল্লাহ তাআ’লা এখানে তারই বর্ণনা দিচ্ছেন। তারা হযরত সালেহকে ( আঃ ) বললো: এসব কথা তুমি মুখে এনো না। এর পূর্বে তো আমরা তোমার কাছে অনেক কিছু আশা করছিলাম। কিন্তু এখন দেখছি সবই গুড়ে বালি। তুমি আমাদেরকে আমাদের পিতৃ পুরুষদের রীতিনীতি ও পূজাপার্বন থেকে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে। কিন্তু তুমি আমাদেরকে যে নতুন পথ দেখাচ্ছ; তাতে আমাদের বড় রকমের সন্দেহ রয়েছে। তাদের এ কথা শুনে হযরত সালেহ ( আঃ ) তাদেরকে বললেনঃ জেনে রেখোঁরেখো যে, আমি বড় দলিলের উপর রয়েছি। আমার কাছে আল্লাহ প্রদত্ত নিদর্শন রয়েছে। আমার সত্যবাদিতার উপর আমার মানসিক প্রশান্তি ও স্থিরতা রয়েছে। আমার কাছে রয়েছে মহান আল্লাহ প্রদত্ত রিসালাত রূপ রহমত। এখন যদি আমি তোমাদেরকে এর দাওয়াত না দেই এবং আল্লাহর অবাধ্যাচরণ করি, আর তোমাদেরকে তাঁর ইবাদতের দিকে আহবান না করি, তবে কে এমন আছে যে, আমাকে সাহায্য করতে পারে এবং তাঁর শাস্তি থেকে আমাকে রক্ষা করতে পারে? তোমরা আমার কোনই উপকারে লাগছে না, তোমরা শুধু আমার ক্ষতিই বৃদ্ধি করছে।

সূরা হুদ আয়াত 63 সূরা

قال ياقوم أرأيتم إن كنت على بينة من ربي وآتاني منه رحمة فمن ينصرني من الله إن عصيته فما تزيدونني غير تخسير

سورة: هود - آية: ( 63 )  - جزء: ( 12 )  -  صفحة: ( 229 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. সত্যিকার অধীশ্বর আল্লাহ মহান। আপনার প্রতি আল্লাহর ওহী সম্পুর্ণ হওয়ার পূর্বে আপনি কোরআন গ্রহণের ব্যপারে
  2. যখন পর্বতমালাকে উড়িয়ে দেয়া হবে এবং
  3. যখন তাঁরা সে স্থানটি অতিক্রম করে গেলেন, মূসা সঙ্গী কে বললেনঃ আমাদের নাশতা আন। আমরা
  4. সেদিন আকাশ বিদীর্ণ হবে। তার প্রতিশ্রুতি অবশ্যই বাস্তবায়িত হবে।
  5. আল্লাহ যার বক্ষ ইসলামের জন্যে উম্মুক্ত করে দিয়েছেন, অতঃপর সে তার পালনকর্তার পক্ষ থেকে আগত
  6. তারা কি নির্ভীক হয়ে গেছে এ বিষয়ে যে, আল্লাহর আযাবের কোন বিপদ তাদেরকে আবৃত করে
  7. এতে এবাদতকারী সম্প্রদায়ের জন্যে পর্যাপ্ত বিষয়বস্তু আছে।
  8. যারা যন্ত্রণাদায়ক শাস্তিকে ভয় করে, আমি তাদের জন্যে সেখানে একটি নিদর্শন রেখেছি।
  9. মহিলা বললঃ এ ঐ ব্যক্তি, যার জন্যে তোমরা আমাকে ভৎর্সনা করছিলে। আমি ওরই মন জয়
  10. তারা নিজেদের কৃতকর্মের কারণে কখনও মৃত্যু কামনা করবে না। আল্লাহ জালেমদের সম্পর্কে সম্যক অবগত আছেন।

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা হুদ ডাউনলোড করুন:

সূরা Hud mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Hud শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত হুদ  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত হুদ  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত হুদ  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত হুদ  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত হুদ  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত হুদ  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত হুদ  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত হুদ  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত হুদ  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত হুদ  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত হুদ  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত হুদ  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত হুদ  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত হুদ  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত হুদ  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত হুদ  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত হুদ  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত হুদ  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত হুদ  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত হুদ  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত হুদ  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত হুদ  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত হুদ  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত হুদ  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত হুদ  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Monday, November 18, 2024

Please remember us in your sincere prayers