কোরান সূরা কাহ্ফ আয়াত 53 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Kahf ayat 53 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা কাহ্ফ আয়াত 53 আরবি পাঠে(Kahf).
  
   

﴿وَرَأَى الْمُجْرِمُونَ النَّارَ فَظَنُّوا أَنَّهُم مُّوَاقِعُوهَا وَلَمْ يَجِدُوا عَنْهَا مَصْرِفًا﴾
[ الكهف: 53]

অপরাধীরা আগুন দেখে বোঝে নেবে যে, তাদেরকে তাতে পতিত হতে হবে এবং তারা তা থেকে রাস্তা পরিবর্তন করতে পারবে না। [সূরা কাহ্ফ: 53]

Surah Al-Kahf in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Kahf ayat 53


আর অপরাধীরা আগুন দেখতে পাবে, আর তারা বুঝবে যে তারা নিশ্চয়ই এতে পতিত হচ্ছে, আর তা থেকে তারা কোনো পরিত্রাণ পাবে না।


Tafsir Mokhtasar Bangla


৫৩. তখন মুশরিকরা আগুন দেখতে পাবে। আর তারা এ কথা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করবে যে, তারা সেখানে পতিত হবে। সেদিন এমন কোন জায়গা তারা খুঁজে পাবে না যেদিকে তারা প্রত্যাবর্তন করতে পারে।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


অপরাধীরা জাহান্নাম দেখে বুঝবে যে, তারা সেখানে পতিত হবে এবং তারা ওটা হতে কোন পরিত্রাণ স্থল পাবে না। [১] [১] যেমন, হাদীসে আছে যে, কাফের এমন স্থান থেকেই নিশ্চিত হয়ে যাবে যে, তার ঠিকানা হল জাহান্নাম, যার দূরত্ব হল চল্লিশ বছরের পথ। ( আহমাদ ৩/৭৫ )

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


আর অপরাধিরা আগুন দেখে বুঝবে যে, তারা সেখানে পতিত হচ্ছে এবং তারা সেখান থেকে কোন পরিত্রানস্থল পাবে না []। [] হাশরের দিন জাহান্নাম দেখার পর তারা স্পষ্ট বুঝতে ও বিশ্বাস করবে যে, তারা জাহান্নামে পতিত হচ্ছেই। তাদের বাঁচার কোন উপায় নেই। কুরআনের অন্যত্র বলা হয়েছেঃ “ হায়, আপনি যদি দেখতেন! যখন অপরাধীরা তাদের প্রতিপালকের সম্মুখে অধোবদন হয়ে বলবে, “হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা দেখলাম ও শুনলাম, এখন আপনি আমাদেরকে আবার পাঠিয়ে দিন, আমরা সৎকাজ করব, আমরা তো দৃঢ় বিশ্বাসী । ” [ সূরা আস-সাজদাহ: ১২ ] আরও এসেছেঃ “ তুমি এ দিন সম্বন্ধে উদাসীন ছিলে, এখন আমি তোমার সামনে থেকে পর্দা উন্মোচন করেছি । আজ তোমার দৃষ্টি প্রখর।" [ সূরা ক্বাফ: ২২ ] অনুরূপ এসেছে: “ তারা যেদিন আমার কাছে আসবে সেদিন তারা কত স্পষ্ট শুনবে ও দেখবে! কিন্তু যালিমরা আজ স্পষ্ট বিভ্রান্তিতে আছে ।" [ সূরা মারইয়াম: ৩৮ ] হাদীসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “ কিয়ামতের দিনের সময় কাফেরের জন্য পঞ্চাশ হাজার বছর নির্ধারণ করা হবে । আর কাফের চল্লিশ বছরের রাস্তা থেকে জাহান্নাম দেখে নিশ্চিত হয়ে যাবে সে তাতে পতিত হচ্ছে। ” [ মুসনাদে আহমাদ: ৩/৭৫ ]

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


৫২-৫৩ নং আয়াতের তাফসীর: সমস্ত মুশরিককে কিয়ামতের দিন লজ্জিত করার উদ্দেশ্যে সবারই সামনে বলা হবেঃ আজ তোমরা তোমাদের ঐ শরীকদেরকে আহবান কর যাদেরকে দুনিয়ায় আহবান করতে, যাতে তারা তোমাদেরকে আজকের বিপদ হতে রক্ষা করে। তারা তখন আহবান করবে, কিন্তু কোন সাড়া পাবে না। যেমন অন্য আয়াতে রয়েছেঃ ( আরবী ) অর্থাৎ “ আমি এভাবে তোমাদেরকে একক ভাবে এনেছি যেমন ভাবে তোমাদেরকে প্রথমবার সৃষ্টি করেছিলাম । দুনিয়ায় আমি তোমাদেরকে যা কিছু দিয়ে রেখেছিলাম সে সবগুলি তোমরা তোমাদের পিছনে ছেড়ে এসেছে। আজ তো আমি তোমাদের সাথে তোমাদের ঐ সব শরীককে দেখছি না যাদেরকে তোমরা আল্লাহর শরীক বানিয়ে রেখেছিলে এবং বিশ্বাস রেখেছিলে যে, তারা তোমাদের জন্যে শাফাআত করবে। তোমাদের মধ্যকার সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে গেছে এবং তোমাদের ধারণা মিথ্যা প্রমাণিত হয়ে গেছে।” ( ৬:৯৪ ) অন্য আয়াতে আছেঃ ( আরবী ) অর্থাৎ “ বলা হবে তোমাদের দেবতাগুলিকে আহ্বান কর । তারা তখন আহ্বান করবে কিন্তু তারা তাদের আহ্বানে কোন সাড়া দেবে।” ( ২৮ :৬৪ ) এই বিষয়েরই আয়াত। হতে দু’আয়াত পর্যন্ত। সূরায়ে মারইয়ামে আল্লাহ তাআলা বলেছেনঃ “ তারা । আল্লাহ ছাড়া অন্য মাবুদ গ্রহণ করে নিয়েছে এই জন্যে, যাতে তারা তাদের সহায় হয় না, এই ধারণা অবাস্তব, তারা তাদের ইবাদত অস্বীকার করবে এবং তাদের বিরোধী হয়ে যাবে। তাদের মধ্যে ও তাদের বাতিল মাবুদের মধ্যে পর্দা ও ধ্বংসের গর্ত বানিয়ে দেবো; যেন তারা পরস্পর মিলিত হতে না পারে। যেন সুপথ প্রাপ্ত ও পথভ্রষ্টরা পৃথক পৃথক ভাবে থাকে। জাহান্নামের এই উপত্যকা তাদেরকে পরস্পরে মিলিত হতে দেবে না। বর্ণিত আছে যে, এটা হবে রক্ত ও পূজের উপত্যকা। তাদের পরস্পরের মধ্যে শত্রুতা হয়ে যাবে। বাহ্যতঃ জানা যাচ্ছে যে, এর দ্বারা ধ্বংস উদ্দেশ্য। আবার এটাও হতে পারে যে, এর দ্বারা জাহান্নামের কোন উপত্যকাকে বুঝানো হয়েছে। কিংবা প্রভেদ ও ব্যবধান সষ্টিকারী অন্য কোন উপত্যকা হবে। উদ্দেশ্য এই যে, ঐ উপাস্যরা ঐ উপাসকদেরকে জবাব পর্যন্ত দিবে না। তাদের পরস্পরের মধ্যে মিলনও ঘটবে না। কেননা, তাদের মাঝে ভয়াবহ অবস্থা সৃষ্টি হবে। হযরত আবদুল্লাহ ইবনু আমর ( রাঃ ) বলেন যে, এর ভাবার্থ হচ্ছেঃ আমি ঐ মুশরিক ও মুসলমানদের মাঝে আড়াল করে দেবে। যেমন- ( আরবী ) ( ৩০:১৪ ) ( আরবী )( ৩০:৪৩ ) এবং ( আরবী ) ইত্যাদি আয়াতসমূহে রয়েছে। এই পাপী ও অপরাধীরা এমন অবস্থায় জাহান্নাম দেখবে যে, সত্তর হাজার লাগামে তারা আবদ্ধ থাকবে। প্রত্যেক লাগামের উপর সত্তর হাযার করে ফেরেশতা থাকবে। দেখেই তারা বুঝতে পারবে যে, ওটাই তাদের কয়েদখানা। জাহান্নামে প্রবেশের পূর্বেই তাদের উপর কঠিন বিপদ, দুঃখ-কষ্ট ও যন্ত্রণা শুরু হয়ে যাবে। এগুলো হবে প্রকৃত শাস্তির পর্বের শাস্তি। কিন্তু তারা তার থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার কোন উপায় খুঁজে পাবে না। হাদীস শরীফে আছে যে, পাঁচ হাজার বছর পর্যন্ত কাফিররা ঐ ভয়াবহ ও কম্পমান অবস্থাতেই থাকবে যে, তাদের সামনেই রয়েছে জাহান্নাম, আর ওর পূর্বেই তারা ঐরূপ শাস্তি ভোগ করতে রয়েছে।

সূরা কাহ্ফ আয়াত 53 সূরা

ورأى المجرمون النار فظنوا أنهم مواقعوها ولم يجدوا عنها مصرفا

سورة: الكهف - آية: ( 53 )  - جزء: ( 15 )  -  صفحة: ( 299 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. কখনই নয়, যদি সে বিরত না হয়, তবে আমি মস্তকের সামনের কেশগুচ্ছ ধরে হেঁচড়াবই-
  2. যারা কুফরী অবলম্বন করেছে, এবং আল্লাহর পথে বাধার সৃষ্টি করেছে, তারা বিভ্রান্তিতে সুদূরে পতিত হয়েছে।
  3. এই সে জাহান্নাম, যার ওয়াদা তোমাদেরকে দেয়া হতো।
  4. তাদের পূর্বে যারা ছিল, তারা চক্রান্ত করেছে। আর সকল চক্রান্ত তো আল্লাহর হাতেই আছে। তিনি
  5. যা চলত আমার দৃষ্টি সামনে। এটা তার পক্ষ থেকে প্রতিশোধ ছিল, যাকে প্রত্যখ্যান করা হয়েছিল।
  6. তারাই উত্তরাধিকার লাভ করবে।
  7. অতঃপর ফেরাউন পরিবার মূসাকে কুড়িয়ে নিল, যাতে তিনি তাদের শত্রু ও দুঃখের কারণ হয়ে যান।
  8. হে নবী, আল্লাহ আপনার জন্যে যা হালাল করছেন, আপনি আপনার স্ত্রীদেরকে খুশী করার জন্যে তা
  9. যে আত্নশুদ্ধির জন্যে তার ধন-সম্পদ দান করে।
  10. কিন্তু ইবলীস; সে অহংকার করল এবং অস্বীকারকারীদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেল।

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা কাহ্ফ ডাউনলোড করুন:

সূরা Kahf mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Kahf শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Thursday, May 16, 2024

لا تنسنا من دعوة صالحة بظهر الغيب